কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হুমায়ন মণ্ডল হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) প্রতিপক্ষেরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে মোড় নেওয়াতে নিজেদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে সকালে হত্যাকাণ্ড ও সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। ২০২০ সালের ৬ মে হুমায়ুন মণ্ডল (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার আসামি ছিলেন তিনি।
এদিকে সেলিমকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজন পুরুষ ও চারজন নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও লুটপাট সন্দেহে ৫টি গরু জব্দ করেছে পুলিশ। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার বলছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশের সড়ক দিয়ে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন সড়ক থেকে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এরপর কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ধ্যায় নিহত সেলিমের স্বজনদের ফাঁসাতে মালামাল সরিয়ে নিহত হুমায়ন মণ্ডলের রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে চরপাড়া এলাকার মৃত আহম্মদের ছেলে হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন প্রতিপক্ষরা। পরদিন ৭ মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামের কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সেলিমকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে ছিলেন।
নিহতের ভাই শাহিন বলেন, ‘সকালে আমার ভাইকে খুন করেছে ওরা (প্রতিপক্ষ)। আবার আমাদের ফাঁসাতে মালামাল সরিয়ে নিজেদের রান্না ও গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
২০২০ সালে হত্যার শিকার হুমায়নের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘সেলিমদের বেশ কয়েকজন সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। এ সময় আত্মরক্ষা করতে এমন ঘটনা ঘটে গেছে।’
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বুখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘মৃত হুমায়ন মণ্ডলের রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে আগুন জ্বলছিল। খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে খুনের বদলে খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অভিযুক্তরা নিজ বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এখন থানায় মামলা হয়নি। জড়িত সন্দেহে দুজন পুরুষ ও চারজন নারীকে আটক করা হয়েছে। ৫টি গরু জব্দ করা হয়েছে। প্রকৃত মালিক পেলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই আটককৃতদের নাম পরিচয় বলা যাচ্ছে না।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হুমায়ন মণ্ডল হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) প্রতিপক্ষেরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে মোড় নেওয়াতে নিজেদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে সকালে হত্যাকাণ্ড ও সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সেলিম উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। ২০২০ সালের ৬ মে হুমায়ুন মণ্ডল (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার আসামি ছিলেন তিনি।
এদিকে সেলিমকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজন পুরুষ ও চারজন নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও লুটপাট সন্দেহে ৫টি গরু জব্দ করেছে পুলিশ। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার বলছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশের সড়ক দিয়ে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন সড়ক থেকে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এরপর কুষ্টিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ধ্যায় নিহত সেলিমের স্বজনদের ফাঁসাতে মালামাল সরিয়ে নিহত হুমায়ন মণ্ডলের রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে চরপাড়া এলাকার মৃত আহম্মদের ছেলে হুমায়ন মণ্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন প্রতিপক্ষরা। পরদিন ৭ মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামের কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সেলিমকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে ছিলেন।
নিহতের ভাই শাহিন বলেন, ‘সকালে আমার ভাইকে খুন করেছে ওরা (প্রতিপক্ষ)। আবার আমাদের ফাঁসাতে মালামাল সরিয়ে নিজেদের রান্না ও গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
২০২০ সালে হত্যার শিকার হুমায়নের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘সেলিমদের বেশ কয়েকজন সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। এ সময় আত্মরক্ষা করতে এমন ঘটনা ঘটে গেছে।’
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বুখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘মৃত হুমায়ন মণ্ডলের রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে আগুন জ্বলছিল। খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে খুনের বদলে খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অভিযুক্তরা নিজ বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এখন থানায় মামলা হয়নি। জড়িত সন্দেহে দুজন পুরুষ ও চারজন নারীকে আটক করা হয়েছে। ৫টি গরু জব্দ করা হয়েছে। প্রকৃত মালিক পেলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই আটককৃতদের নাম পরিচয় বলা যাচ্ছে না।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৪ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৭ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৮ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫