ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত বকশী বাজারের বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। কদিন আগেই ছাত্রলীগ আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনায় উঠে এসেছিল তাঁর নাম। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সিট-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটের জন্য আবেদন করার পর অফিশিয়াল কার্যক্রম শেষ করেও সিটে উঠতে পারিনি। বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেলিনার অনুসারীরা। পরে টাকা দিয়ে সিটে উঠতে পেরেছি। এ টাকা সেলিনার কাছে পাঠায় তার অনুসারীরা। ৭ থেকে ১৩ হাজার টাকা নেওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে।’
কোনো স্লিপ বা ডকুমেন্টস রাখা হয় কি না জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নগদ টাকা দিতে হয়। কোনো ধরনের স্লিপ কিংবা ডকুমেন্টস রাখা হয় না।’
শুধু সিট-বাণিজ্যই নয়, বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ক্যানটিন থেকে দৈনিক ৪০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। বদরুন্নেসা কলেজ শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জোর করে দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা, কেউ যেতে না চাইলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করা হয়।
বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা বলেন, সেলিনা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেত্রী বলেন, ‘সেলিনার অনুসারীরা মূলত কলেজের পুরোনো হল পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, সুযোগ পেলে পলিটিক্যাল ছাত্রীদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়া ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গেটে ঢোকাকে কেন্দ্র করে কলেজে হাতাহাতির ঘটনার নেতৃত্বেও ছিলেন সেলিনা ও তার অনুসারীরা।’
কলেজের হোস্টেলে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গেও কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। তাঁরাও ছাত্রলীগ নেত্রীর সিট-বাণিজ্যের বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানান। তাঁরা বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারে না, একটি আশ্রয়ের প্রয়োজন হয়—তখনই টাকা দিয়ে তাঁদের উঠতে হয়। কলেজের সবচেয়ে বেশি সিট-বাণিজ্যের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সেলিনা তাঁর কয়েকজন অনুসারীর মাধ্যমে এই বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। হলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষ করার পরেও এককালীন টাকা রুমে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়।’
নির্যাতনের বিষয়ে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপু (সেলিনা) হলে বিশেষ নিয়মকানুন বেঁধে দিয়েছেন। কোনো শিক্ষার্থী এই নিয়মের বাইরে গেলে রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নানা ধরনের নির্যাতন চালান। কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা থাকলেও বাধ্যতামূলক তাঁকে প্রোগ্রামে নিয়ে যায়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায় সময় বিভিন্ন মারামারি ও হাতাহাতি হয়। হলের প্রত্যেক রুমে শিক্ষার্থীদের নজরদারি করার জন্য একজন করে অনুসারী ঠিক করে রেখেছেন সেলিনা। তাঁর ওপর রুমের কোন মেয়ে কী করছে, সেই তথ্য তাঁকে (সেলিনা) জানানোর দায়িত্ব থাকে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—সেলিনার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা, তিথি, লক্ষ্মী, লাবণী ও রিমি বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় থাকেন। এঁদের মধ্যে হাফসা কয়েকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মারামারিতে জড়ানোয় কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে সেলিনার ছত্রচ্ছায়ায় এখনো হলে অবস্থান করছেন।
তবে এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেছেন সেলিনা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সিট দেয় প্রশাসন। আমার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। জোর করে প্রোগ্রাম নেওয়া হয় না, সবাই তো রাজনীতি করবে না—এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি জোর করে করার জিনিস নয়। যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, কোনো সত্যতা নেই।’
ছাত্রীনিবাসের প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ সাবিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে শুনিনি। সিটের ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। মেয়েরা তার (সেলিনা) কাছে যায় কেন? তারা হল প্রশাসনকে দেখে না, যারা হল প্রশাসনকে বাদ দিয়ে তার কাছে যায়, তাদের তথ্য আমাকে দিন। তারা কারা সেটি দেখব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত বকশী বাজারের বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার শেলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। কদিন আগেই ছাত্রলীগ আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনায় উঠে এসেছিল তাঁর নাম। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সিট-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটের জন্য আবেদন করার পর অফিশিয়াল কার্যক্রম শেষ করেও সিটে উঠতে পারিনি। বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেলিনার অনুসারীরা। পরে টাকা দিয়ে সিটে উঠতে পেরেছি। এ টাকা সেলিনার কাছে পাঠায় তার অনুসারীরা। ৭ থেকে ১৩ হাজার টাকা নেওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে।’
কোনো স্লিপ বা ডকুমেন্টস রাখা হয় কি না জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নগদ টাকা দিতে হয়। কোনো ধরনের স্লিপ কিংবা ডকুমেন্টস রাখা হয় না।’
শুধু সিট-বাণিজ্যই নয়, বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ক্যানটিন থেকে দৈনিক ৪০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। বদরুন্নেসা কলেজ শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জোর করে দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা, কেউ যেতে না চাইলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করা হয়।
বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা বলেন, সেলিনা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেত্রী বলেন, ‘সেলিনার অনুসারীরা মূলত কলেজের পুরোনো হল পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, সুযোগ পেলে পলিটিক্যাল ছাত্রীদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়া ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে গেটে ঢোকাকে কেন্দ্র করে কলেজে হাতাহাতির ঘটনার নেতৃত্বেও ছিলেন সেলিনা ও তার অনুসারীরা।’
কলেজের হোস্টেলে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গেও কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। তাঁরাও ছাত্রলীগ নেত্রীর সিট-বাণিজ্যের বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানান। তাঁরা বলেন, ‘প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারে না, একটি আশ্রয়ের প্রয়োজন হয়—তখনই টাকা দিয়ে তাঁদের উঠতে হয়। কলেজের সবচেয়ে বেশি সিট-বাণিজ্যের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সেলিনা তাঁর কয়েকজন অনুসারীর মাধ্যমে এই বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। হলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শেষ করার পরেও এককালীন টাকা রুমে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়।’
নির্যাতনের বিষয়ে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপু (সেলিনা) হলে বিশেষ নিয়মকানুন বেঁধে দিয়েছেন। কোনো শিক্ষার্থী এই নিয়মের বাইরে গেলে রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নানা ধরনের নির্যাতন চালান। কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা থাকলেও বাধ্যতামূলক তাঁকে প্রোগ্রামে নিয়ে যায়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায় সময় বিভিন্ন মারামারি ও হাতাহাতি হয়। হলের প্রত্যেক রুমে শিক্ষার্থীদের নজরদারি করার জন্য একজন করে অনুসারী ঠিক করে রেখেছেন সেলিনা। তাঁর ওপর রুমের কোন মেয়ে কী করছে, সেই তথ্য তাঁকে (সেলিনা) জানানোর দায়িত্ব থাকে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—সেলিনার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী হাফসা, তিথি, লক্ষ্মী, লাবণী ও রিমি বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় থাকেন। এঁদের মধ্যে হাফসা কয়েকবার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মারামারিতে জড়ানোয় কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে সেলিনার ছত্রচ্ছায়ায় এখনো হলে অবস্থান করছেন।
তবে এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেছেন সেলিনা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সিট দেয় প্রশাসন। আমার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। জোর করে প্রোগ্রাম নেওয়া হয় না, সবাই তো রাজনীতি করবে না—এটা স্বাভাবিক। রাজনীতি জোর করে করার জিনিস নয়। যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, কোনো সত্যতা নেই।’
ছাত্রীনিবাসের প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ সাবিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে শুনিনি। সিটের ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। মেয়েরা তার (সেলিনা) কাছে যায় কেন? তারা হল প্রশাসনকে দেখে না, যারা হল প্রশাসনকে বাদ দিয়ে তার কাছে যায়, তাদের তথ্য আমাকে দিন। তারা কারা সেটি দেখব।’
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেগণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
৪ দিন আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৭ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪