প্রতিনিধি
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল): ঘাটাইলে মাদকাসক্তদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে মাদকদ্রব্য বিক্রির পরিমাণও বাড়ছে। মাদকাসক্তরা নেশার টাকা জোগাতে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথেও জড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে এলাকার শতাধিক তরুণকে বিভিন্ন মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনের প্রধান স্পটগুলো হলো কলেজ রোড, স’মিল রোড, রতনপুর, পোড়াবাড়ি, নাগবাড়ি, পাকুটিয়া, সাগরদিঘী, গুণগ্রাম, হরিপুর, মাকড়াই, ছনখোলা, গাড়োবাজার। এসব স্থানে অবাধে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা বিক্রি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০টি স্পটে মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা চলে। এসব বিক্রয়কেন্দ্র ঘিরেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। মাদকসেবীদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজের ছাত্র, বেকার যুবক এবং শ্রমিক। এসব মাদকসেবীরা দিন দিন মাদকের পয়সা যোগাড় করার জন্য চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত এসব তরুণদের হাতে গ্রাম থেকে আসা মানুষজন প্রায়ই প্রতারিত হচ্ছে। গত দুই মাসে ঘাটাইল পৌর এলাকা থেকে চারটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির ঘটনা মাদকসেবীরা করছে বলে মনে করছেন পুলিশরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রতনপুর গ্রামের একজন ব্যবসায়ী জানান, তার গ্রামের এক যুবক প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা করছে। ওই যুবক মোটরসাইকেলযোগে মাদকসেবীদের হাতে ইয়াবা তুলে দিচ্ছে।
মাকড়াই গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, আমাদের সামনে বেচাকেনা হয়। আমরা বলতে সাহস পাইনা। এসব যুবকদের সাথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে।
ঘাটাইল পৌরসভা এলাকায় পাশেই গুণগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে মাদকের হাট বসে। পাশের একটি ধানের চাতালে ক্রেতা-বিক্রেতারা একত্রিত হয়। এখানে যুবকরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। এলাকার অনেক যুবক এখন নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবন করে। এখানে মূলত ইয়াবা বেশি চলে। দিন দিন সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রের স্থানীয় প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিমাসে তিন-চারজন করে মাদকাসক্ত যুবককে আমাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করানো হচ্ছে। এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। চিকিৎসার খরচ যোগাতে অনেক অভিভাবক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। তার হিসাব মতে, এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘাটাইলের কমপক্ষে ১০০ যুবক ভর্তি আছে।
মাদক সমস্যা নিয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা সবাই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, নেশাদ্রব্যের সহজ প্রাপ্তির কারণে তাদের সন্তানরা সহজেই আসক্ত হতে পেরেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলে নেশাদ্রব্য এতো সহজলভ্য হতো না। এই নেশা তাদের পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
হরিপুর জামে মসজিদের ইমাম বলেন, ইসলামি জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে যুব সমাজ নেশাদ্রব্য স্পর্শ করতো না। তিনি নিজ নিজ সন্তানকে ধর্মীয় আদর্শে উজ্জীবিত করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম বলেন, মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। করোনার সময় জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। শীঘ্রই আমরা মাদকের স্পটগুলোতে অভিযান চালাবো। মাদক ব্যবসায়ীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো।
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল): ঘাটাইলে মাদকাসক্তদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে মাদকদ্রব্য বিক্রির পরিমাণও বাড়ছে। মাদকাসক্তরা নেশার টাকা জোগাতে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথেও জড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে এলাকার শতাধিক তরুণকে বিভিন্ন মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনের প্রধান স্পটগুলো হলো কলেজ রোড, স’মিল রোড, রতনপুর, পোড়াবাড়ি, নাগবাড়ি, পাকুটিয়া, সাগরদিঘী, গুণগ্রাম, হরিপুর, মাকড়াই, ছনখোলা, গাড়োবাজার। এসব স্থানে অবাধে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা বিক্রি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩০টি স্পটে মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা চলে। এসব বিক্রয়কেন্দ্র ঘিরেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। মাদকসেবীদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজের ছাত্র, বেকার যুবক এবং শ্রমিক। এসব মাদকসেবীরা দিন দিন মাদকের পয়সা যোগাড় করার জন্য চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত এসব তরুণদের হাতে গ্রাম থেকে আসা মানুষজন প্রায়ই প্রতারিত হচ্ছে। গত দুই মাসে ঘাটাইল পৌর এলাকা থেকে চারটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির ঘটনা মাদকসেবীরা করছে বলে মনে করছেন পুলিশরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রতনপুর গ্রামের একজন ব্যবসায়ী জানান, তার গ্রামের এক যুবক প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা করছে। ওই যুবক মোটরসাইকেলযোগে মাদকসেবীদের হাতে ইয়াবা তুলে দিচ্ছে।
মাকড়াই গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, আমাদের সামনে বেচাকেনা হয়। আমরা বলতে সাহস পাইনা। এসব যুবকদের সাথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে।
ঘাটাইল পৌরসভা এলাকায় পাশেই গুণগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে মাদকের হাট বসে। পাশের একটি ধানের চাতালে ক্রেতা-বিক্রেতারা একত্রিত হয়। এখানে যুবকরা প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে। এলাকার অনেক যুবক এখন নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবন করে। এখানে মূলত ইয়াবা বেশি চলে। দিন দিন সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রের স্থানীয় প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিমাসে তিন-চারজন করে মাদকাসক্ত যুবককে আমাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করানো হচ্ছে। এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। চিকিৎসার খরচ যোগাতে অনেক অভিভাবক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। তার হিসাব মতে, এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘাটাইলের কমপক্ষে ১০০ যুবক ভর্তি আছে।
মাদক সমস্যা নিয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা সবাই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, নেশাদ্রব্যের সহজ প্রাপ্তির কারণে তাদের সন্তানরা সহজেই আসক্ত হতে পেরেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলে নেশাদ্রব্য এতো সহজলভ্য হতো না। এই নেশা তাদের পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
হরিপুর জামে মসজিদের ইমাম বলেন, ইসলামি জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে যুব সমাজ নেশাদ্রব্য স্পর্শ করতো না। তিনি নিজ নিজ সন্তানকে ধর্মীয় আদর্শে উজ্জীবিত করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম বলেন, মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় অভিযান পরিচালনা করে আসছি। করোনার সময় জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। শীঘ্রই আমরা মাদকের স্পটগুলোতে অভিযান চালাবো। মাদক ব্যবসায়ীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো।
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
১৯ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৪ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪