Ajker Patrika

পরকীয়ার অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে ১৫ ঘণ্টা শিকলে বেঁধে নির্যাতন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ৫০
Thumbnail image

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (৩০) ১৫ ঘণ্টা শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরেক ব্যক্তিকে (৪০) শিকলে বেঁধে নির্যাতন করে এলাকার কিছু লোকজন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার এক মালয়েশিয়া প্রবাসী স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে। গৃহবধূর দুই সন্তান ও ওই ব্যক্তির চার সন্তান রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে যান পাশের গ্রামের ওই ব্যক্তি। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের দুজনকে আটক করে শিকলে বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। আজ বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাঁদের শিকলে বেঁধে রাখা হয়।

খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন ও ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এলে তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁদেরকে আত্মীয়স্বজনদের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।

গৃহবধূর দাবি, তাঁর ঘরে আসা ওই ব্যক্তি তাঁর খালাতো ভাই। রাতে পাওনা টাকা দিতে আসলে এলাকার লোকজন তাদের দুজনকে আটক করে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করে। তাঁদের মধ্যে কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে এলাকাবাসী দাবি, তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে তাঁরা দুজন পালিয়ে গিয়েছিল এবং এক মাস পর ফিরে আসে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওই গৃহবধূর স্বামী সবকিছু মেনে নেন।

গৃহবধূর দেবর বলেন, ‘আমার ভাবির কাছে একটা লোক আসলে এলাকার লোকজন তাদের দুজনকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। বিকেলে ৩টার সময় ভাবির বাবার বাড়ির লোক আসতে এলাকার লোকজন তাঁকে তাঁর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিই এবং ওই লোকটিকে তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে তুলে দেওয়া হয়।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘খালাতো ভাই আমাকে টাকা দিতে বাড়ি আসে। এ সময় এলাকার রবিন, নাজমুল, মফিজ সহ আরও পাঁচ-সাত জন মিলে আমার ঘরে ঢুকে ঘরের সবকিছু ভাঙচুর করে। আমাদেরকে শিকলে বেঁধে মারধর করে। আমরা কোনো খারাপ কাজ করিনি।’

এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেলে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কেউ মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত