নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ শহরের ডালপট্টি এলাকায় মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আসামি জোবায়ের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের এ দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ বলছে, অর্থ লুট করতেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন জোবায়ের। এর প্রমাণস্বরূপ তাঁর ব্যাগ থেকে দুটো স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু গণমাধ্যমকে আজ বুধবার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমির খসরু বলেন, ‘জোবায়ের জানিয়েছে, টাকা-পয়সা লুট করার জন্যই সে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে এবং হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত জোবায়েরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, জোবায়ের রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছিল। তবে করোনার কারণে ও আর্থিক সমস্যায় পড়ে সে পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। বর্তমানে বেকার অবস্থায় বাসায় থাকতেন জোবায়ের।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ডালপট্টি এলাকায় একটি ছয় তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই রক্তমাখা ছুরি, হ্যান্ডগ্লাভসসহ গ্রেপ্তার করা হয় আল জোবায়ের সপ্নীলকে (২৬)। তিনি শহরের পাইকপাড়া এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
নিহতেরা হলেন—রুমা চক্রবর্তী (৪৬) ও ঋতু চক্রবর্তী (২২)।
নিহত রুমার স্বামী রাম প্রসাদ চক্রবর্তী নিতাইগঞ্জে একটি দোকানে কাজ করেন। তাদের মেয়ে ঋতুর স্বামী শ্যামল ভট্টাচার্য চট্টগ্রামে চাকরির কারণে সেখানে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এবং প্রথম সন্তানের মা হতে যাওয়ায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মায়ের বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন ঋতু। একই বাড়িতে ছিলেন ঋতুর ভাই হৃদয় চক্রবর্তীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার শীলা।
রামপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় দোকানে কাজ করছিলাম। দুপুরে আমার বাড়িওয়ালার ভাতিজা দৌড়ে এসে বলল, আংকেল বাসায় চলেন বাসায় ঝামেলা হইসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিলাম আমার স্ত্রীকে (রুমা)। আমার ফোন তখন ধরছে ওই ছেলেটা (জোবায়ের)। সে বলে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-গয়না কই আছে বল? নাহলে ওদের মাইরা ফেলব। পরে আমি বললাম আর কি চাও? ততক্ষণে আমার বউ আর মেয়েকে মাইরা ফেলছে ওই ছেলেটা।’
রামপ্রসাদ আরও বলেন, ‘যখন এই ছেলেটা আইসা হামলা চালাইসে, তখন আমার ছেলের স্ত্রী শিলা ঘরের ভেতর ছিল। ছেলেটা যখন দা নিয়ে কোপ দিয়ে আসছিল, তখন আমার ছেলের স্ত্রী দা কেড়ে নেয় এবং দৌড়ে নিচে এসে চিৎকার করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ছেলেটাকে আটক করে। এই ছেলেটাকে আমরা আগে কখনো দেখিনি। আর এর সঙ্গে আমাদের পরিবারেরও কারও সম্পর্ক নেই।’
নারায়ণগঞ্জ শহরের ডালপট্টি এলাকায় মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আসামি জোবায়ের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের এ দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ বলছে, অর্থ লুট করতেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন জোবায়ের। এর প্রমাণস্বরূপ তাঁর ব্যাগ থেকে দুটো স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু গণমাধ্যমকে আজ বুধবার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমির খসরু বলেন, ‘জোবায়ের জানিয়েছে, টাকা-পয়সা লুট করার জন্যই সে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে এবং হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পুলিশ তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত জোবায়েরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, জোবায়ের রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছিল। তবে করোনার কারণে ও আর্থিক সমস্যায় পড়ে সে পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। বর্তমানে বেকার অবস্থায় বাসায় থাকতেন জোবায়ের।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ডালপট্টি এলাকায় একটি ছয় তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই রক্তমাখা ছুরি, হ্যান্ডগ্লাভসসহ গ্রেপ্তার করা হয় আল জোবায়ের সপ্নীলকে (২৬)। তিনি শহরের পাইকপাড়া এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
নিহতেরা হলেন—রুমা চক্রবর্তী (৪৬) ও ঋতু চক্রবর্তী (২২)।
নিহত রুমার স্বামী রাম প্রসাদ চক্রবর্তী নিতাইগঞ্জে একটি দোকানে কাজ করেন। তাদের মেয়ে ঋতুর স্বামী শ্যামল ভট্টাচার্য চট্টগ্রামে চাকরির কারণে সেখানে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এবং প্রথম সন্তানের মা হতে যাওয়ায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মায়ের বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন ঋতু। একই বাড়িতে ছিলেন ঋতুর ভাই হৃদয় চক্রবর্তীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার শীলা।
রামপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় দোকানে কাজ করছিলাম। দুপুরে আমার বাড়িওয়ালার ভাতিজা দৌড়ে এসে বলল, আংকেল বাসায় চলেন বাসায় ঝামেলা হইসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিলাম আমার স্ত্রীকে (রুমা)। আমার ফোন তখন ধরছে ওই ছেলেটা (জোবায়ের)। সে বলে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-গয়না কই আছে বল? নাহলে ওদের মাইরা ফেলব। পরে আমি বললাম আর কি চাও? ততক্ষণে আমার বউ আর মেয়েকে মাইরা ফেলছে ওই ছেলেটা।’
রামপ্রসাদ আরও বলেন, ‘যখন এই ছেলেটা আইসা হামলা চালাইসে, তখন আমার ছেলের স্ত্রী শিলা ঘরের ভেতর ছিল। ছেলেটা যখন দা নিয়ে কোপ দিয়ে আসছিল, তখন আমার ছেলের স্ত্রী দা কেড়ে নেয় এবং দৌড়ে নিচে এসে চিৎকার করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ছেলেটাকে আটক করে। এই ছেলেটাকে আমরা আগে কখনো দেখিনি। আর এর সঙ্গে আমাদের পরিবারেরও কারও সম্পর্ক নেই।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে