চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের হাইমচরে পরকীয়া প্রেমের জন্য নিজের তরুণ ছেলেকে হত্যার দায়ে এক নারী ও তাঁর প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য আরও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে আজ বুধবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারহানা ইয়াসমিন এ রায় দেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বদিউজ্জামান কিরন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মায়ের পরকীয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটে। মামলাটি দীর্ঘ সাত বছরের অধিক সময় চলাকালীন আদালত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন।’
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের মিজানুর রহমান খানের স্ত্রী খুকি বেগম (৪৩) এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের গাজী বাড়ির গণি গাজীর ছেলে মো. জয়নাল গাজী (২৪)।
আর ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিষকাটালি গ্রামের মোল্লা বাড়ির হোসেন মোল্লার ছেলে ইউছুফ মোল্লা (২৭) এবং একই গ্রামের বিল্লাল মোল্লার ছেলে মাহবুব মোল্লাকে (২৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, জয়নাল গাজীর সঙ্গে খুকি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক জানতেন তাঁর ছেলে আরিফ হোসেন (২৫)। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমন অবস্থায় ২০১৫ সালের শুরুতে আরিফ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়েও মায়ের সঙ্গে আরিফের মনোমালিন্য ছিল। মায়ের সঙ্গে বিবাদে স্ত্রীও জড়িয়ে পড়েন। এসবের ধারাবাহিকতায় খুকি নিজের ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর ছেলের স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন খুকি। ১৮ নভেম্বর রাতে প্রেমিক জয়নাল গাজী ও তাঁর সহযোগীদের ডাকেন খুকি। তাঁরা ঘুমন্ত আরিফকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ঘরের মেঝেতে ফেলে চলে যান। পরদিন সকালে আসমাকে ফোন করে খুকি জানান, ডাকাতেরা আরিফকে জখম করে ফেলে গেছে। আসমা তখনই ফিরে আসেন। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মতলব ফেরিঘাটে আরিফের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই আসমা তাঁর শাশুড়ি খুকি বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর মিয়াকে। এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ইউছুফ মোল্লা শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে থাকায় সব আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন।
চাঁদপুরের হাইমচরে পরকীয়া প্রেমের জন্য নিজের তরুণ ছেলেকে হত্যার দায়ে এক নারী ও তাঁর প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য আরও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে আজ বুধবার চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারহানা ইয়াসমিন এ রায় দেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বদিউজ্জামান কিরন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মায়ের পরকীয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটে। মামলাটি দীর্ঘ সাত বছরের অধিক সময় চলাকালীন আদালত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন।’
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের মিজানুর রহমান খানের স্ত্রী খুকি বেগম (৪৩) এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের গাজী বাড়ির গণি গাজীর ছেলে মো. জয়নাল গাজী (২৪)।
আর ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিষকাটালি গ্রামের মোল্লা বাড়ির হোসেন মোল্লার ছেলে ইউছুফ মোল্লা (২৭) এবং একই গ্রামের বিল্লাল মোল্লার ছেলে মাহবুব মোল্লাকে (২৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, জয়নাল গাজীর সঙ্গে খুকি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক জানতেন তাঁর ছেলে আরিফ হোসেন (২৫)। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমন অবস্থায় ২০১৫ সালের শুরুতে আরিফ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়েও মায়ের সঙ্গে আরিফের মনোমালিন্য ছিল। মায়ের সঙ্গে বিবাদে স্ত্রীও জড়িয়ে পড়েন। এসবের ধারাবাহিকতায় খুকি নিজের ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর ছেলের স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন খুকি। ১৮ নভেম্বর রাতে প্রেমিক জয়নাল গাজী ও তাঁর সহযোগীদের ডাকেন খুকি। তাঁরা ঘুমন্ত আরিফকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ঘরের মেঝেতে ফেলে চলে যান। পরদিন সকালে আসমাকে ফোন করে খুকি জানান, ডাকাতেরা আরিফকে জখম করে ফেলে গেছে। আসমা তখনই ফিরে আসেন। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মতলব ফেরিঘাটে আরিফের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই আসমা তাঁর শাশুড়ি খুকি বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুর মিয়াকে। এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ইউছুফ মোল্লা শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে থাকায় সব আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে