Ajker Patrika

সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১৫: ২৩
সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম ওমর ফারুক (৩০)। তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত আনছারুল করিম উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সম্পর্কে আনছারুল করিমের মামা হন নিহত ওমর ফারুক। 

পুলিশ সুপার জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় আনছারুল করিমের। পারিবারিক বিরোধের জেরে চলতি বছরের গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ ঘটনায় আনছারুল করিম তাঁর স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শারমিনের পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর মামা ওমর ফারুককে কৌশলে গত ৫ মে শারমিনদের বাড়িতে নিয়ে আসেন করিম। ওইরাতে একজনের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারমিনদের সুপারি বাগানের ভেতরে গলায় শার্ট পেঁচিয়ে ফারুককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন করিম। 

আসামির স্বীকারোক্তি মতে, হত্যার পর ওইরাতে ফারুকের মরদেহ নিজের শ্বশুরদের বাড়ির উত্তর পাশের সেপটিক ট্যাংকে রেখে পুনরায় চট্টগ্রাম পালিয়ে যান করিম ও তাঁর সহযোগী রাসেল। গতকাল রোববার দুপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় আজ সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এসপি আরও জানান, স্ত্রী ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতে তিনি এ পরিকল্পনা এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত