Ajker Patrika

স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ২০: ৪০
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় স্বামী হত্যা দায়ে স্ত্রী রিতা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার পিরোজপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ মামলার অপর আসামি লিটু হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের আব্দুল মোফাজ্জেল শিকদারের ছেলে আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কাউখালী উপজেলার মুক্তারকাঠী গ্রামের সাজাপ্রাপ্ত রিতার বিয়ে হয়। প্রথম দিকে রিতা তাঁর শ্বশুরবাড়ি থাকলেও তাঁর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও বেপরোয়া চলাফেরার প্রতিবাদ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর স্বামী আ. মান্নানকে নিয়ে কাউখালী বাবার বাড়িতে চলে আসেন। সেখানে থাকাকালীন একই উপজেলার নাঙ্গুলী গ্রামের লিটু হাওলাদারের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রিতা। ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে রিতার স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে আসামি লিটুকে দরজা খুলে ঘরে ঢোকান রিতা। 

এরপর তাঁদের অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী আব্দুল মান্নানের। এরপর বিষয়টি গোপন রাখার জন্য লোহার রড দিয়ে আব্দুল মান্নানকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে তাঁরা গলায় রশি লাগিয়ে সেটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালাবার চেষ্টা করেন তাঁরা। ওই রাতেই রিতার ভাই রিয়াজ ফোনে মান্নানের ভাই মো. হান্নান শিকদারকে তাঁর ভাইয়ের অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান। সকালে তারা এসে আ. মান্নানকে মৃত দেখলে প্রথমে তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে ও পুলিশকে জানান। 

এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আদালতে গেলে বিচারকার্য শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

রায়ে বলা হয়, মামলার ১ নম্বর আসামি রিতার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। 

আসামির পক্ষে ওই মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. আহসানুল কবির বাদল। আর রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত