বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামী ও সতিনকে ফাঁসাতে নিজের দেড় বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সতিন ফাহমিদা ইসলাম বিথি। ওই মামলায় বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শিশু আদিবা আমীনের মা ইসমত আরা কলি, কলির তিন ভাই জাকির হোসেন, আশ্রাফ, আনোয়ার হোসেন ও বোন জেলিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ইসমত আরা কলিকে বিয়ে করেন হাফেজ আল আমীন। তাঁদের শেফা ও আদিবা আমীন নামে দুই সন্তান রয়েছে। কলির বেপরোয়া চলাফেরার কারণে আল আমীন তাঁকে গত বছরের ২০ এপ্রিল তালাক দেন। এরপর ফাহমিদা ইসলাম বিথিকে বিয়ে করে ঢাকায় থাকেন। তালাক দেওয়ার পর আল আমীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ মে বরগুনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন সাবেক স্ত্রী ইসমত আরা কলি।
গত বছরের ৬ অক্টোবর আল আমীনের বড় ভাই বশিরের বাসায় ওই আসামিরা এসে আপসের কথা বলেন। এ সময় আল আমীন মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন আপস করতে রাজি নন তিনি। এতে কলি ও তাঁর ভাইয়েরা ক্ষুব্ধ হয়ে বশিরের ঘর থেকে ওই দিন দুপুরে দেড় বছরের শিশু আবিদাকে নিয়ে যান। পরে রাগে, দুঃখে ও অভিমানে গলা টিপে আবিদাকে হত্যা করে আল আমীনের প্রতিবেশী মিরাজের পুকুরে ফেলে দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, সাবেক স্বামী ও তাঁর বর্তমান স্ত্রীকে ফাঁসাতে নিজের সন্তানকে হত্যার পর কলি বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আল আমীন এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা ইসলাম বিথিও মামলায় জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ফাহমিদা বিথি গতকাল তাঁর স্বামীর সাবেক স্ত্রী ইসমত আরা কলির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ফাহমিদা বিথি বলেন, ‘আমার স্বামী তাঁর আগের স্ত্রীকে বিধিসম্মতভাবে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁর সাবেক স্ত্রী এতটাই প্রতিশোধপরায়ণ হয়েছিল যে নিজের সন্তানকে হত্যা করে আমাদের ফাঁসাতে মামলা করেছিল। আমি মামলায় জেলে ছিলাম। আমার স্বামী এখনো জেলে রয়েছেন। শিশু সন্তানকে হত্যা করায় আমি ওই নারীর বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে ইসমত আরা কলি বলেন, ‘আমি আগে যে মামলা করেছি সেটি সত্য। বিথি আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তা সঠিক নয়।’
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আমি মামলাটির তদন্ত করব।
বরগুনা সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে স্বামী ও সতিনকে ফাঁসাতে নিজের দেড় বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সতিন ফাহমিদা ইসলাম বিথি। ওই মামলায় বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শিশু আদিবা আমীনের মা ইসমত আরা কলি, কলির তিন ভাই জাকির হোসেন, আশ্রাফ, আনোয়ার হোসেন ও বোন জেলিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ইসমত আরা কলিকে বিয়ে করেন হাফেজ আল আমীন। তাঁদের শেফা ও আদিবা আমীন নামে দুই সন্তান রয়েছে। কলির বেপরোয়া চলাফেরার কারণে আল আমীন তাঁকে গত বছরের ২০ এপ্রিল তালাক দেন। এরপর ফাহমিদা ইসলাম বিথিকে বিয়ে করে ঢাকায় থাকেন। তালাক দেওয়ার পর আল আমীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ মে বরগুনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন সাবেক স্ত্রী ইসমত আরা কলি।
গত বছরের ৬ অক্টোবর আল আমীনের বড় ভাই বশিরের বাসায় ওই আসামিরা এসে আপসের কথা বলেন। এ সময় আল আমীন মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন আপস করতে রাজি নন তিনি। এতে কলি ও তাঁর ভাইয়েরা ক্ষুব্ধ হয়ে বশিরের ঘর থেকে ওই দিন দুপুরে দেড় বছরের শিশু আবিদাকে নিয়ে যান। পরে রাগে, দুঃখে ও অভিমানে গলা টিপে আবিদাকে হত্যা করে আল আমীনের প্রতিবেশী মিরাজের পুকুরে ফেলে দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, সাবেক স্বামী ও তাঁর বর্তমান স্ত্রীকে ফাঁসাতে নিজের সন্তানকে হত্যার পর কলি বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আল আমীন এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা ইসলাম বিথিও মামলায় জেলহাজতে থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ফাহমিদা বিথি গতকাল তাঁর স্বামীর সাবেক স্ত্রী ইসমত আরা কলির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ফাহমিদা বিথি বলেন, ‘আমার স্বামী তাঁর আগের স্ত্রীকে বিধিসম্মতভাবে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁর সাবেক স্ত্রী এতটাই প্রতিশোধপরায়ণ হয়েছিল যে নিজের সন্তানকে হত্যা করে আমাদের ফাঁসাতে মামলা করেছিল। আমি মামলায় জেলে ছিলাম। আমার স্বামী এখনো জেলে রয়েছেন। শিশু সন্তানকে হত্যা করায় আমি ওই নারীর বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে ইসমত আরা কলি বলেন, ‘আমি আগে যে মামলা করেছি সেটি সত্য। বিথি আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তা সঠিক নয়।’
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর আমি মামলাটির তদন্ত করব।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে