নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ এক ডজন সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। এতে সড়ক সরু হয়ে যাওয়ায় নগরবাসীর চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। কোনো কোনো সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগও দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু স্থাপনাগুলো অপসারণে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সড়কগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরীর কাজীপাড়া সড়কের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসংলগ্ন দুই পাশে প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো ভাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। একইভাবে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে ত্রিশ গোডাউন ঢোকার মোড়, বঙ্গবন্ধু উদ্যানসংলগ্ন কেডিসি সড়ক, মুন্সির গ্যারেজ থেকে গোরস্তান রোড, নিউ সার্কুলার রোডের মোড়ে ডা. আরিফের ভবনের বিপরীতে শতাধিক দোকান ও টংঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এতে সড়কগুলো সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই সব সড়কে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যানবাহন ঢুকতে গিয়ে আটকে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
কাজীপাড়ার বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, তাঁদের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। তাঁর ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় সড়কটি সরু হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রের দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেশমী বেগম বলেন, কাজীপাড়া সড়কে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার বিষয়টি জানা নেই। কারা দখলদার কিংবা ভাড়া নিচ্ছেন তাও জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এদিকে সড়কের ফুটপাতের ড্রেনের ঢাকনাও চুরি হচ্ছে। গত ৩০ মার্চ নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জর্ডন রোডের একটি লোহার ঢাকনা খুলে নিয়ে যায় চোর চক্র। আবার সেখানে ঢাকনা স্থাপন করা হলে তাও চুরি হয়। এর পর আর সেখানে ঢাকনা লাগানো হয়নি। ফলে ব্যস্ত এ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।
স্থানীয় একটি ভবনের নিরাপত্তারক্ষী আলম রায়হান বলেন, প্রায় রাতেই একদল মাদকাসক্ত এখানে এসে হইচই করে। ওই দলটি এই চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সম্প্রতি নবগ্রাম রোড, হাতেম আলী কলেজের সামনে, বগুড়া রোড, বিএম কলেজ এলাকার ড্রেনের লোহার ঢাকনা এবং স্ল্যাব চুরি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিসিসির কর্মীরা।
বরিশাল নগর উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়ক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরের বাসিন্দাদের জন্য মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিয়ে সড়কগুলো দখলমুক্ত করতে হবে, অন্যথায় এসব অবৈধ দখলদার রাস্তায় গেড়ে বসবে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রুমেল বলেন, অবৈধ দোকানপাট গড়ে ওঠা কোন কোন সড়ক সিটি করপোরেশনের আওতায়। এগুলো উচ্ছেদ করে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তবে কিছু সড়ক নগরের মধ্যে হলেও অন্য সরকারি দপ্তরের। যে কারণে ওইগুলো উদ্ধারে যে জটিলতা রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া সড়কের ড্রেনের ঢাকনা চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
বরিশাল মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ এক ডজন সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। এতে সড়ক সরু হয়ে যাওয়ায় নগরবাসীর চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। কোনো কোনো সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগও দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু স্থাপনাগুলো অপসারণে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সড়কগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরীর কাজীপাড়া সড়কের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসংলগ্ন দুই পাশে প্রায় আধা কিলোমিটারজুড়ে টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো ভাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। একইভাবে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে ত্রিশ গোডাউন ঢোকার মোড়, বঙ্গবন্ধু উদ্যানসংলগ্ন কেডিসি সড়ক, মুন্সির গ্যারেজ থেকে গোরস্তান রোড, নিউ সার্কুলার রোডের মোড়ে ডা. আরিফের ভবনের বিপরীতে শতাধিক দোকান ও টংঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এতে সড়কগুলো সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই সব সড়কে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যানবাহন ঢুকতে গিয়ে আটকে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
কাজীপাড়ার বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, তাঁদের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। তাঁর ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় সড়কটি সরু হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রের দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেশমী বেগম বলেন, কাজীপাড়া সড়কে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার বিষয়টি জানা নেই। কারা দখলদার কিংবা ভাড়া নিচ্ছেন তাও জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এদিকে সড়কের ফুটপাতের ড্রেনের ঢাকনাও চুরি হচ্ছে। গত ৩০ মার্চ নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জর্ডন রোডের একটি লোহার ঢাকনা খুলে নিয়ে যায় চোর চক্র। আবার সেখানে ঢাকনা স্থাপন করা হলে তাও চুরি হয়। এর পর আর সেখানে ঢাকনা লাগানো হয়নি। ফলে ব্যস্ত এ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।
স্থানীয় একটি ভবনের নিরাপত্তারক্ষী আলম রায়হান বলেন, প্রায় রাতেই একদল মাদকাসক্ত এখানে এসে হইচই করে। ওই দলটি এই চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সম্প্রতি নবগ্রাম রোড, হাতেম আলী কলেজের সামনে, বগুড়া রোড, বিএম কলেজ এলাকার ড্রেনের লোহার ঢাকনা এবং স্ল্যাব চুরি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিসিসির কর্মীরা।
বরিশাল নগর উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়ক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, নগরের বাসিন্দাদের জন্য মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে শক্ত হাতে উদ্যোগ নিয়ে সড়কগুলো দখলমুক্ত করতে হবে, অন্যথায় এসব অবৈধ দখলদার রাস্তায় গেড়ে বসবে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রুমেল বলেন, অবৈধ দোকানপাট গড়ে ওঠা কোন কোন সড়ক সিটি করপোরেশনের আওতায়। এগুলো উচ্ছেদ করে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তবে কিছু সড়ক নগরের মধ্যে হলেও অন্য সরকারি দপ্তরের। যে কারণে ওইগুলো উদ্ধারে যে জটিলতা রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া সড়কের ড্রেনের ঢাকনা চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে