ফারুক ফেরদৌস
কাউকে গালি দেওয়া বা অপবাদ দেওয়া, প্রমাণ ছাড়া কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করা এবং সম্মানহানি করা ইসলামে অনেক বড় গুনাহের কাজ। অফলাইনে তথা সাধারণ দুনিয়ায় যেমন তা অপরাধ, অনলাইনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই রকম অপরাধ। বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে নির্বিকারভাবে মানুষকে অপবাদ দেন বা গালাগালি করে বেড়ান এবং এটিকে খুবই হালকা বিষয় মনে করেন। এমনকি দ্বীনি চেতনা বা ধর্মপ্রীতির নামেও এগুলো করছেন অনেকে। ভিন্নধর্মী বা ভিন্নমতাবলম্বী মানুষকে গালিগালাজ করা বা অপবাদ দেওয়া পুণ্যের কাজ মনে করছেন। অথচ ইসলামে এগুলো জুলুম ও গুরুতর পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণ করার জন্য রয়েছে সদা প্রস্তুত প্রহরী।’ (সুরা কাফ: ১৮) অর্থাৎ, মানুষের প্রতিটি কথা লিপিবদ্ধ হচ্ছে। প্রতিটি কথার জন্যই তাকে হিসাব দিতে হবে।
অনলাইনে কারও লেখা, কাজ বা মতামত পছন্দ না হলেই আমাদের আঙুল যখন কিবোর্ডে দৌড়াতে থাকে, আমরা কি এই ব্যাপারটা মনে রাখি? আমরা কি ভাবি, আমার লেখা একটা শব্দ বা বাক্য আমাকে জাহান্নামে টেনে নিতে পারে? আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই এমন কথা বলে ফেলে, যে কথার কারণে সে জাহান্নামের এমন গভীরে নিক্ষিপ্ত হবে, যার দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যস্থিত ব্যবধানের চেয়েও বেশি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কত ভয়াবহ সাবধানবাণী এটি! এই বাণী মনে থাকলে একজন মুমিন কোনোভাবেই অযাচিত ও অনর্থক কথা বলতে পারে না; অন্যকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে পারে না। অপবাদ দেওয়া বা গালাগালি করার তো প্রশ্নই আসে না। আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ব্যক্তি মানুষের ভুলত্রুটি নিয়ে কটাক্ষকারী, অভিসম্পাতকারী, অশ্লীলভাষী ও অভদ্র হতে পারে না।’ (বুখারি)
কারও অন্যায় বা অপরাধের যৌক্তিক সমালোচনা নিশ্চয়ই হতে পারে। কারও মতামত বা মতাদর্শ আপনার কাছে ভুল বা ভ্রান্ত মনে হলে, তারও যৌক্তিক সমালোচনা হতে পারে। সুন্দরভাবে তাঁকে বুঝিয়ে বলা যেতে পারে—কেন তাঁর অবস্থান আপনার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে না; কেন তাঁর মতামত আপনার কাছে ভুল বা ভ্রান্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি অশ্লীল, অশালীন কথা বলতে পারেন না। প্রমাণ ছাড়া কাউকে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন না। অপবাদ দিতে পারেন না। গালি দিতে পারেন না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অমুসলিমদের উপাস্য বা সম্মানিত ব্যক্তিদেরও গালি দিতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালাগালি কোরো না, তাহলে তারা অজ্ঞতাবশত বৈরীভাবে আল্লাহকেই গালাগালি দিতে শুরু করবে।’ (সুরা আনআম: ১০৮)
একজন মুসলমানের কাছে অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে কথা বলার চেয়ে নিজের পরকালীন মুক্তির চিন্তাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। অন্যের অপরাধের কথা বলতে গিয়ে, অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা যেন নিজেরই সব হারিয়ে নিঃস্ব না হয়ে পড়ি। আমাদের নেক আমল যেন নষ্ট না হয়ে যায়।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কাউকে গালি দেওয়া বা অপবাদ দেওয়া, প্রমাণ ছাড়া কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করা এবং সম্মানহানি করা ইসলামে অনেক বড় গুনাহের কাজ। অফলাইনে তথা সাধারণ দুনিয়ায় যেমন তা অপরাধ, অনলাইনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই রকম অপরাধ। বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে নির্বিকারভাবে মানুষকে অপবাদ দেন বা গালাগালি করে বেড়ান এবং এটিকে খুবই হালকা বিষয় মনে করেন। এমনকি দ্বীনি চেতনা বা ধর্মপ্রীতির নামেও এগুলো করছেন অনেকে। ভিন্নধর্মী বা ভিন্নমতাবলম্বী মানুষকে গালিগালাজ করা বা অপবাদ দেওয়া পুণ্যের কাজ মনে করছেন। অথচ ইসলামে এগুলো জুলুম ও গুরুতর পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণ করার জন্য রয়েছে সদা প্রস্তুত প্রহরী।’ (সুরা কাফ: ১৮) অর্থাৎ, মানুষের প্রতিটি কথা লিপিবদ্ধ হচ্ছে। প্রতিটি কথার জন্যই তাকে হিসাব দিতে হবে।
অনলাইনে কারও লেখা, কাজ বা মতামত পছন্দ না হলেই আমাদের আঙুল যখন কিবোর্ডে দৌড়াতে থাকে, আমরা কি এই ব্যাপারটা মনে রাখি? আমরা কি ভাবি, আমার লেখা একটা শব্দ বা বাক্য আমাকে জাহান্নামে টেনে নিতে পারে? আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই এমন কথা বলে ফেলে, যে কথার কারণে সে জাহান্নামের এমন গভীরে নিক্ষিপ্ত হবে, যার দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যস্থিত ব্যবধানের চেয়েও বেশি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কত ভয়াবহ সাবধানবাণী এটি! এই বাণী মনে থাকলে একজন মুমিন কোনোভাবেই অযাচিত ও অনর্থক কথা বলতে পারে না; অন্যকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে পারে না। অপবাদ দেওয়া বা গালাগালি করার তো প্রশ্নই আসে না। আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন ব্যক্তি মানুষের ভুলত্রুটি নিয়ে কটাক্ষকারী, অভিসম্পাতকারী, অশ্লীলভাষী ও অভদ্র হতে পারে না।’ (বুখারি)
কারও অন্যায় বা অপরাধের যৌক্তিক সমালোচনা নিশ্চয়ই হতে পারে। কারও মতামত বা মতাদর্শ আপনার কাছে ভুল বা ভ্রান্ত মনে হলে, তারও যৌক্তিক সমালোচনা হতে পারে। সুন্দরভাবে তাঁকে বুঝিয়ে বলা যেতে পারে—কেন তাঁর অবস্থান আপনার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে না; কেন তাঁর মতামত আপনার কাছে ভুল বা ভ্রান্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি অশ্লীল, অশালীন কথা বলতে পারেন না। প্রমাণ ছাড়া কাউকে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন না। অপবাদ দিতে পারেন না। গালি দিতে পারেন না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অমুসলিমদের উপাস্য বা সম্মানিত ব্যক্তিদেরও গালি দিতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালাগালি কোরো না, তাহলে তারা অজ্ঞতাবশত বৈরীভাবে আল্লাহকেই গালাগালি দিতে শুরু করবে।’ (সুরা আনআম: ১০৮)
একজন মুসলমানের কাছে অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে কথা বলার চেয়ে নিজের পরকালীন মুক্তির চিন্তাই গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। অন্যের অপরাধের কথা বলতে গিয়ে, অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা যেন নিজেরই সব হারিয়ে নিঃস্ব না হয়ে পড়ি। আমাদের নেক আমল যেন নষ্ট না হয়ে যায়।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে আরও ১ হাজার ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৮৪৮ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩৩২ জন।
৪ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
১২ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
১৪ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
১৫ দিন আগে