নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদের ফেরত আনতে সহায়তা করায় দেশে উল্টো মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে কাজের বদলে নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহযোগিতা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে উল্টো মানব পাচারের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এনজিওকর্মীরা।
আজ সোমবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় একাধিক এনজিও কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেন।
‘মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা: গো এবং এনজিওর ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
কর্মশালায় কীভাবে পাচার রোধ করা যায়, মানুষ যাতে পাচারের শিকার না হয়, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত আনতে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা সিআইডিকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সিআইডির করণীয় কী—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালার শুরুতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা তাঁদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
২০ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া যাবে না।
পাচার হওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফেরত আনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে একটি উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, দিনাজপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ভুক্তভোগীদের ফেরাতে সহায়তা করতে গিয়ে ফেঁসে যান মামলার জালে।
তাঁদের অভিযোগ, ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। পাচারের শিকার অনেক ভুক্তভোগী মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করে দিতে পারছে না, দুর্বল অভিযোগপত্র দিচ্ছে। ফলে আদম ব্যবসায়ীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ফেরত আনতে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংশ্লিষ্টদের।
‘রাইটস যশোর’-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘প্রলোভনে পড়ে যারা পাচারের শিকার হয়, তারা মূল পাচারকারীকে চিনে না। ক্যারিয়ার ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে অনেক অনিয়ম করে। অনৈতিক লেনদেন করে। বায়রা এদের শেল্টার দেয়। আমরা (এনজিও) কিছু বলতে গেলে বায়রা মিলিয়ে দেয়।’
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীকে আনতে গিয়ে উল্টো মামলা খেতে হয়েছে জানিয়ে বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে দুবাইয়ে দুজন এবং কিরগিজস্তানে দুজন মোট চারজন ব্যক্তি পাচার হয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ও তাদের স্বজনেরা আমাকে অনুরোধ করছে তাদের দেশে ফেরত আনতে। তাদের ফেরত আনতে দূতাবাস, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও পুলিশের আইজি বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাইনি। দেড় লাখ টাকা হলে দুবাই থেকে দুজনকে ফেরত আনা সম্ভব, তাও অবৈধভাবে। তাহলে দূতাবাসকে জানিয়ে কী লাভ হলো? মোবারক নামের এক দালালের মারফত এরা সে দেশে গিয়েছে। মোবারকের পাসপোর্ট আছে, তার বাড়ি দিনাজপুর। অথচ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইশরাত শামীম একটি সংস্থার জন্য সীমান্তে মানবপাচার নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাঁর এনজিও পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনে। এ ক্ষেত্রে দিনাজপুরের একটি ওয়ার্ডের নারী মেম্বার তাঁদের সহায়তা করেন। কিন্তু কদিন পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ওই নারী মেম্বারকে পাচারের মামলার আসামি করে। এতে ভয় পেয়ে যান তিনি।
এই ঘটনা তুলে ধরে ইশরাত শামীম বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা এমন হলে কেউ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে না। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারলে অনেক ভুক্তভোগী রক্ষা পাবে। তবে ভুক্তভোগীকে উল্টো দোষ দিলে, মানসিক নির্যাতন করলে তা চরম অমানবিক হবে।’
শামীম আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সি আবার ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করে। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এমন অনেকে পাচারের শিকার হয়। কিন্তু আমাদের টপ লেভেলে যেতে হবে।’ আরেকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক শিশুকে পাঁচ বছর বয়সে ভারতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। ১৭ বছর বয়সে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়। আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি/মামলাও হয়। কিন্তু উদ্ধার হয় কম। যেসব এলাকায় মানব পাচার বেশি হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকা উচিত।’
এ সময় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক মো. বরকত আলী বলেন, ‘পাচারের শিকার হয়েও অনেক ভুক্তভোগী পাচারকারীর সঙ্গে আপস করে ফেলে। কিন্তু আইনে তাকে সহায়তা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাকে আইনি সহায়তা যদি নিশ্চিত করা যায় এবং তাকে যদি সচেতন করা যায় যে, আইন ও আমরা তোমার সঙ্গে রয়েছি। তোমার কোনো ভয় নেই। তাহলে কোনো ভুক্তভোগীই পাচারচক্রের সঙ্গে আর আপস করবে না।’
মুক্ত আলোচনায় আরও একাধিক এনজিও কর্মকর্তা তাঁদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, পুলিশি তদন্ত, অভিযোগপত্র দুর্বল। আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি হাজির করতে না পারায় পাচারকারী জামিন পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। বিচারিক পর্যায়েও ভুক্তভোগীকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রলোভনে যাতে না পড়ে, তাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। আবার সরকারিভাবে বিদেশ গিয়েও অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাকে যে কাজ দেবে বলে বিদেশ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিয়ে সেই কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তারা আবার দেশে ফেরত আসতে চাইলেও এজেন্সিগুলো ফেরত আনছে না।’
সভাপতির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাচারের ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য কিংবা ডকুমেন্টস ছাড়া কারও দায় প্রমাণ করা খুব কঠিন। বাদী ঠিক থাকে না, আপস করে ফেলে। তাহলে আমরা কাকে নিয়ে লড়াই করব! ভুক্তভোগীর টার্গেটই থাকে টাকা ফেরত পাওয়ার। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নামকাওয়াস্তে একটি জিডি করে। পরে টাকা পেয়ে গেলে আর মামলায় যায় না। কিন্তু আমরা যদি দেখি, এখানে একটি চক্র কাজ করেছে। তাহলে সেই চক্রকে ছাড় দেওয়া হয় না। মামলা করাই হয়। আবার ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনলেও এসব প্রমাণ করতে হয়।’

দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদের ফেরত আনতে সহায়তা করায় দেশে উল্টো মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে কাজের বদলে নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহযোগিতা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে উল্টো মানব পাচারের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এনজিওকর্মীরা।
আজ সোমবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় একাধিক এনজিও কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেন।
‘মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা: গো এবং এনজিওর ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
কর্মশালায় কীভাবে পাচার রোধ করা যায়, মানুষ যাতে পাচারের শিকার না হয়, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত আনতে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা সিআইডিকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সিআইডির করণীয় কী—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালার শুরুতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা তাঁদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
২০ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া যাবে না।
পাচার হওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফেরত আনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে একটি উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, দিনাজপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ভুক্তভোগীদের ফেরাতে সহায়তা করতে গিয়ে ফেঁসে যান মামলার জালে।
তাঁদের অভিযোগ, ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। পাচারের শিকার অনেক ভুক্তভোগী মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করে দিতে পারছে না, দুর্বল অভিযোগপত্র দিচ্ছে। ফলে আদম ব্যবসায়ীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ফেরত আনতে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংশ্লিষ্টদের।
‘রাইটস যশোর’-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘প্রলোভনে পড়ে যারা পাচারের শিকার হয়, তারা মূল পাচারকারীকে চিনে না। ক্যারিয়ার ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে অনেক অনিয়ম করে। অনৈতিক লেনদেন করে। বায়রা এদের শেল্টার দেয়। আমরা (এনজিও) কিছু বলতে গেলে বায়রা মিলিয়ে দেয়।’
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীকে আনতে গিয়ে উল্টো মামলা খেতে হয়েছে জানিয়ে বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে দুবাইয়ে দুজন এবং কিরগিজস্তানে দুজন মোট চারজন ব্যক্তি পাচার হয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ও তাদের স্বজনেরা আমাকে অনুরোধ করছে তাদের দেশে ফেরত আনতে। তাদের ফেরত আনতে দূতাবাস, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও পুলিশের আইজি বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাইনি। দেড় লাখ টাকা হলে দুবাই থেকে দুজনকে ফেরত আনা সম্ভব, তাও অবৈধভাবে। তাহলে দূতাবাসকে জানিয়ে কী লাভ হলো? মোবারক নামের এক দালালের মারফত এরা সে দেশে গিয়েছে। মোবারকের পাসপোর্ট আছে, তার বাড়ি দিনাজপুর। অথচ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইশরাত শামীম একটি সংস্থার জন্য সীমান্তে মানবপাচার নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাঁর এনজিও পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনে। এ ক্ষেত্রে দিনাজপুরের একটি ওয়ার্ডের নারী মেম্বার তাঁদের সহায়তা করেন। কিন্তু কদিন পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ওই নারী মেম্বারকে পাচারের মামলার আসামি করে। এতে ভয় পেয়ে যান তিনি।
এই ঘটনা তুলে ধরে ইশরাত শামীম বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা এমন হলে কেউ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে না। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারলে অনেক ভুক্তভোগী রক্ষা পাবে। তবে ভুক্তভোগীকে উল্টো দোষ দিলে, মানসিক নির্যাতন করলে তা চরম অমানবিক হবে।’
শামীম আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সি আবার ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করে। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এমন অনেকে পাচারের শিকার হয়। কিন্তু আমাদের টপ লেভেলে যেতে হবে।’ আরেকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক শিশুকে পাঁচ বছর বয়সে ভারতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। ১৭ বছর বয়সে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়। আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি/মামলাও হয়। কিন্তু উদ্ধার হয় কম। যেসব এলাকায় মানব পাচার বেশি হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকা উচিত।’
এ সময় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক মো. বরকত আলী বলেন, ‘পাচারের শিকার হয়েও অনেক ভুক্তভোগী পাচারকারীর সঙ্গে আপস করে ফেলে। কিন্তু আইনে তাকে সহায়তা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাকে আইনি সহায়তা যদি নিশ্চিত করা যায় এবং তাকে যদি সচেতন করা যায় যে, আইন ও আমরা তোমার সঙ্গে রয়েছি। তোমার কোনো ভয় নেই। তাহলে কোনো ভুক্তভোগীই পাচারচক্রের সঙ্গে আর আপস করবে না।’
মুক্ত আলোচনায় আরও একাধিক এনজিও কর্মকর্তা তাঁদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, পুলিশি তদন্ত, অভিযোগপত্র দুর্বল। আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি হাজির করতে না পারায় পাচারকারী জামিন পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। বিচারিক পর্যায়েও ভুক্তভোগীকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রলোভনে যাতে না পড়ে, তাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। আবার সরকারিভাবে বিদেশ গিয়েও অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাকে যে কাজ দেবে বলে বিদেশ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিয়ে সেই কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তারা আবার দেশে ফেরত আসতে চাইলেও এজেন্সিগুলো ফেরত আনছে না।’
সভাপতির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাচারের ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য কিংবা ডকুমেন্টস ছাড়া কারও দায় প্রমাণ করা খুব কঠিন। বাদী ঠিক থাকে না, আপস করে ফেলে। তাহলে আমরা কাকে নিয়ে লড়াই করব! ভুক্তভোগীর টার্গেটই থাকে টাকা ফেরত পাওয়ার। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নামকাওয়াস্তে একটি জিডি করে। পরে টাকা পেয়ে গেলে আর মামলায় যায় না। কিন্তু আমরা যদি দেখি, এখানে একটি চক্র কাজ করেছে। তাহলে সেই চক্রকে ছাড় দেওয়া হয় না। মামলা করাই হয়। আবার ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনলেও এসব প্রমাণ করতে হয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদের ফেরত আনতে সহায়তা করায় দেশে উল্টো মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে কাজের বদলে নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহযোগিতা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে উল্টো মানব পাচারের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এনজিওকর্মীরা।
আজ সোমবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় একাধিক এনজিও কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেন।
‘মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা: গো এবং এনজিওর ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
কর্মশালায় কীভাবে পাচার রোধ করা যায়, মানুষ যাতে পাচারের শিকার না হয়, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত আনতে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা সিআইডিকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সিআইডির করণীয় কী—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালার শুরুতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা তাঁদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
২০ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া যাবে না।
পাচার হওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফেরত আনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে একটি উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, দিনাজপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ভুক্তভোগীদের ফেরাতে সহায়তা করতে গিয়ে ফেঁসে যান মামলার জালে।
তাঁদের অভিযোগ, ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। পাচারের শিকার অনেক ভুক্তভোগী মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করে দিতে পারছে না, দুর্বল অভিযোগপত্র দিচ্ছে। ফলে আদম ব্যবসায়ীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ফেরত আনতে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংশ্লিষ্টদের।
‘রাইটস যশোর’-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘প্রলোভনে পড়ে যারা পাচারের শিকার হয়, তারা মূল পাচারকারীকে চিনে না। ক্যারিয়ার ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে অনেক অনিয়ম করে। অনৈতিক লেনদেন করে। বায়রা এদের শেল্টার দেয়। আমরা (এনজিও) কিছু বলতে গেলে বায়রা মিলিয়ে দেয়।’
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীকে আনতে গিয়ে উল্টো মামলা খেতে হয়েছে জানিয়ে বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে দুবাইয়ে দুজন এবং কিরগিজস্তানে দুজন মোট চারজন ব্যক্তি পাচার হয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ও তাদের স্বজনেরা আমাকে অনুরোধ করছে তাদের দেশে ফেরত আনতে। তাদের ফেরত আনতে দূতাবাস, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও পুলিশের আইজি বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাইনি। দেড় লাখ টাকা হলে দুবাই থেকে দুজনকে ফেরত আনা সম্ভব, তাও অবৈধভাবে। তাহলে দূতাবাসকে জানিয়ে কী লাভ হলো? মোবারক নামের এক দালালের মারফত এরা সে দেশে গিয়েছে। মোবারকের পাসপোর্ট আছে, তার বাড়ি দিনাজপুর। অথচ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইশরাত শামীম একটি সংস্থার জন্য সীমান্তে মানবপাচার নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাঁর এনজিও পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনে। এ ক্ষেত্রে দিনাজপুরের একটি ওয়ার্ডের নারী মেম্বার তাঁদের সহায়তা করেন। কিন্তু কদিন পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ওই নারী মেম্বারকে পাচারের মামলার আসামি করে। এতে ভয় পেয়ে যান তিনি।
এই ঘটনা তুলে ধরে ইশরাত শামীম বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা এমন হলে কেউ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে না। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারলে অনেক ভুক্তভোগী রক্ষা পাবে। তবে ভুক্তভোগীকে উল্টো দোষ দিলে, মানসিক নির্যাতন করলে তা চরম অমানবিক হবে।’
শামীম আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সি আবার ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করে। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এমন অনেকে পাচারের শিকার হয়। কিন্তু আমাদের টপ লেভেলে যেতে হবে।’ আরেকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক শিশুকে পাঁচ বছর বয়সে ভারতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। ১৭ বছর বয়সে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়। আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি/মামলাও হয়। কিন্তু উদ্ধার হয় কম। যেসব এলাকায় মানব পাচার বেশি হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকা উচিত।’
এ সময় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক মো. বরকত আলী বলেন, ‘পাচারের শিকার হয়েও অনেক ভুক্তভোগী পাচারকারীর সঙ্গে আপস করে ফেলে। কিন্তু আইনে তাকে সহায়তা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাকে আইনি সহায়তা যদি নিশ্চিত করা যায় এবং তাকে যদি সচেতন করা যায় যে, আইন ও আমরা তোমার সঙ্গে রয়েছি। তোমার কোনো ভয় নেই। তাহলে কোনো ভুক্তভোগীই পাচারচক্রের সঙ্গে আর আপস করবে না।’
মুক্ত আলোচনায় আরও একাধিক এনজিও কর্মকর্তা তাঁদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, পুলিশি তদন্ত, অভিযোগপত্র দুর্বল। আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি হাজির করতে না পারায় পাচারকারী জামিন পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। বিচারিক পর্যায়েও ভুক্তভোগীকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রলোভনে যাতে না পড়ে, তাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। আবার সরকারিভাবে বিদেশ গিয়েও অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাকে যে কাজ দেবে বলে বিদেশ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিয়ে সেই কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তারা আবার দেশে ফেরত আসতে চাইলেও এজেন্সিগুলো ফেরত আনছে না।’
সভাপতির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাচারের ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য কিংবা ডকুমেন্টস ছাড়া কারও দায় প্রমাণ করা খুব কঠিন। বাদী ঠিক থাকে না, আপস করে ফেলে। তাহলে আমরা কাকে নিয়ে লড়াই করব! ভুক্তভোগীর টার্গেটই থাকে টাকা ফেরত পাওয়ার। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নামকাওয়াস্তে একটি জিডি করে। পরে টাকা পেয়ে গেলে আর মামলায় যায় না। কিন্তু আমরা যদি দেখি, এখানে একটি চক্র কাজ করেছে। তাহলে সেই চক্রকে ছাড় দেওয়া হয় না। মামলা করাই হয়। আবার ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনলেও এসব প্রমাণ করতে হয়।’

দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদের ফেরত আনতে সহায়তা করায় দেশে উল্টো মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের শিকার হচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে কাজের বদলে নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহযোগিতা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে উল্টো মানব পাচারের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এনজিওকর্মীরা।
আজ সোমবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় একাধিক এনজিও কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেন।
‘মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা: গো এবং এনজিওর ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
কর্মশালায় কীভাবে পাচার রোধ করা যায়, মানুষ যাতে পাচারের শিকার না হয়, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত আনতে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা সিআইডিকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে সিআইডির করণীয় কী—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কর্মশালার শুরুতে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা তাঁদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
২০ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া যাবে না।
পাচার হওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফেরত আনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে একটি উদাহরণ দিয়ে তাঁরা বলেন, দিনাজপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য ভুক্তভোগীদের ফেরাতে সহায়তা করতে গিয়ে ফেঁসে যান মামলার জালে।
তাঁদের অভিযোগ, ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। পাচারের শিকার অনেক ভুক্তভোগী মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি জোগাড় করে দিতে পারছে না, দুর্বল অভিযোগপত্র দিচ্ছে। ফলে আদম ব্যবসায়ীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ফেরত আনতে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংশ্লিষ্টদের।
‘রাইটস যশোর’-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘প্রলোভনে পড়ে যারা পাচারের শিকার হয়, তারা মূল পাচারকারীকে চিনে না। ক্যারিয়ার ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে অনেক অনিয়ম করে। অনৈতিক লেনদেন করে। বায়রা এদের শেল্টার দেয়। আমরা (এনজিও) কিছু বলতে গেলে বায়রা মিলিয়ে দেয়।’
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীকে আনতে গিয়ে উল্টো মামলা খেতে হয়েছে জানিয়ে বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে দুবাইয়ে দুজন এবং কিরগিজস্তানে দুজন মোট চারজন ব্যক্তি পাচার হয়ে সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ও তাদের স্বজনেরা আমাকে অনুরোধ করছে তাদের দেশে ফেরত আনতে। তাদের ফেরত আনতে দূতাবাস, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও পুলিশের আইজি বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাইনি। দেড় লাখ টাকা হলে দুবাই থেকে দুজনকে ফেরত আনা সম্ভব, তাও অবৈধভাবে। তাহলে দূতাবাসকে জানিয়ে কী লাভ হলো? মোবারক নামের এক দালালের মারফত এরা সে দেশে গিয়েছে। মোবারকের পাসপোর্ট আছে, তার বাড়ি দিনাজপুর। অথচ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইশরাত শামীম একটি সংস্থার জন্য সীমান্তে মানবপাচার নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করতে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাঁর এনজিও পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনে। এ ক্ষেত্রে দিনাজপুরের একটি ওয়ার্ডের নারী মেম্বার তাঁদের সহায়তা করেন। কিন্তু কদিন পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ওই নারী মেম্বারকে পাচারের মামলার আসামি করে। এতে ভয় পেয়ে যান তিনি।
এই ঘটনা তুলে ধরে ইশরাত শামীম বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা এমন হলে কেউ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে না। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারলে অনেক ভুক্তভোগী রক্ষা পাবে। তবে ভুক্তভোগীকে উল্টো দোষ দিলে, মানসিক নির্যাতন করলে তা চরম অমানবিক হবে।’
শামীম আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সি আবার ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করে। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এমন অনেকে পাচারের শিকার হয়। কিন্তু আমাদের টপ লেভেলে যেতে হবে।’ আরেকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক শিশুকে পাঁচ বছর বয়সে ভারতে বিক্রি করে দেয় পাচারকারী চক্র। ১৭ বছর বয়সে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়। আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি/মামলাও হয়। কিন্তু উদ্ধার হয় কম। যেসব এলাকায় মানব পাচার বেশি হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকা উচিত।’
এ সময় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেসের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক মো. বরকত আলী বলেন, ‘পাচারের শিকার হয়েও অনেক ভুক্তভোগী পাচারকারীর সঙ্গে আপস করে ফেলে। কিন্তু আইনে তাকে সহায়তা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাকে আইনি সহায়তা যদি নিশ্চিত করা যায় এবং তাকে যদি সচেতন করা যায় যে, আইন ও আমরা তোমার সঙ্গে রয়েছি। তোমার কোনো ভয় নেই। তাহলে কোনো ভুক্তভোগীই পাচারচক্রের সঙ্গে আর আপস করবে না।’
মুক্ত আলোচনায় আরও একাধিক এনজিও কর্মকর্তা তাঁদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তাঁরা বলেন, পুলিশি তদন্ত, অভিযোগপত্র দুর্বল। আদালতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণাদি হাজির করতে না পারায় পাচারকারী জামিন পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। বিচারিক পর্যায়েও ভুক্তভোগীকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রলোভনে যাতে না পড়ে, তাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। আবার সরকারিভাবে বিদেশ গিয়েও অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাকে যে কাজ দেবে বলে বিদেশ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিয়ে সেই কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তারা আবার দেশে ফেরত আসতে চাইলেও এজেন্সিগুলো ফেরত আনছে না।’
সভাপতির বক্তব্যে সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাচারের ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য কিংবা ডকুমেন্টস ছাড়া কারও দায় প্রমাণ করা খুব কঠিন। বাদী ঠিক থাকে না, আপস করে ফেলে। তাহলে আমরা কাকে নিয়ে লড়াই করব! ভুক্তভোগীর টার্গেটই থাকে টাকা ফেরত পাওয়ার। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নামকাওয়াস্তে একটি জিডি করে। পরে টাকা পেয়ে গেলে আর মামলায় যায় না। কিন্তু আমরা যদি দেখি, এখানে একটি চক্র কাজ করেছে। তাহলে সেই চক্রকে ছাড় দেওয়া হয় না। মামলা করাই হয়। আবার ভুক্তভোগীকে দেশে ফেরত আনলেও এসব প্রমাণ করতে হয়।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল
২০ জুন ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল
২০ জুন ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল
২০ জুন ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা তাঁদের ফেরত আনতে এনজিও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন। কর্মকর্তারা বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসকে অবহিত করেন। কিন্তু সরকারি ওই সংস্থা ও সংস্থার কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীকে ফেরত আনা তো দূরের কথা, কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আবার কয়েকটি এনজিও উদ্যোগ নিয়ে পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের ফেরত আনায় উল
২০ জুন ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে