Ajker Patrika

কালভার্টের মুখ বন্ধের পর খাল ভরাট

ভালুকা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৪
কালভার্টের মুখ বন্ধের পর খাল ভরাট

ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের ভালুকা পৌরসভার কানার বাজার সংলগ্ন বাকসাতরা খালের কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ফেলে ভরাট করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কয়েকটি এলাকার মানুষ। এ অবস্থায় খালটি দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সরেজমিনে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের পৌরসভার কানার বাজার সংলগ্ন বাকসাতরা খালে রয়েছে কালভার্ট। ওই কালভার্টের উজানে চাপড়বাড়ী, মেদনা বিল এবং পৌরসভার ৩,৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু জমির পানি প্রবাহিত হয়ে খীরু নদীতে মিশে যায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দা সুরুজ মিয়া ওই খালের কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ফেলছেন। এতে ফলে বর্ষা মৌসুমে উজানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, খালের আশপাশের বিলে ও জমিতে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করেন তাঁরা। পানিপ্রবাহ ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ খালের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণ করে। তবে স্থানীয় সূরুজ মিয়া ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাধা-নিষেধ অমান্য করে সরকারি কালভার্টের মুখটি ইট সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে মাটি ফেলে খাল ভরাট করছেন।

ভালুকা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘বাকসাতরা খালের কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় উজানে অনেক নিচু জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে আবাদি জমিতে ফসল উৎপাদন করা যাবে না। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খালের বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। এতে তাঁরা ক্ষতির শিকার হবেন। খালটি পুনরুদ্ধারে এলাকাবাসী স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে সুরুজ মিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্যসচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ‘ভালুকায় জবর দখল ও বন্ধ হওয়া ৩০টি খালের মধ্যে ভালুকা–গফরগাঁও সড়কের বাকসাতরা খালও একটি। আশা করছি, খালটি দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।’

স্থানীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রেরণ করেছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি সাংসদ ও ইউএনওর নির্দেশে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। খালের কালভার্ট বন্ধ রয়েছে। আমি এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত