ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চক্রটি। চক্রের সবাই ক্ষমতাসীন দলে সম্পৃক্ত।
জৈন্তাপুরের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য জানান, যে জায়গা থেকে পাথর তোলা হয়, তার একটি বড় অংশের মালিক ব্লু প্লানেট গ্রুপ (বিপিজি)। ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের মদদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজার নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ ও কামরুজ্জামান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। তাঁরা কেউই অবশ্য নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি।
নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এম লিয়াকত আলী ও জাকারিয়া মাহমুদ দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজাসহ একটি চক্র এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২০ সাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় টুকিটাকি উত্তোলনের চেষ্টা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করি। এবার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তারা সেই চেষ্টা করলে আগের মতো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই সুযোগে ভালো করেই পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং ধরে নিয়েছিল, এভাবে করতেই থাকবে। পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানাও করেছি। শ্রীপুরের বিষয়টা চলতি মাসের শুরুর দিকে নজরে এসেছে। আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। এরপর থেকে এসব টোটালি বন্ধ।’
গত সোমবার জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে শ্রমিকদের পাথর তুলতে দেখা যায়। পাথর উত্তোলনরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁরা মাথায় পাথর বহন করলেও বিক্রি করেন নৌকার হিসাবে। প্রতি নৌকা বড় পাথর ৯০০ টাকা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘অবৈধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে করি। আর মহাজনরা প্রশাসন ম্যানেজ করেন।’
চারজন ট্রাকচালক জানান, রাজা, জব্বার, তানভীর, জিসান, কয়েছ, সাইফুল ইসলাম বাবু, সালেহ চক্রের লোকজন বড় ট্রাক থেকে ৫ হাজার ও ছোট ট্রাক থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেন। প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ-বিজিবি ও নেতাদের কথা বলে ওই টাকা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বলেছি। কোনো কাজ হয়নি।’ নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইন্তাজ আলী বলেন, ‘দিনে পাথর তোলে, রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে ফোন করলেও তারা আসে না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিসোর্ট বানানোর কথা বলে ২০০৯ সালে ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের নামে ৩০০ বিঘার বেশি জমি কেনা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিয়াকত আলী ওই জায়গা থেকে পাথর তুলতেন। কামাল আহমদ ও লিয়াকতের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর লিয়াকত সরে দাঁড়ালে শাহ আলমের মাধ্যমে ঢোকেন কামাল ও রাজা।
হেনরি লামিনের সুপারি জুমের ম্যানেজার বকুল বলেন, ‘যেখান থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আরিফ সাহেবের জায়গা।’ অ্যাডভোকেট এ এইচ ইরশাদুল হক বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ২০১৮ সালে ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করেই চলছে পাথর উত্তোলন।’
এম লিয়াকত আলী বলেন, ‘কামাল ও রাজা ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করছেন। শাহ আলমের মাধ্যমে জায়গার মালিক আরিফ সাহেব নাকি ২৫ ভাগ নেন। বাকিটা কামাল ও রাজার।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম বলেন, ‘এখানে পাথর উত্তোলনই হচ্ছে না। প্রয়োজনে ইউএনও, এসি ল্যান্ডকে জিজ্ঞেস করুন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিয়াকত আলীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আব্দুল জব্বার, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা নাছির উদ্দিন, পুলিশের লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম শহিদ, উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী জামান, হেনরি লামিনের ম্যানেজার বকুল, জিসান আহমেদ, তানভীর আহমদ প্রমুখ পাথর উত্তোলন চক্রে জড়িত। চক্রটি সোমবার রাতেও আদর্শগ্রাম ঘাট থেকে ২০০ ফুটের ১৯৬ গাড়ি পাথর বিভিন্ন মিলে পাঠায়।
অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্তার কথা অস্বীকার করলেও আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী থেকে তুইয়া (কুড়িয়ে) কিছু পাথর তোলে। তারা (শ্রমিক) গরিব মানুষ। একটু সহযোগিতা করি। সহযোগিতা করতে গিয়ে অযথা দুটি মামলার আসামি হইছি। আমার গাড়ি ও ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন ১৫ দিন বন্ধ।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘তিন মাস আগে মাঝেমধ্যে নিতাম। নিষেধ দেওয়ার পর থেকে বন্ধ। মঙ্গলবার রাতেও গোয়াবাড়ী থেকে বড় ট্রাকে ১০ ট্রিপ পাথর বের হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত হচ্ছে। একটা সিন্ডিকেট ব্যবসা করতেছে। পুলিশ ও ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।’
চক্রের মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। সম্প্রতি পাথরখেকো চক্রের ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এর আগে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা, মামলা করেছি। তদন্ত চলছে।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে পাথর উত্তোলন এখন বন্ধ। দুটি মামলা করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারও করেছি।’
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীপুরের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রশাসন, পুলিশ—সবাই সতর্ক আছি। সব জায়গায় আমাদের অভিযান চলে।’

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চক্রটি। চক্রের সবাই ক্ষমতাসীন দলে সম্পৃক্ত।
জৈন্তাপুরের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য জানান, যে জায়গা থেকে পাথর তোলা হয়, তার একটি বড় অংশের মালিক ব্লু প্লানেট গ্রুপ (বিপিজি)। ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের মদদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজার নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ ও কামরুজ্জামান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। তাঁরা কেউই অবশ্য নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি।
নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এম লিয়াকত আলী ও জাকারিয়া মাহমুদ দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজাসহ একটি চক্র এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২০ সাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় টুকিটাকি উত্তোলনের চেষ্টা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করি। এবার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তারা সেই চেষ্টা করলে আগের মতো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই সুযোগে ভালো করেই পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং ধরে নিয়েছিল, এভাবে করতেই থাকবে। পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানাও করেছি। শ্রীপুরের বিষয়টা চলতি মাসের শুরুর দিকে নজরে এসেছে। আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। এরপর থেকে এসব টোটালি বন্ধ।’
গত সোমবার জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে শ্রমিকদের পাথর তুলতে দেখা যায়। পাথর উত্তোলনরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁরা মাথায় পাথর বহন করলেও বিক্রি করেন নৌকার হিসাবে। প্রতি নৌকা বড় পাথর ৯০০ টাকা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘অবৈধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে করি। আর মহাজনরা প্রশাসন ম্যানেজ করেন।’
চারজন ট্রাকচালক জানান, রাজা, জব্বার, তানভীর, জিসান, কয়েছ, সাইফুল ইসলাম বাবু, সালেহ চক্রের লোকজন বড় ট্রাক থেকে ৫ হাজার ও ছোট ট্রাক থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেন। প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ-বিজিবি ও নেতাদের কথা বলে ওই টাকা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বলেছি। কোনো কাজ হয়নি।’ নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইন্তাজ আলী বলেন, ‘দিনে পাথর তোলে, রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে ফোন করলেও তারা আসে না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিসোর্ট বানানোর কথা বলে ২০০৯ সালে ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের নামে ৩০০ বিঘার বেশি জমি কেনা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিয়াকত আলী ওই জায়গা থেকে পাথর তুলতেন। কামাল আহমদ ও লিয়াকতের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর লিয়াকত সরে দাঁড়ালে শাহ আলমের মাধ্যমে ঢোকেন কামাল ও রাজা।
হেনরি লামিনের সুপারি জুমের ম্যানেজার বকুল বলেন, ‘যেখান থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আরিফ সাহেবের জায়গা।’ অ্যাডভোকেট এ এইচ ইরশাদুল হক বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ২০১৮ সালে ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করেই চলছে পাথর উত্তোলন।’
এম লিয়াকত আলী বলেন, ‘কামাল ও রাজা ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করছেন। শাহ আলমের মাধ্যমে জায়গার মালিক আরিফ সাহেব নাকি ২৫ ভাগ নেন। বাকিটা কামাল ও রাজার।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম বলেন, ‘এখানে পাথর উত্তোলনই হচ্ছে না। প্রয়োজনে ইউএনও, এসি ল্যান্ডকে জিজ্ঞেস করুন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিয়াকত আলীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আব্দুল জব্বার, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা নাছির উদ্দিন, পুলিশের লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম শহিদ, উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী জামান, হেনরি লামিনের ম্যানেজার বকুল, জিসান আহমেদ, তানভীর আহমদ প্রমুখ পাথর উত্তোলন চক্রে জড়িত। চক্রটি সোমবার রাতেও আদর্শগ্রাম ঘাট থেকে ২০০ ফুটের ১৯৬ গাড়ি পাথর বিভিন্ন মিলে পাঠায়।
অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্তার কথা অস্বীকার করলেও আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী থেকে তুইয়া (কুড়িয়ে) কিছু পাথর তোলে। তারা (শ্রমিক) গরিব মানুষ। একটু সহযোগিতা করি। সহযোগিতা করতে গিয়ে অযথা দুটি মামলার আসামি হইছি। আমার গাড়ি ও ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন ১৫ দিন বন্ধ।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘তিন মাস আগে মাঝেমধ্যে নিতাম। নিষেধ দেওয়ার পর থেকে বন্ধ। মঙ্গলবার রাতেও গোয়াবাড়ী থেকে বড় ট্রাকে ১০ ট্রিপ পাথর বের হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত হচ্ছে। একটা সিন্ডিকেট ব্যবসা করতেছে। পুলিশ ও ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।’
চক্রের মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। সম্প্রতি পাথরখেকো চক্রের ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এর আগে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা, মামলা করেছি। তদন্ত চলছে।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে পাথর উত্তোলন এখন বন্ধ। দুটি মামলা করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারও করেছি।’
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীপুরের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রশাসন, পুলিশ—সবাই সতর্ক আছি। সব জায়গায় আমাদের অভিযান চলে।’
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চক্রটি। চক্রের সবাই ক্ষমতাসীন দলে সম্পৃক্ত।
জৈন্তাপুরের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য জানান, যে জায়গা থেকে পাথর তোলা হয়, তার একটি বড় অংশের মালিক ব্লু প্লানেট গ্রুপ (বিপিজি)। ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের মদদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজার নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ ও কামরুজ্জামান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। তাঁরা কেউই অবশ্য নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি।
নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এম লিয়াকত আলী ও জাকারিয়া মাহমুদ দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজাসহ একটি চক্র এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২০ সাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় টুকিটাকি উত্তোলনের চেষ্টা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করি। এবার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তারা সেই চেষ্টা করলে আগের মতো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই সুযোগে ভালো করেই পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং ধরে নিয়েছিল, এভাবে করতেই থাকবে। পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানাও করেছি। শ্রীপুরের বিষয়টা চলতি মাসের শুরুর দিকে নজরে এসেছে। আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। এরপর থেকে এসব টোটালি বন্ধ।’
গত সোমবার জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে শ্রমিকদের পাথর তুলতে দেখা যায়। পাথর উত্তোলনরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁরা মাথায় পাথর বহন করলেও বিক্রি করেন নৌকার হিসাবে। প্রতি নৌকা বড় পাথর ৯০০ টাকা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘অবৈধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে করি। আর মহাজনরা প্রশাসন ম্যানেজ করেন।’
চারজন ট্রাকচালক জানান, রাজা, জব্বার, তানভীর, জিসান, কয়েছ, সাইফুল ইসলাম বাবু, সালেহ চক্রের লোকজন বড় ট্রাক থেকে ৫ হাজার ও ছোট ট্রাক থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেন। প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ-বিজিবি ও নেতাদের কথা বলে ওই টাকা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বলেছি। কোনো কাজ হয়নি।’ নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইন্তাজ আলী বলেন, ‘দিনে পাথর তোলে, রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে ফোন করলেও তারা আসে না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিসোর্ট বানানোর কথা বলে ২০০৯ সালে ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের নামে ৩০০ বিঘার বেশি জমি কেনা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিয়াকত আলী ওই জায়গা থেকে পাথর তুলতেন। কামাল আহমদ ও লিয়াকতের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর লিয়াকত সরে দাঁড়ালে শাহ আলমের মাধ্যমে ঢোকেন কামাল ও রাজা।
হেনরি লামিনের সুপারি জুমের ম্যানেজার বকুল বলেন, ‘যেখান থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আরিফ সাহেবের জায়গা।’ অ্যাডভোকেট এ এইচ ইরশাদুল হক বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ২০১৮ সালে ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করেই চলছে পাথর উত্তোলন।’
এম লিয়াকত আলী বলেন, ‘কামাল ও রাজা ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করছেন। শাহ আলমের মাধ্যমে জায়গার মালিক আরিফ সাহেব নাকি ২৫ ভাগ নেন। বাকিটা কামাল ও রাজার।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম বলেন, ‘এখানে পাথর উত্তোলনই হচ্ছে না। প্রয়োজনে ইউএনও, এসি ল্যান্ডকে জিজ্ঞেস করুন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিয়াকত আলীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আব্দুল জব্বার, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা নাছির উদ্দিন, পুলিশের লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম শহিদ, উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী জামান, হেনরি লামিনের ম্যানেজার বকুল, জিসান আহমেদ, তানভীর আহমদ প্রমুখ পাথর উত্তোলন চক্রে জড়িত। চক্রটি সোমবার রাতেও আদর্শগ্রাম ঘাট থেকে ২০০ ফুটের ১৯৬ গাড়ি পাথর বিভিন্ন মিলে পাঠায়।
অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্তার কথা অস্বীকার করলেও আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী থেকে তুইয়া (কুড়িয়ে) কিছু পাথর তোলে। তারা (শ্রমিক) গরিব মানুষ। একটু সহযোগিতা করি। সহযোগিতা করতে গিয়ে অযথা দুটি মামলার আসামি হইছি। আমার গাড়ি ও ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন ১৫ দিন বন্ধ।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘তিন মাস আগে মাঝেমধ্যে নিতাম। নিষেধ দেওয়ার পর থেকে বন্ধ। মঙ্গলবার রাতেও গোয়াবাড়ী থেকে বড় ট্রাকে ১০ ট্রিপ পাথর বের হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত হচ্ছে। একটা সিন্ডিকেট ব্যবসা করতেছে। পুলিশ ও ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।’
চক্রের মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। সম্প্রতি পাথরখেকো চক্রের ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এর আগে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা, মামলা করেছি। তদন্ত চলছে।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে পাথর উত্তোলন এখন বন্ধ। দুটি মামলা করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারও করেছি।’
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীপুরের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রশাসন, পুলিশ—সবাই সতর্ক আছি। সব জায়গায় আমাদের অভিযান চলে।’

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চক্রটি। চক্রের সবাই ক্ষমতাসীন দলে সম্পৃক্ত।
জৈন্তাপুরের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য জানান, যে জায়গা থেকে পাথর তোলা হয়, তার একটি বড় অংশের মালিক ব্লু প্লানেট গ্রুপ (বিপিজি)। ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের মদদে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজার নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়।
তাঁদের সঙ্গে আরও আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ ও কামরুজ্জামান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। তাঁরা কেউই অবশ্য নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি।
নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে এম লিয়াকত আলী ও জাকারিয়া মাহমুদ দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজাসহ একটি চক্র এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২০ সাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় টুকিটাকি উত্তোলনের চেষ্টা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করি। এবার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তারা সেই চেষ্টা করলে আগের মতো শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই সুযোগে ভালো করেই পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং ধরে নিয়েছিল, এভাবে করতেই থাকবে। পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানাও করেছি। শ্রীপুরের বিষয়টা চলতি মাসের শুরুর দিকে নজরে এসেছে। আমরা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। এরপর থেকে এসব টোটালি বন্ধ।’
গত সোমবার জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে শ্রমিকদের পাথর তুলতে দেখা যায়। পাথর উত্তোলনরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁরা মাথায় পাথর বহন করলেও বিক্রি করেন নৌকার হিসাবে। প্রতি নৌকা বড় পাথর ৯০০ টাকা পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘অবৈধ জানি, কিন্তু পেটের দায়ে করি। আর মহাজনরা প্রশাসন ম্যানেজ করেন।’
চারজন ট্রাকচালক জানান, রাজা, জব্বার, তানভীর, জিসান, কয়েছ, সাইফুল ইসলাম বাবু, সালেহ চক্রের লোকজন বড় ট্রাক থেকে ৫ হাজার ও ছোট ট্রাক থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেন। প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ-বিজিবি ও নেতাদের কথা বলে ওই টাকা নেওয়া হয়।
জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর উত্তোলন নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বলেছি। কোনো কাজ হয়নি।’ নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইন্তাজ আলী বলেন, ‘দিনে পাথর তোলে, রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। প্রশাসনকে ফোন করলেও তারা আসে না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিসোর্ট বানানোর কথা বলে ২০০৯ সালে ব্লু প্লানেট হসপিটালিটি লিমিটেডের নামে ৩০০ বিঘার বেশি জমি কেনা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিয়াকত আলী ওই জায়গা থেকে পাথর তুলতেন। কামাল আহমদ ও লিয়াকতের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর লিয়াকত সরে দাঁড়ালে শাহ আলমের মাধ্যমে ঢোকেন কামাল ও রাজা।
হেনরি লামিনের সুপারি জুমের ম্যানেজার বকুল বলেন, ‘যেখান থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, সেটি আরিফ সাহেবের জায়গা।’ অ্যাডভোকেট এ এইচ ইরশাদুল হক বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় ২০১৮ সালে ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করেই চলছে পাথর উত্তোলন।’
এম লিয়াকত আলী বলেন, ‘কামাল ও রাজা ওই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করছেন। শাহ আলমের মাধ্যমে জায়গার মালিক আরিফ সাহেব নাকি ২৫ ভাগ নেন। বাকিটা কামাল ও রাজার।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম বলেন, ‘এখানে পাথর উত্তোলনই হচ্ছে না। প্রয়োজনে ইউএনও, এসি ল্যান্ডকে জিজ্ঞেস করুন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিয়াকত আলীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আব্দুল জব্বার, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা নাছির উদ্দিন, পুলিশের লাইনম্যান শফিকুল ইসলাম শহিদ, উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী জামান, হেনরি লামিনের ম্যানেজার বকুল, জিসান আহমেদ, তানভীর আহমদ প্রমুখ পাথর উত্তোলন চক্রে জড়িত। চক্রটি সোমবার রাতেও আদর্শগ্রাম ঘাট থেকে ২০০ ফুটের ১৯৬ গাড়ি পাথর বিভিন্ন মিলে পাঠায়।
অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্তার কথা অস্বীকার করলেও আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী থেকে তুইয়া (কুড়িয়ে) কিছু পাথর তোলে। তারা (শ্রমিক) গরিব মানুষ। একটু সহযোগিতা করি। সহযোগিতা করতে গিয়ে অযথা দুটি মামলার আসামি হইছি। আমার গাড়ি ও ড্রাইভারকে ধরে নিয়ে গেছে। এখন ১৫ দিন বন্ধ।’
নাছির উদ্দিন বলেন, ‘তিন মাস আগে মাঝেমধ্যে নিতাম। নিষেধ দেওয়ার পর থেকে বন্ধ। মঙ্গলবার রাতেও গোয়াবাড়ী থেকে বড় ট্রাকে ১০ ট্রিপ পাথর বের হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত হচ্ছে। একটা সিন্ডিকেট ব্যবসা করতেছে। পুলিশ ও ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে কোনো লাভ হয়নি।’
চক্রের মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। সম্প্রতি পাথরখেকো চক্রের ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। এর আগে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা অভিযানের মাধ্যমে জরিমানা, মামলা করেছি। তদন্ত চলছে।’
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে পাথর উত্তোলন এখন বন্ধ। দুটি মামলা করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারও করেছি।’
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীপুরের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রশাসন, পুলিশ—সবাই সতর্ক আছি। সব জায়গায় আমাদের অভিযান চলে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে শূন্যরেখা এবং আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে হাত করেই চলছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাত করার নামে দিনে ১০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে