কামরুল হাসান

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা ফটোসাংবাদিক মঈনুল ইসলাম।
চৈত্রের দুপুরের গনগনে রোদ, সড়কের পিচ যেন গলছে; সেই সঙ্গে শরীরও। ঘামে জবজবে সারা গা। আমরা যাচ্ছি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দ্রুত বড়লোক হওয়া দুই যুবকের সন্ধানে।
এটা ২০১০ সালের জুলাই মাসের ঘটনা। তখন একের পর এক সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছিল। কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে জানা গেল, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সব হোতার বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। রংপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি তখন এই চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জড়িতদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি আমরা।
আমি এই এলাকার পথঘাট কিছুই চিনি না; কিন্তু মঈনুলের কাছে সব হাতের রেখার মতো। ঝোড়ো গতিতে বাইক চালিয়ে মাঠের পর মাঠ পার করছেন মঈনুল। বাইকে সওয়ারির আসনে যিনি বসে থাকেন, বাইক চলার সময় তাঁর আসলে কোনো কাজ থাকে না। আমিও তাই পেছনে বসে দুপাশের নির্জন প্রকৃতি দেখছি।
ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলছি, কিন্তু পথ আর ফুরায় না। একটু পরে আল মাহমুদের কবিতার হঠাৎ ‘ভয়ের মতো ভেসে উঠবে আমাদের আটচালা’র মতো দূরে একটি ভবনের দেখা মিলল, অনেকটা স্কুলঘরের মতো। মঈনুল বললেন, এটা কিশোরগঞ্জ স্কুল। আরেকটু এগোতেই একটি মোড়, দেখি একদল কিশোরী সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে, পেছনে ক্যারিয়ারে বই বাঁধা। একটি-দুটি নয়, শত শত কিশোরী। রাস্তায় তাদের চলা দেখে মনে হচ্ছে, ম্যারাথন রেসের জন্য সবাই লাইন ধরে পথে নেমেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের এই দৃশ্য আমার শহুরে অনভ্যস্ত চোখে বড় বিস্ময় জাগাল।
মঈনুলকে বললাম, একটু দাঁড়ান। ততক্ষণে আমরা স্কুলের সামনে এসেছি। রাস্তার পাশেই স্কুল ভবন, পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। সামনে ঘাসের চাদর বিছানো সবুজ মাঠ। নানা বনজ ও ফলদ গাছ। দারুণ ছায়াময় পরিবেশ।
সকাল ঠিক ১০টা হবে, আমার সামনে এসে সাইকেল থেকে নামছে লাল জামা পরা ১২-১৩ বছরের এক কিশোরী। ক্যারিয়ারে রাখা বই-খাতা। রোদপোড়া মুখ বেয়ে নামছে ঘামের স্রোত। হাসতে হাসতে অনায়াসে ভারী সাইকেলটি দুই হাতে চ্যাংদোলা করে তুলে লোহার গেট পেরিয়ে ঢুকে গেল স্কুলে। তার পেছনে আরেকজন। তারপর একে একে আরও অনেকে। ক্রমে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হলো সারি।
যে স্কুলের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে, সেটা নীলফামারী জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে। যাকে বলে প্রত্যন্ত জনপদ। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একটিমাত্র সরু পাকা রাস্তা। কিন্তু অজপাড়াগাঁয়ে স্কুলের নামফলক দেখে খুব অবাক হলাম, এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। নাম কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়।
আমার খুব ইচ্ছে কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলার। বলতে গিয়ে জানলাম, কারও বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার, কারও-বা ৮ থেকে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে। এমনকি ১৯ কিলোমিটার দূরে থেকেও আসে কেউ কেউ। এতটা পথ রোজ হেঁটে আসা অসম্ভব, তাই তারা সাইকেলে সওয়ার। তারপরও প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালানো সহজ নয়। মাটির এবড়োখেবড়ো পথে কষ্টের শেষ নেই। এসবের পরে আবার আছে সামাজিক কিছু বিড়ম্বনা, কিন্তু কোনো কিছুই দমাতে পারে না ওদের।
একটু কথা বলতেই ফুটে উঠল অনেক বিড়ম্বনার কাহিনি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিক বলল, ‘প্রথম প্রথম সাইকেলে এলে গ্রামের মুরব্বিরা বলতেন, মাইয়া মানুষ হইয়া ছেলেদের মতো সাইকেল চালাইতেছ!’
আমরা কথা বলছি দেখে এগিয়ে এলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম। পাশে ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক প্রকৌশলী। স্কুলের নির্মাণকাজ তদারকিতে এসেছিলেন। ছাত্রীদের সাইকেলে স্কুলে আসার কথা উঠতেই দুজনে বললেন, ‘নারীদের পিছিয়ে পড়া নিয়ে রাজধানীতে বসে যাঁরা সভা-সেমিনার করেন, তাঁদের কাছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই কিশোরীরা নিশ্চয় বিস্ময়ের!’
সেই লাল জামা পরা মেয়েটি—মাহফুজা আক্তার—পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। বাবা আশরাফুল ইসলাম ঢাকায় নিটিং কারখানায় চাকরি করেন। স্কুল থেকে আট কিলোমিটার দূরে পূর্ব কালিকাপুরে ওদের বাড়ি। সেখান থেকে প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। মাহফুজা বলল, তার বড় দুই বোন সাথি-শম্পা পড়ে দশম ও সপ্তম শ্রেণিতে। তিন বোনই স্কুলে আসে সাইকেল চালিয়ে।
সাইকেলে আট কিলোমিটার আসতে মাহফুজার সময় লাগে ৪০ মিনিট। আসার সময় রোদে কষ্ট হয়। ফেরার সময় বেলা পড়ে এলে আরামেই যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলেই মুশকিল। বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ। মাহফুজার কথায়, ‘ভিজতে ভিজতে এতটা পথ তো আর আসা যায় না।’
মাহফুজার সহপাঠী লতা রানির বাড়ি স্কুল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে, গারাগ্রামের ভাইজানপাড়ায়। বাবা কৃষিকাজ করেন। লতা জানাল, সাইকেলে দেড় ঘণ্টা লাগে স্কুলে আসতে। গ্রামের তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা, বাকিটুকু মাটির। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে বেহাল হয়ে পড়ে। সাইকেল চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন হেঁটে আসতে হয়, নয়তো স্কুলে আসা সেদিনের মতো বন্ধ।
সাত কিলোমিটার দূরের নিতাইপাড়া থেকে স্কুলে আসে হাবিবা। তার মতো জান্নাতি আক্তার, কুলসুম, আমেনা, রেশমি, জাকিয়া, সুলতানা—সবাই আসে দূরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে, সাইকেল চালিয়ে।
সাইকেল চালানোর কিছু বাড়তি সুবিধাও আছে। হাবিবা বলল, ‘সাইকেলে এলে বখাটেরা উপদ্রব করতে পারে না। তবে রাস্তা দিয়ে চলার সময় কেউ কেউ টিটকারি মারে, শিস দেয়।’ তবে এসবে ওরা পাত্তা দেয় না।
এক কিশোরীর কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা, মা, সাইকেল চালালে কী হয় বলো তো। সে ত্বরিত জবাব দিল, ‘যারা সাইকেল চালায়, তাদের কনফিডেন্স বাড়ে।’ আমি গ্রামের এই কিশোরীর কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম, সেদিন কিছু বলতে পারিনি।
এদের ফলাফল কেমন প্রশ্ন করতেই প্রধান শিক্ষক বললেন, পাঁচ কিলোমিটার দূরের বাজেডুমুরিয়া গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসা নুসরাত জাহান সেবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তার ছোট বোন শাহনাজ পারভিন এরপর বোনের সাইকেলে করে স্কুলে আসছে। সে-ও ভালো ছাত্রী।
১৯ কিলোমিটার দূরে মাগুরা থেকে সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া ছাত্রীটিকে দেখার ইচ্ছা ছিল; কিন্তু সেদিন কেন জানি সে বিদ্যালয়ে আসেনি। ক্লাসে খোঁজ নিয়ে প্রধান শিক্ষক বললেন, ‘আজ মেয়েটি আসেনি, ভাই।’ সেদিন আর কথা হলো না তার সঙ্গে। শিক্ষার বিশাল জগতে গ্রামের মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার এই অদম্য কাহিনির একটি পার্শ্বচরিত্র আমার কাছে অজানাই থেকে গেল। খুব ইচ্ছে হয় একদিন মেয়েটিকে দেখতে যাব; কিন্তু ১২ বছরে সে কি আর আছে? হয়তো এগিয়ে গেছে অনেক দূরে, যে লক্ষ্যের জন্য লড়াইয়ে নেমেছিল মেয়েটি। যার গায়ে সকালের প্রথম আলো পড়ে, যাকে দেখে প্রথম ডেকে ওঠে ভোরের পাখি, কলাবতীর পাতার শিশির যার গা ভিজিয়ে দেয়, তাকে থামাবে এমন সাধ্য কার?
আরও পড়ুন:

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা ফটোসাংবাদিক মঈনুল ইসলাম।
চৈত্রের দুপুরের গনগনে রোদ, সড়কের পিচ যেন গলছে; সেই সঙ্গে শরীরও। ঘামে জবজবে সারা গা। আমরা যাচ্ছি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দ্রুত বড়লোক হওয়া দুই যুবকের সন্ধানে।
এটা ২০১০ সালের জুলাই মাসের ঘটনা। তখন একের পর এক সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছিল। কোনোভাবেই তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে জানা গেল, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সব হোতার বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। রংপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি তখন এই চক্রের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জড়িতদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি আমরা।
আমি এই এলাকার পথঘাট কিছুই চিনি না; কিন্তু মঈনুলের কাছে সব হাতের রেখার মতো। ঝোড়ো গতিতে বাইক চালিয়ে মাঠের পর মাঠ পার করছেন মঈনুল। বাইকে সওয়ারির আসনে যিনি বসে থাকেন, বাইক চলার সময় তাঁর আসলে কোনো কাজ থাকে না। আমিও তাই পেছনে বসে দুপাশের নির্জন প্রকৃতি দেখছি।
ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলছি, কিন্তু পথ আর ফুরায় না। একটু পরে আল মাহমুদের কবিতার হঠাৎ ‘ভয়ের মতো ভেসে উঠবে আমাদের আটচালা’র মতো দূরে একটি ভবনের দেখা মিলল, অনেকটা স্কুলঘরের মতো। মঈনুল বললেন, এটা কিশোরগঞ্জ স্কুল। আরেকটু এগোতেই একটি মোড়, দেখি একদল কিশোরী সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে, পেছনে ক্যারিয়ারে বই বাঁধা। একটি-দুটি নয়, শত শত কিশোরী। রাস্তায় তাদের চলা দেখে মনে হচ্ছে, ম্যারাথন রেসের জন্য সবাই লাইন ধরে পথে নেমেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের এই দৃশ্য আমার শহুরে অনভ্যস্ত চোখে বড় বিস্ময় জাগাল।
মঈনুলকে বললাম, একটু দাঁড়ান। ততক্ষণে আমরা স্কুলের সামনে এসেছি। রাস্তার পাশেই স্কুল ভবন, পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। সামনে ঘাসের চাদর বিছানো সবুজ মাঠ। নানা বনজ ও ফলদ গাছ। দারুণ ছায়াময় পরিবেশ।
সকাল ঠিক ১০টা হবে, আমার সামনে এসে সাইকেল থেকে নামছে লাল জামা পরা ১২-১৩ বছরের এক কিশোরী। ক্যারিয়ারে রাখা বই-খাতা। রোদপোড়া মুখ বেয়ে নামছে ঘামের স্রোত। হাসতে হাসতে অনায়াসে ভারী সাইকেলটি দুই হাতে চ্যাংদোলা করে তুলে লোহার গেট পেরিয়ে ঢুকে গেল স্কুলে। তার পেছনে আরেকজন। তারপর একে একে আরও অনেকে। ক্রমে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হলো সারি।
যে স্কুলের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে, সেটা নীলফামারী জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে। যাকে বলে প্রত্যন্ত জনপদ। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একটিমাত্র সরু পাকা রাস্তা। কিন্তু অজপাড়াগাঁয়ে স্কুলের নামফলক দেখে খুব অবাক হলাম, এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। নাম কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়।
আমার খুব ইচ্ছে কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলার। বলতে গিয়ে জানলাম, কারও বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার, কারও-বা ৮ থেকে ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে। এমনকি ১৯ কিলোমিটার দূরে থেকেও আসে কেউ কেউ। এতটা পথ রোজ হেঁটে আসা অসম্ভব, তাই তারা সাইকেলে সওয়ার। তারপরও প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালানো সহজ নয়। মাটির এবড়োখেবড়ো পথে কষ্টের শেষ নেই। এসবের পরে আবার আছে সামাজিক কিছু বিড়ম্বনা, কিন্তু কোনো কিছুই দমাতে পারে না ওদের।
একটু কথা বলতেই ফুটে উঠল অনেক বিড়ম্বনার কাহিনি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিক বলল, ‘প্রথম প্রথম সাইকেলে এলে গ্রামের মুরব্বিরা বলতেন, মাইয়া মানুষ হইয়া ছেলেদের মতো সাইকেল চালাইতেছ!’
আমরা কথা বলছি দেখে এগিয়ে এলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম। পাশে ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক প্রকৌশলী। স্কুলের নির্মাণকাজ তদারকিতে এসেছিলেন। ছাত্রীদের সাইকেলে স্কুলে আসার কথা উঠতেই দুজনে বললেন, ‘নারীদের পিছিয়ে পড়া নিয়ে রাজধানীতে বসে যাঁরা সভা-সেমিনার করেন, তাঁদের কাছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই কিশোরীরা নিশ্চয় বিস্ময়ের!’
সেই লাল জামা পরা মেয়েটি—মাহফুজা আক্তার—পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। বাবা আশরাফুল ইসলাম ঢাকায় নিটিং কারখানায় চাকরি করেন। স্কুল থেকে আট কিলোমিটার দূরে পূর্ব কালিকাপুরে ওদের বাড়ি। সেখান থেকে প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। মাহফুজা বলল, তার বড় দুই বোন সাথি-শম্পা পড়ে দশম ও সপ্তম শ্রেণিতে। তিন বোনই স্কুলে আসে সাইকেল চালিয়ে।
সাইকেলে আট কিলোমিটার আসতে মাহফুজার সময় লাগে ৪০ মিনিট। আসার সময় রোদে কষ্ট হয়। ফেরার সময় বেলা পড়ে এলে আরামেই যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলেই মুশকিল। বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ। মাহফুজার কথায়, ‘ভিজতে ভিজতে এতটা পথ তো আর আসা যায় না।’
মাহফুজার সহপাঠী লতা রানির বাড়ি স্কুল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে, গারাগ্রামের ভাইজানপাড়ায়। বাবা কৃষিকাজ করেন। লতা জানাল, সাইকেলে দেড় ঘণ্টা লাগে স্কুলে আসতে। গ্রামের তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা, বাকিটুকু মাটির। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে বেহাল হয়ে পড়ে। সাইকেল চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন হেঁটে আসতে হয়, নয়তো স্কুলে আসা সেদিনের মতো বন্ধ।
সাত কিলোমিটার দূরের নিতাইপাড়া থেকে স্কুলে আসে হাবিবা। তার মতো জান্নাতি আক্তার, কুলসুম, আমেনা, রেশমি, জাকিয়া, সুলতানা—সবাই আসে দূরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে, সাইকেল চালিয়ে।
সাইকেল চালানোর কিছু বাড়তি সুবিধাও আছে। হাবিবা বলল, ‘সাইকেলে এলে বখাটেরা উপদ্রব করতে পারে না। তবে রাস্তা দিয়ে চলার সময় কেউ কেউ টিটকারি মারে, শিস দেয়।’ তবে এসবে ওরা পাত্তা দেয় না।
এক কিশোরীর কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা, মা, সাইকেল চালালে কী হয় বলো তো। সে ত্বরিত জবাব দিল, ‘যারা সাইকেল চালায়, তাদের কনফিডেন্স বাড়ে।’ আমি গ্রামের এই কিশোরীর কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম, সেদিন কিছু বলতে পারিনি।
এদের ফলাফল কেমন প্রশ্ন করতেই প্রধান শিক্ষক বললেন, পাঁচ কিলোমিটার দূরের বাজেডুমুরিয়া গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসা নুসরাত জাহান সেবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তার ছোট বোন শাহনাজ পারভিন এরপর বোনের সাইকেলে করে স্কুলে আসছে। সে-ও ভালো ছাত্রী।
১৯ কিলোমিটার দূরে মাগুরা থেকে সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া ছাত্রীটিকে দেখার ইচ্ছা ছিল; কিন্তু সেদিন কেন জানি সে বিদ্যালয়ে আসেনি। ক্লাসে খোঁজ নিয়ে প্রধান শিক্ষক বললেন, ‘আজ মেয়েটি আসেনি, ভাই।’ সেদিন আর কথা হলো না তার সঙ্গে। শিক্ষার বিশাল জগতে গ্রামের মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার এই অদম্য কাহিনির একটি পার্শ্বচরিত্র আমার কাছে অজানাই থেকে গেল। খুব ইচ্ছে হয় একদিন মেয়েটিকে দেখতে যাব; কিন্তু ১২ বছরে সে কি আর আছে? হয়তো এগিয়ে গেছে অনেক দূরে, যে লক্ষ্যের জন্য লড়াইয়ে নেমেছিল মেয়েটি। যার গায়ে সকালের প্রথম আলো পড়ে, যাকে দেখে প্রথম ডেকে ওঠে ভোরের পাখি, কলাবতীর পাতার শিশির যার গা ভিজিয়ে দেয়, তাকে থামাবে এমন সাধ্য কার?
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা
২০ আগস্ট ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা
২০ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা
২০ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রংপুর শহর থেকে মিনিট দশেক চলার পর পাকা রাস্তাটা সরু হয়ে গেল। দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানখেত, তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝ দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ। সেই পথ ধরে বাইকে করে আমরা চলেছি নীলফামারীর দিকে। আমরা মানে, আমি আর রংপুরের নামকরা
২০ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে