অনলাইন ডেস্ক
এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ‘রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ’ আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হচ্ছে ৬৯টি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতেই ট্রাম্প আরেকটি নির্বাহী আদেশে কানাডার কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলসহ অবৈধ মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে যথাযথ সহযোগিতা না করায় কানাডার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ফারদার মডিফায়িং দ্য রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ রেটস’ শিরোনামে জারি করা আদেশে ৬৯টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের তালিকা এবং সংশ্লিষ্ট শুল্কহার প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারদের জন্য প্রাথমিক শুল্কহার রাখা হয়েছে ১০ শতাংশ। তবে ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ শতাংশ এবং তাইওয়ানের জন্য ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এ দুটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘদিনের ভারসাম্যহীনতার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ১৪২৫৭ নম্বর নির্বাহী আদেশে ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কিছু নির্দিষ্ট দেশের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা প্রয়োজন ও উপযুক্ত।’
হোয়াইট হাউস এক ‘ফ্যাক্ট শিট’-এ জানায়, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদকের বিষয়ে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় কানাডার পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই হার আজ থেকে (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে।
তবে, এই সিদ্ধান্ত ‘ইউনাইটেড স্টেটস-মেক্সিকো-কানাডা অ্যাগ্রিমেন্ট’ (ইউএসএমসিএ) অনুযায়ী শুল্কমুক্ত সুবিধাভোগী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট- আইইইপিএ’-এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের হুমকিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের দাবি, কানাডা থেকে আসা অবৈধ মাদক এই সংকটের অন্যতম উৎস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন আগামী সপ্তাহগুলোতে ‘রুলস অব অরিজিন’ অর্থাৎ, পণ্যের উৎপত্তি সম্পর্কিত নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এর আওতায় ট্রান্সশিপড পণ্যের ওপর শুল্কহার নির্ধারণে নতুন মানদণ্ড প্রণয়ন করা হবে। ট্রান্সশিপড পণ্য হলো সেই সব পণ্য যেগুলো মাঝপথে অন্য কোনো জাহাজে স্থানান্তরিত হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়।
এই কৌশলগত বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত না হলেও কর্মকর্তারা জানান, নতুন নিয়মের ফলে অনেক দেশের পণ্য আমদানিতে কর বাড়বে, বিশেষ করে যেগুলো মধ্যবর্তী দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকে।
নতুন এই শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের মেয়াদে চীনসহ অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়া এবং বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত সেই বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ।
কানাডা, যুক্তরাজ্য কিংবা অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে ‘রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ’ আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হচ্ছে ৬৯টি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতেই ট্রাম্প আরেকটি নির্বাহী আদেশে কানাডার কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলসহ অবৈধ মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে যথাযথ সহযোগিতা না করায় কানাডার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ফারদার মডিফায়িং দ্য রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ রেটস’ শিরোনামে জারি করা আদেশে ৬৯টি বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের তালিকা এবং সংশ্লিষ্ট শুল্কহার প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারদের জন্য প্রাথমিক শুল্কহার রাখা হয়েছে ১০ শতাংশ। তবে ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ শতাংশ এবং তাইওয়ানের জন্য ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এ দুটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘদিনের ভারসাম্যহীনতার কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ১৪২৫৭ নম্বর নির্বাহী আদেশে ঘোষিত জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কিছু নির্দিষ্ট দেশের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা প্রয়োজন ও উপযুক্ত।’
হোয়াইট হাউস এক ‘ফ্যাক্ট শিট’-এ জানায়, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদকের বিষয়ে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় কানাডার পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই হার আজ থেকে (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে।
তবে, এই সিদ্ধান্ত ‘ইউনাইটেড স্টেটস-মেক্সিকো-কানাডা অ্যাগ্রিমেন্ট’ (ইউএসএমসিএ) অনুযায়ী শুল্কমুক্ত সুবিধাভোগী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট- আইইইপিএ’-এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের হুমকিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের দাবি, কানাডা থেকে আসা অবৈধ মাদক এই সংকটের অন্যতম উৎস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন আগামী সপ্তাহগুলোতে ‘রুলস অব অরিজিন’ অর্থাৎ, পণ্যের উৎপত্তি সম্পর্কিত নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এর আওতায় ট্রান্সশিপড পণ্যের ওপর শুল্কহার নির্ধারণে নতুন মানদণ্ড প্রণয়ন করা হবে। ট্রান্সশিপড পণ্য হলো সেই সব পণ্য যেগুলো মাঝপথে অন্য কোনো জাহাজে স্থানান্তরিত হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়।
এই কৌশলগত বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত না হলেও কর্মকর্তারা জানান, নতুন নিয়মের ফলে অনেক দেশের পণ্য আমদানিতে কর বাড়বে, বিশেষ করে যেগুলো মধ্যবর্তী দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকে।
নতুন এই শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের মেয়াদে চীনসহ অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়া এবং বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকেরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত সেই বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ।
কানাডা, যুক্তরাজ্য কিংবা অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
১১ ঘণ্টা আগে