আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলো (এসএমই) এই শুল্কের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার নতুন বাজারগুলোতে ক্রেতা খুঁজছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রায় ৬ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৫০ হাজারেরও বেশি রপ্তানিকারক এই উচ্চ শুল্কের মুখে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানত টেক্সটাইল, গয়না এবং রাসায়নিক পণ্যের মতো খাতে জড়িত। কিন্তু, এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার এখনো কোনো আর্থিক বা ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেয়নি। পরিবর্তে, সরকার রপ্তানিকারকদের বিকল্প বাজার খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইন্ডিয়া এসএমই ফোরামের একটি জরিপ অনুসারে, ৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী উপসাগরীয় অঞ্চল, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে তাঁদের পণ্য নতুন করে ‘রুট’ করার কথা ভাবছে। এর উদ্দেশ্য হলো—এমন বাজার খুঁজে বের করা, যেখানে পণ্য সামান্য পরিবর্তন বা পুনরায় তৈরি করে নতুন ‘উৎপত্তি দেশের’ (country of origin) ট্যাগ লাগানো যাবে, যাতে সেগুলো মার্কিন বাজারে পুনঃ রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ২৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মার্কিন বাজারের বাইরে থাকা পুরোনো ক্রেতাদের সঙ্গে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ১৬ শতাংশ ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য তাদের অর্ডারের কিছু অংশ অন্য দেশের উদ্যোগগুলোকে আউটসোর্স করার কথা ভাবছে।
ইন্ডিয়া এসএমই ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিনোদ কুমার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক সময় আমরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করার চেষ্টা করি। কারণ, সেখানে আমরা ভালো দাম পাই। কিন্তু আরও অনেক বাজার আছে এবং এখন সেই বাজারগুলোই আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আসছে।’
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের চালান ‘ফ্রন্ট লোডিং’ করে অর্থাৎ আগেভাগে পাঠিয়ে দেয়। আহমেদাবাদভিত্তিক ফার্ম ফেরোমোন কেমিক্যালসের পরিচালক সংকেত গান্ধী জানান, তাঁরা আগস্ট মাসে তাঁদের স্বাভাবিক মাসিক পরিমাণের প্রায় দ্বিগুণ চালান পাঠিয়েছেন এবং কিছু ইউরোপীয় ক্লায়েন্টের অর্ডারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরেক রপ্তানিকারক এন. থিরুকুমারান বলেন, ‘২৫ শতাংশ শুল্কের ক্ষেত্রে আমরা এবং আমাদের গ্রাহকেরা ধাক্কা সামলে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু ৫০ শতাংশ শুল্কে তা সম্ভব নয়।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে গেলে তা ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক এই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে মার্কিন শুল্কের কারণে এটা সম্ভব কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, রপ্তানি রাজস্বের তীব্র পতন হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে ঋণ দেওয়া ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুল্ক-সম্পর্কিত অনিশ্চয়তার কারণে গত কয়েক সপ্তাহে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোতে ঋণ দেওয়া কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘সময়টি সতর্কতার... আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের নতুন ঋণ দেওয়া স্থগিত রেখেছি।’
তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এর ক্ষতি কেবল ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় খোদ মার্কিন অর্থনীতিও উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ও ধীর প্রবৃদ্ধির মুখে পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদ এস পি শর্মা মার্কিন অর্থনীতির ঝুঁকির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এটি কোনোভাবেই মার্কিন অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে। কারণ, এটি তাদের উচ্চ মূল্যস্ফীতির গতিপথকে আরও বাড়িয়ে দেবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলো (এসএমই) এই শুল্কের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার নতুন বাজারগুলোতে ক্রেতা খুঁজছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রায় ৬ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৫০ হাজারেরও বেশি রপ্তানিকারক এই উচ্চ শুল্কের মুখে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানত টেক্সটাইল, গয়না এবং রাসায়নিক পণ্যের মতো খাতে জড়িত। কিন্তু, এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার এখনো কোনো আর্থিক বা ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেয়নি। পরিবর্তে, সরকার রপ্তানিকারকদের বিকল্প বাজার খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইন্ডিয়া এসএমই ফোরামের একটি জরিপ অনুসারে, ৫৭ শতাংশ ব্যবসায়ী উপসাগরীয় অঞ্চল, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে তাঁদের পণ্য নতুন করে ‘রুট’ করার কথা ভাবছে। এর উদ্দেশ্য হলো—এমন বাজার খুঁজে বের করা, যেখানে পণ্য সামান্য পরিবর্তন বা পুনরায় তৈরি করে নতুন ‘উৎপত্তি দেশের’ (country of origin) ট্যাগ লাগানো যাবে, যাতে সেগুলো মার্কিন বাজারে পুনঃ রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ২৭ শতাংশ ব্যবসায়ী মার্কিন বাজারের বাইরে থাকা পুরোনো ক্রেতাদের সঙ্গে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ১৬ শতাংশ ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য তাদের অর্ডারের কিছু অংশ অন্য দেশের উদ্যোগগুলোকে আউটসোর্স করার কথা ভাবছে।
ইন্ডিয়া এসএমই ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিনোদ কুমার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক সময় আমরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করার চেষ্টা করি। কারণ, সেখানে আমরা ভালো দাম পাই। কিন্তু আরও অনেক বাজার আছে এবং এখন সেই বাজারগুলোই আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আসছে।’
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের চালান ‘ফ্রন্ট লোডিং’ করে অর্থাৎ আগেভাগে পাঠিয়ে দেয়। আহমেদাবাদভিত্তিক ফার্ম ফেরোমোন কেমিক্যালসের পরিচালক সংকেত গান্ধী জানান, তাঁরা আগস্ট মাসে তাঁদের স্বাভাবিক মাসিক পরিমাণের প্রায় দ্বিগুণ চালান পাঠিয়েছেন এবং কিছু ইউরোপীয় ক্লায়েন্টের অর্ডারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরেক রপ্তানিকারক এন. থিরুকুমারান বলেন, ‘২৫ শতাংশ শুল্কের ক্ষেত্রে আমরা এবং আমাদের গ্রাহকেরা ধাক্কা সামলে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু ৫০ শতাংশ শুল্কে তা সম্ভব নয়।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে গেলে তা ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক এই অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে মার্কিন শুল্কের কারণে এটা সম্ভব কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, রপ্তানি রাজস্বের তীব্র পতন হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে ঋণ দেওয়া ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুল্ক-সম্পর্কিত অনিশ্চয়তার কারণে গত কয়েক সপ্তাহে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোতে ঋণ দেওয়া কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘সময়টি সতর্কতার... আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের নতুন ঋণ দেওয়া স্থগিত রেখেছি।’
তবে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, এর ক্ষতি কেবল ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় খোদ মার্কিন অর্থনীতিও উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ও ধীর প্রবৃদ্ধির মুখে পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদ এস পি শর্মা মার্কিন অর্থনীতির ঝুঁকির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এটি কোনোভাবেই মার্কিন অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে। কারণ, এটি তাদের উচ্চ মূল্যস্ফীতির গতিপথকে আরও বাড়িয়ে দেবে।’
দেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার উপকূল এখন সফটশেল কাঁকড়ার চাষে সরব। বছরজুড়ে বাড়ছে কাঁকড়া চাষ এবং রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। অল্প জমিতে স্বল্প বিনিয়োগে লাভবান হওয়া যায় বলে প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে এ খাতের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মূলত বাগদা চিংড়ি চাষে ঘন ঘন ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই এখন কাঁকড়ার ঘেরে ঝুঁকছেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের কৃষি ও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) স্বল্প মেয়াদী ঋণ বিতরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ব্যাংক যদি এসব প্রতিষ্ঠানকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ দেয় তবে তাদের খেলাপিবিহীন ঋণের বিপরীতে মাত্র ১ শতাংশ প্রভিশন রাখতে
৯ ঘণ্টা আগেশুরু হয়েছে দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস কার্টআপ লিমিটেডের সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘অক্টোবর অফারস’। গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই অফারে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় ছাড়, ভাউচার ও ক্যাশব্যাকের সুযোগ।
৯ ঘণ্টা আগে