অনলাইন ডেস্ক
১৭টি বিরল খনিজের বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পশ্চিমা বিশ্বের খনিজ খননকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে একটি আলাদা মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছে। এই ১৭ বিরল খনিজ ড্রোন, যুদ্ধবিমান, বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর ও উইন্ড টারবাইনে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বিরল খনিজ সরবরাহের ৯০ শতাংশই চীনের হাতে থাকায় পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বেশ উদ্বেগই দেখা যাচ্ছে। বিরল খনিজের বাজারে চীনের আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রকেও ভীত করেছে। অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড তা-ই বলছে। চীনের এই আধিপত্য ভাঙতে এবং নিজস্ব শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে একটি নতুন মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।
গত সপ্তাহের একটি চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ দেশটির একমাত্র দেশীয় বিরল খনিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমপি ম্যাটেরিয়ালসকে বাজারমূল্যের প্রায় দ্বিগুণ হারে ন্যূনতম মূল্য দেওয়ার নিশ্চয়তা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (ডিওডি) এমপি ম্যাটেরিয়ালসকে দুটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বিরল খনিজ, নিওডিমিয়াম ও প্রাসিওডিমিয়ামের (এনডিপিআর) জন্য প্রতি কেজিতে ১১০ ডলার এবং চীনের নির্ধারিত বর্তমান বাজারমূল্যের মধ্যকার পার্থক্য অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করবে। তবে বাজারদর ১১০ ডলারের বেশি হলে, সেই অতিরিক্ত লাভের ৩০ শতাংশ ডিওডি পাবে।
খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণে জড়িত লাস ভেগাসভিত্তিক এমপি ম্যাটেরিয়ালস জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা টেক্সাসে বাণিজ্যিকভাবে চুম্বক উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করছে।
চীনের কম দাম নির্ধারণের কারণে গত বছর বড় ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে এমপি ম্যাটেরিয়ালস। তাদের ৬৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের নিট লোকসান হয়। প্রতিষ্ঠানটি এখন টেক্সাসে চুম্বক উৎপাদন কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তারা বছরে ১ হাজার টন উৎপাদন শুরু করবে, যা পরে ৩ হাজার টনে উন্নীত করা হবে।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এমপি ম্যাটেরিয়ালসের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ১৫ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবে। এ ছাড়া এমপি দেশে আরও একটি বিরল খনিজ চুম্বক উৎপাদনকারী কারখানা নির্মাণ করবে, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ৭ হাজার টন উৎপাদন যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে এমপি ম্যাটেরিয়ালস বছরে ১০ হাজার টন চুম্বক উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে, যা ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত মোট চুম্বকের সমান।
এই চুক্তি নতুন কৌশলগত পথ উন্মুক্ত করেছে বলে মনে করেন এক্লারা রিসোর্সেসের স্ট্র্যাটেজি ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপক আলভারো ক্যাস্টেলন। এই প্রতিষ্ঠান চিলি ও ব্রাজিলে বিরল খনিজ খনির প্রকল্প চালু রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছে।
তবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টন চুম্বক আমদানি করে। অ্যাডামাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী এক দশকে বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজ চুম্বকের চাহিদা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৬ লাখ ৭ হাজার টনে পৌঁছাতে পারে। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক চাহিদা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে; যা দাঁড়াবে প্রতিবছর গড়ে ১৭ শতাংশ।
বিরল খনিজের জন্য বিশ্ব যে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তা চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংকট সৃষ্টির পরপরই প্রকাশ্যে চলে আসে। এখন পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজস্ব শিল্প খাতকে প্রতিযোগিতার উপযোগী করতে খুব একটা সফল হতে পারেনি। বিরল খনিজের জন্য নিজেদের কোনো শক্তিশালী মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করতে পারেনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই হঠাৎ হওয়া মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত চুক্তির বৈশ্বিক প্রভাব নিয়েও ভাবতে হবে। কেননা এটি উৎপাদনকারীদের জন্য ইতিবাচক হলেও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো ভোক্তাদের জন্য খরচ বাড়াতে পারে। অর্থাৎ চুক্তির প্রভাব শেষ পর্যন্ত সাধারণ গ্রাহকদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ান কাস্টিলু বলেন, ‘এই মূল্য চুক্তি এখন শিল্প খাতের জন্য একটি নতুন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে, যা দাম বাড়ানোর দিকে চাপ সৃষ্টি করবে।’
কেবল করছাড় দিয়েই যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যাবে না, সেটা ট্রাম্প প্রশাসন বুঝে ফেলেছে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। বর্তমানে একটি খনিজ খাতে বিনিয়োগকারী প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম অ্যাপিয়ান ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজরির বৈশ্বিক কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাব। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি বিস্মিত নই; তবে প্রশ্ন হলো, তারা এখন এটা কতটা বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করতে পারে?’
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট ব্লুর বিশ্লেষক ডেভিড মেরিম্যান বলেন, বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামকে কীভাবে গ্রহণ করবে এবং তারা আদৌ বিরল খনিজে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়; কারণ, তাদের হাতে তুলনামূলকভাবে বেশি সরবরাহ উৎস রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহায়তাবিহীন বড় বেসরকারি ভোক্তারা এই বিনিয়োগ কাঠামো অনুসরণ করবে এমন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, তারা কোনো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক সরবরাহ পথের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।
রায়ান কাস্টিলু বলেন, এই নতুন মূল্যব্যবস্থার পরোক্ষ উপকারভোগী হতে পারে বেলজিয়ান কেমিক্যাল কোম্পানি সোলভে। সোলভেসহ অন্যান্য কোম্পানিকে একই ধরনের দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ এনে দেবে এই নতুন মূল্যব্যবস্থা। এটা তাদের জন্য একটা ভিত্তি তৈরি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সোলভে কোনো মন্তব্য না করলেও অন্যান্য বিরল খনিজ খননকারী, প্রকল্প উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং তাদের শেয়ারহোল্ডাররা এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নির্ধারিত মূল্যসীমা নিয়ে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগেনের কাছে জানতে চাইলে তারা দামের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সমালোচনামূলক কাঁচামালগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও বৈচিত্র্য আনতে যেকোনো প্রচেষ্টাকেই আমরা স্বাগত জানাই।’
১৭টি বিরল খনিজের বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পশ্চিমা বিশ্বের খনিজ খননকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে একটি আলাদা মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছে। এই ১৭ বিরল খনিজ ড্রোন, যুদ্ধবিমান, বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর ও উইন্ড টারবাইনে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বিরল খনিজ সরবরাহের ৯০ শতাংশই চীনের হাতে থাকায় পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বেশ উদ্বেগই দেখা যাচ্ছে। বিরল খনিজের বাজারে চীনের আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রকেও ভীত করেছে। অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড তা-ই বলছে। চীনের এই আধিপত্য ভাঙতে এবং নিজস্ব শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে একটি নতুন মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।
গত সপ্তাহের একটি চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ দেশটির একমাত্র দেশীয় বিরল খনিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমপি ম্যাটেরিয়ালসকে বাজারমূল্যের প্রায় দ্বিগুণ হারে ন্যূনতম মূল্য দেওয়ার নিশ্চয়তা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (ডিওডি) এমপি ম্যাটেরিয়ালসকে দুটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বিরল খনিজ, নিওডিমিয়াম ও প্রাসিওডিমিয়ামের (এনডিপিআর) জন্য প্রতি কেজিতে ১১০ ডলার এবং চীনের নির্ধারিত বর্তমান বাজারমূল্যের মধ্যকার পার্থক্য অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করবে। তবে বাজারদর ১১০ ডলারের বেশি হলে, সেই অতিরিক্ত লাভের ৩০ শতাংশ ডিওডি পাবে।
খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণে জড়িত লাস ভেগাসভিত্তিক এমপি ম্যাটেরিয়ালস জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা টেক্সাসে বাণিজ্যিকভাবে চুম্বক উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করছে।
চীনের কম দাম নির্ধারণের কারণে গত বছর বড় ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে এমপি ম্যাটেরিয়ালস। তাদের ৬৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের নিট লোকসান হয়। প্রতিষ্ঠানটি এখন টেক্সাসে চুম্বক উৎপাদন কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তারা বছরে ১ হাজার টন উৎপাদন শুরু করবে, যা পরে ৩ হাজার টনে উন্নীত করা হবে।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এমপি ম্যাটেরিয়ালসের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ১৫ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবে। এ ছাড়া এমপি দেশে আরও একটি বিরল খনিজ চুম্বক উৎপাদনকারী কারখানা নির্মাণ করবে, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ৭ হাজার টন উৎপাদন যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে এমপি ম্যাটেরিয়ালস বছরে ১০ হাজার টন চুম্বক উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে, যা ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত মোট চুম্বকের সমান।
এই চুক্তি নতুন কৌশলগত পথ উন্মুক্ত করেছে বলে মনে করেন এক্লারা রিসোর্সেসের স্ট্র্যাটেজি ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপক আলভারো ক্যাস্টেলন। এই প্রতিষ্ঠান চিলি ও ব্রাজিলে বিরল খনিজ খনির প্রকল্প চালু রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছে।
তবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টন চুম্বক আমদানি করে। অ্যাডামাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী এক দশকে বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজ চুম্বকের চাহিদা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৬ লাখ ৭ হাজার টনে পৌঁছাতে পারে। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক চাহিদা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে; যা দাঁড়াবে প্রতিবছর গড়ে ১৭ শতাংশ।
বিরল খনিজের জন্য বিশ্ব যে চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, তা চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংকট সৃষ্টির পরপরই প্রকাশ্যে চলে আসে। এখন পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজস্ব শিল্প খাতকে প্রতিযোগিতার উপযোগী করতে খুব একটা সফল হতে পারেনি। বিরল খনিজের জন্য নিজেদের কোনো শক্তিশালী মূল্যকাঠামো নির্ধারণ করতে পারেনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই হঠাৎ হওয়া মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত চুক্তির বৈশ্বিক প্রভাব নিয়েও ভাবতে হবে। কেননা এটি উৎপাদনকারীদের জন্য ইতিবাচক হলেও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো ভোক্তাদের জন্য খরচ বাড়াতে পারে। অর্থাৎ চুক্তির প্রভাব শেষ পর্যন্ত সাধারণ গ্রাহকদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ান কাস্টিলু বলেন, ‘এই মূল্য চুক্তি এখন শিল্প খাতের জন্য একটি নতুন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে, যা দাম বাড়ানোর দিকে চাপ সৃষ্টি করবে।’
কেবল করছাড় দিয়েই যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যাবে না, সেটা ট্রাম্প প্রশাসন বুঝে ফেলেছে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। বর্তমানে একটি খনিজ খাতে বিনিয়োগকারী প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম অ্যাপিয়ান ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজরির বৈশ্বিক কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাব। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি বিস্মিত নই; তবে প্রশ্ন হলো, তারা এখন এটা কতটা বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করতে পারে?’
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট ব্লুর বিশ্লেষক ডেভিড মেরিম্যান বলেন, বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামকে কীভাবে গ্রহণ করবে এবং তারা আদৌ বিরল খনিজে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়; কারণ, তাদের হাতে তুলনামূলকভাবে বেশি সরবরাহ উৎস রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহায়তাবিহীন বড় বেসরকারি ভোক্তারা এই বিনিয়োগ কাঠামো অনুসরণ করবে এমন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, তারা কোনো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক সরবরাহ পথের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।
রায়ান কাস্টিলু বলেন, এই নতুন মূল্যব্যবস্থার পরোক্ষ উপকারভোগী হতে পারে বেলজিয়ান কেমিক্যাল কোম্পানি সোলভে। সোলভেসহ অন্যান্য কোম্পানিকে একই ধরনের দামে পণ্য বিক্রির সুযোগ এনে দেবে এই নতুন মূল্যব্যবস্থা। এটা তাদের জন্য একটা ভিত্তি তৈরি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সোলভে কোনো মন্তব্য না করলেও অন্যান্য বিরল খনিজ খননকারী, প্রকল্প উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং তাদের শেয়ারহোল্ডাররা এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের নির্ধারিত মূল্যসীমা নিয়ে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগেনের কাছে জানতে চাইলে তারা দামের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সমালোচনামূলক কাঁচামালগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও বৈচিত্র্য আনতে যেকোনো প্রচেষ্টাকেই আমরা স্বাগত জানাই।’
ডলারের দরে ভিন্নমাত্রার ওঠানামা এখন স্পষ্ট। দেশে ডলারের চাহিদা কমতে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিচ্ছে উল্টো কৌশল, নিয়মিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের ডলার কিনছে। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে কিনেছে ৪৮৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত রোববার ১৭১ মিলিয়ন, আর আজ মঙ্গলবার এক দিনেই ৩১৩ মিলিয়ন
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জাতীয় মান প্রণয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সঙ্গে রাশিয়ার মান সংস্থা—ফেডারেল এজেন্সি অন টেকনিক্যাল রেগুলেটিং অ্যান্ড মেট্রোলজির (জিওএসটিআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবছরের অন্যতম সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেল দেশের ১ নম্বর পেইন্ট ব্র্যান্ড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। ১২ জুলাই রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডাস্ট্রি, ইনোভেশন ও ইনফ্রাস্
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে অসংলগ্নতা থাকায় সেগুলো পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগে