সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:
সুতি জার্সি ও পুলওভার বিশ্বব্যাপী অন্যতম সর্বাধিক আমদানি হওয়া পোশাক পণ্য। এগুলোর বহুমুখী ব্যবহার, আরামদায়ক বৈশিষ্ট্য এবং বছরজুড়ে ব্যবহারযোগ্যতার কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়। হালকা, বায়ু চলাচল উপযোগী এবং প্রায় সব ঋতুর উপযোগী হওয়ায় এই পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুতি জার্সি ও পুলওভারের বিশেষ চাহিদা আছে। কারণ, এগুলো মৌসুমভিত্তিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সমানভাবে উপযোগী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইবার টু ফ্যাশন মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিবর্তন কেমন হতে পারে তা বিশ্লেষণ করেছে। বিশেষ করে, চীন বাজার হারানোর ফলে বাংলাদেশসহ কোন দেশগুলো লাভবান হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম: উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুর্বল
ভিয়েতনাম তুলার জার্সি ও পুলওভারের শীর্ষ রপ্তানিকারক। দেশটির রিভিলড কম্প্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজেস বা তুলনামূলক সুবিধার সূচক (আরসিএ—আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যবহৃত একটি সূচক, যা বাণিজ্য প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একটি দেশের আপেক্ষিক শক্তি পরিমাপ করে।) ৪ দশমিক ৪৮। তবে এর ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন (ইউভিআর—ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন বলতে বোঝায় রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি ইউনিটের দামের অর্থনৈতিক মূল্য। অর্থাৎ, প্রতি একক রপ্তানি করে কত টাকা পাওয়া গেল, সেটাই ইউনিট ভ্যালু রিয়ালাইজেশন।) মাঝারি পরিসরে থাকায় এটি ব্যাপক ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য। তবে বাংলাদেশ ও চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের তুলনামূলক উচ্চ ইউভিআর দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কোনো বিশেষ শুল্কসুবিধা পায় না। কারণ, সুতির জার্সি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোতে মোস্ট ফেভারড ন্যাশনের বা এমএফএন (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কোনো সদস্য দেশ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন যে শুল্ক আরোপ করতে পারে, তাকে বোঝায়।) শুল্কের আওতায় পড়ে। চীন ও বাংলাদেশের তুলনায় ভিয়েতনামের ইউভিআর বেশি হওয়ায় এটি মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীন: উচ্চশুল্কের কারণে হুমকির মুখে
চীন সুতি জার্সি ও পুলওভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। দেশটির ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১০ দশমিক ৫৪ ডলার, যা সর্বনিম্ন, এবং দেশটির আরসিএ মাত্র ১ দশমিক ০২। কম ইউভিআর চীনের বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা ও অর্থনীতির প্রতিফলন, যা দেশটিকে সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় চীনের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর ফলে, ইউভিআর বেড়ে আনুমানিক প্রতি কেজিতে ১১ দশমিক ৫৯ ডলারে দাঁড়াবে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনের ঐতিহাসিক কম খরচের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এটি মূল্য সচেতন ক্রেতারা খুব একটা পছন্দ নাও করতে পারেন।
দ্বিতীয় দফার শুল্ক বৃদ্ধি ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এই পর্যায়ে শুল্ক হার ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর ফলে চীনের ইউভিআর বেড়ে প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও চীন তুলনামূলকভাবে কম ইউভিআর ধরে রাখতে পারবে, ফলে এটি এখনো কম দামের বাজারে প্রতিযোগিতায় থাকতে সক্ষম হবে।
কম্বোডিয়া: উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার দেশ
চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে কম্বোডিয়া লাভবান হতে পারে। দেশটির ইউভিআর ভিয়েতনামের সমপর্যায়ের হলেও আরসিএ অনেক বেশি, যা দেশটিকে বৈশ্বিক সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছে। এই উচ্চ আরসিএ কম্বোডিয়াকে বিশেষায়িত ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। চীনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কম্বোডিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবে।
বাংলাদেশ: সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রতিযোগী
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে সক্ষম।
মূলত, বাংলাদেশ চীনের প্রধান প্রতিযোগী। তবে চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন কম খরচে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইন্দোনেশিয়া: উচ্চ ইউভিআরের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার আরসিএ ৭ দশমিক ১, যা শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নির্দেশ করে। তবে উচ্চ ইউভিআর (চীনের তুলনায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি) এটিকে মূল্য সচেতন ক্রেতাদের বাজারে পিছিয়ে রাখছে। উচ্চ ইউভিআর ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন ব্যয় বেশি, যা হয়তো শ্রম খরচ, কাঁচামালের দাম বা কম উৎপাদন স্কেলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মতো কম দামের সরবরাহকারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।
তবে, উচ্চ মূল্যমান প্রিমিয়াম বা বিশেষায়িত বাজারের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে বিষয়টি। যেখানে গুণগত মান, টেকসই উৎপাদন বা ব্র্যান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইন্দোনেশিয়া যদি খরচ কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে পারে, তবে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশ মার্কিন সুতার তৈরি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে, যা দেশটিকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখছে। চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে বাংলাদেশের বাজার দখলের সম্ভাবনা প্রবল।
অন্যদিকে, ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির পরও চীনের ইউভিআর প্রতি কেজিতে ১২ দশমিক ৬৫ ডলার হওয়ায় এটি মূল্য সচেতন বাজারের জন্য প্রতিযোগিতামূলকই থাকবে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতা এবং বিশাল অর্থনীতির কারণে চীন এখনো তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, কিছু ক্রেতা বিকল্পের দিকে ঝুঁকলেও, চীন বৈশ্বিক তুলার জার্সি ও পুলওভার বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
আরও খবর পড়ুন:
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
৪ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের চতুর্থ একনেক সভা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো—
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ-রিজিলিয়েন্স স্ট্রেনদেনিং থ্রু অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফরমেশন ইন কক্স’সবাজার’ প্রকল্প; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’; ‘জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)’ এবং ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করেন।
একনেক সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
৪ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব ঢাকা, ঢাকা
সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
লাইসেন্সি হিসেবে নেভিয়ানের নিজস্ব প্ল্যান্টে নোভারটিস ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নেভিয়ান উৎপাদিত নোভারটিসের প্রথম ব্র্যান্ড ‘গ্যালভস মেট’ (Galvus Met)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, নেভিয়ানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং রেডিয়েন্ট ফার্মার চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কমিশন লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি।
বক্তারা শেয়ার হস্তান্তরের পরও নোভারটিসের মতো একটি বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণাধর্মী ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা দেশের রোগীদের জন্য নিশ্চিত রাখায় নেভিয়ানের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
লাইসেন্সি হিসেবে নেভিয়ানের নিজস্ব প্ল্যান্টে নোভারটিস ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে নেভিয়ান উৎপাদিত নোভারটিসের প্রথম ব্র্যান্ড ‘গ্যালভস মেট’ (Galvus Met)-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, নেভিয়ানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক এবং রেডিয়েন্ট ফার্মার চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কমিশন লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি।
বক্তারা শেয়ার হস্তান্তরের পরও নোভারটিসের মতো একটি বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণাধর্মী ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা দেশের রোগীদের জন্য নিশ্চিত রাখায় নেভিয়ানের এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সাত সপ্তাহের মাথায় শহরটির বহু পোশাক কারখানার চাকা প্রায় থমকে গেছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তিরুপ্পুর শিল্পনগরীর বড় কারখানা থেকে ছোট ওয়ার্কশপ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন।
তিরুপ্পুর সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি শম্পথ বলেন, মোট উৎপাদন ২৫ শতাংশের মতো কমে গেছে। তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই শহর থেকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পোশাক যায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় খুচরা বিক্রেতা—ওয়ালমার্ট, টার্গেট ও সিয়ার্সের মতো ব্র্যান্ডে।
কারখানার শ্রমিক, শ্রম ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী—এমন এক ডজনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাম্পের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ কত দ্রুত তিরুপ্পুরের মানুষের জীবন ও জীবিকা ওলট-পালট করে দিয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকের কোনো লিখিত চুক্তি বা চাকরির নিশ্চয়তা নেই। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা বহু শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যাঁরা এখনো কাজ করছেন, তাঁদেরও কাজের সময় ও বেতন কমে গেছে।
রপ্তানিকারকেরা জানান, অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তাঁরা পুরোনো স্টক পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, নতুন পণ্য বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক মার্কিন ক্রেতা শুল্কের ক্ষতি পোষাতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে। ৪৪ বছর বয়সী কর্মী মনোহর সাহনি গত দুই বছর ধরে নতুন তৈরি পোশাকের অতিরিক্ত সুতা ছেঁটে ফেলার কাজ করতেন। পূর্ব ভারতের দরিদ্র রাজ্য বিহার থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তিরুপ্পুরে এসেছিলেন কাজের আশায়। স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দুজনে মিলে মাসে প্রায় ৪৫০ ডলার আয় করতেন—যা দিয়ে সংসার চলত, মেয়ের বিয়ের দেনাও শোধ হচ্ছিল ধীরে ধীরে।
তাঁরা যত বেশি পোশাক তৈরি করতেন, তত বেশি পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় আয় নেমে এসেছে মাসে ২৫০ ডলারের নিচে—যা দিয়ে এখন আর ভাড়া ও খাবার খরচ ঠিকমতো মেটানো যায় না। সাহনি বলেন, ‘আমি বুঝে উঠতে পারছি না কী করব। অল্প যা টাকা আছে, সেটা দিয়ে পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করব, না মেয়ের বিয়ের দেনা শোধ করব?’
গত মাসে সাহনি স্ত্রী-সন্তানকে রেখে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে কর্ণাটক রাজ্যে গিয়েছেন, যেখানে এখন নির্মাণশ্রমিক হিসেবে দিনে ৪ ডলারে কাজ করছেন। তিনি বললেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য বা নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে আমি খুব একটা জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে, সরকার আমাদের ভুলে গেছে। কোনো সাহায্য পাইনি। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।’
তিরুপ্পুরের জিনা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মোহন শংকর বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাভ নয়, টিকে থাকা। নগদপ্রবাহ বজায় রাখা এখন মূল লক্ষ্য।’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার কমাচ্ছে বা বিলম্ব করছে জানিয়ে শংকর বলেন, তিনি মার্কিন বাজারের জন্য উৎপাদন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ওভারহেড কস্ট তথা অন্যান্য খাতের খরচ কমাতে হবে, প্রয়োজনে কর্মীও ছাঁটাই করতে হবে।
তিরুপ্পুরের বেশির ভাগ কারখানা কম দামের পোশাক তৈরি করে—যেসব টি-শার্ট, লেগিংস ও অন্তর্বাস যুক্তরাষ্ট্রে ৫ থেকে ১০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়। ফলে অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিরুপ্পুরের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সাবেক চেয়ারম্যান ও কটন ব্লসমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল্টন অ্যামব্রোস জন। তিনি বলেন, মার্কিন ক্রেতাদের দেওয়া কোনো ছাড়ই টেকসই নয়—৫ শতাংশও নয়। অথচ এখন অনেক ক্রেতা ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের আগস্টে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় পরের ধাপে দেশটি রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শুল্কহার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই নেতার মধ্যে এমন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তাদের জানা নেই।
গত ২৮ আগস্ট ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার এক দিন পর ভারত সরকার তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। পোশাকশিল্পকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের তিরুপ্পুরের পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু এ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সরকারকে আরও দ্রুত ও কার্যকর সহায়তা দিতে হবে।
জন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারের জরুরি ঋণসহায়ক নীতি নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, শহরের অচল তাঁতকলগুলোর অবস্থা এখন করোনাকালের মতো হয়ে গেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতির পাশাপাশি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে এখন আরও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুতই বাংলাদেশের ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ভারতীয় পণ্যের জায়গা দখল করে নেবে। কারণ, ওই দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ বিষয়ে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য অন্য দেশে অর্ডার সরিয়ে নেওয়া খুব সহজ হবে।
৩২ বছর বয়সী সানোজ কুমার স্মরণ করেন, শুল্কহার বাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে অর্ডার শেষ করার জন্য তাঁকে দিন-রাত কাজ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা পর্যন্ত এসে তদারকি করতেন, চাপ দিতেন কাজ শেষ করতে। কিন্তু শুল্ক আরোপের কয়েক দিন পরই তাঁকে জানানো হয়, আর কোনো অর্ডার নেই—কাজে যেতে হবে না।
বিহারের বাসিন্দা কুমার তাঁর কিশোর বয়সে চাচাদের সঙ্গে তিরুপ্পুরে চলে আসেন। পোশাক কারখানায় ‘চেকার’ হিসেবে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল প্রস্তুতকৃত পোশাক থেকে বাড়তি সুতার প্রান্ত ছেঁটে দেওয়া। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি কাজও করতেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন কারখানায় যুক্ত করতেন। এখন প্রায় সবাই গ্রামে ফিরে গেছেন।
কুমার বলেন, মানুষ এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে ঘুরে ঘুরে কাজ খুঁজছে, কিন্তু কাজ মিলছে না। তিনি জানান, তাঁর সঞ্চয়ও শেষ হয়ে গেছে। কুমার কারখানায় চাকরির পাশাপাশি একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান চালান। আগে দোকান থেকে কিছু আয় হতো, এখন শহরের অচলাবস্থায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, রপ্তানিকারক কারখানায় কাজ না থাকলে শহরের অন্য ব্যবসাগুলোও চলবে না।
মার্কিন শুল্কের চাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন আত্মনির্ভরতার ডাক দিচ্ছেন। আগস্টে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, ‘নির্ভরতা যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন তা দুর্ভাগ্যজনক। উন্নত ভারত গড়তে আমরা না থামব, না মাথা নোয়াব।’ তবে তিরুপ্পুরের শ্রমিক মনোজ কুমার বলেন, ‘মাথা না নোয়ানোর কথা শুনতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু পেটে খাবার না থাকলে কীভাবে টিকে থাকব?’
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সাত সপ্তাহের মাথায় শহরটির বহু পোশাক কারখানার চাকা প্রায় থমকে গেছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তিরুপ্পুর শিল্পনগরীর বড় কারখানা থেকে ছোট ওয়ার্কশপ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন।
তিরুপ্পুর সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি শম্পথ বলেন, মোট উৎপাদন ২৫ শতাংশের মতো কমে গেছে। তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই শহর থেকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পোশাক যায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় খুচরা বিক্রেতা—ওয়ালমার্ট, টার্গেট ও সিয়ার্সের মতো ব্র্যান্ডে।
কারখানার শ্রমিক, শ্রম ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী—এমন এক ডজনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাম্পের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ কত দ্রুত তিরুপ্পুরের মানুষের জীবন ও জীবিকা ওলট-পালট করে দিয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকের কোনো লিখিত চুক্তি বা চাকরির নিশ্চয়তা নেই। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা বহু শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যাঁরা এখনো কাজ করছেন, তাঁদেরও কাজের সময় ও বেতন কমে গেছে।
রপ্তানিকারকেরা জানান, অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তাঁরা পুরোনো স্টক পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, নতুন পণ্য বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক মার্কিন ক্রেতা শুল্কের ক্ষতি পোষাতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে। ৪৪ বছর বয়সী কর্মী মনোহর সাহনি গত দুই বছর ধরে নতুন তৈরি পোশাকের অতিরিক্ত সুতা ছেঁটে ফেলার কাজ করতেন। পূর্ব ভারতের দরিদ্র রাজ্য বিহার থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তিরুপ্পুরে এসেছিলেন কাজের আশায়। স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। দুজনে মিলে মাসে প্রায় ৪৫০ ডলার আয় করতেন—যা দিয়ে সংসার চলত, মেয়ের বিয়ের দেনাও শোধ হচ্ছিল ধীরে ধীরে।
তাঁরা যত বেশি পোশাক তৈরি করতেন, তত বেশি পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় আয় নেমে এসেছে মাসে ২৫০ ডলারের নিচে—যা দিয়ে এখন আর ভাড়া ও খাবার খরচ ঠিকমতো মেটানো যায় না। সাহনি বলেন, ‘আমি বুঝে উঠতে পারছি না কী করব। অল্প যা টাকা আছে, সেটা দিয়ে পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করব, না মেয়ের বিয়ের দেনা শোধ করব?’
গত মাসে সাহনি স্ত্রী-সন্তানকে রেখে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে কর্ণাটক রাজ্যে গিয়েছেন, যেখানে এখন নির্মাণশ্রমিক হিসেবে দিনে ৪ ডলারে কাজ করছেন। তিনি বললেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য বা নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে আমি খুব একটা জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে, সরকার আমাদের ভুলে গেছে। কোনো সাহায্য পাইনি। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।’
তিরুপ্পুরের জিনা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মোহন শংকর বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাভ নয়, টিকে থাকা। নগদপ্রবাহ বজায় রাখা এখন মূল লক্ষ্য।’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার কমাচ্ছে বা বিলম্ব করছে জানিয়ে শংকর বলেন, তিনি মার্কিন বাজারের জন্য উৎপাদন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ওভারহেড কস্ট তথা অন্যান্য খাতের খরচ কমাতে হবে, প্রয়োজনে কর্মীও ছাঁটাই করতে হবে।
তিরুপ্পুরের বেশির ভাগ কারখানা কম দামের পোশাক তৈরি করে—যেসব টি-শার্ট, লেগিংস ও অন্তর্বাস যুক্তরাষ্ট্রে ৫ থেকে ১০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়। ফলে অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিরুপ্পুরের কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সাবেক চেয়ারম্যান ও কটন ব্লসমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল্টন অ্যামব্রোস জন। তিনি বলেন, মার্কিন ক্রেতাদের দেওয়া কোনো ছাড়ই টেকসই নয়—৫ শতাংশও নয়। অথচ এখন অনেক ক্রেতা ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দাবি করছে।
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের আগস্টে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় পরের ধাপে দেশটি রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শুল্কহার বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই নেতার মধ্যে এমন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তাদের জানা নেই।
গত ২৮ আগস্ট ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার এক দিন পর ভারত সরকার তুলা আমদানিতে শুল্কমুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। পোশাকশিল্পকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের তিরুপ্পুরের পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধু এ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সরকারকে আরও দ্রুত ও কার্যকর সহায়তা দিতে হবে।
জন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারের জরুরি ঋণসহায়ক নীতি নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, শহরের অচল তাঁতকলগুলোর অবস্থা এখন করোনাকালের মতো হয়ে গেছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতির পাশাপাশি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে এখন আরও বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্রুতই বাংলাদেশের ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো ভারতীয় পণ্যের জায়গা দখল করে নেবে। কারণ, ওই দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ বিষয়ে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য অন্য দেশে অর্ডার সরিয়ে নেওয়া খুব সহজ হবে।
৩২ বছর বয়সী সানোজ কুমার স্মরণ করেন, শুল্কহার বাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে অর্ডার শেষ করার জন্য তাঁকে দিন-রাত কাজ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা পর্যন্ত এসে তদারকি করতেন, চাপ দিতেন কাজ শেষ করতে। কিন্তু শুল্ক আরোপের কয়েক দিন পরই তাঁকে জানানো হয়, আর কোনো অর্ডার নেই—কাজে যেতে হবে না।
বিহারের বাসিন্দা কুমার তাঁর কিশোর বয়সে চাচাদের সঙ্গে তিরুপ্পুরে চলে আসেন। পোশাক কারখানায় ‘চেকার’ হিসেবে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল প্রস্তুতকৃত পোশাক থেকে বাড়তি সুতার প্রান্ত ছেঁটে দেওয়া। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি কাজও করতেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন কারখানায় যুক্ত করতেন। এখন প্রায় সবাই গ্রামে ফিরে গেছেন।
কুমার বলেন, মানুষ এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে ঘুরে ঘুরে কাজ খুঁজছে, কিন্তু কাজ মিলছে না। তিনি জানান, তাঁর সঞ্চয়ও শেষ হয়ে গেছে। কুমার কারখানায় চাকরির পাশাপাশি একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান চালান। আগে দোকান থেকে কিছু আয় হতো, এখন শহরের অচলাবস্থায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, রপ্তানিকারক কারখানায় কাজ না থাকলে শহরের অন্য ব্যবসাগুলোও চলবে না।
মার্কিন শুল্কের চাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন আত্মনির্ভরতার ডাক দিচ্ছেন। আগস্টে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, ‘নির্ভরতা যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন তা দুর্ভাগ্যজনক। উন্নত ভারত গড়তে আমরা না থামব, না মাথা নোয়াব।’ তবে তিরুপ্পুরের শ্রমিক মনোজ কুমার বলেন, ‘মাথা না নোয়ানোর কথা শুনতে ভালো লাগে বটে, কিন্তু পেটে খাবার না থাকলে কীভাবে টিকে থাকব?’
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
৪ ঘণ্টা আগেএয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের আসনসংখ্যা ৪৩৬।
এয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নতুন এই এয়ারবাস দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নতুন এয়ারবাস যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউএস-বাংলার বহরে এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা এখন ২৫টি। এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যার বিচারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এখন দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ ছাড়াও তাদের বহরে রয়েছে ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের আসনসংখ্যা ৪৩৬।
এয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নতুন এই এয়ারবাস দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নতুন এয়ারবাস যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউএস-বাংলার বহরে এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা এখন ২৫টি। এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যার বিচারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এখন দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ ছাড়াও তাদের বহরে রয়েছে ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হতে পারে বাংলাদেশ। দেশটি সুতি জার্সি ও পুলওভার বাজারে সর্বোচ্চ আরসিএ (২৭ দশমিক ৩৬) এবং সর্বনিম্ন ইউভিআর (প্রতি কেজিতে ১৪ দশমিক ৮৬ ডলার) ধারণ করে। এর অর্থ, বাংলাদেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক (তুলনামূলক কম) দামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে..
১৯ মার্চ ২০২৫জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তায় ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেসংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হাতবদলের পর নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এখন নেভিয়ান লাইফসায়েন্স পিএলসি নামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে। পরিবর্তন এলেও নেভিয়ান লাইসেন্সিং চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে নোভারটিসের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখবে।
৪ ঘণ্টা আগেআপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং আপনার টি-শার্টে লেখা থাকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’—তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে, সেটি এসেছে ভারতের দক্ষিণের শিল্পকেন্দ্র তিরুপ্পুর থেকে। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ডলার সিটি’ নামে পরিচিত, কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এটি ভারতের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগে