Ajker Patrika

চীনের জন্য শুল্কবিরতি আরও ৯০ দিন বাড়ালেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আরও ৯০ দিনের জন্য শুল্কবিরতি বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এর ফলে উভয় দেশের পণ্যের ওপর সম্ভাব্য তিন অঙ্কের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ আপাতত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে এ কথা জানান।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। এ আদেশ অনুযায়ী, বাড়তি শুল্ক আরোপ আগামী ১০ নভেম্বর মার্কিন স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে শুল্কবিরতির অন্যান্য সব শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও সমান্তরালভাবে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে বিরতি ঘোষণা করেছে। গত এপ্রিল মাসে তারা যেসব মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সীমাবদ্ধতার তালিকায় যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল, সেটিও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বাণিজ্যিক পারস্পরিকতার ঘাটতি এবং এর ফলে সৃষ্ট জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ সমাধানে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এসব আলোচনার মাধ্যমে চীন অ-পারস্পরিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সংস্কার এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে।’

বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে শুল্কবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ মঙ্গলবার মার্কিন স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়ানোয় বড়দিন উপলক্ষে ইলেকট্রনিকস, পোশাক ও খেলনাসহ শরৎ মৌসুমের আমদানির ব্যস্ত সময়ে কম শুল্কে আমদানির সুযোগ পেল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা।

নতুন আদেশ অনুযায়ী, চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ১৪৫ শতাংশে এবং মার্কিন পণ্যের ওপর চীনা শুল্ক ১২৫ শতাংশে ওঠার বদলে আপাতত চীনা আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ এবং মার্কিন আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিজের ‘ভালো সম্পর্ক’ তুলে ধরে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়।’

এদিকে চীন জানিয়েছে, এই মেয়াদবৃদ্ধি ‘৫ জুন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নের একটি পদক্ষেপ’। এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে।

সাবেক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তা এবং বর্তমানে ‘কিং অ্যান্ড স্পলডিং’ আইন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রায়ান মাজেরাস বলেন, এ খবর উভয় পক্ষকে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য-সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলায় আরও সময় দেবে। এটি নিঃসন্দেহে উভয় পক্ষের উদ্বেগ কমাবে, যখন আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শরতে একটি কাঠামোগত চুক্তির দিকে এগোবে।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের গত সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে চীন থেকে আমদানি হুড়মুড় করে বেড়ে গিয়েছিল, তবে জুনে তা তীব্রভাবে কমে আসে। জুনে যুক্তরাষ্ট্রের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে ৯.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে কম। টানা পাঁচ মাস ধরে কমতে কমতে গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ২২.২ বিলিয়ন ডলার বা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে বেইজিংকে রুশ তেল কেনা বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে ট্রাম্প চীনের ওপর গৌণ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’

কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে—ছাত্রীকে খুবি অধ্যাপক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

বিকৃত লাশ দুটি ৩০ ঘণ্টা ধরে গাড়িতে, একজনের মুখ ছিল থ্যাঁতলানো

৫০ হাজার বিদেশির নাগরিকত্ব বাতিল করল কুয়েত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত