অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক জানিয়েছে যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে তারা ৪০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছেন, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে এখন অনেক কাজ দ্রুত করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। তবে সিঙ্গাপুরে কতজন বা কোন কোন পদে ছাঁটাই চলবে তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল সোমবার ব্যাংকের বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীয়ূশ গুপ্ত বলেন, ‘ডিবিএস এআই নিয়ে এক দশক ধরে কাজ করছে। এআই খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। এটি নিজেই সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং পাশাপাশি অন্য প্রযুক্তিগুলো থেকে এটি আলাদা।’
পীয়ূশ গুপ্ত আগামী মাসের শেষে দায়িত্ব ছাড়বেন। তাঁর জায়গায় বসবেন বর্তমান ডেপুটি সিইও তান সু শান।
বড় ব্যাংক প্রধানদের মধ্যে অন্যতম একজন গুপ্ত, যিনি এআই-এর কারণে চাকরির সম্ভাব্য ক্ষতির বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ১৫ বছরের সিইও জীবনে প্রথমবারের মতো আমি চাকরি সৃষ্টি করতে সংগ্রাম করছি। আগে আমি সব সময় জানতাম, আমি কোন চাকরি তৈরি করতে পারব। তবে এবার আমাকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে, কীভাবে আমি মানুষকে পুনর্ব্যবহার করে চাকরি সৃষ্টি করব।’
ভারতের আইটি শিল্পের লবি গ্রুপ নাসকম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গুপ্ত আরও বলেন, ‘গত ১০ বছরে গ্রুপে কোনো চাকরি ছাঁটাই হয়নি। আগামী তিন বছরে আমরা আমাদের শ্রমশক্তি প্রায় ১০ শতাংশ কমাব।’
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৬-১৭ সালে ব্যাংকটি একটি ডিজিটাল রূপান্তর শুরু করেছিল। সে সময় ১ হাজার ৬০০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন। পরে তাদের প্রায় সবাইকে ইউনিয়ন ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তবে ডিবিএস প্রায় ১০০০ নতুন এআই সংশ্লিষ্ট চাকরি তৈরির আশা করছে বলে জানান পীয়ূশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘এআই-এর যুগে বর্তমান চ্যালেঞ্জ হলো কীভাবে শ্রমশক্তিকে পুনর্ব্যবহার করা যায়।’
পীয়ূশ গুপ্ত বলেন, ডিবিএস এখন ৩৫০টি কাজের ক্ষেত্রে ৮ শর বেশি এআই মডেল ব্যবহার করছে। এসবের থেকে পরিমাপিত অর্থনৈতিক প্রভাব ২০২৫ সালে ১ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
গুপ্ত আরও বলেন, ব্যাংকটি গ্রাহক সেবায় পুরোপুরি এআই-এর ওপর নির্ভর করতে সতর্ক হয়েছে, কারণ কিছু বিষয়ে এআইয়ের ভুল বা অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্যাংকটি গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে এটির ব্যবহার শুরু করেছে এবং পরিকল্পনা করছে যে বছরের শেষে এটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটিতে ২০১২-১৩ প্রথমবারের মতো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তবে সফলতা মেলেনি। গত দুই বছর আগে জেনারেটিভ এআই সমাধান চালু করা হয়েছিল। তবে জেনারেটিভ এআই-এর সম্পূর্ণ সুবিধাগুলো এখনো দেখা যায়নি। ব্যাংকটি এখন গ্রাহক সেবা, ক্রেডিট পর্যালোচনা ও নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করছে।
তবে ডিবিএসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এই ছাঁটাই কার্যক্রমে সাময়িক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরি যেতে পারে, যাদের চাকরি আগামী কয়েক বছরে এমনিতেই শেষ হওয়ার কথা। স্থায়ী কর্মচারীরা এই ছাঁটাইয়ে প্রভাবিত হবেন না বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্মীসংখ্যা ৪১ হাজার, যার মধ্যে প্রায় ৯ হাজার সাময়িক ও চুক্তিভিত্তিক।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বর্তমানে অনেক কর্মক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, এআই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব ফেলতে চলেছে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক জানিয়েছে যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে তারা ৪০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছেন, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে এখন অনেক কাজ দ্রুত করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। তবে সিঙ্গাপুরে কতজন বা কোন কোন পদে ছাঁটাই চলবে তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল সোমবার ব্যাংকের বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পীয়ূশ গুপ্ত বলেন, ‘ডিবিএস এআই নিয়ে এক দশক ধরে কাজ করছে। এআই খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। এটি নিজেই সৃষ্টি করতে সক্ষম এবং পাশাপাশি অন্য প্রযুক্তিগুলো থেকে এটি আলাদা।’
পীয়ূশ গুপ্ত আগামী মাসের শেষে দায়িত্ব ছাড়বেন। তাঁর জায়গায় বসবেন বর্তমান ডেপুটি সিইও তান সু শান।
বড় ব্যাংক প্রধানদের মধ্যে অন্যতম একজন গুপ্ত, যিনি এআই-এর কারণে চাকরির সম্ভাব্য ক্ষতির বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ১৫ বছরের সিইও জীবনে প্রথমবারের মতো আমি চাকরি সৃষ্টি করতে সংগ্রাম করছি। আগে আমি সব সময় জানতাম, আমি কোন চাকরি তৈরি করতে পারব। তবে এবার আমাকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে, কীভাবে আমি মানুষকে পুনর্ব্যবহার করে চাকরি সৃষ্টি করব।’
ভারতের আইটি শিল্পের লবি গ্রুপ নাসকম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গুপ্ত আরও বলেন, ‘গত ১০ বছরে গ্রুপে কোনো চাকরি ছাঁটাই হয়নি। আগামী তিন বছরে আমরা আমাদের শ্রমশক্তি প্রায় ১০ শতাংশ কমাব।’
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৬-১৭ সালে ব্যাংকটি একটি ডিজিটাল রূপান্তর শুরু করেছিল। সে সময় ১ হাজার ৬০০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন। পরে তাদের প্রায় সবাইকে ইউনিয়ন ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তবে ডিবিএস প্রায় ১০০০ নতুন এআই সংশ্লিষ্ট চাকরি তৈরির আশা করছে বলে জানান পীয়ূশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘এআই-এর যুগে বর্তমান চ্যালেঞ্জ হলো কীভাবে শ্রমশক্তিকে পুনর্ব্যবহার করা যায়।’
পীয়ূশ গুপ্ত বলেন, ডিবিএস এখন ৩৫০টি কাজের ক্ষেত্রে ৮ শর বেশি এআই মডেল ব্যবহার করছে। এসবের থেকে পরিমাপিত অর্থনৈতিক প্রভাব ২০২৫ সালে ১ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
গুপ্ত আরও বলেন, ব্যাংকটি গ্রাহক সেবায় পুরোপুরি এআই-এর ওপর নির্ভর করতে সতর্ক হয়েছে, কারণ কিছু বিষয়ে এআইয়ের ভুল বা অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্যাংকটি গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে এটির ব্যবহার শুরু করেছে এবং পরিকল্পনা করছে যে বছরের শেষে এটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটিতে ২০১২-১৩ প্রথমবারের মতো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তবে সফলতা মেলেনি। গত দুই বছর আগে জেনারেটিভ এআই সমাধান চালু করা হয়েছিল। তবে জেনারেটিভ এআই-এর সম্পূর্ণ সুবিধাগুলো এখনো দেখা যায়নি। ব্যাংকটি এখন গ্রাহক সেবা, ক্রেডিট পর্যালোচনা ও নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করছে।
তবে ডিবিএসের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এই ছাঁটাই কার্যক্রমে সাময়িক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরি যেতে পারে, যাদের চাকরি আগামী কয়েক বছরে এমনিতেই শেষ হওয়ার কথা। স্থায়ী কর্মচারীরা এই ছাঁটাইয়ে প্রভাবিত হবেন না বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্মীসংখ্যা ৪১ হাজার, যার মধ্যে প্রায় ৯ হাজার সাময়িক ও চুক্তিভিত্তিক।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বর্তমানে অনেক কর্মক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। গত বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, এআই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব ফেলতে চলেছে।
আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বাড়তি আবগারি শুল্ক কার্যকর করায় তৈরি হওয়া জটিলতা সামলাতে গত ৯ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনাদায়ি শুল্কে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
১ ঘণ্টা আগেবসন্ত এসে গেছে, প্রাণ ফিরে পেয়েছে লেক সিটি কনকর্ড প্রাঙ্গণ। বসন্তের বর্ণাঢ্য আয়োজন নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেতে অবস্থিত ঢাকার প্রথম স্যাটেলাইট টাউন লেক সিটি কনকর্ডে ২১-২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ কনকর্ড গ্রুপ আয়োজন করেছিল দুই দিনব্যাপী ‘কনকর্ড বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। উৎসবে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও স্থানীয় বাসি
১ ঘণ্টা আগেকিছু ব্যাংক রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংক খাতের ভয়াবহ অবস্থা কম-বেশি আমরা সবাই জানি। একটা গ্রুপের হাতে ঋণের স্তূপ দেখা গেছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৮৭ শতাংশ হয়ে গেছে। এতে কিছু ব্যাংকের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, সেগুলো বাঁচানো
১ ঘণ্টা আগেআবারও ডিজিটাল স্পেসে নিজেদের দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেড। ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডসের অষ্টম আসরে মোট ১০টি পুরস্কার—৩টি সিলভার ও ৭টি ব্রোঞ্জপদকের মাধ্যমে, ডিজিটাল গল্পকথনে মাইন্ডশেয়ার পেয়েছে অনন্য স্বীকৃতি।
২ ঘণ্টা আগে