মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
ঘড়ির ধরাবাঁধা হিসাব নেই, নেই অন্য কোনো অযাচিত নিয়মের বেড়ি। আছে স্বপ্ন, আর আছে স্বপ্ন ডানা। সে ডানার জোরে উড়ছেন ইলোরা। কখনো উঁচুতে, কখনো একটু নিচ দিয়ে; কিন্তু স্বপ্ন ডানায় উড়তে আর কোনো বাধা নেই ইলোরার। কে এই ইলোরা? কী তাঁর গল্প তবে?
ইলোরা আফরোজ রিমু একজন নারী উদ্যোক্তা। পড়াশোনা শেষ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চাকরি পান একটি গার্মেন্টসের মানবসম্পদ বিভাগে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে। চাকরি করতে করতে পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর মধ্যে আগ্রহের জায়গা থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিজেকে শাণিত করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইএম) থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোর্স শেষ করেন।
এতে ইলোরার চাকরির দুয়ার যেন খুলে যায়। চাকরির একপর্যায়ে ইলোরার ঘর আলো করে আসে তাঁদের সন্তান। সন্তান লালন-পালনের পাশাপাশি চাকরি করা ইলোরার পক্ষে আর সম্ভব হলো না। এতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। যেখানে অন্যরা চাকরি পায় না, সেখানে চাকরি পেয়েও তা না করার যাতনা ইলোরাকে কুরে কুরে যন্ত্রণা দিত।
সন্তানদের কথা চিন্তা করে সংসারজীবনের একপর্যায়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ইলোরা মেলে ধরেন ‘স্বপ্ন ডানা’। এটি তাঁর উদ্যোগের নাম। অনলাইনেই শুরু হয় ‘স্বপ্ন ডানা’-এর যাত্রা। কাজ শুরু করেন নিজ এলাকা কুষ্টিয়ার কুমারখালির টেক্সটাইলের বেডশিট, বেডকভার, গামছা, লুঙ্গি নিয়ে। এ ছাড়া তিনি খুলনায় বসবাস করার সুবাদে সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়েও কাজ শুরু করেন। পরে আরও কয়েকটি খাদ্যপণ্য যুক্ত হয় তাঁর অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্ন ডানা’য়।
সন্তান বড় হলে চাকরি করার সুযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও কেন উদ্যোক্তা হলেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইলোরা বলেন, ‘আসলে আমার প্রথম সন্তান জন্মের পর ছেলে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলেকে নিয়ে এদিক-সেদিক ডাক্তারের কাছে ঘুরতে ঘুরতে আমার মাথা থেকে চাকরি করার চিন্তা দূর হয়ে যায়। একপর্যায়ে গিয়ে আমার সন্তান সুস্থ হলো। কিন্তু আমার জীবনের হতাশা কমল না। নিজে কিছু করতে না পারার দহনে আমি কষ্ট পাচ্ছিলাম। বছরের পর বছর হতাশায় ভুগতে ভুগতে চিন্তা করতে লাগলাম এমন কি কোনো কাজ আছে, যা করলে আমার সন্তানদের দেখাশোনা করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তখন ছোট বোনের পরামর্শে অনলাইনে পেজ তৈরি করি। প্রথমে বাচ্চাদের খাবার নিয়ে কাজ করার চিন্তা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতায় তা হয়ে ওঠেনি। এর পর এল করোনা মহামারি। এই করোনাকালে শুরু করলাম ‘স্বপ্ন ডানা’-এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা।’
ইলোরা ২০২০ সালের জুলাইয়ে ‘স্বপ্ন ডানা’ নামে অনলাইনে পেজ খোলেন। শুরুতে খুলনা ও কুষ্টিয়ার কুমারখালির বেডশিট ও লুঙ্গির কিছু ছবি সংগ্রহ করেন। এ কাজে কুষ্টিয়ার টেক্সটাইল মিল মালিকেরা বেশ সহযোগিতা করেন।
ইলোরার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা পেয়েছেন স্বামীর কাছ থেকে। বলা যায় ইলোরার অনলাইন ব্যবসার নেপথ্য নায়ক তাঁর স্বামী। এ ছাড়া ইলোরার বাবা-মা প্রতিনিয়ত মেয়েকে ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করে গেছেন। যেমন, মেয়ের জন্য বাবা এখনো নিয়মিত কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে কুরিয়ার করে দেন। ‘স্বপ্ন ডানা’-এর সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইলোরা বলেন, ‘মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। আসলে অনলাইন ব্যবসায় মাসে নির্দিষ্ট কোনো আয় থাকে না। বর্তমানে মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার বা ২৫ হাজার টাকা আয় হয়। আবার কোনো মাসে এর বেশিও আয় হয়।’
অনলাইন ব্যবসা করে সফল ইলোরা। নিজের মতো করে সময় নির্বাচন করে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসার কাজ। নিজের ব্যবসার পরিধি সম্পর্কে ইলোরা বলেন, ‘আমার বেশির ভাগ শ্রমিক ঋতুভিত্তিক। খেজুর গুড়ে দুজন, কুমড়ো বড়ি তিনজন, মধু সংগ্রহের জন্য তিনজন মৌয়াল আছেন। বাসায় একজন সাহায্যকারী আছেন। তাঁতপণ্য আমি এলাকার বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল ও তাঁতিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’
ইলোরার স্বপ্ন ডানা থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় খাদ্যপণ্য। তিনি বলেন, ‘ভেজালের এই যুগে খাঁটি পণ্য সরবরাহের চ্যালেঞ্জটা আমার কাছে খুব আনন্দের ছিল। খাদ্যপণ্যে মানুষের আস্থা পাওয়া খুব সহজ। একবার পণ্য ক্রেতার মন কেড়ে নিলে বারবার অর্ডার পাওয়া সম্ভব। এ কাজে আমার পরিশ্রম বেশি হলেও তৃপ্তি অনেক। আমার কাজের সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের শ্রম জড়িয়ে রয়েছে। কুমড়ো বড়ির কর্মী, মৌয়াল, গুড় বানানোর শ্রমিক, কুষ্টিয়ার কুমারখালির বেডশিট, লুঙ্গি, তোয়ালে তৈরির তাঁতি, অনেকেই জড়িত এ কাজে। স্বপ্ন ডানায় বিভিন্ন ধরনের আচার, চুইঝালের আচার, কুমড়ো বড়ি, হানি নাটস তৈরি করা হয়। এ ছাড়া নিজস্ব শ্রমিক দ্বারা তৈরি করা খেজুর গুড়, গোলপাতার গুড় তৈরি করা হয়।’
ইলোরা মনে করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের আরও এগিয়ে আসা উচিত। বললেন, ‘আসলে আমি মনে করি সমাজের প্রতিটি নারীর নিজস্ব একটি পরিচয় থাকা উচিত। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি সমাজে সম্মানজনক একটি অবস্থানের, যেখানে আমার কাজের মাধ্যমে আমাকে মানুষ জানবে, আমাকে চিনবে।’
তবে অনলাইন ব্যবসায় অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আশপাশের লোকজনদের অনেক নেগেটিভ মন্তব্য শুনতে হয়। পণ্যের সঠিক দাম পেতে কষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস একটি বড় সমস্যা। কুরিয়ারে বিভিন্ন পণ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে বেশ ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয় বলেও জানালেন ইলোরা।
স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে? ইলোরাও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে বলেন, ‘আমার আব্বু ছিলেন রং ও সুতা ব্যবসায়ী। আব্বুর সরলতা আব্বুকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দেয়নি। আমার ইচ্ছে আছে আমি ছোট্ট একটা কারখানা করব। সে কারখানাটা হবে লুঙ্গি ও তোয়ালের। আর কুমারখালির তাঁতপণ্য নিয়ে বড় কোনো শহরে একটি শো-রুম থাকবে।’
উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঘড়ির ধরাবাঁধা হিসাব নেই, নেই অন্য কোনো অযাচিত নিয়মের বেড়ি। আছে স্বপ্ন, আর আছে স্বপ্ন ডানা। সে ডানার জোরে উড়ছেন ইলোরা। কখনো উঁচুতে, কখনো একটু নিচ দিয়ে; কিন্তু স্বপ্ন ডানায় উড়তে আর কোনো বাধা নেই ইলোরার। কে এই ইলোরা? কী তাঁর গল্প তবে?
ইলোরা আফরোজ রিমু একজন নারী উদ্যোক্তা। পড়াশোনা শেষ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চাকরি পান একটি গার্মেন্টসের মানবসম্পদ বিভাগে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে। চাকরি করতে করতে পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর মধ্যে আগ্রহের জায়গা থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিজেকে শাণিত করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইএম) থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোর্স শেষ করেন।
এতে ইলোরার চাকরির দুয়ার যেন খুলে যায়। চাকরির একপর্যায়ে ইলোরার ঘর আলো করে আসে তাঁদের সন্তান। সন্তান লালন-পালনের পাশাপাশি চাকরি করা ইলোরার পক্ষে আর সম্ভব হলো না। এতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। যেখানে অন্যরা চাকরি পায় না, সেখানে চাকরি পেয়েও তা না করার যাতনা ইলোরাকে কুরে কুরে যন্ত্রণা দিত।
সন্তানদের কথা চিন্তা করে সংসারজীবনের একপর্যায়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ইলোরা মেলে ধরেন ‘স্বপ্ন ডানা’। এটি তাঁর উদ্যোগের নাম। অনলাইনেই শুরু হয় ‘স্বপ্ন ডানা’-এর যাত্রা। কাজ শুরু করেন নিজ এলাকা কুষ্টিয়ার কুমারখালির টেক্সটাইলের বেডশিট, বেডকভার, গামছা, লুঙ্গি নিয়ে। এ ছাড়া তিনি খুলনায় বসবাস করার সুবাদে সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়েও কাজ শুরু করেন। পরে আরও কয়েকটি খাদ্যপণ্য যুক্ত হয় তাঁর অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্ন ডানা’য়।
সন্তান বড় হলে চাকরি করার সুযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও কেন উদ্যোক্তা হলেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইলোরা বলেন, ‘আসলে আমার প্রথম সন্তান জন্মের পর ছেলে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলেকে নিয়ে এদিক-সেদিক ডাক্তারের কাছে ঘুরতে ঘুরতে আমার মাথা থেকে চাকরি করার চিন্তা দূর হয়ে যায়। একপর্যায়ে গিয়ে আমার সন্তান সুস্থ হলো। কিন্তু আমার জীবনের হতাশা কমল না। নিজে কিছু করতে না পারার দহনে আমি কষ্ট পাচ্ছিলাম। বছরের পর বছর হতাশায় ভুগতে ভুগতে চিন্তা করতে লাগলাম এমন কি কোনো কাজ আছে, যা করলে আমার সন্তানদের দেখাশোনা করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তখন ছোট বোনের পরামর্শে অনলাইনে পেজ তৈরি করি। প্রথমে বাচ্চাদের খাবার নিয়ে কাজ করার চিন্তা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতায় তা হয়ে ওঠেনি। এর পর এল করোনা মহামারি। এই করোনাকালে শুরু করলাম ‘স্বপ্ন ডানা’-এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা।’
ইলোরা ২০২০ সালের জুলাইয়ে ‘স্বপ্ন ডানা’ নামে অনলাইনে পেজ খোলেন। শুরুতে খুলনা ও কুষ্টিয়ার কুমারখালির বেডশিট ও লুঙ্গির কিছু ছবি সংগ্রহ করেন। এ কাজে কুষ্টিয়ার টেক্সটাইল মিল মালিকেরা বেশ সহযোগিতা করেন।
ইলোরার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা পেয়েছেন স্বামীর কাছ থেকে। বলা যায় ইলোরার অনলাইন ব্যবসার নেপথ্য নায়ক তাঁর স্বামী। এ ছাড়া ইলোরার বাবা-মা প্রতিনিয়ত মেয়েকে ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করে গেছেন। যেমন, মেয়ের জন্য বাবা এখনো নিয়মিত কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে কুরিয়ার করে দেন। ‘স্বপ্ন ডানা’-এর সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইলোরা বলেন, ‘মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। আসলে অনলাইন ব্যবসায় মাসে নির্দিষ্ট কোনো আয় থাকে না। বর্তমানে মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার বা ২৫ হাজার টাকা আয় হয়। আবার কোনো মাসে এর বেশিও আয় হয়।’
অনলাইন ব্যবসা করে সফল ইলোরা। নিজের মতো করে সময় নির্বাচন করে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসার কাজ। নিজের ব্যবসার পরিধি সম্পর্কে ইলোরা বলেন, ‘আমার বেশির ভাগ শ্রমিক ঋতুভিত্তিক। খেজুর গুড়ে দুজন, কুমড়ো বড়ি তিনজন, মধু সংগ্রহের জন্য তিনজন মৌয়াল আছেন। বাসায় একজন সাহায্যকারী আছেন। তাঁতপণ্য আমি এলাকার বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল ও তাঁতিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।’
ইলোরার স্বপ্ন ডানা থেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় খাদ্যপণ্য। তিনি বলেন, ‘ভেজালের এই যুগে খাঁটি পণ্য সরবরাহের চ্যালেঞ্জটা আমার কাছে খুব আনন্দের ছিল। খাদ্যপণ্যে মানুষের আস্থা পাওয়া খুব সহজ। একবার পণ্য ক্রেতার মন কেড়ে নিলে বারবার অর্ডার পাওয়া সম্ভব। এ কাজে আমার পরিশ্রম বেশি হলেও তৃপ্তি অনেক। আমার কাজের সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের শ্রম জড়িয়ে রয়েছে। কুমড়ো বড়ির কর্মী, মৌয়াল, গুড় বানানোর শ্রমিক, কুষ্টিয়ার কুমারখালির বেডশিট, লুঙ্গি, তোয়ালে তৈরির তাঁতি, অনেকেই জড়িত এ কাজে। স্বপ্ন ডানায় বিভিন্ন ধরনের আচার, চুইঝালের আচার, কুমড়ো বড়ি, হানি নাটস তৈরি করা হয়। এ ছাড়া নিজস্ব শ্রমিক দ্বারা তৈরি করা খেজুর গুড়, গোলপাতার গুড় তৈরি করা হয়।’
ইলোরা মনে করেন উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের আরও এগিয়ে আসা উচিত। বললেন, ‘আসলে আমি মনে করি সমাজের প্রতিটি নারীর নিজস্ব একটি পরিচয় থাকা উচিত। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি সমাজে সম্মানজনক একটি অবস্থানের, যেখানে আমার কাজের মাধ্যমে আমাকে মানুষ জানবে, আমাকে চিনবে।’
তবে অনলাইন ব্যবসায় অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আশপাশের লোকজনদের অনেক নেগেটিভ মন্তব্য শুনতে হয়। পণ্যের সঠিক দাম পেতে কষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস একটি বড় সমস্যা। কুরিয়ারে বিভিন্ন পণ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে বেশ ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয় বলেও জানালেন ইলোরা।
স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে? ইলোরাও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে বলেন, ‘আমার আব্বু ছিলেন রং ও সুতা ব্যবসায়ী। আব্বুর সরলতা আব্বুকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দেয়নি। আমার ইচ্ছে আছে আমি ছোট্ট একটা কারখানা করব। সে কারখানাটা হবে লুঙ্গি ও তোয়ালের। আর কুমারখালির তাঁতপণ্য নিয়ে বড় কোনো শহরে একটি শো-রুম থাকবে।’
উদ্যোক্তা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১৬ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী জেনট্রি বিচ। তিনি জ্বালানি, অর্থনীতি ও অন্যান্য কয়েকটি খাতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে