আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে বিভিন্ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ৪০০। সব কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এক নয়। এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফাও তাই সমান হয় না। সাধারণত তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বিদ্যমান নিয়মে কে কত লভ্যাংশ দিল, তার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে অবস্থান শ্রেণীকরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দিলে ‘এ’, ১০ শতাংশের কম দিলে ‘বি’ এবং কোনো লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সম্প্রতি দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে চলে আসা এই নিয়মের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা দাবি করছেন, প্রচলিত এই নিয়মে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। ফলে শ্রেণীকরণ করা কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এতে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে না। একই কারণে অনেক দুর্বল কোম্পানিও ভালো কোম্পানির সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে আর্থিকভাবে অনেক দুর্বল কোম্পানিও মৌলভিত্তিসম্পন্ন ভালো কোম্পানির সঙ্গে একই শ্রেণিতে অবস্থানের সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছে। এমনকি দুর্বল কোম্পানি ভালো কোম্পানির ওপরের শ্রেণিতেও জায়গা করে নিচ্ছে। এভাবে খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগের জন্যও মার্জিন ঋণসুবিধা মিলছে। ফলে খারাপ শেয়ারের বিনিয়োগ বাড়ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজারের জন্য অশনিসংকেত।
এ পরিস্থিতিতে লভ্যাংশের ভিত্তিতে কোম্পানির শেয়ার শ্রেণিবদ্ধ করার পদ্ধতি সংস্কারের জোরালো আওয়াজ তুলেছেন পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টদের ওই অংশ। একই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন এই শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে কোম্পানির ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা, মূলধনের আকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার। পাশাপাশি শেয়ারের বিপরীতে মার্জিন ঋণের জন্য পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ, বি, জেড শ্রেণির পরিবর্তে কোম্পানিগুলোকে বড় মূলধনি, মাঝারি মূলধনি এবং স্বল্প মূলধনি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে; যা থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো শেয়ারের ধারণা পাবেন।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, লভ্যাংশের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণি নির্ধারণের মতো বাজারের এ রকম অনেক বাস্তবতাবিবর্জিত নিয়ম, আইন, রেগুলেশন, ডিরেক্টিভ ইত্যাদি আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।
অসংগতির বড় উদাহরণ হলো রবি আজিয়াটা ও জাহিন স্পিনিং। ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের আগে বহুজাতিক কোম্পানি রবি ছিল বি শ্রেণিতে। বিপরীতে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে একই শ্রেণি ধরে রেখেছিল জাহিন স্পিনিং।
অথচ আর্থিক সক্ষমতায় রবির তুলনায় যোজন যোজন পিছিয়ে জাহিন স্পিনিং। যদিও রবির আর্থিক হিসাবের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুসরণ করা হয়। বিপরীতে জাহিন স্পিনিংয়ের আর্থিক হিসাবে রয়েছে বিভিন্ন অসংগতি।
পুঁজিবাজারে বিভিন্ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ৪০০। সব কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এক নয়। এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফাও তাই সমান হয় না। সাধারণত তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বিদ্যমান নিয়মে কে কত লভ্যাংশ দিল, তার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে অবস্থান শ্রেণীকরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দিলে ‘এ’, ১০ শতাংশের কম দিলে ‘বি’ এবং কোনো লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সম্প্রতি দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে চলে আসা এই নিয়মের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা দাবি করছেন, প্রচলিত এই নিয়মে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। ফলে শ্রেণীকরণ করা কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা এতে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে না। একই কারণে অনেক দুর্বল কোম্পানিও ভালো কোম্পানির সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে আর্থিকভাবে অনেক দুর্বল কোম্পানিও মৌলভিত্তিসম্পন্ন ভালো কোম্পানির সঙ্গে একই শ্রেণিতে অবস্থানের সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছে। এমনকি দুর্বল কোম্পানি ভালো কোম্পানির ওপরের শ্রেণিতেও জায়গা করে নিচ্ছে। এভাবে খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগের জন্যও মার্জিন ঋণসুবিধা মিলছে। ফলে খারাপ শেয়ারের বিনিয়োগ বাড়ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে পুঁজিবাজারের জন্য অশনিসংকেত।
এ পরিস্থিতিতে লভ্যাংশের ভিত্তিতে কোম্পানির শেয়ার শ্রেণিবদ্ধ করার পদ্ধতি সংস্কারের জোরালো আওয়াজ তুলেছেন পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টদের ওই অংশ। একই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন এই শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে কোম্পানির ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা, মূলধনের আকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার। পাশাপাশি শেয়ারের বিপরীতে মার্জিন ঋণের জন্য পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশেকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ, বি, জেড শ্রেণির পরিবর্তে কোম্পানিগুলোকে বড় মূলধনি, মাঝারি মূলধনি এবং স্বল্প মূলধনি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে; যা থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো শেয়ারের ধারণা পাবেন।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, লভ্যাংশের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণি নির্ধারণের মতো বাজারের এ রকম অনেক বাস্তবতাবিবর্জিত নিয়ম, আইন, রেগুলেশন, ডিরেক্টিভ ইত্যাদি আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে।
অসংগতির বড় উদাহরণ হলো রবি আজিয়াটা ও জাহিন স্পিনিং। ২০২৩ সালের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের আগে বহুজাতিক কোম্পানি রবি ছিল বি শ্রেণিতে। বিপরীতে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে একই শ্রেণি ধরে রেখেছিল জাহিন স্পিনিং।
অথচ আর্থিক সক্ষমতায় রবির তুলনায় যোজন যোজন পিছিয়ে জাহিন স্পিনিং। যদিও রবির আর্থিক হিসাবের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুসরণ করা হয়। বিপরীতে জাহিন স্পিনিংয়ের আর্থিক হিসাবে রয়েছে বিভিন্ন অসংগতি।
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
১ দিন আগে