Ajker Patrika

এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকের একাদশ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজিএমে ২০২৩ সালের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা।

সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ডাইরেক্টরস রিপোর্ট, পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়োগ-পুনর্নিয়োগ, নিরীক্ষক নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় সশরীরে ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডাররা অংশ নেন। 

সভায় ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার, খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রাদ মজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশিদ, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকের আমানত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ১৬ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। বছর শেষে পরিচালন মুনাফা ৩৫৬ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর ব্যাংকটির মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা এবং রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ১৯২ কোটি টাকা ও রেমিট্যান্স এসেছে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 

এজিএমে অংশ নেওয়া সব পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে নারী, প্রশিক্ষিত যুবা ও বিভিন্ন পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষিত যুবাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনা জামানতে সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। শহরমুখী কমাতে এবং মহাজনী সুদ থেকে মুক্তি দিতে ক্ষুদ্রঋণের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’ 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সব আর্থিক সূচকে এগিয়ে আছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য। গ্রামীণ বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের জন্য অধিকাংশ শাখা-উপশাখা ও বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে; যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ 

উপশাখার ধারণার প্রবর্তক এনআরবিসি ব্যাংকের সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দেড় সহস্রাধিক। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ শাখা ১০৬টি ও উপশাখার সংখ্যা ৬৯০ টি। এনআরবিসি ব্যাংক বিআরটিএর ফি গ্রহণ, ভূমি নিবন্ধন ফি আদায় করছে। এ ছাড়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৬০০টি এজেন্ট পয়েন্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত