Ajker Patrika

এখন থেকে শুধু নগদে বিতরণ হবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা

এখন থেকে শুধু নগদে বিতরণ হবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা

এখন থেকে একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে। রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং নগদ লিমিটেডের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে এই ভাতা বিতরণ করবে। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) স্মৃতি কর্মকার। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব এবং নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম। 

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সহায়তার জন্য এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নেন। যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই ভাতা বিতরণ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও। সে সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত এই ভাতার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিতরণ হতো নগদের মাধ্যমে। তবে এখানে অন্য মোবাইল আর্থিক সেবাও দায়িত্ব পালন করত। এবারের চুক্তির ফলে এমএফএসগুলোর মধ্যে নগদ এককভাবে এই ভাতা বিতরণ করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করায় নগদের সাফল্যের কারণেই ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাকে একক দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া একাধিক মোবাইল আর্থিক সেবাকে দায়িত্ব দিলে হিসাব রাখা জটিল হয় এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় না বলে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে তাঁরা বেছে নিয়েছে। 

নগদের সঙ্গে এই চুক্তি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই ট্রাস্ট যেভাবে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয়, তা যেন স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ এখন সফলভাবে ডিজিটাল হয়েছে। সে জন্য আমরা সব সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে চাই। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সরকারের সঙ্গে মিলে ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছে। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করছে। সে জন্যই নগদের ওপর আস্থা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।’ 

অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘নগদ শুধু ব্যবসা করার জন্য কাজ করে না। সরকারের অংশীদার হিসেবে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। এর অংশ হিসেবে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা সাফল্যের সঙ্গে বিতরণ করছে নগদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণের জন্য একমাত্র এমএফএস হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’ 

করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে নগদ ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করে। এরপর সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে তাঁদের দারুণ স্বচ্ছতা ও সাফল্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উৎসাহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাণিজ্য সমঝোতায় তোড়জোড়: মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এই বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চেষ্টা করছে, যেন তাদের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র না হয়। পাশাপাশি দুই দেশই চাইছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠকটি যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, পাশাপাশি আরও কিছু বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারি করবেন। সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাস থেকে চার দফা আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা শীতিল হয়েছে।

আজ শনিবার কুয়ালালামপুরের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন মারদেকা-১১৮ টাওয়ারে প্রথম দিনের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হে লিফেং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্থান ত্যাগ করেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আলোচনা খুবই গঠনমূলক ছিল। আগামীকাল সকালে আবার আলোচনা হবে। তবে মালয়েশীয় সরকার ও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনার অগ্রগতি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জানা গেছে, দুই দেশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এপেক সম্মেলনে একটি বৈঠক নিশ্চিত করতে। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে—শুল্কে ছাড়, প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি সহজ করা এবং চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কেনা আবার চালু করা।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এয়ারফোর্স ওয়ানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সফরে তাঁর আরও গন্তব্য রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর।

কুয়ালালামপুরে আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে—চীন সয়াবিন কেনা বন্ধ করায় আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অবস্থান, যেটি চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ ট্রাম্প জানান, তিনি তাইওয়ান সফরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন /আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৫
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ডানে) ও শিল্পপতি গৌতম আদানি (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ডানে) ও শিল্পপতি গৌতম আদানি (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।

পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।

আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।

মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।

এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের আগাম সবজি, কমছে দামও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ১৮
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মিলছে শীতের আগাম সবজি। গতকাল মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মিলছে শীতের আগাম সবজি। গতকাল মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।

গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।

পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।

অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।

সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।

এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: বিমা সুবিধা পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

  • মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়
  • বিমান থেকে পণ্য আনলোডের পর আর কোনো সুরক্ষা থাকে না
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৯
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লেগেছে আগুন। এতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা। গত শনিবার  ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লেগেছে আগুন। এতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা। গত শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’

রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’

একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।

সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’

আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’

বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত