নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সোবহানবাগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছিলেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুই কর্মী। শুধু এই দুজন নয়, প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শতাধিক কর্মী তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কিছু কর্মীকে ঈদুল আজহার আগে বেতন দেওয়া হলেও বোনাস পাননি কেউই। বেতন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইভ্যালির এক কর্মী জানান, করোনার মধ্যে চাকরি সংকটের কথা ভেবে তিন মাস বেতন বন্ধ থাকার পরও আমরা মুখ খুলছি না। একদিন হয়তো সব টাকা বুঝে পাব এই আশায় আছি।
ওই কর্মী জানান, তিন মাসের বেতনের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকাও আটকে আছে তাঁর। গত এপ্রিলে বাইক অর্ডার করেছিলেন। তারপরও বেতনের দাবিতে তিনি সরব হচ্ছেন না, কারণ অফিস থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বললে প্রতিষ্ঠান আরও ঝামেলায় পড়ে যাবে। তখন সবকিছুই হারাতে হবে।
বেতন বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। খুদেবার্তারও জবাব মেলেনি।
প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তাই বেতন নিয়ে কথা বলতে চাননি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কতজন কর্মী আছেন, সেই তথ্যও জানাতে পারেননি কেউ। ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
জনসংযোগ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, কর্মিসংখ্যা বা বেতনের বিষয় মানবসম্পদ বিভাগ জানে, এটা তাঁর জানা নেই। কিন্তু মানবসম্পদ বিভাগও এ ব্যাপারে তথ্য দিতে পারেনি। জনসংযোগ বিভাগে লিখিত আকারে সমস্ত প্রশ্ন পাঠিয়েও উত্তর মেলেনি।
ইভ্যালির কয়েকজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, শুধু বেতন নয়, বিনিয়োগের টাকাও আটকে আছে কর্মীদের। বকেয়া মেটাতে না পেরে অফিস এখন কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ খুঁজছে। দীর্ঘদিন হোম অফিসে থাকার পর গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাঁদের বলা হয়, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে অফিসে উপস্থিত না হলে কারও চাকরি থাকবে না। এ নির্দেশনা পেয়ে কর্মীরা হন্তদন্ত হয়ে অফিসে হাজির হন। তাঁরা আশা করেছিলেন হয়তো আটকে থাকা বেতনটা দেওয়া হবে। তবে সেই আশা কারোরই পূরণ হয়নি।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে এসি, টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করে ইভ্যালি। স্বল্প মূল্যে এসব পণ্য সরবরাহের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়ার পাশাপাশি ৪৫ কর্মদিবসের আগাম সময়ও নিত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পরে অভিযোগ ওঠে, কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইভ্যালি। এরপর বিভিন্ন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ জুলাই ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
সোবহানবাগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছিলেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুই কর্মী। শুধু এই দুজন নয়, প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শতাধিক কর্মী তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কিছু কর্মীকে ঈদুল আজহার আগে বেতন দেওয়া হলেও বোনাস পাননি কেউই। বেতন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইভ্যালির এক কর্মী জানান, করোনার মধ্যে চাকরি সংকটের কথা ভেবে তিন মাস বেতন বন্ধ থাকার পরও আমরা মুখ খুলছি না। একদিন হয়তো সব টাকা বুঝে পাব এই আশায় আছি।
ওই কর্মী জানান, তিন মাসের বেতনের সঙ্গে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকাও আটকে আছে তাঁর। গত এপ্রিলে বাইক অর্ডার করেছিলেন। তারপরও বেতনের দাবিতে তিনি সরব হচ্ছেন না, কারণ অফিস থেকে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বললে প্রতিষ্ঠান আরও ঝামেলায় পড়ে যাবে। তখন সবকিছুই হারাতে হবে।
বেতন বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের। ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। খুদেবার্তারও জবাব মেলেনি।
প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তাই বেতন নিয়ে কথা বলতে চাননি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কতজন কর্মী আছেন, সেই তথ্যও জানাতে পারেননি কেউ। ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
জনসংযোগ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, কর্মিসংখ্যা বা বেতনের বিষয় মানবসম্পদ বিভাগ জানে, এটা তাঁর জানা নেই। কিন্তু মানবসম্পদ বিভাগও এ ব্যাপারে তথ্য দিতে পারেনি। জনসংযোগ বিভাগে লিখিত আকারে সমস্ত প্রশ্ন পাঠিয়েও উত্তর মেলেনি।
ইভ্যালির কয়েকজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, শুধু বেতন নয়, বিনিয়োগের টাকাও আটকে আছে কর্মীদের। বকেয়া মেটাতে না পেরে অফিস এখন কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ খুঁজছে। দীর্ঘদিন হোম অফিসে থাকার পর গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাঁদের বলা হয়, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে অফিসে উপস্থিত না হলে কারও চাকরি থাকবে না। এ নির্দেশনা পেয়ে কর্মীরা হন্তদন্ত হয়ে অফিসে হাজির হন। তাঁরা আশা করেছিলেন হয়তো আটকে থাকা বেতনটা দেওয়া হবে। তবে সেই আশা কারোরই পূরণ হয়নি।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে এসি, টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করে ইভ্যালি। স্বল্প মূল্যে এসব পণ্য সরবরাহের জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়ার পাশাপাশি ৪৫ কর্মদিবসের আগাম সময়ও নিত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পরে অভিযোগ ওঠে, কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ইভ্যালি। এরপর বিভিন্ন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ জুলাই ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
চট্টগ্রাম বন্দর চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতায় চমক সৃষ্টি করেছে। এখনো ১৩ দিন বাকি থাকতেই, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৬ জুন পর্যন্ত হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬০ টিইইউস, যা আগের বছরের পুরো হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেবিদেশি এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের বিল পরিশোধে নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এ ধরনের লেনদেনে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমতি নিতে হবে না।
৯ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া। ভালো দামের প্রত্যাশায় বিক্রেতারা আশাবাদী; আর আড়তদারেরা বলছেন, বাজারে চাহিদা এখন বেশ ভালো। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া নিয়ে ব্যাপারীরা রাতের গাড়িতে রওনা দিয়েছেন রাজধানীর দিকে।
৯ ঘণ্টা আগেমোংলা বন্দরে খালাস চলছে ভারত থেকে আমদানি করা ৩২ হাজার ৫৯৩ টন সরকারি চাল। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বন্দরের হাড়বাড়িয়া-১-এ অবস্থানরত এমভি হোয়াং এনহ-০৯ এবং বেসক্রিক-৫ নম্বরে থাকা এমভি ট্রাংক এন-০৮ নামক দুটি জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে