
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) টিম।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন শুভাশীষ চক্রবর্তী, মাশরিফ হাসান আদিব ও আবির এরশাদ। প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) টিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) টিম।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে যে সব ব্যক্তিরা জুরি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে মূল্যায়ন করেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ইউবিএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মিনহাজ।
বিজমায়েস্ট্রোজের মাধ্যমে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সত্যিকারের ব্যবসায়ের কেস স্টাডি সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পান। এই প্রতিযোগিতার তিনটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক পর্বের মধ্যে প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি দল অনলাইনে তাঁদের আবেদন পাঠায়। দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ৩০টি দল ইউবিএলের সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায়। আরও দুটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক রাউন্ডের মধ্য দিয়ে পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে বাছাই করা হয়েছে।
ফাইনাল ইভেন্টে যে পাঁচ টিম অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএয়ের একটি টিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (এফবিএস) একটি টিম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দুটি টিম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) একটি টিম।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ (এফএলএল)-২০২৪ এর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে প্রতিযোগিতায় জয়ী চ্যাম্পিয়ন টিম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
চলতি বছর বিজমায়েস্ট্রোজের থিম ছিল ‘ইনোভেটিং ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’, যা স্থায়িত্বের বিষয়টি মনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের ইউনিলিভারের নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের জন্য বিজনেস কেস তৈরির চ্যালেঞ্জ দেয়। কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগের জন্য তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, বিজমায়েস্ট্রোজ অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ বা পরামর্শ এবং প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডের মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৫ টিমের সদস্যরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এ ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘এই বছর বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতায় জুরি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশি তরুণদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের নিরাপত্তায় যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সে উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাত-সকলকেই সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এ বছরের ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ের মূলে রয়েছে জনগণ এবং টেকসই ব্যবসায়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা তরুণদের আরও ভালো ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন ও আরও ভালো একটি পৃথিবী বিনির্মাণে দক্ষ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মক্ষেত্রের পরিধি পাল্টাচ্ছে, এ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন ঘটাতে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নতুন ক্যারিয়ার অথবা কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে তরুণদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনালিস্টদের বিজনেস কেসগুলো শুনতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁদের কাছে অসাধারণ বিজনেস সল্যুশন্স রয়েছে এবং টিমের প্রত্যেক তরুণ অত্যন্ত উদ্যমী। এ ছাড়া নিজেদের আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে রয়েছে। ঠিক কী ধরনের সমস্যার সমাধান তাঁরা করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল।’
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, ‘ইউনিলিভার প্রায় দেড় দশক ধরে বিজমায়েস্ট্রোজ এর মতো একটি সুপরিচিত গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মকে সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানের জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে সত্যিকারের পেশাজীবনে প্রবেশের আগে তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) টিম।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন শুভাশীষ চক্রবর্তী, মাশরিফ হাসান আদিব ও আবির এরশাদ। প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) টিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) টিম।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে যে সব ব্যক্তিরা জুরি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে মূল্যায়ন করেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ইউবিএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মিনহাজ।
বিজমায়েস্ট্রোজের মাধ্যমে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সত্যিকারের ব্যবসায়ের কেস স্টাডি সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পান। এই প্রতিযোগিতার তিনটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক পর্বের মধ্যে প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি দল অনলাইনে তাঁদের আবেদন পাঠায়। দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ৩০টি দল ইউবিএলের সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায়। আরও দুটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক রাউন্ডের মধ্য দিয়ে পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে বাছাই করা হয়েছে।
ফাইনাল ইভেন্টে যে পাঁচ টিম অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএয়ের একটি টিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (এফবিএস) একটি টিম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দুটি টিম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) একটি টিম।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ (এফএলএল)-২০২৪ এর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে প্রতিযোগিতায় জয়ী চ্যাম্পিয়ন টিম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
চলতি বছর বিজমায়েস্ট্রোজের থিম ছিল ‘ইনোভেটিং ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’, যা স্থায়িত্বের বিষয়টি মনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের ইউনিলিভারের নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের জন্য বিজনেস কেস তৈরির চ্যালেঞ্জ দেয়। কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগের জন্য তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, বিজমায়েস্ট্রোজ অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ বা পরামর্শ এবং প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডের মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৫ টিমের সদস্যরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এ ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘এই বছর বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতায় জুরি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশি তরুণদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের নিরাপত্তায় যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সে উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাত-সকলকেই সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এ বছরের ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ের মূলে রয়েছে জনগণ এবং টেকসই ব্যবসায়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা তরুণদের আরও ভালো ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন ও আরও ভালো একটি পৃথিবী বিনির্মাণে দক্ষ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মক্ষেত্রের পরিধি পাল্টাচ্ছে, এ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন ঘটাতে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নতুন ক্যারিয়ার অথবা কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে তরুণদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনালিস্টদের বিজনেস কেসগুলো শুনতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁদের কাছে অসাধারণ বিজনেস সল্যুশন্স রয়েছে এবং টিমের প্রত্যেক তরুণ অত্যন্ত উদ্যমী। এ ছাড়া নিজেদের আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে রয়েছে। ঠিক কী ধরনের সমস্যার সমাধান তাঁরা করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল।’
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, ‘ইউনিলিভার প্রায় দেড় দশক ধরে বিজমায়েস্ট্রোজ এর মতো একটি সুপরিচিত গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মকে সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানের জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে সত্যিকারের পেশাজীবনে প্রবেশের আগে তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) টিম।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন শুভাশীষ চক্রবর্তী, মাশরিফ হাসান আদিব ও আবির এরশাদ। প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) টিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) টিম।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে যে সব ব্যক্তিরা জুরি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে মূল্যায়ন করেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ইউবিএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মিনহাজ।
বিজমায়েস্ট্রোজের মাধ্যমে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সত্যিকারের ব্যবসায়ের কেস স্টাডি সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পান। এই প্রতিযোগিতার তিনটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক পর্বের মধ্যে প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি দল অনলাইনে তাঁদের আবেদন পাঠায়। দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ৩০টি দল ইউবিএলের সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায়। আরও দুটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক রাউন্ডের মধ্য দিয়ে পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে বাছাই করা হয়েছে।
ফাইনাল ইভেন্টে যে পাঁচ টিম অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএয়ের একটি টিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (এফবিএস) একটি টিম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দুটি টিম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) একটি টিম।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ (এফএলএল)-২০২৪ এর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে প্রতিযোগিতায় জয়ী চ্যাম্পিয়ন টিম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
চলতি বছর বিজমায়েস্ট্রোজের থিম ছিল ‘ইনোভেটিং ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’, যা স্থায়িত্বের বিষয়টি মনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের ইউনিলিভারের নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের জন্য বিজনেস কেস তৈরির চ্যালেঞ্জ দেয়। কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগের জন্য তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, বিজমায়েস্ট্রোজ অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ বা পরামর্শ এবং প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডের মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৫ টিমের সদস্যরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এ ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘এই বছর বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতায় জুরি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশি তরুণদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের নিরাপত্তায় যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সে উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাত-সকলকেই সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এ বছরের ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ের মূলে রয়েছে জনগণ এবং টেকসই ব্যবসায়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা তরুণদের আরও ভালো ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন ও আরও ভালো একটি পৃথিবী বিনির্মাণে দক্ষ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মক্ষেত্রের পরিধি পাল্টাচ্ছে, এ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন ঘটাতে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নতুন ক্যারিয়ার অথবা কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে তরুণদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনালিস্টদের বিজনেস কেসগুলো শুনতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁদের কাছে অসাধারণ বিজনেস সল্যুশন্স রয়েছে এবং টিমের প্রত্যেক তরুণ অত্যন্ত উদ্যমী। এ ছাড়া নিজেদের আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে রয়েছে। ঠিক কী ধরনের সমস্যার সমাধান তাঁরা করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল।’
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, ‘ইউনিলিভার প্রায় দেড় দশক ধরে বিজমায়েস্ট্রোজ এর মতো একটি সুপরিচিত গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মকে সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানের জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে সত্যিকারের পেশাজীবনে প্রবেশের আগে তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) টিম।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন শুভাশীষ চক্রবর্তী, মাশরিফ হাসান আদিব ও আবির এরশাদ। প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) টিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) টিম।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে যে সব ব্যক্তিরা জুরি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে মূল্যায়ন করেন তাঁরা হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ইউবিএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মিনহাজ।
বিজমায়েস্ট্রোজের মাধ্যমে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সত্যিকারের ব্যবসায়ের কেস স্টাডি সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পান। এই প্রতিযোগিতার তিনটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক পর্বের মধ্যে প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০টি দল অনলাইনে তাঁদের আবেদন পাঠায়। দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ৩০টি দল ইউবিএলের সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায়। আরও দুটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক রাউন্ডের মধ্য দিয়ে পাঁচ ফাইনালিস্ট টিমকে বাছাই করা হয়েছে।
ফাইনাল ইভেন্টে যে পাঁচ টিম অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএয়ের একটি টিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (এফবিএস) একটি টিম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দুটি টিম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) একটি টিম।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিলিভার ফিউচার লিডার্স লিগ (এফএলএল)-২০২৪ এর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে প্রতিযোগিতায় জয়ী চ্যাম্পিয়ন টিম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
চলতি বছর বিজমায়েস্ট্রোজের থিম ছিল ‘ইনোভেটিং ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট’, যা স্থায়িত্বের বিষয়টি মনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের ইউনিলিভারের নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের জন্য বিজনেস কেস তৈরির চ্যালেঞ্জ দেয়। কর্মসংস্থান ও শিল্পোদ্যোগের জন্য তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, বিজমায়েস্ট্রোজ অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ বা পরামর্শ এবং প্রতিযোগিতার বিভিন্ন রাউন্ডের মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ব্র্যান্ডগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৫ টিমের সদস্যরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এ ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘এই বছর বিজমায়েস্ট্রোজ প্রতিযোগিতায় জুরি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশি তরুণদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বের নিরাপত্তায় যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সে উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাত-সকলকেই সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এ বছরের ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ের মূলে রয়েছে জনগণ এবং টেকসই ব্যবসায়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা তরুণদের আরও ভালো ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন ও আরও ভালো একটি পৃথিবী বিনির্মাণে দক্ষ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মক্ষেত্রের পরিধি পাল্টাচ্ছে, এ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন ঘটাতে এবং শেষ পর্যন্ত একটি নতুন ক্যারিয়ার অথবা কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে তরুণদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বিজমায়েস্ট্রোজ ফাইনালিস্টদের বিজনেস কেসগুলো শুনতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁদের কাছে অসাধারণ বিজনেস সল্যুশন্স রয়েছে এবং টিমের প্রত্যেক তরুণ অত্যন্ত উদ্যমী। এ ছাড়া নিজেদের আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মতো তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের মধ্যে রয়েছে। ঠিক কী ধরনের সমস্যার সমাধান তাঁরা করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা ছিল।’
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, ‘ইউনিলিভার প্রায় দেড় দশক ধরে বিজমায়েস্ট্রোজ এর মতো একটি সুপরিচিত গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মকে সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধানের জন্য এটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে সত্যিকারের পেশাজীবনে প্রবেশের আগে তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়।’

আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
২ দিন আগে
ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল...
২ দিন আগে
সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন। বার্ষিক কার্যক্রম ও সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন সেক্রেটারি জেনারেল এলিন ববি। ট্রেজারার মোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন খান ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অ্যাডমিন) রেজাউল করীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাছেত, ভাইস প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) জয়নাল আবেদীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি (অ্যাডমিন) শরিফুল আনোয়ার, জয়েন্ট সেক্রেটারি (ফিন্যান্স) মো. জারাফাত ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি (একাডেমিক) প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা মাসুদ।
সভা সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর মুহাম্মদ ওমর সিদ্দিক ও মোহাম্মদ হেদায়েতুল হাসান এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. আলমগীর। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. মেহেদী হাসান, মো. মোজাহারুল ইসলাম, মো. আসাদ-উজ-জামান, এস এম পারভেজ রানা, মো. ওয়াহিদ মুরাদ, এস এম সাজ্জাদ হোসেন, নিমাই চন্দ্র মণ্ডল, আমিমুল ইহসান, মো. মানিরুল ইসলাম, মো. মারুফ হোসেইন, বায়েজীদ হাসান ভূঞাঁ, মো. তানভিদুল ইসলাম, এস কে হুমায়ন কবীর, মো. মাহফুজ ইসলাম, হাসান আল মনসুর, মোহাম্মদ শফিউদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া সোসাইটির নিয়মিত সদস্যরাও সভায় অংশ নেন।
সভার আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল—
১. ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন।
২. ২০২৫ সালের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিটর নিয়োগ ও নিরীক্ষা ফি নির্ধারণ।
৩. বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সংবিধান পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা।
এই সভার মাধ্যমে সোসাইটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন। বার্ষিক কার্যক্রম ও সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন সেক্রেটারি জেনারেল এলিন ববি। ট্রেজারার মোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন খান ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অ্যাডমিন) রেজাউল করীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাছেত, ভাইস প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) জয়নাল আবেদীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি (অ্যাডমিন) শরিফুল আনোয়ার, জয়েন্ট সেক্রেটারি (ফিন্যান্স) মো. জারাফাত ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি (একাডেমিক) প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা মাসুদ।
সভা সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর মুহাম্মদ ওমর সিদ্দিক ও মোহাম্মদ হেদায়েতুল হাসান এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মো. আলমগীর। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. মেহেদী হাসান, মো. মোজাহারুল ইসলাম, মো. আসাদ-উজ-জামান, এস এম পারভেজ রানা, মো. ওয়াহিদ মুরাদ, এস এম সাজ্জাদ হোসেন, নিমাই চন্দ্র মণ্ডল, আমিমুল ইহসান, মো. মানিরুল ইসলাম, মো. মারুফ হোসেইন, বায়েজীদ হাসান ভূঞাঁ, মো. তানভিদুল ইসলাম, এস কে হুমায়ন কবীর, মো. মাহফুজ ইসলাম, হাসান আল মনসুর, মোহাম্মদ শফিউদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়া সোসাইটির নিয়মিত সদস্যরাও সভায় অংশ নেন।
সভার আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল—
১. ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন।
২. ২০২৫ সালের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিটর নিয়োগ ও নিরীক্ষা ফি নির্ধারণ।
৩. বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সংবিধান পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা।
এই সভার মাধ্যমে সোসাইটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে
১৬ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
২ দিন আগে
ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল...
২ দিন আগে
সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে।
২ দিন আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (সার্টিফিকেশন মার্কস উইং) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইভ বেকারির সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে আমরা এগুলোর হিসাব রাখতে পারছি না। কোনোরকম একটা ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করেই উৎপাদন শুরু করছে এগুলো। আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এতগুলো প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ করে দিতে পারি না। আমাদের লোকবলের সংকট থাকায় যতটা কাজ করার দরকার, তা করতে পারছি না।’
অল্প জায়গায় স্বল্প পুঁজিতে গড়া যায় বলে রাজধানীতে লাইভ বেকারির সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। মুগদা থানাধীন পূর্ব মানিকনগরে ঢোকার মুখ থেকে খালপাড় নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৮০০ মিটারের মধ্যে ৫টি লাইভ বেকারি দেখা যায়। শুধু মানিকনগর নয়; রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুরসহ প্রায় সব এলাকার বাজার, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে শত শত লাইভ বেকারি।
ছোট একটি দোকানে ওভেন, মিক্সচার মেশিন, ট্রে টেবিল ও কিছু আসবাব বসিয়ে এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, পেটিস, টোস্ট, মিষ্টিসহ নানা খাদ্যপণ্য।
ঝিগাতলার সোনালী ব্যাংকসংলগ্ন ‘বেকার্স বে’ লাইভ বেকারি থেকে দুটি চিজ রোল ও একটি চিকেন রোল কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদ। কীভাবে মান যাচাই করবেন, তা জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় খাদ্যপণ্য কিনি স্বাদ দেখে। আর যে চিজ রোল আমি ৪০ টাকায় কিনলাম, এটি ভালো কোনো দোকানে গেলে ৭০-৮০ টাকা লাগবে।’
পূর্ব মানিকনগরের খালিস বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের বলেন, ‘ভালো লাভের আশা দিয়ে আরেক বেকারির মালিক আমারে এই ব্যবসায় নামিয়েছে। কিছু টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করেছি। দেড় বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কিছু কিছু লাভ হতো। কয়েক মাসের মধ্যে আশপাশে বেকারির সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এখন লোকসানে আছি।’
লাইসেন্স নেই অনেকেরই
প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা স্থাপন করতে হয়। তারপর নমুনা পণ্য উৎপাদন করে মান সনদের জন্য বিএসটিআইতে জমা দিতে হয়। এর জন্য হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প-নকশা বা ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত ফটোকপি, ভ্যাট সনদ, প্রিমিসেস লাইসেন্স, কর্মচারীর স্বাস্থ্য সনদ, পণ্যের মোড়কের নকশার কাগজসহ বেশ কিছু নথি দরকার হয়। জানাতে হয় কালার, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল সুইটনারসহ পণ্যের উপকরণ। পরীক্ষণের যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার লে-আউট ও প্রসেস ফ্লো-চার্ট। এরপর পরিদর্শকেরা কারখানা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হলে মেলে মান সনদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না। অনেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসায় নেমে পড়েন। কারও কারও তা-ও নেই। মানসনদ নেই সিংহভাগের। কারিগরদের নেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, স্যানিটেশন সনদ।
বুয়েটের উদ্যোগে ২০২১ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৬৭ শতাংশ পাউরুটির নমুনায় নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ব্রোমেট রয়েছে। পাউরুটি ফোলাতে এই রাসায়নিকট ব্যবহার হয়। এ ছাড়া বেকারি পণ্যে কাঁচামাল আটার সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট, কৃত্রিম রং ও সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও ওই গবেষণায় বলা হয়।
রাজধানীতে কতটি লাইভ বেকারি রয়েছে, তার কোনো তথ্য নেই সিটি করপোরেশন, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই। বিএসটিআইয়ের তথ্য বলছে, শত শত বেকারির মধ্যে মাত্র ২৭টির মান সনদ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘এসব ট্রেড লাইসেন্স করপোরেশনের জোনগুলো থেকে দেওয়া হয়। কতটি লাইসেন্স হয়েছে, আমাদের কাছে সে তথ্য নেই।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, মানহীন এসব পণ্যে সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। যারা আইন মেনে উৎপাদন করবে না, তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। দু-একটি বন্ধ করলে বাকিগুলো ঠিক হয়ে যেত।

রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (সার্টিফিকেশন মার্কস উইং) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইভ বেকারির সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে আমরা এগুলোর হিসাব রাখতে পারছি না। কোনোরকম একটা ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করেই উৎপাদন শুরু করছে এগুলো। আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এতগুলো প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ করে দিতে পারি না। আমাদের লোকবলের সংকট থাকায় যতটা কাজ করার দরকার, তা করতে পারছি না।’
অল্প জায়গায় স্বল্প পুঁজিতে গড়া যায় বলে রাজধানীতে লাইভ বেকারির সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। মুগদা থানাধীন পূর্ব মানিকনগরে ঢোকার মুখ থেকে খালপাড় নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৮০০ মিটারের মধ্যে ৫টি লাইভ বেকারি দেখা যায়। শুধু মানিকনগর নয়; রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুরসহ প্রায় সব এলাকার বাজার, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে শত শত লাইভ বেকারি।
ছোট একটি দোকানে ওভেন, মিক্সচার মেশিন, ট্রে টেবিল ও কিছু আসবাব বসিয়ে এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, পেটিস, টোস্ট, মিষ্টিসহ নানা খাদ্যপণ্য।
ঝিগাতলার সোনালী ব্যাংকসংলগ্ন ‘বেকার্স বে’ লাইভ বেকারি থেকে দুটি চিজ রোল ও একটি চিকেন রোল কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদ। কীভাবে মান যাচাই করবেন, তা জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় খাদ্যপণ্য কিনি স্বাদ দেখে। আর যে চিজ রোল আমি ৪০ টাকায় কিনলাম, এটি ভালো কোনো দোকানে গেলে ৭০-৮০ টাকা লাগবে।’
পূর্ব মানিকনগরের খালিস বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের বলেন, ‘ভালো লাভের আশা দিয়ে আরেক বেকারির মালিক আমারে এই ব্যবসায় নামিয়েছে। কিছু টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করেছি। দেড় বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কিছু কিছু লাভ হতো। কয়েক মাসের মধ্যে আশপাশে বেকারির সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এখন লোকসানে আছি।’
লাইসেন্স নেই অনেকেরই
প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা স্থাপন করতে হয়। তারপর নমুনা পণ্য উৎপাদন করে মান সনদের জন্য বিএসটিআইতে জমা দিতে হয়। এর জন্য হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প-নকশা বা ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত ফটোকপি, ভ্যাট সনদ, প্রিমিসেস লাইসেন্স, কর্মচারীর স্বাস্থ্য সনদ, পণ্যের মোড়কের নকশার কাগজসহ বেশ কিছু নথি দরকার হয়। জানাতে হয় কালার, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল সুইটনারসহ পণ্যের উপকরণ। পরীক্ষণের যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার লে-আউট ও প্রসেস ফ্লো-চার্ট। এরপর পরিদর্শকেরা কারখানা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হলে মেলে মান সনদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না। অনেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসায় নেমে পড়েন। কারও কারও তা-ও নেই। মানসনদ নেই সিংহভাগের। কারিগরদের নেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, স্যানিটেশন সনদ।
বুয়েটের উদ্যোগে ২০২১ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৬৭ শতাংশ পাউরুটির নমুনায় নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ব্রোমেট রয়েছে। পাউরুটি ফোলাতে এই রাসায়নিকট ব্যবহার হয়। এ ছাড়া বেকারি পণ্যে কাঁচামাল আটার সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট, কৃত্রিম রং ও সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও ওই গবেষণায় বলা হয়।
রাজধানীতে কতটি লাইভ বেকারি রয়েছে, তার কোনো তথ্য নেই সিটি করপোরেশন, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই। বিএসটিআইয়ের তথ্য বলছে, শত শত বেকারির মধ্যে মাত্র ২৭টির মান সনদ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘এসব ট্রেড লাইসেন্স করপোরেশনের জোনগুলো থেকে দেওয়া হয়। কতটি লাইসেন্স হয়েছে, আমাদের কাছে সে তথ্য নেই।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, মানহীন এসব পণ্যে সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। যারা আইন মেনে উৎপাদন করবে না, তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। দু-একটি বন্ধ করলে বাকিগুলো ঠিক হয়ে যেত।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে
১৬ নভেম্বর ২০২৩
আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল...
২ দিন আগে
সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে।
২ দিন আগেব্যাংক খাত নিয়ে পিআরআইয়ের আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল এবং সুশাসনের ঘাটতি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট ও বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। আর এসবের নেপথ্যে শুধু অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্বল গভর্ন্যান্সও দায়ী। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এখন সময় এসেছে ধাপে ধাপে সুশাসনভিত্তিক ও আস্থানির্ভর সংস্কারের।
গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট কোনো একক কারণে হয়নি। এটি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, স্থানীয় বাস্তবতা এবং অতীতের অনিয়মের মিলিত ফল। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট, পরবর্তী সুদহার পরিবর্তন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশের ব্যবসায়িক মডেলকে বদলে দিয়েছে। ব্যাংকিং খাতও নতুন বাস্তবতায় খাপ খাওয়াতে বাধ্য হয়েছে।
লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা ও পুনর্গঠনে রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা এখন অপরিহার্য। অনেক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপিদের পুনর্বহাল করা হয়, বিশেষ করে যদি ব্যাংকের চেয়ারম্যান রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিবারের সদস্য হন। এতে গভর্ন্যান্স সংকট তীব্র হচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণ ও আর্থিক অপরাধের কৌশল বিশ্লেষণে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। মনোবিজ্ঞানী ও আচরণ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে পেশাদার প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার ওপরও জোর দেন, যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আচরণগত ও শৃঙ্খলাগত উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আখতার হোসেন সতর্ক করে বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ঋণ বিতরণ, দুর্বল তদারকি এবং প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতাদের চাপ মিলিয়ে ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, মূলধন ঘাটতি এবং বড় খেলাপিদের প্রতি নরম মনোভাব সংকটকে আরও গভীর করেছে। এখন সাহসী কাঠামোগত পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে পতনের দিকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। উদীয়মান অর্থনীতিতে একটি ব্যাংকের ধস পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তিনি মূল কারণ হিসেবে ব্যাংকের পর্ষদে অনিয়ম এবং ঋণ প্রদানে অস্বচ্ছতার কথা তুলে ধরেন। দেশের পাঁচটি বড় ব্যাংক এখন সংকটে, আরও ৫-১০টি একই পথে রয়েছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ব্যাংকগুলো দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
পিআরআইয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান প্রতারণাজনিত ও সাধারণ খেলাপি ঋণ আলাদা করে পরিচালনার জন্য একটি পেশাদার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি) গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি স্ট্রেস টেস্টিং, রিকভারি প্ল্যান, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স এবং রেজল্যুশন ফান্ডকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
পিআরআই প্রেসিডেন্ট ড. জায়েদী সাত্তার সতর্ক করে বলেন, উন্নত অর্থনীতিতে ‘টু বিগ টু ফেইল’ ধারণা প্রচলিত হলেও বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক এখন ‘টু টক্সিক টু ফেইল’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ব্যাংকের পতন সামগ্রিক অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ৫ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আর্থিক খাতে সুশাসন, জবাবদিহি ও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অপরিহার্য।

ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল এবং সুশাসনের ঘাটতি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট ও বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। আর এসবের নেপথ্যে শুধু অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্বল গভর্ন্যান্সও দায়ী। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এখন সময় এসেছে ধাপে ধাপে সুশাসনভিত্তিক ও আস্থানির্ভর সংস্কারের।
গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট কোনো একক কারণে হয়নি। এটি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, স্থানীয় বাস্তবতা এবং অতীতের অনিয়মের মিলিত ফল। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট, পরবর্তী সুদহার পরিবর্তন এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশের ব্যবসায়িক মডেলকে বদলে দিয়েছে। ব্যাংকিং খাতও নতুন বাস্তবতায় খাপ খাওয়াতে বাধ্য হয়েছে।
লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা ও পুনর্গঠনে রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা এখন অপরিহার্য। অনেক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপিদের পুনর্বহাল করা হয়, বিশেষ করে যদি ব্যাংকের চেয়ারম্যান রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিবারের সদস্য হন। এতে গভর্ন্যান্স সংকট তীব্র হচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণ ও আর্থিক অপরাধের কৌশল বিশ্লেষণে একটি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। মনোবিজ্ঞানী ও আচরণ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে পেশাদার প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার ওপরও জোর দেন, যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আচরণগত ও শৃঙ্খলাগত উন্নয়ন সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আখতার হোসেন সতর্ক করে বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ঋণ বিতরণ, দুর্বল তদারকি এবং প্রভাবশালী ঋণগ্রহীতাদের চাপ মিলিয়ে ব্যাংক খাত ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, মূলধন ঘাটতি এবং বড় খেলাপিদের প্রতি নরম মনোভাব সংকটকে আরও গভীর করেছে। এখন সাহসী কাঠামোগত পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে পতনের দিকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। উদীয়মান অর্থনীতিতে একটি ব্যাংকের ধস পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তিনি মূল কারণ হিসেবে ব্যাংকের পর্ষদে অনিয়ম এবং ঋণ প্রদানে অস্বচ্ছতার কথা তুলে ধরেন। দেশের পাঁচটি বড় ব্যাংক এখন সংকটে, আরও ৫-১০টি একই পথে রয়েছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে ব্যাংকগুলো দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
পিআরআইয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান প্রতারণাজনিত ও সাধারণ খেলাপি ঋণ আলাদা করে পরিচালনার জন্য একটি পেশাদার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি) গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি স্ট্রেস টেস্টিং, রিকভারি প্ল্যান, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স এবং রেজল্যুশন ফান্ডকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
পিআরআই প্রেসিডেন্ট ড. জায়েদী সাত্তার সতর্ক করে বলেন, উন্নত অর্থনীতিতে ‘টু বিগ টু ফেইল’ ধারণা প্রচলিত হলেও বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক এখন ‘টু টক্সিক টু ফেইল’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ব্যাংকের পতন সামগ্রিক অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ৫ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আর্থিক খাতে সুশাসন, জবাবদিহি ও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অপরিহার্য।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে
১৬ নভেম্বর ২০২৩
আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
২ দিন আগে
সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত মজুতের কারণে পুরোনো আলুর দাম এখন ২৫ টাকার মধ্যেই। তাই বেশি দামের আশায় যাঁরা অপরিপক্ব অবস্থায়ই আগাম আলু বাজারে এনেছেন, তাঁরা হতাশ।
আলুর দাম আশানুরূপ না হলেও সবজিচাষি ও ব্যবসায়ীরা নতুন পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছেন। বাজারে খুচরায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজির ওপরে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে।
বাজারে আমনের নতুন চালও আসতে শুরু করেছে। এতে চালের দাম এক-দুই টাকা কমেছে চলতি সপ্তাহে। এ ছাড়া সবজি, ডিম, মুরগিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজারেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম নতুন আলুর সরবরাহ বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি পুরোনো আলুও বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু মান অনুসারে ৩৫-৪০ টাকা কেজি আর পুরোনো আলু আগের মতোই ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিন্টু বলেন, নতুন আলুর বিক্রি শুরু হয় ১০০-১২০ টাকা কেজিতে। কিন্তু সেই দামে মাত্র কয়েক দিন বিক্রি করা গেছে। এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে ৫০-৬০ টাকায় নেমে আসে। এ সপ্তাহে আরও কমেছে। এবার আলু বিক্রি করে কৃষক, ব্যবসায়ী কেউ খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
বাজারে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে—দেশি নতুন ও পুরোনো এবং আমদানির পেঁয়াজ। বাজারে নতুন আসা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজি। তবে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে।
আমদানির পরও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার ওপরে থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম শুনেছি ১০-১২ রুপিতে নেমেছে। সেই পেঁয়াজ দেশে এনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা; যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যাঁদের আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নজরদারিতে রাখা উচিত সরকারের।’
ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহেই লিটারপ্রতি ৬-৭ টাকা বেড়েছে। বহুল ব্যবহৃত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা লিটার। চিনি, আটা, ময়দা, মসুর ডালসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই।
এদিকে চালের দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আমনের দু-একটি জাতের চাল বাজারে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে গুটি স্বর্ণা ও পাইজাম। তাতে অন্য চালের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। আমদানির চালের সরবরাহও রয়েছে বাজারে।
বিভিন্ন খুচরা বাজারে নাজিরশাইল, শম্পা কাটারি, জিরাশাইল, মিনিকেটসহ সরু চালগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৮ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৭০-৮০ টাকা।
নতুন চালে গুটি স্বর্ণার দাম নেমেছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২-৫৬ টাকা কেজি। এ ছাড়া পাইজাম, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৫৬-৬৩ টাকা ছিল।
মানিকনগর বাজারের চাল বিক্রেতা মরিয়ম স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. ইউসুফ বলেন, ‘চালের সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে দাম অনেকটাই কমতির দিকে। এ সপ্তাহে এক-দুই টাকা কমেছে অনেক আইটেমে। আশা করছি, সামনের সপ্তাহে আরও কমবে।’
ভোক্তার স্বস্তি ফিরছে সবজিতেও। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। ফুল ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের ফুল ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
ডিম ও মুরগির বাজারও স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। কমেছে মুরগির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগির দাম এখন প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকার মধ্যে।
পোলট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।

সাধারণত শীতের সময় বাজারে আগাম নতুন আলু উঠলে তার দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে শতকের ওপরে থাকে। কিন্তু এবার সবজি বিক্রেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন আলুর দাম ৫০ টাকা কেজিতে নামাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আরও কমে ছোট আকারের আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, অতিরিক্ত মজুতের কারণে পুরোনো আলুর দাম এখন ২৫ টাকার মধ্যেই। তাই বেশি দামের আশায় যাঁরা অপরিপক্ব অবস্থায়ই আগাম আলু বাজারে এনেছেন, তাঁরা হতাশ।
আলুর দাম আশানুরূপ না হলেও সবজিচাষি ও ব্যবসায়ীরা নতুন পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছেন। বাজারে খুচরায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজির ওপরে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে।
বাজারে আমনের নতুন চালও আসতে শুরু করেছে। এতে চালের দাম এক-দুই টাকা কমেছে চলতি সপ্তাহে। এ ছাড়া সবজি, ডিম, মুরগিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজারেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম নতুন আলুর সরবরাহ বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি পুরোনো আলুও বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু মান অনুসারে ৩৫-৪০ টাকা কেজি আর পুরোনো আলু আগের মতোই ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিন্টু বলেন, নতুন আলুর বিক্রি শুরু হয় ১০০-১২০ টাকা কেজিতে। কিন্তু সেই দামে মাত্র কয়েক দিন বিক্রি করা গেছে। এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে ৫০-৬০ টাকায় নেমে আসে। এ সপ্তাহে আরও কমেছে। এবার আলু বিক্রি করে কৃষক, ব্যবসায়ী কেউ খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।
বাজারে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে—দেশি নতুন ও পুরোনো এবং আমদানির পেঁয়াজ। বাজারে নতুন আসা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজি। তবে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে।
আমদানির পরও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার ওপরে থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম শুনেছি ১০-১২ রুপিতে নেমেছে। সেই পেঁয়াজ দেশে এনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা; যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যাঁদের আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নজরদারিতে রাখা উচিত সরকারের।’
ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহেই লিটারপ্রতি ৬-৭ টাকা বেড়েছে। বহুল ব্যবহৃত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা লিটার। চিনি, আটা, ময়দা, মসুর ডালসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই।
এদিকে চালের দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আমনের দু-একটি জাতের চাল বাজারে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে গুটি স্বর্ণা ও পাইজাম। তাতে অন্য চালের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। আমদানির চালের সরবরাহও রয়েছে বাজারে।
বিভিন্ন খুচরা বাজারে নাজিরশাইল, শম্পা কাটারি, জিরাশাইল, মিনিকেটসহ সরু চালগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৮ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৭০-৮০ টাকা।
নতুন চালে গুটি স্বর্ণার দাম নেমেছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২-৫৬ টাকা কেজি। এ ছাড়া পাইজাম, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৫৬-৬৩ টাকা ছিল।
মানিকনগর বাজারের চাল বিক্রেতা মরিয়ম স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. ইউসুফ বলেন, ‘চালের সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে দাম অনেকটাই কমতির দিকে। এ সপ্তাহে এক-দুই টাকা কমেছে অনেক আইটেমে। আশা করছি, সামনের সপ্তাহে আরও কমবে।’
ভোক্তার স্বস্তি ফিরছে সবজিতেও। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে তা ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে বরবটি, বেগুন ও করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। ফুল ও বাঁধাকপির দাম আরও কমেছে। মাঝারি আকারের ফুল ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
ডিম ও মুরগির বাজারও স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। কমেছে মুরগির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে। আর সোনালি মুরগির দাম এখন প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকার মধ্যে।
পোলট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকলে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ কারণেই দাম কমেছে।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কমপিটিশন ‘বিজমায়েস্ট্রোজ’-এর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পাঁচ ফাইনালিস্টের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে
১৬ নভেম্বর ২০২৩
আইটি পেশাজীবীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩ ও ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
২ দিন আগে
ব্যাংক খাত এক ভয়ংকর সংকটের মুখে। খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে চার ধরনের নেতিবাচক চক্র তৈরি হয়েছে। যেখানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, সুদহার ঊর্ধ্বমুখী, বিনিয়োগ কমছে এবং প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়েছে। মূলত আমানত সঠিক বিনিয়োগে রূপান্তর না হওয়া, ঋণখেলাপির পুনর্বহাল...
২ দিন আগে