জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় মে মাস থেকে ব্যাংকে বাড়তে শুরু করেছে আমানতের পরিমাণ। এপ্রিল মাসের তুলনায় পরের মাসে ব্যাংক আমানত ৪১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। তার আগে মে মাসে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার নির্ধারণের সব ধরনের কলাকৌশল তুলে দিয়ে তা বাজারভিত্তিক করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামতো সুদহার নির্ধারণের অধিকার ফিরে পেয়েছে ব্যাংকগুলো। ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আপাতত আরও বাড়বে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে আমানতের সুদের হার ৬-৭ শতাংশ থেকে ১২-১৪ শতাংশ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা সরকারি সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি। এই সুযোগ লুফে নিতে আমানতকারীরাও ব্যাংকে টাকা রাখা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকে আমানত ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এসে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। মার্চে গিয়ে আমানতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে আমানত কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আমানত কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধির নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশেষ করে, ঋণের সুদের হার এবং আমানতের সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়। এতে ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট কাটাতে এবং ঋণের চাহিদা মেটাতে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে থাকে। যার ফলে মে মাস থেকে আমানতের ধারা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। আর জুন মাসে সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণের চাহিদা বাড়লে আমানতের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় ব্যাংক উচ্চহারে আমানত সংগ্রহ করতে পারে। আর বেশি সুদ পেলে আমানতকারীও ব্যাংকে টাকা রাখতে বাড়তি আগ্রহ পায়। একটা সময় ব্যাংকে আমানত বেড়ে যায়, যা সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় আমানত বেশি হারে সংগ্রহ করে ব্যাংক। তবে এটা একটা সময় পরে বৃদ্ধি পেতে পারে, আবার কমতেও পারে।
জানা গেছে, মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নিট আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক মূলত সুদের ব্যবসা করে। আমানত এবং ঋণ বিতরণের সুদের পার্থক্যটা হলো ব্যাংকের মূল আয়। আমানত না থাকলে তো ঋণ দিতে পারে না। এসব বিষয় ভেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে ব্যাংক একটু বেশি রেটে আমানত সংগ্রহ করতে পারছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুন শেষে মানুষের হাতে রয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার মতো। ওই সময় পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। মাত্র ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ৩৯২ কোটি।
সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় মে মাস থেকে ব্যাংকে বাড়তে শুরু করেছে আমানতের পরিমাণ। এপ্রিল মাসের তুলনায় পরের মাসে ব্যাংক আমানত ৪১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। তার আগে মে মাসে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার নির্ধারণের সব ধরনের কলাকৌশল তুলে দিয়ে তা বাজারভিত্তিক করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামতো সুদহার নির্ধারণের অধিকার ফিরে পেয়েছে ব্যাংকগুলো। ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আপাতত আরও বাড়বে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে আমানতের সুদের হার ৬-৭ শতাংশ থেকে ১২-১৪ শতাংশ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা সরকারি সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি। এই সুযোগ লুফে নিতে আমানতকারীরাও ব্যাংকে টাকা রাখা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকে আমানত ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এসে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। মার্চে গিয়ে আমানতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে আমানত কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আমানত কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধির নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশেষ করে, ঋণের সুদের হার এবং আমানতের সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়। এতে ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট কাটাতে এবং ঋণের চাহিদা মেটাতে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে থাকে। যার ফলে মে মাস থেকে আমানতের ধারা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। আর জুন মাসে সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণের চাহিদা বাড়লে আমানতের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় ব্যাংক উচ্চহারে আমানত সংগ্রহ করতে পারে। আর বেশি সুদ পেলে আমানতকারীও ব্যাংকে টাকা রাখতে বাড়তি আগ্রহ পায়। একটা সময় ব্যাংকে আমানত বেড়ে যায়, যা সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় আমানত বেশি হারে সংগ্রহ করে ব্যাংক। তবে এটা একটা সময় পরে বৃদ্ধি পেতে পারে, আবার কমতেও পারে।
জানা গেছে, মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নিট আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক মূলত সুদের ব্যবসা করে। আমানত এবং ঋণ বিতরণের সুদের পার্থক্যটা হলো ব্যাংকের মূল আয়। আমানত না থাকলে তো ঋণ দিতে পারে না। এসব বিষয় ভেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে ব্যাংক একটু বেশি রেটে আমানত সংগ্রহ করতে পারছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুন শেষে মানুষের হাতে রয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার মতো। ওই সময় পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। মাত্র ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ৩৯২ কোটি।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
৭ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে