নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ব্যাংকে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) বিপরীতে দেওয়া ঋণকে শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত মনে করা হয়। কারণ ঋণের বিপরীতে লিয়েন করে রাখা এফডিআর চাহিবামাত্র (ঋণদাতা ব্যাংক) নগদায়ন করতে বাধ্য এফডিআর ইস্যু করা ব্যাংক। কিন্তু সেই শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ঋণ দিয়েও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এফডিআরের বিপরীতে এস আলমসংশ্লিষ্ট তিন গ্রাহককে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সেই টাকা ফেরত পাচ্ছে না ব্যাংকটি।
ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট ও সাধারণ বিমা শাখা থেকে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ নেয় তিন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো মেসার্স আনছার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স মোস্তান বিল্লাহ আদিল। ঋণের বিপরীতে প্রত্যেক গ্রাহক ৩৪০ কোটি টাকা করে এফডিআর লিয়েন করে রাখেন। এফডিআরগুলো ছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের।
জনতা ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকে হিসাব খোলা, ঋণ প্রস্তাব, অনুমোদন ও ছাড়ের সময় এক দিনের জন্যও ব্যাংকের শাখায় আসেননি এই তিন গ্রাহক। ঋণ প্রস্তাবে তাঁদের ব্যবসার প্রকৃতি হিসেবে ভোজ্যতেল, চিনি ও সিআই শিটের ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঋণগ্রহীতা মেসার্স আনছার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনছারুল আলম চৌধুরী। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ফুপাতো ভাই। আনছারের নামে জনতা ও ইসলামী ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
জনতার আগের ঋণগ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার চৌধুরী (মুরাদ)। তিনি সাইফুল আলমের চাচাতো বোনের ছেলে অর্থাৎ ভাগনে। মুরাদের নামে জনতা, ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক মিলে ১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে।
হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়া আনছার এবং মুরাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরমে মাসিক আয় দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ও ১ লাখ টাকা।
অপর প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তান বিল্লাহ আদিলের স্বত্বাধিকারী মোস্তান বিল্লাহ আদিল সাইফুল আলম মাসুদের ভাগনে। শুধু জনতা ও ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখাতেই আদিলের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। তিনি এস আলম গ্রুপের কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
জনতা ব্যাংকের জিএম (চট্টগ্রাম) সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ওই তিন গ্রাহকের কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এফডিআরগুলো নগদায়নের জন্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইউনিয়ন ব্যাংককে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংক দুটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকার সংকটের কথা উল্লেখ করে এফডিআর নগদায়ন করছে না। এমনকি সর্বশেষ ৯ মার্চ ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে পাঠানো চিঠিতেও নগদ অর্থসংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জোনাল হেড (চট্টগ্রাম) মো. মোস্তাফা কামাল বলেন, এস আলম সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টগুলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ফ্রিজ করে রেখেছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এফডিআরগুলো নগদায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে গত সাত মাসেও চেক নগদায়ন না করায় ঋণগুলো খেলাপি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়।
জনতা ব্যাংকের তথ্যমতে, এস আলমসংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানই ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর ব্যাংকটির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা ও চৌমুহনী সাধারণ বিমা শাখায় চলতি হিসাব খোলে। এর তিন-চার দিন পর ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইউনিয়ন ব্যাংকের অন্তত ২০টি শাখায় এসব এফডিআর করে প্রতিষ্ঠান তিনটি। এর দুই সপ্তাহ পর ১৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠান তিনটি ১ হাজার কোটি টাকা করে মোট ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের প্রস্তাব করেন। আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ঋণ অনুমোদন এবং পরের সপ্তাহে ৩৪০ কোটি টাকা করে ছাড় করে ব্যাংক।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ১ হাজার ২০ কোটি ছাড়ের পর ওই সময় এস আলম গ্রুপের বিতর্কিত ঋণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে বাকি টাকা অনুমোদন দেয়নি ব্যাংকটির তৎকালীন পর্ষদ।
বিভিন্ন ব্যাংক মিলে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলমে কাছে মোট ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের দুই শাখা থেকেই হাতিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের বিপরীতে কিছু সম্পত্তি বন্ধক থাকলেও বারবার নিলামেও ক্রেতা মিলছে না। ৫ আগস্টের পর থেকে এস আলম পরিবারের কোনো সদস্য দেশে ফেরেননি।
ব্যাংকে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) বিপরীতে দেওয়া ঋণকে শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত মনে করা হয়। কারণ ঋণের বিপরীতে লিয়েন করে রাখা এফডিআর চাহিবামাত্র (ঋণদাতা ব্যাংক) নগদায়ন করতে বাধ্য এফডিআর ইস্যু করা ব্যাংক। কিন্তু সেই শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ঋণ দিয়েও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এফডিআরের বিপরীতে এস আলমসংশ্লিষ্ট তিন গ্রাহককে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সেই টাকা ফেরত পাচ্ছে না ব্যাংকটি।
ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট ও সাধারণ বিমা শাখা থেকে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ নেয় তিন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো মেসার্স আনছার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স মোস্তান বিল্লাহ আদিল। ঋণের বিপরীতে প্রত্যেক গ্রাহক ৩৪০ কোটি টাকা করে এফডিআর লিয়েন করে রাখেন। এফডিআরগুলো ছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের।
জনতা ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকে হিসাব খোলা, ঋণ প্রস্তাব, অনুমোদন ও ছাড়ের সময় এক দিনের জন্যও ব্যাংকের শাখায় আসেননি এই তিন গ্রাহক। ঋণ প্রস্তাবে তাঁদের ব্যবসার প্রকৃতি হিসেবে ভোজ্যতেল, চিনি ও সিআই শিটের ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঋণগ্রহীতা মেসার্স আনছার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আনছারুল আলম চৌধুরী। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ফুপাতো ভাই। আনছারের নামে জনতা ও ইসলামী ব্যাংকে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
জনতার আগের ঋণগ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার চৌধুরী (মুরাদ)। তিনি সাইফুল আলমের চাচাতো বোনের ছেলে অর্থাৎ ভাগনে। মুরাদের নামে জনতা, ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক মিলে ১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে।
হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়া আনছার এবং মুরাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরমে মাসিক আয় দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ও ১ লাখ টাকা।
অপর প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তান বিল্লাহ আদিলের স্বত্বাধিকারী মোস্তান বিল্লাহ আদিল সাইফুল আলম মাসুদের ভাগনে। শুধু জনতা ও ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখাতেই আদিলের ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। তিনি এস আলম গ্রুপের কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
জনতা ব্যাংকের জিএম (চট্টগ্রাম) সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ওই তিন গ্রাহকের কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এফডিআরগুলো নগদায়নের জন্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইউনিয়ন ব্যাংককে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংক দুটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকার সংকটের কথা উল্লেখ করে এফডিআর নগদায়ন করছে না। এমনকি সর্বশেষ ৯ মার্চ ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে পাঠানো চিঠিতেও নগদ অর্থসংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জোনাল হেড (চট্টগ্রাম) মো. মোস্তাফা কামাল বলেন, এস আলম সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টগুলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ফ্রিজ করে রেখেছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এফডিআরগুলো নগদায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে গত সাত মাসেও চেক নগদায়ন না করায় ঋণগুলো খেলাপি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়।
জনতা ব্যাংকের তথ্যমতে, এস আলমসংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানই ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর ব্যাংকটির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা ও চৌমুহনী সাধারণ বিমা শাখায় চলতি হিসাব খোলে। এর তিন-চার দিন পর ফার্স্ট সিকিউরিটি ও ইউনিয়ন ব্যাংকের অন্তত ২০টি শাখায় এসব এফডিআর করে প্রতিষ্ঠান তিনটি। এর দুই সপ্তাহ পর ১৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠান তিনটি ১ হাজার কোটি টাকা করে মোট ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের প্রস্তাব করেন। আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ঋণ অনুমোদন এবং পরের সপ্তাহে ৩৪০ কোটি টাকা করে ছাড় করে ব্যাংক।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ১ হাজার ২০ কোটি ছাড়ের পর ওই সময় এস আলম গ্রুপের বিতর্কিত ঋণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে বাকি টাকা অনুমোদন দেয়নি ব্যাংকটির তৎকালীন পর্ষদ।
বিভিন্ন ব্যাংক মিলে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলমে কাছে মোট ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের দুই শাখা থেকেই হাতিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের বিপরীতে কিছু সম্পত্তি বন্ধক থাকলেও বারবার নিলামেও ক্রেতা মিলছে না। ৫ আগস্টের পর থেকে এস আলম পরিবারের কোনো সদস্য দেশে ফেরেননি।
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। রমজান আমাদের সংযমের যে শিক্ষা দিচ্ছে, তা ব্যক্তি জীবনে কাজে লাগাতে হবে...
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেড ইন আমেরিকা’ উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পোশাক খুচরা বিক্রেতাকে টি-শার্ট থেকে শুরু করে কোট-স্যুট পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছে। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন করহার কমানোসহ নীতিসহায়তা চেয়ে দাবি জানিয়েছে।
১ দিন আগেসরকার এখন অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে এবং বিদেশি ঋণও প্রয়োজন মতো পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে তামাক খাত হতে পারে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয় বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
১ দিন আগে