বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সংযোগ তৈরির লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নামে চীন যে বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছিল, তা এক দশক পূর্ণ করেছে। বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে এ উপলক্ষ সাড়ম্বরে উদ্যাপন করছে চীন। কিন্তু বড় আকারের কয়েক হাজার অবকাঠামো নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলমান এই উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কও চলছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি বলছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বেশ কিছু দেশ। এসব দেশ ঋণের চক্রে জড়িয়ে পড়ছে। কারণ, ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আরও ঋণ নিতে হচ্ছে। এর ফলে দেশগুলোর ঋণের ভার বেড়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের জন্য চীনা ঋণের শর্তাবলি ও অর্থায়নের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও গবেষকদের সমালোচনা আছে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে যুক্ত মঙ্গোলিয়া, মিসর, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক। ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এসব দেশে জরুরি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে চীন। এদের অনেকেই আগের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বাড়তি ফিসহ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছে এবং গত কয়েক বছর টানা ঋণ নেওয়াও বেড়েছে। ওমান, অ্যাঙ্গোলা ও ভেনেজুয়েলার পাশাপাশি ওপরে উল্লিখিত কয়েকটি দেশ ব্যালেন্স অব পেমেন্টে সহায়তা হিসেবে মাঝারি মেয়াদে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার করে ঋণ পেয়েছে।
একবিংশ শতকের শুরুর দশকে পণ্যবাজারের স্ফীতি চুপসে যাওয়ার পর চীনের কাছ থেকে নেওয়া উচ্চঋণ খনিজসমৃদ্ধ মঙ্গোলিয়ার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে মঙ্গোলিয়ার চীনা ঋণের পরিমাণ ছিল মোট জাতীয় আয়ের ২৪ শতাংশ। জাতীয় আয় অনুপাতে বিদেশি ঋণের এই উচ্চ পরিমাণ বিশ্বে আর কোথাও দেখা যায়নি।
এই প্রকল্পে চীন থেকে ঋণ নেওয়া পাকিস্তান ও মিসর উভয়েই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে উত্তরণের জন্য আবার চীনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে বাধ্য হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর দুর্দশা এত বেড়েছে যে এসব দেশে ঋণ দেওয়ার হার এক যুগে ১২ গুণ বেড়েছে।
২০১০ সালে চীনের দেওয়া মোট ঋণের মাত্র ৫ শতাংশের গ্রহীতা ছিল এসব দেশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০১৫ সালে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া বিভিন্ন দেশকে উদ্ধারে চীনের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছরই ছিল ১১০০ কোটি ডলার। তখন আর্জেন্টিনাকে আরও ৮০০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিয়েছিল চীন। লাতিন আমেরিকার দেশটি ২০২২ সালে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যুক্ত হয়ে আগেও ঋণ নিয়েছিল। একই বছর ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সহায়তা হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে ১ হাজার কোটি ডলার দিয়েছিল চীন।
বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিদেশি ঋণ নেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক বা প্যারিস ক্লাবের মতো ঋণদাতাদের তুলনায় চীনের দেওয়া ঋণে শর্ত অনেক কঠিন। সুদের উচ্চহারের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষে সময়মতো ঋণ পরিশোধ বেশ কষ্টসাধ্য।
বেইলআউট বা দেউলিয়া অর্থনীতি বাঁচাতে নেওয়া ঋণও এই হিসাবের বাইরে নয়। কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, বেইলআউটের ক্ষেত্রে আইএমএফ মাত্র ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, যেখানে চীনকে ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়।
তথ্যসূত্র: স্ট্যাটিস্টা
বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সংযোগ তৈরির লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নামে চীন যে বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছিল, তা এক দশক পূর্ণ করেছে। বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে এ উপলক্ষ সাড়ম্বরে উদ্যাপন করছে চীন। কিন্তু বড় আকারের কয়েক হাজার অবকাঠামো নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলমান এই উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কও চলছে।
কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি বলছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বেশ কিছু দেশ। এসব দেশ ঋণের চক্রে জড়িয়ে পড়ছে। কারণ, ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আরও ঋণ নিতে হচ্ছে। এর ফলে দেশগুলোর ঋণের ভার বেড়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের জন্য চীনা ঋণের শর্তাবলি ও অর্থায়নের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও গবেষকদের সমালোচনা আছে।
বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে যুক্ত মঙ্গোলিয়া, মিসর, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক। ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এসব দেশে জরুরি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে চীন। এদের অনেকেই আগের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে বাড়তি ফিসহ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছে এবং গত কয়েক বছর টানা ঋণ নেওয়াও বেড়েছে। ওমান, অ্যাঙ্গোলা ও ভেনেজুয়েলার পাশাপাশি ওপরে উল্লিখিত কয়েকটি দেশ ব্যালেন্স অব পেমেন্টে সহায়তা হিসেবে মাঝারি মেয়াদে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার করে ঋণ পেয়েছে।
একবিংশ শতকের শুরুর দশকে পণ্যবাজারের স্ফীতি চুপসে যাওয়ার পর চীনের কাছ থেকে নেওয়া উচ্চঋণ খনিজসমৃদ্ধ মঙ্গোলিয়ার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে মঙ্গোলিয়ার চীনা ঋণের পরিমাণ ছিল মোট জাতীয় আয়ের ২৪ শতাংশ। জাতীয় আয় অনুপাতে বিদেশি ঋণের এই উচ্চ পরিমাণ বিশ্বে আর কোথাও দেখা যায়নি।
এই প্রকল্পে চীন থেকে ঋণ নেওয়া পাকিস্তান ও মিসর উভয়েই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে উত্তরণের জন্য আবার চীনের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে বাধ্য হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর দুর্দশা এত বেড়েছে যে এসব দেশে ঋণ দেওয়ার হার এক যুগে ১২ গুণ বেড়েছে।
২০১০ সালে চীনের দেওয়া মোট ঋণের মাত্র ৫ শতাংশের গ্রহীতা ছিল এসব দেশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০১৫ সালে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া বিভিন্ন দেশকে উদ্ধারে চীনের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছরই ছিল ১১০০ কোটি ডলার। তখন আর্জেন্টিনাকে আরও ৮০০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ দিয়েছিল চীন। লাতিন আমেরিকার দেশটি ২০২২ সালে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যুক্ত হয়ে আগেও ঋণ নিয়েছিল। একই বছর ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সহায়তা হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে ১ হাজার কোটি ডলার দিয়েছিল চীন।
বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বিদেশি ঋণ নেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক বা প্যারিস ক্লাবের মতো ঋণদাতাদের তুলনায় চীনের দেওয়া ঋণে শর্ত অনেক কঠিন। সুদের উচ্চহারের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষে সময়মতো ঋণ পরিশোধ বেশ কষ্টসাধ্য।
বেইলআউট বা দেউলিয়া অর্থনীতি বাঁচাতে নেওয়া ঋণও এই হিসাবের বাইরে নয়। কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য অনুযায়ী, বেইলআউটের ক্ষেত্রে আইএমএফ মাত্র ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, যেখানে চীনকে ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়।
তথ্যসূত্র: স্ট্যাটিস্টা
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
২ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে