নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প অনুমোদনে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। প্রায় সব প্রকল্প রাজনৈতিক প্রভাবেই অনুমোদন হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সময় উন্নয়নের যেই বয়ান সৃষ্টি করা হয়েছিল, এর বিপক্ষে কেউ কিছু করতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন পরিস্থিতিটা পুরোটাই প্রশাসনের কাছে জিম্মি ছিল বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি ভবনে ৮৫ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ৩২ জন সচিব এবং সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বয়ানের পরিস্থিতি নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন পরিস্থিতিটা পুরোটাই প্রশাসনের কাছে বন্দী ছিল। মিটিং এ বক্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা পুরোটাই পরিস্থিতির শিকার ছিলেন। কেউ কেউ হেনস্তার শিকার হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জবাবদিহির অভাবের রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুর্বলতা ছিল। উন্নয়ন প্রশাসনের মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা, রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীদের প্রভাব ছিল। অনেক আমলা রাজনৈতিক অভিলাষের কারণে এই ধরনের কাজে জড়িত ছিলেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প নেওয়ার আগেই জমি ক্রয় করে বেশি দামে প্রকল্পের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তারা জানত এখানে জমি কিনলে তিন গুণ দামে বিক্রি করা যাবে, এভাবে সরকারে টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অন্যদিকে জমি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য যেসব জায়গাতে প্রকল্প নেওয়া উপকারিতা নাই, প্রকল্প কার্যকারী জায়গা না হলেও সেখানে প্রকল্পগুলো করা হয়েছে, জমি বিক্রি করে লাভবান হতে। প্রকল্পের জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় করার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আনার জন্য যে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেও দুর্নীতি করা হয়েছে। সেগুলো কীভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে সেগুলোও আলোচনা হয়েছে। ঠিকাদারদের বাছাইয়ের ক্ষেত্র অনিয়ম করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিপূর্ণভাবে শেষ না করেও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণেই প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিক বেনিফিট পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘তারা জানিয়েছেন পেশাগতভাবে আমাদের ভঙ্গুর করে ফেলা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্নভাবে বদলি করে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে তারা পেশাদারি ও দলগতভাবে কাজ করতে পারেননি। এই কারণে প্রকল্প অনিয়ম হয়েছে বলেও জানান তারা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেক প্রকল্পের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাইটেক পার্ক, কর্ণফুলী টানেল, জ্বালানি খাত, কর আহরণ, সামাজিক খাত, ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিয়েও আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যে আলোচনা উঠে এসেছে। পেশাদারি উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা খুবই দরকার। সক্ষম, স্বাধীন এবং যোগ্য পেশাজীবীদের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা গুরুপূর্ণ। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর তারা জোর দিয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে যাতে কোনো বাঁধার সৃষ্টি না হয় বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।’
বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প অনুমোদনে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। প্রায় সব প্রকল্প রাজনৈতিক প্রভাবেই অনুমোদন হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সময় উন্নয়নের যেই বয়ান সৃষ্টি করা হয়েছিল, এর বিপক্ষে কেউ কিছু করতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন পরিস্থিতিটা পুরোটাই প্রশাসনের কাছে জিম্মি ছিল বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ রোববার (০৩ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি ভবনে ৮৫ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ৩২ জন সচিব এবং সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বয়ানের পরিস্থিতি নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন পরিস্থিতিটা পুরোটাই প্রশাসনের কাছে বন্দী ছিল। মিটিং এ বক্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা পুরোটাই পরিস্থিতির শিকার ছিলেন। কেউ কেউ হেনস্তার শিকার হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জবাবদিহির অভাবের রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুর্বলতা ছিল। উন্নয়ন প্রশাসনের মধ্যে কিছু অসাধু কর্মকর্তা, রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ীদের প্রভাব ছিল। অনেক আমলা রাজনৈতিক অভিলাষের কারণে এই ধরনের কাজে জড়িত ছিলেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প নেওয়ার আগেই জমি ক্রয় করে বেশি দামে প্রকল্পের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তারা জানত এখানে জমি কিনলে তিন গুণ দামে বিক্রি করা যাবে, এভাবে সরকারে টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অন্যদিকে জমি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য যেসব জায়গাতে প্রকল্প নেওয়া উপকারিতা নাই, প্রকল্প কার্যকারী জায়গা না হলেও সেখানে প্রকল্পগুলো করা হয়েছে, জমি বিক্রি করে লাভবান হতে। প্রকল্পের জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় করার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আনার জন্য যে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেও দুর্নীতি করা হয়েছে। সেগুলো কীভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে সেগুলোও আলোচনা হয়েছে। ঠিকাদারদের বাছাইয়ের ক্ষেত্র অনিয়ম করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিপূর্ণভাবে শেষ না করেও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণেই প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিক বেনিফিট পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘তারা জানিয়েছেন পেশাগতভাবে আমাদের ভঙ্গুর করে ফেলা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্নভাবে বদলি করে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে তারা পেশাদারি ও দলগতভাবে কাজ করতে পারেননি। এই কারণে প্রকল্প অনিয়ম হয়েছে বলেও জানান তারা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেক প্রকল্পের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাইটেক পার্ক, কর্ণফুলী টানেল, জ্বালানি খাত, কর আহরণ, সামাজিক খাত, ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিয়েও আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যে আলোচনা উঠে এসেছে। পেশাদারি উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা খুবই দরকার। সক্ষম, স্বাধীন এবং যোগ্য পেশাজীবীদের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা গুরুপূর্ণ। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর তারা জোর দিয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে যাতে কোনো বাঁধার সৃষ্টি না হয় বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।’
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৫ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে