
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদন এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হচ্ছে, নয়াদিল্লি আঞ্চলিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে চায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি টেকসই টুল হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান নবায়নযোগ্য শক্তি।
বিদ্যুৎ খাতে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ-বাণিজ্য শুরু করার প্রচেষ্টায় আছে ভারত। এই গ্রিড লাইন তৈরির কাজ সম্পন্ন হতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। এরপরই শুরু হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের কাজ।
রয়টার্স যে সূত্রগুলোর বরাত দিয়েছে তাঁদের মধ্যে চারজনই বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। তাঁরা নাম প্রকাশে অস্বীকার করেছেন কারণ পরিকল্পনাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চীনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আঞ্চলিক কূটনীতিতে খুব হিসাব করে পা ফেলছে। তবে এ নিয়ে ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ তাগিদটা খুব স্পষ্ট। তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোয়ায় চলমান জি-২০ গ্রুপের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড আন্তসংযোগ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কয়েকটি দেশের সঙ্গে পৃথক এবং দলগতভাবে আলোচনা করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকার এবং ডেভেলপারদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার জন্য জি-২০ সদস্যদের সমর্থনকেই চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি নিয়ন্ত্রণ রূপরেখা প্রস্তুত করতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ইডিএফকে নিযুক্ত করেছে ভারত। তাদের কাজ হবে মূল্য নির্ধারণসহ এই প্রকল্পের মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। ইডিএফ চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে ফ্রান্সের ইডিএফের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা একবার ভারতের জাতীয় গ্রিডকে মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারলে, সেখানে আমাদের গ্রিড আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করতে এবং থাইল্যান্ডে, এমনকি এশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হব।’
তবে ভারতের এমন পরিকল্পনাকে উচ্চাভিলাষী বলছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আন্তসীমান্ত গ্রিড সংযোগগুলোতে বেশ বিনিয়োগ এসেছে এবং সরকারগুলোও ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু সাব-সি (উপসাগরীয়) কেব্ল নির্মাণের ক্রমবর্ধমান খরচ, গ্রিড আপগ্রেড করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মতো ঝুঁকির কারণে এ ধরনের প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সদস্যরা বহুপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সুবিধার্থে একটি আঞ্চলিক গ্রিড গঠনের জন্য কয়েক দশক ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু অগ্রগতি দেশগুলোর মধ্যে কেবল দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ভারতের নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বৃহৎ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বর্তমানে ১৭৭ গিগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। এই নতুন সক্ষমতার পেছনে সৌর পার্কগুলোর বড় ভূমিকার রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রচেষ্টা দিনের বেলায় আরও বেশি সময় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়াতে পারলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।
তবে আরেক কর্মকর্তা বলছেন, আন্তসংযুক্ত আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সরবরাহ করা বিদ্যুতে ট্রান্সমিশন চার্জ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চার্জের কারণে বিদ্যুতের দাম প্রায়ই বেড়ে যায়। তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রিড আন্তসংযোগ সমুদ্রের নিচে এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রেই হবে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে স্থাপিত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সংস্থান করা হবে।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদন এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হচ্ছে, নয়াদিল্লি আঞ্চলিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে চায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি টেকসই টুল হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান নবায়নযোগ্য শক্তি।
বিদ্যুৎ খাতে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ-বাণিজ্য শুরু করার প্রচেষ্টায় আছে ভারত। এই গ্রিড লাইন তৈরির কাজ সম্পন্ন হতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। এরপরই শুরু হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের কাজ।
রয়টার্স যে সূত্রগুলোর বরাত দিয়েছে তাঁদের মধ্যে চারজনই বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। তাঁরা নাম প্রকাশে অস্বীকার করেছেন কারণ পরিকল্পনাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চীনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আঞ্চলিক কূটনীতিতে খুব হিসাব করে পা ফেলছে। তবে এ নিয়ে ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ তাগিদটা খুব স্পষ্ট। তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোয়ায় চলমান জি-২০ গ্রুপের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড আন্তসংযোগ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কয়েকটি দেশের সঙ্গে পৃথক এবং দলগতভাবে আলোচনা করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকার এবং ডেভেলপারদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার জন্য জি-২০ সদস্যদের সমর্থনকেই চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি নিয়ন্ত্রণ রূপরেখা প্রস্তুত করতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ইডিএফকে নিযুক্ত করেছে ভারত। তাদের কাজ হবে মূল্য নির্ধারণসহ এই প্রকল্পের মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। ইডিএফ চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে ফ্রান্সের ইডিএফের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা একবার ভারতের জাতীয় গ্রিডকে মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারলে, সেখানে আমাদের গ্রিড আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করতে এবং থাইল্যান্ডে, এমনকি এশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হব।’
তবে ভারতের এমন পরিকল্পনাকে উচ্চাভিলাষী বলছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আন্তসীমান্ত গ্রিড সংযোগগুলোতে বেশ বিনিয়োগ এসেছে এবং সরকারগুলোও ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু সাব-সি (উপসাগরীয়) কেব্ল নির্মাণের ক্রমবর্ধমান খরচ, গ্রিড আপগ্রেড করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মতো ঝুঁকির কারণে এ ধরনের প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সদস্যরা বহুপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সুবিধার্থে একটি আঞ্চলিক গ্রিড গঠনের জন্য কয়েক দশক ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু অগ্রগতি দেশগুলোর মধ্যে কেবল দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ভারতের নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বৃহৎ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বর্তমানে ১৭৭ গিগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। এই নতুন সক্ষমতার পেছনে সৌর পার্কগুলোর বড় ভূমিকার রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রচেষ্টা দিনের বেলায় আরও বেশি সময় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়াতে পারলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।
তবে আরেক কর্মকর্তা বলছেন, আন্তসংযুক্ত আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সরবরাহ করা বিদ্যুতে ট্রান্সমিশন চার্জ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চার্জের কারণে বিদ্যুতের দাম প্রায়ই বেড়ে যায়। তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রিড আন্তসংযোগ সমুদ্রের নিচে এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রেই হবে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলজুড়ে স্থাপিত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সংস্থান করা হবে।

‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
৪১ মিনিট আগে
পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
সেমিনারে নগদবিহীন লেনদেনের প্রসার, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. আলী মাহমুদ, পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ক্রিষ্টোফার হিমেল রিছিল এবং রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এমদাদুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ) রাফেজা আখতার কান্তা।
এ সময় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান, জেনারেল ব্যাংকিং ও অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়জুল হক শরীফ, উপমহাব্যবস্থাপক ও এডিসি বিভাগের প্রধান মো. রবিউল আলম, রংপুর অঞ্চল প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. আলতাব হোসেনসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর জেলার সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, আঞ্চলিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এর কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রংপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার এবং ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনবে।
সেমিনারে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেনের বিস্তারে দেশের অর্থনীতি হবে আরও স্বচ্ছ, গতিশীল ও নিরাপদ। পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দুর্নীতি কমবে, রাজস্ব বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। পূবালী ব্যাংক এই রূপান্তরের অংশ হতে গর্বিত।’

‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
সেমিনারে নগদবিহীন লেনদেনের প্রসার, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. আলী মাহমুদ, পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ক্রিষ্টোফার হিমেল রিছিল এবং রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এমদাদুল হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ) রাফেজা আখতার কান্তা।
এ সময় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান, জেনারেল ব্যাংকিং ও অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়জুল হক শরীফ, উপমহাব্যবস্থাপক ও এডিসি বিভাগের প্রধান মো. রবিউল আলম, রংপুর অঞ্চল প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. আলতাব হোসেনসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর জেলার সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, আঞ্চলিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) এর কর্মকর্তাবৃন্দ, রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রংপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেমিনার এবং ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনবে।
সেমিনারে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেনের বিস্তারে দেশের অর্থনীতি হবে আরও স্বচ্ছ, গতিশীল ও নিরাপদ। পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠলে দুর্নীতি কমবে, রাজস্ব বাড়বে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। পূবালী ব্যাংক এই রূপান্তরের অংশ হতে গর্বিত।’

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৩
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
৪১ মিনিট আগে
পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রক্রিয়াজাত কৃষি ও খাদ্যপণ্য শিল্প খাত বর্তমানে নগদ প্রণোদনা ও আমদানি করা উপকরণের ওপর শুল্কছাড়সহ যেসব সুবিধা ভোগ করছে, তা থাকবে না। তখন বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। এতে চরম প্রতিযোগিতায় পড়বে দেশীয় কোম্পানিগুলো। এখনই বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কষ্টকর হবে তাদের জন্য। তাই রপ্তানির বাধাগুলো দূর করে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকেরা।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এ খাতের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য বিকল্প সহায়তা খোঁজার পরামর্শও দেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে সুদের হার সমন্বয়ের মাধ্যমে কম খরচে অর্থায়ন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা।
‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প: জাতীয় উন্নয়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এই পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের অন্যতম কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
খন্দকার গোলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির পরিমাণ মোট রপ্তানির অর্ধেক। ফলে বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষি বা খাদ্যপণ্যের রপ্তানির নতুন নতুন গন্তব্য সৃষ্টি ও পণ্য বহুমুখীকরণে দুর্বলতা রয়েছে। এতে এলডিসি উত্তরণে পরে এ খাত বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রাথমিক কৃষি ও উৎপাদনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। এটি জিডিপি, রপ্তানি বৈচিত্র্য ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কৌশলগত গুরুত্ব সত্ত্বেও খাতটি সম্ভাবনার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে, মূল্য সংযোজনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন গন্তব্য ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের পণ্যের এখনো মূল ক্রেতা ওই বাংলাদেশি প্রবাসীদের এথনিক মার্কেট। আর আমরা গতানুগতিক পণ্যের বাইরে বিশ্বের উন্নত দেশের মূল খাবারগুলো উৎপাদন করতে পারছি না। আমাদের উন্নত দেশের পণ্য উৎপাদন ও তাদের স্ট্যান্ডার্ড মেনে সেগুলো করতে হবে।’
কর্মশালায় ‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা যেসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করি, তার অধিকাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকি এবং ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছি।’
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ফসল উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে এ দেশের খাদ্যপণ্য অনিরাপদ হচ্ছে, যেটা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের জন্য ক্ষতির কারণ। আবার অনিরাপদ ফসলের জন্য অনেক কিছু দেশে উৎপাদন শর্তেও আমদানি করতে হচ্ছে। এ দেশে গ্যাপ (গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস) নেই, যে কারণে ফসল উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা প্রক্রিয়াকরণের সময় আলাদা করা যাচ্ছে না। আবার আমাদের সংরক্ষণ ও সরবরাহপর্যায়ে দুর্বলতা রয়েছে। দেশের অনেক খাদ্যপণ্য এসব পর্যায়ে নষ্ট হচ্ছে, অনিরাপদ হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য ভালো টেস্টিং ল্যাব নেই। আমরা বারবার সরকারকে একটি বিশ্বমানের ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছি, সেটা হয়নি।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, এ দেশে রেগুলেটরি ও পলিসি সমস্যা রয়েছে। খাদ্যপণ্যের একটি ব্যবসা শুরু করতে প্রায় ৪২ সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। এরপর ব্যবসা পরিচালনে মাত্রাতিরিক্ত নবায়ন ফি, লাইসেন্স ফিসহ নানা ফি দিতে হয়, যা পার্শ্ববর্তী দেশ কিংবা প্রতিযোগী যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের গুণমান এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দেশের গণমাধ্যম এই ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরলে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি এ খাত এগিয়ে নিতে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ট্যারিফ ব্যারিয়ার, শিপিং লাইন ও কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধি, সরকারের অপর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি ও বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের দুর্বলতার কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।’
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প সমৃদ্ধকরণে গণমাধ্যমের প্রভাব তুলে ধরে কর্মশালায় সাংবাদিক রিয়াজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যম শুধু সংবাদ প্রচার করে না, বরং সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত খাতের সাফল্য, কৃষকদের গল্প, উদ্ভাবন ও বাজার সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রচারণা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
কর্মশালায় দেশে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রক্রিয়াজাত কৃষি ও খাদ্যপণ্য শিল্প খাত বর্তমানে নগদ প্রণোদনা ও আমদানি করা উপকরণের ওপর শুল্কছাড়সহ যেসব সুবিধা ভোগ করছে, তা থাকবে না। তখন বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। এতে চরম প্রতিযোগিতায় পড়বে দেশীয় কোম্পানিগুলো। এখনই বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কষ্টকর হবে তাদের জন্য। তাই রপ্তানির বাধাগুলো দূর করে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকেরা।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এ খাতের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য বিকল্প সহায়তা খোঁজার পরামর্শও দেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে সুদের হার সমন্বয়ের মাধ্যমে কম খরচে অর্থায়ন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা।
‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প: জাতীয় উন্নয়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এই পরামর্শ দেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের অন্যতম কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
খন্দকার গোলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির পরিমাণ মোট রপ্তানির অর্ধেক। ফলে বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষি বা খাদ্যপণ্যের রপ্তানির নতুন নতুন গন্তব্য সৃষ্টি ও পণ্য বহুমুখীকরণে দুর্বলতা রয়েছে। এতে এলডিসি উত্তরণে পরে এ খাত বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রাথমিক কৃষি ও উৎপাদনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। এটি জিডিপি, রপ্তানি বৈচিত্র্য ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কৌশলগত গুরুত্ব সত্ত্বেও খাতটি সম্ভাবনার তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, বিশেষ করে, মূল্য সংযোজনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন গন্তব্য ও বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের পণ্যের এখনো মূল ক্রেতা ওই বাংলাদেশি প্রবাসীদের এথনিক মার্কেট। আর আমরা গতানুগতিক পণ্যের বাইরে বিশ্বের উন্নত দেশের মূল খাবারগুলো উৎপাদন করতে পারছি না। আমাদের উন্নত দেশের পণ্য উৎপাদন ও তাদের স্ট্যান্ডার্ড মেনে সেগুলো করতে হবে।’
কর্মশালায় ‘কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা যেসব খাদ্যপণ্য উৎপাদন করি, তার অধিকাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকি এবং ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছি।’
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘ফসল উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে এ দেশের খাদ্যপণ্য অনিরাপদ হচ্ছে, যেটা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের জন্য ক্ষতির কারণ। আবার অনিরাপদ ফসলের জন্য অনেক কিছু দেশে উৎপাদন শর্তেও আমদানি করতে হচ্ছে। এ দেশে গ্যাপ (গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস) নেই, যে কারণে ফসল উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক পদার্থ মিশে যাচ্ছে, যা প্রক্রিয়াকরণের সময় আলাদা করা যাচ্ছে না। আবার আমাদের সংরক্ষণ ও সরবরাহপর্যায়ে দুর্বলতা রয়েছে। দেশের অনেক খাদ্যপণ্য এসব পর্যায়ে নষ্ট হচ্ছে, অনিরাপদ হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য ভালো টেস্টিং ল্যাব নেই। আমরা বারবার সরকারকে একটি বিশ্বমানের ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছি, সেটা হয়নি।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, এ দেশে রেগুলেটরি ও পলিসি সমস্যা রয়েছে। খাদ্যপণ্যের একটি ব্যবসা শুরু করতে প্রায় ৪২ সংস্থার অনুমতি নিতে হয়। এরপর ব্যবসা পরিচালনে মাত্রাতিরিক্ত নবায়ন ফি, লাইসেন্স ফিসহ নানা ফি দিতে হয়, যা পার্শ্ববর্তী দেশ কিংবা প্রতিযোগী যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের গুণমান এখন আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দেশের গণমাধ্যম এই ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরলে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি এ খাত এগিয়ে নিতে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ট্যারিফ ব্যারিয়ার, শিপিং লাইন ও কনটেইনার ভাড়া বৃদ্ধি, সরকারের অপর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি ও বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ের দুর্বলতার কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।’
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প সমৃদ্ধকরণে গণমাধ্যমের প্রভাব তুলে ধরে কর্মশালায় সাংবাদিক রিয়াজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যম শুধু সংবাদ প্রচার করে না, বরং সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত খাতের সাফল্য, কৃষকদের গল্প, উদ্ভাবন ও বাজার সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রচারণা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
কর্মশালায় দেশে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি খাত নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৩
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২৮ মিনিট আগে
পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় রাখতে আমদানি সহজীকরণের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রমজান মৌসুমে কিছু পণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন বাধ্যতামূলক ছিল। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার কমানোর সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় রাখতে আমদানি সহজীকরণের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রমজান মৌসুমে কিছু পণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন বাধ্যতামূলক ছিল। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার কমানোর সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৩
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
৪১ মিনিট আগে
রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
গত ৬ নভেম্বর দেশটির সবচেয়ে বড় সার উৎপাদনকারী কোম্পানিটি উরাচেম গ্রুপের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। কোম্পানিটি রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বাড়াতে এর আগে বিনামূল্যের এ সার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (ক্রয়) আহমেদ হাসান আল মাহমুদ সার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি কনিয়েভ কৃষি মন্ত্রণালয়কে এ সার দেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দেন। যা পরবর্তীতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়।
পরবতীতে বিনামূল্যের এ সার সরবরাহ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত মি, আলেকজান্ডার জি খোঁজেন এবং রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জনাব মিয়া সাত্তার বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন।
রাশিয়ার এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সার সরবরাহ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এক বার্তায় বাংলাদেশ-রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির চেয়ারম্যান মিয়া সাত্তার বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দীর্ঘ বছরের পথচলাতে তা আরও শক্ত হয়েছে। আশা করি, এ সার পেয়ে দেশের কৃষক উপকৃত হবে।
দ্রুততম সময়ে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত এ সার সরবরাহ নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
গত বছরের ২৯ আগস্ট কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি প্রথম সার দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, উরাচেম গ্রুপ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি ইউরালকালি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পটাশ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে পিজেএসসি ইউরালকালি জিটুজি ভিত্তিতে জেএসসি বৈদেশিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এক মিলিয়ন টনের বেশি এমওপি সার সরবরাহ করেছে।

রাশিয়া থেকে বিনামূল্যের ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেশে আসতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে এ সার দিচ্ছে দেশটি।
গত ৬ নভেম্বর দেশটির সবচেয়ে বড় সার উৎপাদনকারী কোম্পানিটি উরাচেম গ্রুপের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। কোম্পানিটি রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বাড়াতে এর আগে বিনামূল্যের এ সার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (ক্রয়) আহমেদ হাসান আল মাহমুদ সার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি কনিয়েভ কৃষি মন্ত্রণালয়কে এ সার দেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দেন। যা পরবর্তীতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়।
পরবতীতে বিনামূল্যের এ সার সরবরাহ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত মি, আলেকজান্ডার জি খোঁজেন এবং রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জনাব মিয়া সাত্তার বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন।
রাশিয়ার এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সার সরবরাহ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এক বার্তায় বাংলাদেশ-রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির চেয়ারম্যান মিয়া সাত্তার বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দীর্ঘ বছরের পথচলাতে তা আরও শক্ত হয়েছে। আশা করি, এ সার পেয়ে দেশের কৃষক উপকৃত হবে।
দ্রুততম সময়ে রাশিয়ার প্রতিশ্রুত এ সার সরবরাহ নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
গত বছরের ২৯ আগস্ট কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি প্রথম সার দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, উরাচেম গ্রুপ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি ইউরালকালি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পটাশ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে পিজেএসসি ইউরালকালি জিটুজি ভিত্তিতে জেএসসি বৈদেশিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এক মিলিয়ন টনের বেশি এমওপি সার সরবরাহ করেছে।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ রপ্তানির ব্যবসা করতে চায় ভারত। যেখানে এরই মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কিছু বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। মিয়ানমারেও খুব অল্প পরিমাণে রপ্তানি করছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপকভাবে এই বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৩
‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনায় রংপুরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কার্যক্রম সম্প্রসারণ-বিষয়ক সেমিনার রংপুর শিল্পকলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে এই সেমিনারের লিড ব্যাংক হিসেবে ছিল পূবালী
২৮ মিনিট আগে
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বাজার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০৩০ সালে প্রায় ৬ বিলিয়নে উন্নীত হবে। অন্যদিকে এসব খাবারের রপ্তানি খাতে অবদান দিন দিন বাড়ছে। তবে সার্বিক রপ্তানির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্যের গন্তব্য বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। পাশাপাশি পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানির
৪১ মিনিট আগে
পবিত্র রমজান মাসে অতিপ্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার (এলসি) সময় সংরক্ষিত নগদ মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে
৪৩ মিনিট আগে