Ajker Patrika

ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের ডলার নিয়ে আসার নির্দেশ দিল পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে করে মার্কিন ডলার নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বৈদেশিক মুদ্রাসংকট কাটাতে পাক সরকার দেশটির গুরুদুয়ারা পরিচালনা কমিটির (পিএসজিপিসি) মাধ্যমে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের এই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

গুরু নানক দেবের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে পাকিস্তানে ‘প্রকাশ পুরাব’ শুরু হবে। এই যাত্রার তীর্থযাত্রীদের ভারতীয় রুপির বদলে ডলার নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের শিরোমণি গুরুদুয়ারা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের পাকিস্তান যাত্রা নিশ্চিত হওয়ার পর পিএসজিপিসি সভাপতি রমেশ সিং অরোরা এই বার্তা দিয়েছেন। ফলে এখন অনেক ভারতীয় তীর্থযাত্রী সফরের জন্য প্রয়োজনীয় ডলার সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তে পারেন, কারণ পাকিস্তান সাধারণত যাত্রার একদিন আগে ভিসা ইস্যু করে এবং অনেক আবেদনকারী ভিসা পান না।

যাত্রার নিশ্চয়তা না থাকায় তীর্থযাত্রীদের আগেই ডলার জোগাড় করা কঠিন হতে পারে। আত্তারি সীমান্তে মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবস্থা না থাকলে তীর্থযাত্রীরা ডলার সংগ্রহে আরও সমস্যায় পড়তে পারেন।

ভারতের ভাই মর্দানা ইয়াদগিরি কীর্তন দরবার সোসাইটির জগজিৎ সিং ভুল্লার ৮০০-এর বেশি তীর্থযাত্রীর জন্য পাকিস্তানি ভিসার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডলার সংগ্রহ করতে গিয়ে তীর্থযাত্রীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। যখন ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, তখন ডলার কীভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব? যাত্রার একদিন আগে ভিসা দেওয়া হয়, অনেকেই এত কম সময়ে ডলার পেতে হিমশিম খাবে। সরকার আত্তারি সীমান্তে মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবস্থা করলে তীর্থযাত্রীদের জন্য উপকার হবে।’

অন্যদিকে, পিএসজিপিসি সভাপতি রমেশ সিং অরোরা জানিয়েছেন, আগের সফরে ভারতীয় মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের আন্তর্জাতিক মুদ্রা (ডলার) সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, পাকিস্তানের কিছু মুদ্রা বিনিময়কারী ইচ্ছামতো বিনিময় হার নির্ধারণ করে, ফলে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

গড়ে প্রতি ১ হাজার রুপির বিনিময়ে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পাকিস্তানি রুপি পাওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানের মুদ্রা বিনিময়কারীরা ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ রুপি দেন। এখন পাকিস্তান সরকার ডলার আনার কথা বলায় বিনিময়কারীরা হয়তো আরও কম—২ হাজার ৫০০ পাকিস্তানি রুপি দিতে পারে। এতে তীর্থযাত্রীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

জগজিৎ বলেন, তীর্থযাত্রীদের হয়রানি ও ক্ষতি কমাতে আত্তারি সীমান্তে মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখলেই সবচেয়ে ভালো সমাধান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত