
সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সুবিধা এবং সস্তায় উৎপাদন সক্ষমতার কারণে এই সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সামান্য পরিমাণে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানি করে থাকে।
এসব ওষুধের অন্যতম প্রধান উপাদান ‘সেমাগ্লুটাইড’। এই সেমাগ্লুটাইড মূলত রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া এটি নভো নরডিস্কের বিখ্যাত ওষুধ ‘উইগভি’ ও ‘ওজেমপিকের’ মূল উপাদান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনসেপ্টার যেসব ওষুধ রপ্তানি করে সেগুলো মূলত এশিয়াভিত্তিক একটি সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ‘ওজেমপিকের’ সুলভ ‘কপি’ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কারণ বিশ্বব্যাপী এই ওষুধের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওজেমপিক টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর সক্রিয় উপাদান সেমাগ্লুটাইড ওজন কমানোর জন্যও কার্যকর। নভো নরডিস্ক এ কারণে স্থূলতার চিকিৎসা হিসেবে ‘উইগভি’ নিয়ে কাজ করছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুসারে, ইনসেপ্টার তৈরি করা অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার প্যাক সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও আছে। এসব দেশে ‘ওজেমপিক’–এর পেটেন্ট সুরক্ষিত থাকলেও এসব দেশে ইনসেপ্টার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইনসেপ্টার স্থূলতা কমানোর ওষুধ বাংলাদেশে বিক্রির জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ইনসেপ্টাকে ফিটারো বা ওরসেমা রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে, এটি কেবল তখনই তারা করতে পারবে যখন আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
অনুমোদনের জটিলতা থাকার কারণে এ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহারের নাম করে এসব ওষুধ নেওয়া হয়।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে তৈরি সেমাগ্লুটাইড ওষুধ ভারতভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়া মার্টে বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে যে, নভো নরডিস্কের বাইরেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘সেমাগ্লুটাইড’ ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।
রয়টার্স অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, কেনিয়া, উজবেকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাস্টমস বিভাগ এবং ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে জব্দ করা ওষুধের সরকারি রেকর্ডের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এশিয়াভিত্তিক চারটিসহ মোট ৬টি কম পরিচিত কোম্পানি সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে।
এর মধ্যে অন্তত তিনটি কোম্পানি ওষুধ তৈরির মূল উপাদান চীন থেকে আমদানি করেছে। এ ছাড়া, এসব কোম্পানি উৎপাদক দেশের বাইরে অন্য দেশে এসব ওষুধের বিজ্ঞাপন অন্তত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার করেছে। রয়টার্স বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছে, এই কোম্পানিগুলো স্বল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অনুমোদিত বৈশ্বিক পেটেন্ট সুবিধার ছাড় এবং চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পেটেন্ট প্রয়োগের শিথিল নীতিমালার সুযোগ নেয়।
নভো নরডিস্ক রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি সেমাগ্লুটাইড উৎপাদনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত হলেও বাংলাদেশ–লাওসের মতো দেশগুলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে তালিকায় থাকার কারণে এর থেকে অব্যাহতির সুযোগ ভোগ করে।
নভো নরডিস্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা কম উন্নত দেশগুলোতে পেটেন্ট লাইসেন্সের প্রয়োগ করে না। ওজেমপিকের ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নভো নরডিস্কের সম্ভাব্য পেটেন্ট লঙ্ঘনের আর্থিক প্রভাব বর্তমানে খুব বেশি নয়।
তবে পেটেন্ট ছাড়াই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধের কপি বা ‘অনুলিপি’ স্বাস্থ্যসেবায় উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডসহ ছয়টি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রকেরা ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে আনা সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক কিছু ওষুধ জব্দ, ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে রয়টার্স এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে, এই ওষুধগুলো রোগীদের কোনো ক্ষতি করেছে। তবে ব্যাপক আকারে এসব ওষুধের ছড়িয়ে পড়া বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সমান্তরাল সরবরাহ শৃঙ্খল
বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইনসেপ্টার ওরসেমা বাংলাদেশে অনুমোদিত এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাদের ফিটারোও বিক্রির জন্য অনুমোদিত। ঢাকার একটি ক্লিনিকে ইনসেপ্টার তৈরি ফিটারো ইনজেক্টর পেন ২০ জন রোগীকে প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। যাদের প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক।
ক্লিনিকটির এক ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে রোগীরা এই চিকিৎসার বিষয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় ক্লিনিকটির নাম উল্লেখ করতে চাননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন রোগীরা জানতে পারেন যে, বাংলাদেশে ফিটারো গ্রহণের মাসিক খরচ প্রায় মাত্র ৬০ ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে উইগভির জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার), তখন তাঁরা ওষুধ প্রস্তুতকারকের নাম-পরিচয় নিয়ে খুব একটি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।’
কেবল বাংলাদেশেই নয়, লাওসেও এই সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুত হচ্ছে। এই বিষয়ে লাওসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ ও মেডিকেল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক দাভোনে দুয়াংদানি রয়টার্সকে জানান, লাওসে সেমাগ্লুটাইডভিত্তিক ওষুধগুলো কেবল দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য বৈধভাবে উৎপাদন ও বিতরণ করা যেতে পারে।
তবে কিছু চীনা কোম্পানি লাওসে উৎপাদিত সেমাগ্লুটাইড ট্যাবলেটের পক্ষে চীনে প্রচারণা চালাচ্ছে। চীনে নভো নরডিস্কের পেটেন্টের মেয়াদ ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। চলতি বছরের জুনে সাংহাইতে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে সেমাগ্লুটাইড প্রস্তুতকারী নানজিং হানজিন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি লাওসের বোটেন এলিমেন্টো ফার্মার প্রস্তুত করা ‘সেমাগকেয়ার’ ট্যাবলেট প্রদর্শন করে।
নানজিং হানজিনের পরিচালক অ্যাবদু জোগবি রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁর কোম্পানি লাওসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না (সেমাগকেয়ার কোন দেশগুলোতে বিক্রি হয়), তবে আমরা এর প্রচারণা চালাচ্ছি। কারণ, তারা যত বেশি বিক্রি করবে, আমরা তাদের কাছে তত বেশি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) সরবরাহ করতে পারব।
ইনসেপ্টাকে সেমাগ্লুটাইড সরবরাহকারীর তালিকায় রয়েছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক। বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০২০–২৪ সালের মধ্যে চীন ও হংকং থেকে অন্তত ৮৯২ গ্রাম সেমাগ্লুটাইড আমদানি করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৫ হাজার ডলার। ঝেজিয়াং পেপটাইডস বায়োটেক ২০২৩–২৪ সালে রাশিয়ার ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেরোফার্মকে অন্তত ২৫ দশমিক ৬ কেজি সেমাগ্লুটাইড সরবরাহ করেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৮ লাখ ডলার।
চীনা কাস্টমসের তথ্য বলছে, ইনসেপ্টা কেবল চীন থেকে নয় সুইজারল্যান্ডের জেনেরিক ড্রাগ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যাচেমের কাছ থেকেও উপাদানটি আমদানি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বেসেন্ট মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, চুক্তিতে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা নিয়েও ‘চূড়ান্ত সমঝোতা’ হয়েছে। এ ছাড়া চীন তাদের বিরল খনিজ রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।
বেসেন্ট আরও বলেন, ট্রাম্পের দেওয়া হুমকি অনুযায়ী চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে চীন আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও সির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে বেসেন্ট চীনের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেসেন্ট বলেন, ‘দুই নেতার আলোচনার জন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোয় পৌঁছেছি। ফলে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা আপাতত ঠেকানো গেছে।’
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরেই বিদেশি আমদানির ওপর শুল্ক আরোপর হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তবে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে; যার যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। তবে উভয় দেশ আপাতত শুল্ক কার্যকর না করে আলোচনার পথে হাঁটছে।
কিছুদিন আগেও ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চীন যদি বিরল খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি না তুলে নেয়, তাহলে নভেম্বর থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
চীন বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ উপাদান প্রক্রিয়াজাত করে। এগুলো স্মার্টফোন, সৌর প্যানেল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরিতে অপরিহার্য। ফলে এই উপকরণের সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় কৌশলগত ইস্যু।
বেসেন্ট জানান, চীন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে এবং রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।
আরেকটি বড় বিতর্কিত বিষয় হলো সয়াবিন বাণিজ্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সয়াবিন আমদানিকারক দেশ চীন। তবে আগস্টে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব অর্ডার স্থগিত করেছিল চীন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন মার্কিন কৃষকেরা।
বেসেন্ট বলেন, ‘আমিও একজন সয়াবিনচাষি, তাই এই কষ্ট আমি বুঝি। আমরা কৃষকদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করেছি।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, চীনের সয়াবিন বয়কট শিগগির শেষ হবে। তবে এর বেশি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
তাঁর ভাষায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, যখন চীনের সঙ্গে চুক্তি ঘোষণা করা হবে, তখন আমাদের সয়াবিনচাষিরা এই মৌসুম ও আগামী কয়েক বছরের জন্য স্বস্তি পাবে।’
বেসেন্ট আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো হয়েছে। এখন ট্রাম্প ও সি চিন পিং বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে বিতর্ক চলছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রিয় এই অ্যাপের মালিকানাও কিনে নিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন পর্যন্ত আলোচনার সুবিধার্থে চারবার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর স্থগিত করেছেন এবং সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বেসেন্ট মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, চুক্তিতে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা নিয়েও ‘চূড়ান্ত সমঝোতা’ হয়েছে। এ ছাড়া চীন তাদের বিরল খনিজ রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।
বেসেন্ট আরও বলেন, ট্রাম্পের দেওয়া হুমকি অনুযায়ী চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে চীন আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও সির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে বেসেন্ট চীনের শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেসেন্ট বলেন, ‘দুই নেতার আলোচনার জন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোয় পৌঁছেছি। ফলে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা আপাতত ঠেকানো গেছে।’
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরেই বিদেশি আমদানির ওপর শুল্ক আরোপর হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তবে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে; যার যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। তবে উভয় দেশ আপাতত শুল্ক কার্যকর না করে আলোচনার পথে হাঁটছে।
কিছুদিন আগেও ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চীন যদি বিরল খনিজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি না তুলে নেয়, তাহলে নভেম্বর থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
চীন বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ উপাদান প্রক্রিয়াজাত করে। এগুলো স্মার্টফোন, সৌর প্যানেল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরিতে অপরিহার্য। ফলে এই উপকরণের সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় কৌশলগত ইস্যু।
বেসেন্ট জানান, চীন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে এবং রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।
আরেকটি বড় বিতর্কিত বিষয় হলো সয়াবিন বাণিজ্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সয়াবিন আমদানিকারক দেশ চীন। তবে আগস্টে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব অর্ডার স্থগিত করেছিল চীন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন মার্কিন কৃষকেরা।
বেসেন্ট বলেন, ‘আমিও একজন সয়াবিনচাষি, তাই এই কষ্ট আমি বুঝি। আমরা কৃষকদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করেছি।’ তিনি ইঙ্গিত দেন, চীনের সয়াবিন বয়কট শিগগির শেষ হবে। তবে এর বেশি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
তাঁর ভাষায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, যখন চীনের সঙ্গে চুক্তি ঘোষণা করা হবে, তখন আমাদের সয়াবিনচাষিরা এই মৌসুম ও আগামী কয়েক বছরের জন্য স্বস্তি পাবে।’
বেসেন্ট আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম নিয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো হয়েছে। এখন ট্রাম্প ও সি চিন পিং বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে বিতর্ক চলছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রিয় এই অ্যাপের মালিকানাও কিনে নিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন পর্যন্ত আলোচনার সুবিধার্থে চারবার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর স্থগিত করেছেন এবং সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছেন।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি। তবে অনিয়মের দায়ে শাস্তি হিসেবে সম্প্রতি কোম্পানিটিকে জরিমানা করেছে আইডিআরএ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেশি হয়েছে, তবে তা ৯ কোটি হবে না। জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করব।’
আইডিআরএ তথ্যমতে, চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ৬২ লঙ্ঘন করে চার্টার্ড লাইফ ৮ কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএকে একটি চিঠি দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বিষয়টি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তাই নিয়ম ভঙ্গের দায়ে বিমা আইন ২০১০-এর ১৩০ ধারায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৪ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর পরামর্শক (মিডিয়া এবং যোগাযোগ) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়মবহির্ভূত ব্যয়ের কারণে কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা করতে বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সিইও মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘গত বছর প্রথম চার মাস ব্যবসা হয়নি। এরপর গণ-অভ্যুত্থান এবং বছরের শেষ দিকে ব্যাংকের নগদ অর্থসংকটের কারণে ব্যবসা কম হয়েছে। বিপরীতে অফিসভাড়া এবং বেতন-ভাতা দেওয়াসহ অন্যান্য খরচ বেশি হয়েছে। তবে এখন ব্যবসা রিকভারি হচ্ছে। গত বছরের ব্যবসা এ বছর পোষাতে পারব।’
২০২২ সালে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৯০ টাকায়। তাতে কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি। তবে অনিয়মের দায়ে শাস্তি হিসেবে সম্প্রতি কোম্পানিটিকে জরিমানা করেছে আইডিআরএ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর ব্যবস্থাপনা ব্যয় বেশি হয়েছে, তবে তা ৯ কোটি হবে না। জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করব।’
আইডিআরএ তথ্যমতে, চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ৬২ লঙ্ঘন করে চার্টার্ড লাইফ ৮ কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার ৭৮০ টাকা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে আইডিআরএকে একটি চিঠি দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বিষয়টি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তাই নিয়ম ভঙ্গের দায়ে বিমা আইন ২০১০-এর ১৩০ ধারায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৪ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর পরামর্শক (মিডিয়া এবং যোগাযোগ) সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, নিয়মবহির্ভূত ব্যয়ের কারণে কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা করতে বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সিইও মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘গত বছর প্রথম চার মাস ব্যবসা হয়নি। এরপর গণ-অভ্যুত্থান এবং বছরের শেষ দিকে ব্যাংকের নগদ অর্থসংকটের কারণে ব্যবসা কম হয়েছে। বিপরীতে অফিসভাড়া এবং বেতন-ভাতা দেওয়াসহ অন্যান্য খরচ বেশি হয়েছে। তবে এখন ব্যবসা রিকভারি হচ্ছে। গত বছরের ব্যবসা এ বছর পোষাতে পারব।’
২০২২ সালে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৯০ টাকায়। তাতে কোম্পানির বর্তমান বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ দিন আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি রূপান্তরিত পণ্য শুধু দেশীয় চাহিদা পূরণ করছে না, বিশ্বব্যাপীও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইপিজেডে বিদেশি কিছু কারখানাও সরাসরি রপ্তানি করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো প্রমাণ দেয়, গত ছয় বছরে মানব চুল এবং কৃত্রিম চুলের রপ্তানি প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০২০-২১ সালে রপ্তানি ৭৫.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৫.৭১ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও ৮৫.৩৫ শতাংশ বেড়ে ১০.৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। পরের বছর ২০২২-২৩-এ রপ্তানি ১২.৩০ কোটি ডলারে পৌঁছায়, যদিও ২০২৩-২৪-এ বৈশ্বিক কারণে ৩.৯৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়। তবে এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ২০.৯২ শতাংশ বাড়ে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর), দেশ থেকে মানব চুল ও উইগস রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নন-ট্র্যাডিশনাল পণ্যের মধ্যে মানব চুলের বাজারে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যেখানে ফার্মাসিটিউটিক্যাল খাতের রপ্তানি ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেখানে মানব চুল খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধি দারুণ সম্ভাবনাই নির্দেশ করছে।
দেশে মানব চুলের প্রথম উদ্যোক্তা খিলগাঁওয়ের মতিউর রহমান। প্রায় তিন দশক আগে তিনি বাড়ি বাড়ি ও পারলারে ঘুরে চুল সংগ্রহ শুরু করেন। পরিবার ও সমাজ সমর্থন না করলেও তিনি থেমে যাননি। সংগ্রহ করা চুল প্রক্রিয়াজাত করে উইগস, হেয়ার এক্সটেনশনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। পরে প্রতিষ্ঠা করেন চুলের কারখানা ‘হেয়ারি’। গত ২৯ বছরে তাঁর ব্যবসাসহ এ খাতের সার্বিক বাজার, কারখানা ও হকার—সবই বেড়েছে। তাঁর নরসিংদীর কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৩০ জন।
তথ্যমতে, দেশীয় কারখানাগুলো মাসে গড়ে ২০ কেজি চুল সংগ্রহ করে। ৮ ইঞ্চি চুলের দাম ৮-৯ হাজার টাকা, বড় চুলের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ হাজার টাকা। বছরে দেশে সংগৃহীত চুলের পরিমাণ প্রায় ৫ টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। পণ্য তৈরিতে ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন হলে চুলের সার্বিক বাজার দাঁড়ায় ৮ কোটি টাকার আশপাশে। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি পণ্য রপ্তানি হলে এর মূল্য পৌঁছায় ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
মানব চুল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় চার ধাপে। হকারদেরও ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মো. রাফসান জানি বলেন, তাঁরা সারা দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম চুল সংগ্রহ করেন, যা ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এবং নিয়মিত আয় নিশ্চিত হয়।
বিশ্ববাজারেও এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আমেরিকায় বাংলাদেশি চুল এবং উইগস রপ্তানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মানব চুলের বাজারের আকার প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বছরে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে। ভারত মানব চুল রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে, বৈশ্বিক চাহিদার ৮৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এক্সটেনশন ও উইগের বাজারের প্রধান দখল রয়েছে উত্তর আমেরিকার, যেখানে ২০২৪ সালে ৪৭.১৩ শতাংশ বাজার তাদের দখলেই ছিল।
তবে বাজার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। অনেক নারী মনে করেন, ফেলে দেওয়া চুল বিক্রি করলে অমঙ্গল হয়। দেশের নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কারণে চুল কাটেন না। এ ছাড়া তৈরি পণ্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো জটিল। এ ছাড়া কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান চুলকে মানব অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে সরবরাহে অনীহা দেখায়। হাই ভ্যালুর পণ্য হওয়ায় হকারদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় এবং অনেক উদ্যোক্তার পুঁজি সীমিত।
আরও খবর পড়ুন:
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি রূপান্তরিত পণ্য শুধু দেশীয় চাহিদা পূরণ করছে না, বিশ্বব্যাপীও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ইপিজেডে বিদেশি কিছু কারখানাও সরাসরি রপ্তানি করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো প্রমাণ দেয়, গত ছয় বছরে মানব চুল এবং কৃত্রিম চুলের রপ্তানি প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। ২০২০-২১ সালে রপ্তানি ৭৫.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৫.৭১ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও ৮৫.৩৫ শতাংশ বেড়ে ১০.৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। পরের বছর ২০২২-২৩-এ রপ্তানি ১২.৩০ কোটি ডলারে পৌঁছায়, যদিও ২০২৩-২৪-এ বৈশ্বিক কারণে ৩.৯৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়। তবে এরপর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ২০.৯২ শতাংশ বাড়ে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর), দেশ থেকে মানব চুল ও উইগস রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ৫৫ শতাংশ বেশি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। নন-ট্র্যাডিশনাল পণ্যের মধ্যে মানব চুলের বাজারে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যেখানে ফার্মাসিটিউটিক্যাল খাতের রপ্তানি ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সেখানে মানব চুল খাতের উচ্চ প্রবৃদ্ধি দারুণ সম্ভাবনাই নির্দেশ করছে।
দেশে মানব চুলের প্রথম উদ্যোক্তা খিলগাঁওয়ের মতিউর রহমান। প্রায় তিন দশক আগে তিনি বাড়ি বাড়ি ও পারলারে ঘুরে চুল সংগ্রহ শুরু করেন। পরিবার ও সমাজ সমর্থন না করলেও তিনি থেমে যাননি। সংগ্রহ করা চুল প্রক্রিয়াজাত করে উইগস, হেয়ার এক্সটেনশনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। পরে প্রতিষ্ঠা করেন চুলের কারখানা ‘হেয়ারি’। গত ২৯ বছরে তাঁর ব্যবসাসহ এ খাতের সার্বিক বাজার, কারখানা ও হকার—সবই বেড়েছে। তাঁর নরসিংদীর কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন ৩০ জন।
তথ্যমতে, দেশীয় কারখানাগুলো মাসে গড়ে ২০ কেজি চুল সংগ্রহ করে। ৮ ইঞ্চি চুলের দাম ৮-৯ হাজার টাকা, বড় চুলের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ হাজার টাকা। বছরে দেশে সংগৃহীত চুলের পরিমাণ প্রায় ৫ টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। পণ্য তৈরিতে ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন হলে চুলের সার্বিক বাজার দাঁড়ায় ৮ কোটি টাকার আশপাশে। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি পণ্য রপ্তানি হলে এর মূল্য পৌঁছায় ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
মানব চুল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হয় চার ধাপে। হকারদেরও ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মো. রাফসান জানি বলেন, তাঁরা সারা দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম চুল সংগ্রহ করেন, যা ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয় এবং নিয়মিত আয় নিশ্চিত হয়।
বিশ্ববাজারেও এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আমেরিকায় বাংলাদেশি চুল এবং উইগস রপ্তানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মানব চুলের বাজারের আকার প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বছরে ১১ শতাংশ হারে বাড়ছে। ভারত মানব চুল রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষে, বৈশ্বিক চাহিদার ৮৫ শতাংশ সরবরাহ করছে। এক্সটেনশন ও উইগের বাজারের প্রধান দখল রয়েছে উত্তর আমেরিকার, যেখানে ২০২৪ সালে ৪৭.১৩ শতাংশ বাজার তাদের দখলেই ছিল।
তবে বাজার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। অনেক নারী মনে করেন, ফেলে দেওয়া চুল বিক্রি করলে অমঙ্গল হয়। দেশের নারীরা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কারণে চুল কাটেন না। এ ছাড়া তৈরি পণ্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো জটিল। এ ছাড়া কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান চুলকে মানব অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করে সরবরাহে অনীহা দেখায়। হাই ভ্যালুর পণ্য হওয়ায় হকারদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় এবং অনেক উদ্যোক্তার পুঁজি সীমিত।
আরও খবর পড়ুন:

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রেনিং সেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, শারমিন রিনভী এবং সিনিয়র সদস্য মুনিমা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র সংবাদপত্রে উঠে আসবে। এ জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা ইআরএফ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। আজকে ইআরএফ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৌলত আকতার মালা বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রথম কোর্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কোর্সের মাধ্যমে আমরা “ডেটা জার্নালিজম” সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করব। আমরা ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিংয়ের আয়োজন করব। আমাদের সহকর্মীদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাধানের পথ তৈরি করতে সহায়তা করবে ইআরএফ ইনস্টিটিউট।’
ট্রেনিংয়ের একটি সেশন পরিচালনা করেন ডেটা জার্নালিস্ট এবং শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ ইমরান। অন্যটি পরিচালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ইআরএফ সদস্যদের বাইরেও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদেরও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইআরএফ কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

বাংলাদেশের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘ইআরএফ ইনস্টিটিউট’-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ‘ডেটা জার্নালিজম’ নিয়ে আয়োজিত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
ট্রেনিং সেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, শারমিন রিনভী এবং সিনিয়র সদস্য মুনিমা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শহীদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র সংবাদপত্রে উঠে আসবে। এ জন্য সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা ইআরএফ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। আজকে ইআরএফ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
দৌলত আকতার মালা বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রথম কোর্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কোর্সের মাধ্যমে আমরা “ডেটা জার্নালিজম” সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করব। আমরা ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিংয়ের আয়োজন করব। আমাদের সহকর্মীদের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাধানের পথ তৈরি করতে সহায়তা করবে ইআরএফ ইনস্টিটিউট।’
ট্রেনিংয়ের একটি সেশন পরিচালনা করেন ডেটা জার্নালিস্ট এবং শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ ইমরান। অন্যটি পরিচালনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫ জন সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ইআরএফ সদস্যদের বাইরেও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদেরও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইআরএফ কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সারা বিশ্বেই এখন ওজন কমানোর ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। মরগ্যান স্ট্যানলি রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এই বাজার ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। যেখানে ২০২৩ সালে স্থূলতা নিরাময়ের ওষুধের বিক্রি ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার।
০২ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা ‘অবৈধ’ ব্যয় করেছে। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি অফিসভাড়া, বেতন-ভাতা এবং নতুন বিমা আনতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফেলে দেওয়া মানুষের চুল আজ কোটি ডলারের ব্যবসার প্রাণ। এটি শুধু অর্থ নয়, সম্ভাবনার প্রতীক। প্রায় তিন দশক আগে শুরু হওয়া সেই অপ্রচলিত উদ্যোগ এখন দেশে রীতিমতো শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানব চুলকে কাঁচামাল হিসেবে নিশ্চিতে সারা দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যার কেন্দ্রবিন্দু অন্তত ২৫টি কারখানা।
১৯ ঘণ্টা আগে