মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর)
যশোরের অভয়নগরে ইটের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে ৮ থেকে ৯ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ইটের দাম ১২ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে ইটের ঘর নির্মাণকারীসহ আবাসন খাত সমস্যায় পড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরপর চার দফায় কয়লার মূল্যবৃদ্ধিকে দুষছেন ভাটা মালিকেরা।
বৃষ্টি না থাকায় নভেম্বর থেকে এই অঞ্চলে নির্মাণ মৌসুম শুরু হয়। এতে ইট বিক্রি বেড়ে যায়, ভাটার মালিকেরাও ইট তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে প্রতি ইউনিট ইটের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ইটের বাজারে। বিক্রি কমে যাওয়ায় ইটের উৎপাদনও কমে গেছে।
ইটভাটার মালিকদের তথ্যমতে, গত বছরের শুরুতে মাঝারি মানের প্রতিটি ইট বিক্রি হতো ৫ থেকে ৬ টাকায়। বর্তমানে একই মানের ইট বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকায়। অন্যদিকে ভালো মানের ইটের দাম ছিল ৮ থেকে ৯ টাকা। বর্তমানে একই মানের ইট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১১ টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো মানের ইট ইউনিটপ্রতি ১২ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ইটের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ভাটার মালিকেরা বলছেন, গত বছরের এপ্রিল থেকে বিশ্বব্যাপী বাড়তে শুরু করে কয়লার দাম। ওই সময়ে বাজারে ইন্দোনেশিয়ার উন্নতমানের কয়লার দাম ছিল টনপ্রতি ৯ হাজার টাকা, সাউথ আফ্রিকার কয়লা ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে একই মানের প্রতি টন কয়লা বিক্রি হচ্ছে ২১ হাজার টাকায়। এতে দেশের বাজারে ইটের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে বলে দাবি তাঁদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নওয়াপাড়ায় কয়লা কিনতে আসা মোশারেফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, পাবনা থেকে শাহিনুর রহমান, মেহেরপুর থেকে নুর ইসলাম, নাভারণ থেকে খালেক বলেন, কয়লার দাম অনেক বেশি। তাই এবার দেরিতে ভাটায় আগুন দিচ্ছেন। এক-দুই গাড়ি কয়লা কিনে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়লা মজুত করতে পারছেন না। প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইট তৈরি করলেও এবার ৬ থেকে ৭ লাখের বেশি ইট বানানো যাবে না বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন।
যশোর সদর উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সহসভাপতি আলহাজ নাজিরউদ্দিন বলেন, ‘আমার তিনটা ভাটা। আমি প্রতিবছর ২ কোটি ১০ লাখ ইট তৈরি করি। এবার এর অর্ধেক ইটও বানাতে পারব না।
ভাটা মালিকেরা বলছেন, এক বছর আগেও ভালো মানের কয়লার টন ছিল ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় কয়লার টন ১৪ হাজার টাকা, তৃতীয় দফায় ১৬ হাজার টাকা হয়। এখন প্রতি টন কয়লা ২১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত কয়লার দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে আমদানিকারকেরা। এতে ইটের উৎপাদনও স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসবে।
বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে তাঁরা ইটভাটার জন্য কয়লা কিনে রাখেন। এ বছর কয়লার দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো মজুত করা যায়নি। এ ছাড়া কয়লার দাম বেশি থাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটা চালুই করতে পারেননি মালিকেরা। এ তালিকায় রয়েছে মোরাদ ব্রিকস, মোল্যা ব্রিকস, যমুনা ব্রিকস, আলী ব্রিকস, কাজী ব্রিকস, ইতনা ব্রিকস, এমইডি ব্রিকস।
ইটের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, ইটের দাম এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। একসময় প্রতিটি ইট ৮ টাকায় ক্রয় করলেও বর্তমানে একই মানের ইট কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ ইটের প্রয়োজন থাকায় ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচও বেড়েছে।
অভয়নগর উপজেলায় কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উত্তরা প্রাইভেট লিমিটেড, সাহারা এন্টারপ্রাইজ, শেখ ব্রাদার্স, মোশারেফ অ্যান্ড ব্রাদার্স, ইউনাইটেড কোল লিমিটেড, এ্যালিগেন্ট কোল, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সৈনিক ট্রেডার্স, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল, সিলেট সিন্ডিকেট। ইন্ডিয়ান কয়লা এনেছে জাফ্রিদি এন্টার প্রাইজ।
কয়লার মূল্য প্রসঙ্গে সাহারা এন্টারপ্রাইজের নওয়াপাড়া শাখা অফিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ রিদুয়ান কবির বলেন, এই মৌসুমে প্রথম থেকেই কয়লার দাম ক্রমে ১৭ হাজার, ১৮ হাজার, ১৯ হাজার, ২০ হাজার টাকা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে চীনারা কয়লা ক্রয় করেছে বলে এই দাম বেড়েছে। এ ছাড়া করোনার একটা প্রভাব রয়েছে এই সেক্টরে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, জাহাজভাড়া বেশি হওয়াও কয়লার দাম বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যশোরের অভয়নগরে ইটের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে ৮ থেকে ৯ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ইটের দাম ১২ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে ইটের ঘর নির্মাণকারীসহ আবাসন খাত সমস্যায় পড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরপর চার দফায় কয়লার মূল্যবৃদ্ধিকে দুষছেন ভাটা মালিকেরা।
বৃষ্টি না থাকায় নভেম্বর থেকে এই অঞ্চলে নির্মাণ মৌসুম শুরু হয়। এতে ইট বিক্রি বেড়ে যায়, ভাটার মালিকেরাও ইট তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে প্রতি ইউনিট ইটের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ইটের বাজারে। বিক্রি কমে যাওয়ায় ইটের উৎপাদনও কমে গেছে।
ইটভাটার মালিকদের তথ্যমতে, গত বছরের শুরুতে মাঝারি মানের প্রতিটি ইট বিক্রি হতো ৫ থেকে ৬ টাকায়। বর্তমানে একই মানের ইট বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকায়। অন্যদিকে ভালো মানের ইটের দাম ছিল ৮ থেকে ৯ টাকা। বর্তমানে একই মানের ইট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১১ টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো মানের ইট ইউনিটপ্রতি ১২ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ইটের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ভাটার মালিকেরা বলছেন, গত বছরের এপ্রিল থেকে বিশ্বব্যাপী বাড়তে শুরু করে কয়লার দাম। ওই সময়ে বাজারে ইন্দোনেশিয়ার উন্নতমানের কয়লার দাম ছিল টনপ্রতি ৯ হাজার টাকা, সাউথ আফ্রিকার কয়লা ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে একই মানের প্রতি টন কয়লা বিক্রি হচ্ছে ২১ হাজার টাকায়। এতে দেশের বাজারে ইটের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে বলে দাবি তাঁদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নওয়াপাড়ায় কয়লা কিনতে আসা মোশারেফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, পাবনা থেকে শাহিনুর রহমান, মেহেরপুর থেকে নুর ইসলাম, নাভারণ থেকে খালেক বলেন, কয়লার দাম অনেক বেশি। তাই এবার দেরিতে ভাটায় আগুন দিচ্ছেন। এক-দুই গাড়ি কয়লা কিনে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়লা মজুত করতে পারছেন না। প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইট তৈরি করলেও এবার ৬ থেকে ৭ লাখের বেশি ইট বানানো যাবে না বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন।
যশোর সদর উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সহসভাপতি আলহাজ নাজিরউদ্দিন বলেন, ‘আমার তিনটা ভাটা। আমি প্রতিবছর ২ কোটি ১০ লাখ ইট তৈরি করি। এবার এর অর্ধেক ইটও বানাতে পারব না।
ভাটা মালিকেরা বলছেন, এক বছর আগেও ভালো মানের কয়লার টন ছিল ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় কয়লার টন ১৪ হাজার টাকা, তৃতীয় দফায় ১৬ হাজার টাকা হয়। এখন প্রতি টন কয়লা ২১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত কয়লার দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে আমদানিকারকেরা। এতে ইটের উৎপাদনও স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসবে।
বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে তাঁরা ইটভাটার জন্য কয়লা কিনে রাখেন। এ বছর কয়লার দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো মজুত করা যায়নি। এ ছাড়া কয়লার দাম বেশি থাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটা চালুই করতে পারেননি মালিকেরা। এ তালিকায় রয়েছে মোরাদ ব্রিকস, মোল্যা ব্রিকস, যমুনা ব্রিকস, আলী ব্রিকস, কাজী ব্রিকস, ইতনা ব্রিকস, এমইডি ব্রিকস।
ইটের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বলেন, ইটের দাম এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। একসময় প্রতিটি ইট ৮ টাকায় ক্রয় করলেও বর্তমানে একই মানের ইট কিনতে ব্যয় করতে হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। আবাসন খাতে বিপুল পরিমাণ ইটের প্রয়োজন থাকায় ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচও বেড়েছে।
অভয়নগর উপজেলায় কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উত্তরা প্রাইভেট লিমিটেড, সাহারা এন্টারপ্রাইজ, শেখ ব্রাদার্স, মোশারেফ অ্যান্ড ব্রাদার্স, ইউনাইটেড কোল লিমিটেড, এ্যালিগেন্ট কোল, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সৈনিক ট্রেডার্স, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল, সিলেট সিন্ডিকেট। ইন্ডিয়ান কয়লা এনেছে জাফ্রিদি এন্টার প্রাইজ।
কয়লার মূল্য প্রসঙ্গে সাহারা এন্টারপ্রাইজের নওয়াপাড়া শাখা অফিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ রিদুয়ান কবির বলেন, এই মৌসুমে প্রথম থেকেই কয়লার দাম ক্রমে ১৭ হাজার, ১৮ হাজার, ১৯ হাজার, ২০ হাজার টাকা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে চীনারা কয়লা ক্রয় করেছে বলে এই দাম বেড়েছে। এ ছাড়া করোনার একটা প্রভাব রয়েছে এই সেক্টরে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, জাহাজভাড়া বেশি হওয়াও কয়লার দাম বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টাকার আন্তঃব্যাংক ও গ্রাহক লেনদেনের বিনিময় হার ডিলার ব্যাংকগুলো চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে। বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ডিলার ব্যাংকের সঙ্গে প্রচলিত আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারে মার্কিন ডলার কেনা-বেচা করে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপে ব্যবসায়ীরা যখন অস্থির, ঠিক সে সময় চট্টগ্রাম বন্দর ও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোর (আইসিডি) চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ (মাশুল) ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোর (আইসিডি) চার্জ ২৯ থেকে ১০০ শতাংশ...
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরা; যেখানে প্রতিদিন বই-খাতা হাতে শিশুরা আসে স্বপ্ন বুনতে, ভবিষ্যতের পথ গড়তে। সেই চেনা প্রাঙ্গণ হঠাৎ রূপ নিয়েছে এক মর্মান্তিক ধ্বংসস্তূপে। ২১ জুলাই বেলা সোয়া একটার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান হঠাৎ আছড়ে পড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর।
১০ ঘণ্টা আগেবিগত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দুই দিনব্যাপী এক কৌশলগত সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে