আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
ওটিসির ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টি কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য নেই। বাকি ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হওয়া শেয়ারদর ধরে হিসাব করলেও ৩৯৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের এই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। যদিও বিনিয়োগকারীদের মূল বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ, এসব কোম্পানির অনেকের শেয়ার সর্বশেষ ২ টাকারও কমে লেনদেন হয়েছে। এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওটিসির ভবিষ্যৎ দেখি না। উদ্যোক্তারা আগেই শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছেন। শেয়ার বিক্রি করে ফেলার পর এসব কোম্পানি জাহান্নামে চলে গেলেই তাঁদের কী আসে যায়? ভোগান্তি সাধারণ বিনিয়োগকারীর। আমি রেগুলেটর বডি হলে উদ্যোক্তাদের শেয়ার বেচতেই দিতাম না।’
এগুলো থেকে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখেন না অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সুযোগই নেই। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ইতিবাচক হলে অবসায়নের মাধ্যমে কিছু ফিরে পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এগুলোর দেনা এত বেশি যে অবসায়ন করলেও কিছুই পাবেন না বিনিয়োগকারীরা।’
এরপরও কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়ে আবু আহমেদ বলেন, এগুলো অবসায়নে যাওয়াই ভালো। এর জন্য পরীক্ষা করতে হবে। দেনা বাদ দিয়ে যদি সম্পদ থাকে, সে ক্ষেত্রে কিছু ফেরত পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
সাধারণত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, উৎপাদন বন্ধ, অস্তিত্ববিহীন কোম্পানির শেয়ারগুলোই ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়। এটা পুঁজিবাজারেরই অংশ। যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে যোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না, সেসব কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়ে চলে আসে ওটিসি মার্কেটে। ওটিসিকে অনেকটা পুঁজিবাজারের ডাস্টবিনও বলা চলে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ দর অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে। তবে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ১০ গুণ বেশি। এভাবে প্রতিটি কোম্পানিরই বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি।
সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ হলো আল আমিন কেমিক্যাল ১৭ কোটি ১০ লাখ, আলফা টোব্যাকো ৩ কোটি ৮৯ লাখ, আমান সি ফুড ৭৬ লাখ, আরবি টেক্সটাইল ২৩ লাখ, আশরাফ টেক্সটাইল ৮ কোটি ৪০ লাখ, আজাদী প্রিন্টার্স ১০ লাখ, বাংলা প্রোসেস ৪ কোটি ২৭ লাখ, বাংলা কেমিক্যাল ১ কোটি ১৭ লাখ, বাংলাদেশ ডায়িং ১ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশ হোটেল ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ লাগেজ ১ কোটি ৪০ লাখ, বাংলাদেশ প্ল্যানটেশন ৬৯ লাখ, বাংলাদেশ জিপার ৯৮ লাখ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার ১ কোটি ৬৬ লাখ, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস ২ কোটি ৭৪ লাখ, বায়োনিক সি ফুড ১ কোটি ৫ লাখ, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো ১ কোটি ৭ লাখ, চিক টেক্স ১ কোটি ৯৮ লাখ, ড্যান্ডি ডাইং ১ কোটি ৭৯ লাখ, ঢাকা ফিশারিজ ৩ কোটি ৫১ লাখ, ডাইনামিক টেক্সটাইল ৯ কোটি ৯১ লাখ, ঈগল স্টার টেক্সটাইল ১ কোটি ৫৫ লাখ, দি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ১০ লাখ, এক্সেলশিওর শুজ ৩৭ কোটি ১০ লাখ, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস ১৫ কোটি ৩৪ লাখ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ৯০ লাখ, গালফ ফুডস ২ কোটি ৭১ লাখ, হিল প্ল্যান্টেশন ৩৯ লাখ, যশোর সিমেন্ট ১৩ কোটি ২০ লাখ, লেক্সো লিমিটেড ৪ কোটি ৯৮ লাখ, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ ৪ কোটি ৮৬ লাখ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ ৯ কোটি ৫১ লাখ, মেঘনা শ্রিম্প কালচার ১০ কোটি ২৭ লাখ, মেটালেক্স করপোরেশন ৩০ লাখ, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ৯২ লাখ, মিতা টেক্সটাইল ৮ কোটি ১১ লাখ, মডার্ন সিমেন্ট ৬ কোটি, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ ৩৩ লাখ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস ১ কোটি ২৪ লাখ, পারফিউম কেমিক্যাল ১৮ কোটি ৮ লাখ, পেট্রো সিনথেটিক ১৬ লাখ, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১ কোটি ৬৫ লাখ, ফনিক্স লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড ১ কোটি ৯৯ লাখ, কাশেম সিল্ক মিলস ৫৯ লাখ, কাশেম টেক্সটাইল মিলস ৫৭ লাখ, রহমান কেমিক্যালস ৯ কোটি ২৩ লাখ, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস ২ কোটি ৯৯ লাখ, রাশপিত বিডি ১ কোটি ৪৯ লাখ, রাশপিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট ৮৭ লাখ, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৭ কোটি ৬৭ লাখ, সালেহ কার্পেট মিলস ৩ কোটি ৯৪ লাখ, শ্রীপুর টেক্সটাইল ৬ কোটি ৩০ লাখ, থেরাপিউটিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া ডিএসইতে কোনো তথ্য মেলেনি কুয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারী মুবিনুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন রহিমা ফুডের মতো কোম্পানিকে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে এনেছে। আর আমাদের কথা চিন্তা না করেই ইউনাইটেড এয়ারকে তালিকাচ্যুত করেছে। মূল মার্কেটে থাকলে কিছুটা হলেও সুশাসনে থাকত। কিন্তু এখন অনিয়ম করা আরও সহজ হলো।’
এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোম্পানিটি বিমান আকাশে উড়বে এমন টোপ (ফাঁদ) দিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভালো হবে ভেবে আমি নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন পথে বসেছি। বিনিয়োগের টাকা তো কোনোভাবেই ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এই শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। কোম্পানির অস্তিত্বই যখন নেই, ক্রেতা আসবে কোথায় থেকে?’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ওটিসি মার্কেট থাকবে না। এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ওটিসির কোম্পানি এটিবিতে (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) যাবে। ওটিসি মার্কেট করা হয়েছিল, যাতে করে বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে বের হতে পারেন।’
কোম্পানিগুলো অবসায়ন না করে এ রকম প্ল্যাটফর্মে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা থাকলে সমস্যা কী? শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মই না থাকা ভালো, নাকি বিক্রির সুযোগ রাখা ভালো?’
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
ওটিসির ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১টি কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য নেই। বাকি ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ লেনদেন হওয়া শেয়ারদর ধরে হিসাব করলেও ৩৯৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের এই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। যদিও বিনিয়োগকারীদের মূল বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি। কারণ, এসব কোম্পানির অনেকের শেয়ার সর্বশেষ ২ টাকারও কমে লেনদেন হয়েছে। এমন অবস্থায় কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওটিসির ভবিষ্যৎ দেখি না। উদ্যোক্তারা আগেই শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছেন। শেয়ার বিক্রি করে ফেলার পর এসব কোম্পানি জাহান্নামে চলে গেলেই তাঁদের কী আসে যায়? ভোগান্তি সাধারণ বিনিয়োগকারীর। আমি রেগুলেটর বডি হলে উদ্যোক্তাদের শেয়ার বেচতেই দিতাম না।’
এগুলো থেকে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখেন না অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ফিরে পাওয়ার সুযোগই নেই। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ইতিবাচক হলে অবসায়নের মাধ্যমে কিছু ফিরে পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এগুলোর দেনা এত বেশি যে অবসায়ন করলেও কিছুই পাবেন না বিনিয়োগকারীরা।’
এরপরও কোম্পানিগুলোর অবসায়নের পরামর্শ দিয়ে আবু আহমেদ বলেন, এগুলো অবসায়নে যাওয়াই ভালো। এর জন্য পরীক্ষা করতে হবে। দেনা বাদ দিয়ে যদি সম্পদ থাকে, সে ক্ষেত্রে কিছু ফেরত পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
সাধারণত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, উৎপাদন বন্ধ, অস্তিত্ববিহীন কোম্পানির শেয়ারগুলোই ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়। এটা পুঁজিবাজারেরই অংশ। যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে যোগ্যতা ধরে রাখতে পারে না, সেসব কোম্পানি তালিকাচ্যুত হয়ে চলে আসে ওটিসি মার্কেটে। ওটিসিকে অনেকটা পুঁজিবাজারের ডাস্টবিনও বলা চলে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৫৫টি কোম্পানির সর্বশেষ দর অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে। তবে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ১০ গুণ বেশি। এভাবে প্রতিটি কোম্পানিরই বিনিয়োগের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বেশি।
সর্বশেষ দর অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের টাকার পরিমাণ হলো আল আমিন কেমিক্যাল ১৭ কোটি ১০ লাখ, আলফা টোব্যাকো ৩ কোটি ৮৯ লাখ, আমান সি ফুড ৭৬ লাখ, আরবি টেক্সটাইল ২৩ লাখ, আশরাফ টেক্সটাইল ৮ কোটি ৪০ লাখ, আজাদী প্রিন্টার্স ১০ লাখ, বাংলা প্রোসেস ৪ কোটি ২৭ লাখ, বাংলা কেমিক্যাল ১ কোটি ১৭ লাখ, বাংলাদেশ ডায়িং ১ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশ হোটেল ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ লাগেজ ১ কোটি ৪০ লাখ, বাংলাদেশ প্ল্যানটেশন ৬৯ লাখ, বাংলাদেশ জিপার ৯৮ লাখ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার ১ কোটি ৬৬ লাখ, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস ২ কোটি ৭৪ লাখ, বায়োনিক সি ফুড ১ কোটি ৫ লাখ, বাংলাদেশ লিফ টোব্যাকো ১ কোটি ৭ লাখ, চিক টেক্স ১ কোটি ৯৮ লাখ, ড্যান্ডি ডাইং ১ কোটি ৭৯ লাখ, ঢাকা ফিশারিজ ৩ কোটি ৫১ লাখ, ডাইনামিক টেক্সটাইল ৯ কোটি ৯১ লাখ, ঈগল স্টার টেক্সটাইল ১ কোটি ৫৫ লাখ, দি ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ১০ লাখ, এক্সেলশিওর শুজ ৩৭ কোটি ১০ লাখ, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস ১৫ কোটি ৩৪ লাখ, জার্মান বাংলা জে ভি ফুড ৯০ লাখ, গালফ ফুডস ২ কোটি ৭১ লাখ, হিল প্ল্যান্টেশন ৩৯ লাখ, যশোর সিমেন্ট ১৩ কোটি ২০ লাখ, লেক্সো লিমিটেড ৪ কোটি ৯৮ লাখ, ম্যাক এন্টারপ্রাইজ ৪ কোটি ৮৬ লাখ, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ ৯ কোটি ৫১ লাখ, মেঘনা শ্রিম্প কালচার ১০ কোটি ২৭ লাখ, মেটালেক্স করপোরেশন ৩০ লাখ, এম হোসাইন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডাইং ৯২ লাখ, মিতা টেক্সটাইল ৮ কোটি ১১ লাখ, মডার্ন সিমেন্ট ৬ কোটি, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ ৩৩ লাখ, মোনা ফুড প্রোডাক্টস ১ কোটি ২৪ লাখ, পারফিউম কেমিক্যাল ১৮ কোটি ৮ লাখ, পেট্রো সিনথেটিক ১৬ লাখ, ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১ কোটি ৬৫ লাখ, ফনিক্স লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড ১ কোটি ৯৯ লাখ, কাশেম সিল্ক মিলস ৫৯ লাখ, কাশেম টেক্সটাইল মিলস ৫৭ লাখ, রহমান কেমিক্যালস ৯ কোটি ২৩ লাখ, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস ২ কোটি ৯৯ লাখ, রাশপিত বিডি ১ কোটি ৪৯ লাখ, রাশপিত ডাটা ম্যানেজমেন্ট ৮৭ লাখ, রোজ হ্যাভেন বলপেন ৭ কোটি ৬৭ লাখ, সালেহ কার্পেট মিলস ৩ কোটি ৯৪ লাখ, শ্রীপুর টেক্সটাইল ৬ কোটি ৩০ লাখ, থেরাপিউটিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ৩ কোটি ৩০ লাখ এবং টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার বেশি। এ ছাড়া ডিএসইতে কোনো তথ্য মেলেনি কুয়েস্ট বিডিসি লিমিটেডের।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারী মুবিনুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন রহিমা ফুডের মতো কোম্পানিকে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে এনেছে। আর আমাদের কথা চিন্তা না করেই ইউনাইটেড এয়ারকে তালিকাচ্যুত করেছে। মূল মার্কেটে থাকলে কিছুটা হলেও সুশাসনে থাকত। কিন্তু এখন অনিয়ম করা আরও সহজ হলো।’
এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোম্পানিটি বিমান আকাশে উড়বে এমন টোপ (ফাঁদ) দিয়ে একের পর এক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভালো হবে ভেবে আমি নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন পথে বসেছি। বিনিয়োগের টাকা তো কোনোভাবেই ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এই শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। কোম্পানির অস্তিত্বই যখন নেই, ক্রেতা আসবে কোথায় থেকে?’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ওটিসি মার্কেট থাকবে না। এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ওটিসির কোম্পানি এটিবিতে (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) যাবে। ওটিসি মার্কেট করা হয়েছিল, যাতে করে বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে বের হতে পারেন।’
কোম্পানিগুলো অবসায়ন না করে এ রকম প্ল্যাটফর্মে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা থাকলে সমস্যা কী? শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মই না থাকা ভালো, নাকি বিক্রির সুযোগ রাখা ভালো?’
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৪ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১০ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১০ ঘণ্টা আগেএকনেক সভা আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।
চলতি অর্থবছরের চতুর্থ জাতীয় একনেক সভা আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫তম একনেক সভা। সভায় মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪টি নতুন, ৫টি সংশোধিত এবং ৩টি মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি সরকারি অর্থায়ন, ১টি সরকারি ও বৈদেশিক ঋণসহায়তা, ১টি সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ১টি বৈদেশিক অনুদানভিত্তিক প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল বলেন, আজ মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগের বেশ কিছু প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।
একনেকে যেসব প্রকল্প উঠছে, সেগুলো হলো—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৪টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: কক্সবাজারে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি)’ প্রকল্পের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হয়েছে। ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এই বিভাগের চতুর্থ প্রকল্প হলো ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ (তৃতীয় সংশোধন)। ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকায় শুরু হওয়া প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৫টি প্রকল্পে উঠছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) ষষ্ঠবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পটির ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। ব্যয় ব্যতিরেকে সময় বাড়ছে ২০২৬ সালে জুন পর্যন্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া, মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
শিল্প ও শক্তি বিভাগের রয়েছে ২টি প্রকল্প। এর মধ্যে ‘বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। অপর প্রকল্প হলো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ‘ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্প। ২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।
এ ছাড়া আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির নাম হলো মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, পাবনা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।
চলতি অর্থবছরের চতুর্থ জাতীয় একনেক সভা আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫তম একনেক সভা। সভায় মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪টি নতুন, ৫টি সংশোধিত এবং ৩টি মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি সরকারি অর্থায়ন, ১টি সরকারি ও বৈদেশিক ঋণসহায়তা, ১টি সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং ১টি বৈদেশিক অনুদানভিত্তিক প্রকল্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল বলেন, আজ মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চার বিভাগের বেশ কিছু প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।
একনেকে যেসব প্রকল্প উঠছে, সেগুলো হলো—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৪টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: কক্সবাজারে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প’। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি)’ প্রকল্পের মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানো হয়েছে। ৩ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এই বিভাগের চতুর্থ প্রকল্প হলো ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ (তৃতীয় সংশোধন)। ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকায় শুরু হওয়া প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৫টি প্রকল্পে উঠছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধন) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) ষষ্ঠবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পটির ব্যয় ৯০ কোটি টাকা। ব্যয় ব্যতিরেকে সময় বাড়ছে ২০২৬ সালে জুন পর্যন্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া, মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
শিল্প ও শক্তি বিভাগের রয়েছে ২টি প্রকল্প। এর মধ্যে ‘বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। অপর প্রকল্প হলো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ‘ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’ প্রকল্প। ২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।
এ ছাড়া আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির নাম হলো মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, পাবনা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৪ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১০ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১০ ঘণ্টা আগেটাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিবিএসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমনই চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাস্কফোর্সের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। তাদের দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপের পদ্ধতি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করা।
স্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বিবিএসকে শক্তিশালী করার জন্য নীতিগত কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত রেখে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপান্তর করার সময় এসেছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’ করার প্রস্তাব এসেছে। প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ রাখা হয়েছে। জনবলসংকট মোকাবিলায় বর্তমান আটটি উইং ১৬টিতে বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিকে বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা এমন প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে আবদ্ধ থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির কারণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও দুর্বল হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তহবিলের অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএস দাতানির্ভর হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে রূপ নেয়। এর ফলে ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি হয়েছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বেড়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিবিএসকে আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপ দিতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা কাটিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো গঠন ও নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকার ফলে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে। টাস্কফোর্স জানিয়েছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ এবং সামাজিক আলোচনার স্বচ্ছ ও সচল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিবিএসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এমনই চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বিবিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাস্কফোর্সের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ (এসআইডি) চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল আট সদস্যের একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ টাস্কফোর্স গঠন করে। তাদের দায়িত্ব ছিল বিবিএসের মান, স্বচ্ছতা, জরিপের পদ্ধতি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করা।
স্বাধীন টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বিবিএসকে শক্তিশালী করার জন্য নীতিগত কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত রেখে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপান্তর করার সময় এসেছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’ করার প্রস্তাব এসেছে। প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ রাখা হয়েছে। জনবলসংকট মোকাবিলায় বর্তমান আটটি উইং ১৬টিতে বৃদ্ধি, উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা, জটিল আমলাতান্ত্রিক কাঠামো এবং বহিরাগত অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিবিএসের তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতিকে বিলম্বিত ও বিকৃত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থা এমন প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে আবদ্ধ থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়েছে, অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সদর দপ্তরকেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির কারণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও দুর্বল হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তহবিলের অনিশ্চয়তার কারণে বিবিএস দাতানির্ভর হয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্ভরতা প্রকল্পনির্ভর সংস্কৃতিতে রূপ নেয়। এর ফলে ‘ডেটা সাইলো’ তৈরি হয়েছে, বহিরাগতভাবে চাপানো পদ্ধতি চালু হয়েছে এবং ব্যুরোর বাজেট ব্যবস্থায় অদক্ষতা ও অপচয় বেড়েছে।
টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিবিএসকে আধুনিক, পেশাদার ও স্বাধীন জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থায় রূপ দিতে হলে প্রকল্পনির্ভরতা কাটিয়ে একটি স্থায়ী কাঠামো গঠন ও নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিএস রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন তথ্য প্রকাশে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থাকার ফলে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা ও সময়োপযোগিতা ব্যাহত হচ্ছে। টাস্কফোর্স জানিয়েছে, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা (এনএসও) আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এটি সরকারের প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, জবাবদিহি, সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ এবং সামাজিক আলোচনার স্বচ্ছ ও সচল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা তখনই তৈরি হবে, যখন তা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, পেশাদার ও স্বচ্ছভাবে তৈরি হবে।
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৪ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১০ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৪ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
দেউলিয়াত্বের কারণে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়ে ৫৬টি কোম্পানির জায়গা হয়েছে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি)। এসব কোম্পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এসব শেয়ারধারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আর্থিক মূল্যমান কমতে কমতে নেমে এসেছে ৪০০ কোটি টাকার নিচে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জলবায়ু-সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং ৮৫২ কোটি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পসহ মোট ১২টি প্রকল্প উঠছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা। তবে সংস্থাটি বর্তমানে অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভর ও সদর দপ্তরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এর ফলে মাঠপর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম দুর্বল হয়েছে, তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মান কমেছে এবং বিবিএস ধীরে ধীরে তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে
৪ ঘণ্টা আগেনির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
১০ ঘণ্টা আগে