
ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ক্ষতিপূরণের রায় এড়িয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কমাতে গোপন পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য ও ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন (জে অ্যান্ড জে)। তাদের প্রস্তুতকৃত বেবি ও ট্যালকম পাউডারে ক্যানসারের উপাদান আছে এমন অভিযোগের পর প্রতিষ্ঠানটি বিচারের সম্মুখীন হয় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত।
এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতেই গোপনে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে ট্যালকম পাউডার উৎপাদন, বিপণন এবং এর যাবতীয় দায় সেই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিল জে অ্যান্ড জে। এ লক্ষ্যে তারা ‘প্রজেক্ট প্লেটো’-এর অধীনে অন্তত ৩০ জন কর্মী নিয়োগ দেয়। এই কর্মীদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি স্বামী/স্ত্রীকে পর্যন্ত না বলার নির্দেশ ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জে অ্যান্ড জে-এর তৈরি ট্যালকম পাউডারে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরির মতো যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির প্রমাণ পায়। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাজার থেকে পাউডার তুলে নিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর ২০২০ সালের মে থেকে জে অ্যান্ড জে পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২২ জন নারী তাঁদের ‘জরায়ু ক্যানসার’-এর জন্য জে অ্যান্ড জে-এর ট্যালকম পাউডারকে দায়ী করে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁদের ৪৬৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আপিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে কিছু বেশি কমানো হয়। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে জে অ্যান্ড জে-এর পাউডারের নামে।
সম্প্রতি রয়টার্সের হাতে আসা গোপন নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
৩০ জনের ওই গোপন দলের কাজ ছিল নতুন একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান খুলে জনসনের ট্যালকম পাউডারের বিষয়ে করা ৩৮ হাজার মামলা নতুন ওই প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা। জনসনের পরিকল্পনা ছিল শিগগিরই ওই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
তবে গত বছরের জুলাই মাসে আদালত এবং গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে জানায়, তাদের পণ্যগুলো অনিরাপদ ছিল এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু গোপনে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে ট্যালকম পাউডারের মামলাটি সাধারণ আদালতে ওঠার পরিবর্তে দেউলিয়াত্বের মামলার বিচারের দিকে ঝুঁকে যায়। যাতে করে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে প্রজেক্ট প্লেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে এই পরিকল্পনা করে জে অ্যান্ড জে। এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা এ বিষয়ে ধারণা দেন। আইনজীবীদের পরামর্শের পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালস্ট্রিটে খোঁজখবর নেয় যে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি খুলে তা দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সে বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ ‘প্রজেক্ট প্লেটো’ টিম গঠন করা হয়।
জে অ্যান্ড জে-এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা ওই ৩০ জন নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্টোবরের ১১ তারিখে এলটিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বোর্ড মিটিং হয় ১৪ অক্টোবর। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যাবতীয় দায়সহ ট্যালকম পাউডারের স্বত্ব নতুন কোম্পানির নামে নিয়ে নেওয়া এবং এরপর সময় বুঝে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
কিন্তু তার আগেই সব ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, জে অ্যান্ড জে-এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ বিলিয়ন ডলার এবং নগদ অর্থের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দেউলিয়াত্বের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষতিপূরণের রায় সামাল দিতে ৩০ জন স্টাফকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ওই ৩০ জনকে পরিকল্পনার বিষয়ে কাউকে এমনকি স্বামী/স্ত্রীকেও জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে