Ajker Patrika

বস্ত্রের ৩৫ প্রতিষ্ঠানে তিতাসের পাওনা ৪০০ কোটি টাকা

শরীফুল ইসলাম, ঢাকা
বস্ত্রের ৩৫ প্রতিষ্ঠানে তিতাসের পাওনা ৪০০ কোটি টাকা

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) শীর্ষ ৫০ বিলখেলাপিদের মধ্যে ৩৫টিই বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান। গত জুন মাস পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০১ কোটি টাকা।

তিতাসের সূত্রে জানা গেছে, বস্ত্র খাতের বিলখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ৫ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পাওনা রয়েছে তিতাসের।

প্রতিষ্ঠানভেদে ৫ থেকে শুরু করে ৬০ মাস পর্যন্ত বিল পাওনা রয়েছে। বিলখেলাপিদের তালিকায় আছে অনেক বড় শিল্পগ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানও।

তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই দীর্ঘদিন বিল না দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। তা ছাড়া করোনার অজুহাত দেখিয়ে অনেকেই বিল বকেয়া রাখছে; যদিও তাদের কারখানায় গ্যাসের ব্যবহার থেমে নেই। তবে আসলেই সমস্যায় আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮ থেকে ১০টির বেশি নয়।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বকেয়া বিল আদায় এবং অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের বিষয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। এ জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের সিনহা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। তাদের কারখানায় বকেয়া বিলের পাশাপাশি অবৈধ সংযোগও পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে আমরা অন্যান্য যাদের বকেয়া আছে, তাদের চিঠি দিয়েছি।’

এদিকে শীর্ষ বিলখেলাপির তালিকায় থাকা ৩৫টি প্রতিষ্ঠানসহ বস্ত্র খাতের মোট ৬২৫টি কারখানার কাছে তিতাসের পাওনা ৭৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য। বিটিএমএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিতাস বলছে, আমদানি ও দেশের উৎস থেকে কেনা গ্যাসের দাম মাসভিত্তিক শোধ করতে হয় তাদের। কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়মিত বিল না পাওয়ায় সমস্যা পোহাতে হচ্ছে তিতাস গ্যাসকে। এ জন্য বিটিএমএর সদস্যদের কাছে থাকা বকেয়া আদায়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

তিতাসের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিটিএমএ সহসভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, ‘তিতাস যে পত্র দিয়েছে তাতে তথ্যগত কিছু ভ্রান্তি আছে, সেগুলো দূর করতে আমরা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বলেছি। পাশাপাশি আমরা আমাদের সদস্যদের বিল পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।’

এদিকে, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘শুধু বস্ত্র খাতই নয়। সরকারি-বেসরকারি খাতে গ্যাসের মোট বকেয়া বিল ছয় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এসব কারণে আমদানি করা জ্বালানির বিল মেটাতে হিমশিম হচ্ছে। এ অবস্থায় যেসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস ব্যবহার করে বিল দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি আইনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত