Ajker Patrika

ডিজিটাল ব্যাংকে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৫০
ডিজিটাল ব্যাংকে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি

দেশের প্রায় সব ব্যাংকই এখন ডিজিটাল। শাখায় না গিয়েও ঘরে বসেই সেবা নিতে পারেন গ্রাহকেরা। নতুন যত প্রযুক্তি আসছে, তা-ও গ্রহণ করছে ব্যাংকগুলো। বলা যায়, ব্যাংকিং খাত ডিজিটালের রূপান্তর পর্বে রয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন তাড়াহুড়ো করে নতুনভাবে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটির ঝুঁকি, অনভিজ্ঞতা আর ডিজিটাল প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিবেচনা না করেই অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে যুক্ত করায় নিরাপদ লেনদেনভীতি তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। আর লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেয়েছে মোট আটটি প্রতিষ্ঠান। তবে অনুমোদনপ্রাপ্ত নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা থাকলেও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আবার এই দুটো ব্যাংকের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে বাকি ছয়টি ব্যাংকের পরবর্তী কার্যক্রম বিবেচনা করা হবে।

ব্যাংকিং খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ব্যাংকগুলোই যেখানে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনো পুরো প্রস্তুত নয়, তখন নতুন করে আলাদা ডিজিটাল ব্যাংক কতটা সফলভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন তাঁরা।

অনুমোদন পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি ও ঝুঁকির বিষয়ে নগদের হেড অব কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল অনুমোদন দিয়েছে। এটা নতুন ধারণা হওয়ায় ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। বিদেশ থেকে টেকনোলজি আনতে হবে। দক্ষ জনবলের ব্যবস্থা করতে হবে। ঝুঁকি এড়াতে সব করা হবে। তবু দুর্ঘটনার বিষয়ে শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া মুশকিল। কিন্তু গ্রাহক ভুল না করলে কেউ প্রতারণার সুযোগ পাবে না।’

এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকে সেবা মিলছে। তারপরও ঘরে বসে যাতে গ্রাহক কম খরচে বেশি সেবা পায়, সে জন্য ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হচ্ছে। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকের কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এটা রাতারাতি হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক আটটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট-অল ডিজিটাল ব্যাংক, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়াদ শেষের দিকে। তাই উদ্যোক্তারা সরকারকে এ ব্যাপারে একধরনের চাপ তৈরি করেন। উদ্যোক্তাদের লবিংয়ে ও সরকারের চাপে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, মানদণ্ড অনুসরণ করে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও মাত্র আটটি অনুমোদন পেয়েছে। সাইবার ঝুঁকি নিশ্চিতে বিষয়টি চালু হলে বোঝা যাবে আগাম কিছু বলা কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত