জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু অবলোপণ ঋণের গোলক ধাঁধায় অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে। দিন শেষে অবলোপন ঋণ আদায় অনেকটা চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকছে। কেননা, চুক্তির তুলনায় আদায় একেবারে নগণ্য।
এই চার ব্যাংকের গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তির বিপরীতে আদায় মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পন্ন চুক্তি অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা যা ১০ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলো চুক্তির ধারের কাছেও পৌঁছতে পারেনি। এই চার ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে চার ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের তুলনায় এই আদায়ের পরিমাণ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছিল ৫৯১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর শতকরা হিসাবে কম আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রক্ষা করছে না। অপরদিকে উচ্চমাত্রার অবলোপন ও খেলাপির ভারে ব্যাংকগুলো অর্থ আদায় করতে না পারায় হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২২ সালে আদায়ের জন্য সমঝোতা চুক্তিতে (এমইউ) বাংলাদেশ লক্ষ্য বেধে দেয় ৬৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ১৬ শতাংশ। যদিও সোনালি ব্যাংকের জন্য ২০২১ সালে লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছিল ৭০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করেছিল ১৬৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। সেই তুলনায় বিদায়ী বছরের কম আদায় হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। একইভাবে, জনতা ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপনকৃত ঋণ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটির লক্ষ্য ৩৪১ কোটি টাকা হলেও আদায় করেছে ১১২ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ। তার আগের বছরের লক্ষ্য ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এবং ব্যাংকটি আদায় করেছিল ৮৮ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা জানায়, মূলত ব্যাংক পরিচালকদের নামে–বেনামে ঋণ ছাড়ের কারণে বছরের পর বছর ঋণ আদায় হয় না। একটা পর্যায়ে ঋণ অবলোপন করা হয়। সেই অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন রক্ষা করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিতে হয়। এতে ব্যাংকের গ্রাহক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের চিত্র সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। গত ২০ বছরে ৬০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংগুলোর ৩৫ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। বিপরীতে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ৪ হাজার ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে গত বছরে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪০৫ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি আদায় করে ৮৮ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি আগের বছর বেধে দেওয়া ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৭৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। যা লক্ষ্যর তুলনায় ১৭ শতাংশ। তবে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ অন্য তিন ব্যাংকের তুলনায় একেবারে কম অর্থাৎ মাত্র ৫৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সোনালি ব্যাংকের তুলনায় কম ৬ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা বা ৯১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটির অবলোপন ঋণের আদায়ের হার চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে অবস্থান করছে। ব্যাংকটির ৫৯১ কোটি টাকা অবলোপকৃত ঋণের বিপরীতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকটি টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম তথা কেবল ১১ কোটি টাকা আদায় করেছে। তবে এটি শতকরা হিসাবে ১৯ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি এর আগের বছরের ৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যর বিপরীতে ৭ কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ আদায় করতে পেরেছিল।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় এমন হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকেই অনেক খেলাপিকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ বিতরণ ও তদারকির অভাব এবং অপর্যাপ্ত জামানত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা ব্যাংকিং খাতের জন্য বাড়তি বোঝা।’
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪০ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি কমাতে বলা হলেও উল্টো বেড়েছে। এখানেও চুক্তি কার্যকর হয়নি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আবদুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জয়েন করেছি। ব্যাংক ভালো চলছে। তবে অবলোপন ঋণ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। সাধ্যমতো আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।’
তবে সোনালি, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের এমডির বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৭ জানুয়ারি খেলাপি ঋণ কম দেখাতে ঋণ অবলোপন (রাইট অফ) নীতিমালা শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ৫ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ মামলা না করে অবলোপন করে ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র থেকে বাদ দিতে পারবে ব্যাংক। যা আগে ছিল ২ লাখ টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের অবলোপন ঋণ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চার ব্যাংক অবলোপনকৃত ঋণের ঘানি বছরের পর বছর টেনেই চলছে। এই মন্দ বা কু ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো বের হতে চেষ্টাও করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু অবলোপণ ঋণের গোলক ধাঁধায় অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে। দিন শেষে অবলোপন ঋণ আদায় অনেকটা চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকছে। কেননা, চুক্তির তুলনায় আদায় একেবারে নগণ্য।
এই চার ব্যাংকের গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তির বিপরীতে আদায় মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পন্ন চুক্তি অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা যা ১০ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকগুলো চুক্তির ধারের কাছেও পৌঁছতে পারেনি। এই চার ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩১৭ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে চার ব্যাংকের মোট অবলোপনকৃত ঋণের তুলনায় এই আদায়ের পরিমাণ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। একইভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চার ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো আদায় করতে পেরেছিল ৫৯১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর শতকরা হিসাবে কম আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেক ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রক্ষা করছে না। অপরদিকে উচ্চমাত্রার অবলোপন ও খেলাপির ভারে ব্যাংকগুলো অর্থ আদায় করতে না পারায় হাবুডুবু খাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২২ সালে আদায়ের জন্য সমঝোতা চুক্তিতে (এমইউ) বাংলাদেশ লক্ষ্য বেধে দেয় ৬৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র ১৬ শতাংশ। যদিও সোনালি ব্যাংকের জন্য ২০২১ সালে লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছিল ৭০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটি আদায় করেছিল ১৬৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। সেই তুলনায় বিদায়ী বছরের কম আদায় হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। একইভাবে, জনতা ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অবলোপনকৃত ঋণ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ব্যাংকটির লক্ষ্য ৩৪১ কোটি টাকা হলেও আদায় করেছে ১১২ কোটি টাকা বা ৩৩ শতাংশ। তার আগের বছরের লক্ষ্য ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এবং ব্যাংকটি আদায় করেছিল ৮৮ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা জানায়, মূলত ব্যাংক পরিচালকদের নামে–বেনামে ঋণ ছাড়ের কারণে বছরের পর বছর ঋণ আদায় হয় না। একটা পর্যায়ে ঋণ অবলোপন করা হয়। সেই অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন রক্ষা করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিতে হয়। এতে ব্যাংকের গ্রাহক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের চিত্র সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যায়। গত ২০ বছরে ৬০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংগুলোর ৩৫ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। বিপরীতে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ৪ হাজার ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে গত বছরে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪০৫ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি আদায় করে ৮৮ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি আগের বছর বেধে দেওয়া ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৭৪ কোটি টাকা আদায় করেছে। যা লক্ষ্যর তুলনায় ১৭ শতাংশ। তবে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ অন্য তিন ব্যাংকের তুলনায় একেবারে কম অর্থাৎ মাত্র ৫৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সোনালি ব্যাংকের তুলনায় কম ৬ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা বা ৯১ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংকটির অবলোপন ঋণের আদায়ের হার চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে অবস্থান করছে। ব্যাংকটির ৫৯১ কোটি টাকা অবলোপকৃত ঋণের বিপরীতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। তবে ব্যাংকটি টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম তথা কেবল ১১ কোটি টাকা আদায় করেছে। তবে এটি শতকরা হিসাবে ১৯ শতাংশ। যদিও ব্যাংকটি এর আগের বছরের ৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যর বিপরীতে ৭ কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ আদায় করতে পেরেছিল।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় এমন হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকেই অনেক খেলাপিকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো। বিশেষ করে যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ বিতরণ ও তদারকির অভাব এবং অপর্যাপ্ত জামানত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা ব্যাংকিং খাতের জন্য বাড়তি বোঝা।’
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪০ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি কমাতে বলা হলেও উল্টো বেড়েছে। এখানেও চুক্তি কার্যকর হয়নি।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আবদুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জয়েন করেছি। ব্যাংক ভালো চলছে। তবে অবলোপন ঋণ নিয়ে চুক্তি হয়েছে। সাধ্যমতো আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।’
তবে সোনালি, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের এমডির বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৭ জানুয়ারি খেলাপি ঋণ কম দেখাতে ঋণ অবলোপন (রাইট অফ) নীতিমালা শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ৫ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ মামলা না করে অবলোপন করে ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র থেকে বাদ দিতে পারবে ব্যাংক। যা আগে ছিল ২ লাখ টাকা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি গ্রাহকদের দ্রুত, নিরাপদ ও সহজে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে তাদের নতুন মোবাইল অ্যাপ ShahjalalTouchPay। আজ বুধবার (৩০ জুলাই) তারিখে ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম অঞ্চলে সরকারের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সঙ্গে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) মধ্যে একটি গ্যাস বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কেজিডিসিএল কাফকোকে গড়ে দৈনিক ৫ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের চা শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মূল মজুরি প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়াতে সম্মত হয়েছেন বাগানমালিকেরা। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চা-বাগানের মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫
১২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর রপ্তানিনির্ভর নগদ সহায়তা বা সাবসিডি দেওয়া সম্ভব হবে না। এ প্রেক্ষাপটে দেশের উদীয়মান ও প্রতিশ্রুতিশীল চারটি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে একটি আন
১৩ ঘণ্টা আগে