সৌগত বসু, গাজীপুর থেকে ফিরে
দেশেই এখন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্র্যান্ড হুন্দাইয়ের গাড়ি সংযোজন শুরু হয়েছে। দিনে তিনটি আলাদা ব্র্যান্ডের ২৪টি গাড়ি সংযোজন করছে হুন্দাই। এর জন্য সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ছয় একর জায়গায় গড়ে উঠেছে হুন্দাই গাড়ি সংযোজন কারখানা। দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি হুন্দাই করপোরেশন ও বাংলাদেশের ফেয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে এই কারখানা স্থাপন করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে হুন্দাই গাড়ির এই কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
হুন্দাই কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বাংলাদেশি কারখানায় বছরে সর্বোচ্চ সাত হাজার গাড়ি সংযোজন করা যাবে। এসব গাড়ির বিক্রি-উত্তর সেবা পাঁচ বছর। বাংলাদেশে এখন তাদের ছয়টি শোরুম রয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে ২০টি করা হবে। গাজীপুরের এই কারখানায় এখন কাজ করছেন ৩৫০ জন কর্মী।
গতকাল শনিবার কোরিয়ান দূতাবাস ও ফেয়ার টেকনোলজির আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দল হুন্দাই প্ল্যান্ট (কারখানা) পরিদর্শন করে। এ সময় কারখানা ঘুরে দেখেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৮২ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড বা অন্য দেশে ব্যবহৃত গাড়ি ক্রয় করে থাকে। এ দেশে ৯৮ শতাংশ গাড়িই আমদানি করা হয়। মাত্র ২ শতাংশ গাড়ি দেশে তৈরি করা হচ্ছে। এই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে বাংলাদেশকে।
হুন্দাইয়ের প্ল্যান্ট ঘুরে দেখা যায়, তাদের প্ল্যান্ট তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরএম (র ম্যাটেরিয়ালস) বা যন্ত্রাংশের জন্য তিনটি আলাদা জায়গা। এখানে কোরিয়া থেকে আনা গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখা হয়েছে। এরপর আছে পেইন্ট বা রং করার স্থান। যেখানে এসব যন্ত্রাংশ একটা আকৃতি দিয়ে রং করা হয়। আর সবশেষে এসব যন্ত্রাংশ সংযোজন করার স্থান। সেখানে আটটি ধাপে একটি গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
প্ল্যান্টের একজন ব্যবস্থাপক জোয়েল জয়রাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হুন্দাই এখন বাংলাদেশে তিন ধরনের গাড়ি সংযোজন করছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ আসনের ক্রেটা এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল) বা উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে পারবে গাড়িটি। এই গাড়ি ১ হাজার ৪৯৭ সিসি (কিউবিক ক্যাপাসিটি)। সাত আসনের ক্রেটা গ্র্যান্ড, যেটি ১ হাজার ৪৯৩ সিসির, দাম ৪৪ লাখ টাকা। পাঁচ আসনের তুসন এসইউভি ১ হাজার ৯৯৯ সিসির।
জানা যায়, এর আগে আমদানি করা ক্রেটা এসইউভি গাড়িটির দাম ছিল প্রায় ৪৩ লাখ টাকা, কিন্তু দেশে উৎপাদন হওয়ায় এটি এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে। বর্তমান বাজারে কাছাকাছি মানের অন্য ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত গাড়ি কিনতে খরচ হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আর এই মানের নতুন গাড়ির দাম প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা।
হুন্দাই কারখানার তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ৬১টি, ফেব্রুয়ারিতে ১০৪টি, মার্চে ৮৮টি, এপ্রিলে ৬৫টি, মেতে ১১০টি, জুনে ১৩৯টি, জুলাইয়ে ৭১টি ও আগস্টে ১১০টি গাড়ি সংযোজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ মুহূর্তে ৭৬টি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে তৈরি অবস্থায় আছে। দিনে উৎপাদনক্ষমতা ২৪টি, দুই শিফটে এই গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হচ্ছে।
ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আলম আল মাহাবুব বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে তাদের ১৫০ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হলেও আগামী বছর থেকে যন্ত্রাংশও দেশে উৎপাদন করা হবে।
দেশেই এখন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্র্যান্ড হুন্দাইয়ের গাড়ি সংযোজন শুরু হয়েছে। দিনে তিনটি আলাদা ব্র্যান্ডের ২৪টি গাড়ি সংযোজন করছে হুন্দাই। এর জন্য সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ছয় একর জায়গায় গড়ে উঠেছে হুন্দাই গাড়ি সংযোজন কারখানা। দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি হুন্দাই করপোরেশন ও বাংলাদেশের ফেয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে এই কারখানা স্থাপন করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে হুন্দাই গাড়ির এই কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
হুন্দাই কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বাংলাদেশি কারখানায় বছরে সর্বোচ্চ সাত হাজার গাড়ি সংযোজন করা যাবে। এসব গাড়ির বিক্রি-উত্তর সেবা পাঁচ বছর। বাংলাদেশে এখন তাদের ছয়টি শোরুম রয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে ২০টি করা হবে। গাজীপুরের এই কারখানায় এখন কাজ করছেন ৩৫০ জন কর্মী।
গতকাল শনিবার কোরিয়ান দূতাবাস ও ফেয়ার টেকনোলজির আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দল হুন্দাই প্ল্যান্ট (কারখানা) পরিদর্শন করে। এ সময় কারখানা ঘুরে দেখেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৮২ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড বা অন্য দেশে ব্যবহৃত গাড়ি ক্রয় করে থাকে। এ দেশে ৯৮ শতাংশ গাড়িই আমদানি করা হয়। মাত্র ২ শতাংশ গাড়ি দেশে তৈরি করা হচ্ছে। এই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে বাংলাদেশকে।
হুন্দাইয়ের প্ল্যান্ট ঘুরে দেখা যায়, তাদের প্ল্যান্ট তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরএম (র ম্যাটেরিয়ালস) বা যন্ত্রাংশের জন্য তিনটি আলাদা জায়গা। এখানে কোরিয়া থেকে আনা গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখা হয়েছে। এরপর আছে পেইন্ট বা রং করার স্থান। যেখানে এসব যন্ত্রাংশ একটা আকৃতি দিয়ে রং করা হয়। আর সবশেষে এসব যন্ত্রাংশ সংযোজন করার স্থান। সেখানে আটটি ধাপে একটি গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
প্ল্যান্টের একজন ব্যবস্থাপক জোয়েল জয়রাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হুন্দাই এখন বাংলাদেশে তিন ধরনের গাড়ি সংযোজন করছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ আসনের ক্রেটা এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল) বা উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে পারবে গাড়িটি। এই গাড়ি ১ হাজার ৪৯৭ সিসি (কিউবিক ক্যাপাসিটি)। সাত আসনের ক্রেটা গ্র্যান্ড, যেটি ১ হাজার ৪৯৩ সিসির, দাম ৪৪ লাখ টাকা। পাঁচ আসনের তুসন এসইউভি ১ হাজার ৯৯৯ সিসির।
জানা যায়, এর আগে আমদানি করা ক্রেটা এসইউভি গাড়িটির দাম ছিল প্রায় ৪৩ লাখ টাকা, কিন্তু দেশে উৎপাদন হওয়ায় এটি এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে। বর্তমান বাজারে কাছাকাছি মানের অন্য ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত গাড়ি কিনতে খরচ হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আর এই মানের নতুন গাড়ির দাম প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা।
হুন্দাই কারখানার তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ৬১টি, ফেব্রুয়ারিতে ১০৪টি, মার্চে ৮৮টি, এপ্রিলে ৬৫টি, মেতে ১১০টি, জুনে ১৩৯টি, জুলাইয়ে ৭১টি ও আগস্টে ১১০টি গাড়ি সংযোজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ মুহূর্তে ৭৬টি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে তৈরি অবস্থায় আছে। দিনে উৎপাদনক্ষমতা ২৪টি, দুই শিফটে এই গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হচ্ছে।
ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আলম আল মাহাবুব বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে তাদের ১৫০ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হলেও আগামী বছর থেকে যন্ত্রাংশও দেশে উৎপাদন করা হবে।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৫ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে