নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।

দেশের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভোক্তার চাহিদা গুরুত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা নিতে তৎপরতা চালায়। তারা প্রকৃত সুবিধাভোগীর দিক নিয়ে যেভাবে ভাবা দরকার, সেভাবে ভাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব বোধ করেন। কখনো কখনো তাঁরা দায়িত্ব অস্বীকার করেন। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলনকক্ষে ‘আরবানাইজেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট: সিলেক্টেড ফাইন্ডিংস ফোরাম বিআইডিএস-পিআরআই রিসার্চ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের জন্য পলিটিক্যাল ইকোনমি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা হওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য অর্থনীতির ওপর রাজনীতির বিশাল প্রভাব রয়েছে। টেকসই পরিকল্পনার জন্য সদিচ্ছার দরকার। যার যে দায়িত্ব, তার বাইরে কিছু করা উচিত না। যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের সুবিধাবঞ্চিত হন। এই প্রকৃত সুবিধাভোগীর স্বার্থ বিশ্লেষণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বিকেন্দ্রীকরণের উদাহরণ দিয়ে বলেন, যদি ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ করলে ৬০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে এবং চট্টগ্রাম বিকেন্দ্রীকরণ করলে ২০ শতাংশ সুবিধা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের নানা দিক বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এটার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব থাকতে হবে। যদিও আর্কিটেক্টরা অনেক সময় তা প্রকাশ করেন না। সে জন্য টেকসই হচ্ছে না পরিকল্পনা। এমনকি ঢাকার জলবায়ুর দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে না। নদী দখল হচ্ছে। খাল ভরাট ও দখল হচ্ছে। এসব ঠিকাদার করতে পারবেন না। পলিটিক্যাল অ্যাপ্রোচ ছাড়া এসব সংকট দূর করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। মফস্বলের উন্নয়ন দরকার। মফস্বলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণের সম্পর্ক জড়িত। মফস্বলে সুবিধা বাড়াতে হবে। মফস্বলের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি যদি শহরে হয়, তাহলে তিনি মফস্বলের উন্নয়ন চাইবেন না। শহরে সুবিধা পেলে একসময় শহরে ভিড়বেন। আর চেয়ারম্যান তো পলিটিক্যালি ক্ষমতা রাখেন। সে জন্য পলিটিক্যাল সিদ্ধান্ত বিকেন্দ্রীকরণে গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেন জিল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তার সঠিক পরিকল্পনা দেন না প্ল্যানাররা। জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। সেটার সঙ্গে ওপেন স্পেশ কতটুতু লাগবে, তা জানাতে হবে। একইভাবে টেকসই স্থাপনার সবকিছু প্ল্যানে থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে নাগরিক তথা ভোক্তা ও সুবিধাভোগীর চাহিদা বিবেচনায় টেকসই প্রকল্পের মডেল নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স থাকতে হবে। যাদের শহর-নগর নিয়ে ভাবতে হবে। টেকসই বিবেচনা করতে হবে। রোড সাইড ইকোনমি প্ল্যানে থাকতে হবে। তবে তা যেন মূল প্ল্যান বাস্তবায়নে বাধা না হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে। শুধু একদিকে ভাবলে হবে না। সবকিছুর সমন্বয় করলে মফস্বল, শহর রক্ষা পাবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ আহসান বলেন, ঢাকা রক্ষায় আদর্শিকভাবে এখনো প্ল্যান হয়নি। ঠিকমতো প্ল্যান করতে না পারায় অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা সহসাই হবে না। এ জন্য প্রচুর বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তখন নাগরিক সুবিধা বাড়বে।
তিনি বলেন, টেকসই প্রকল্পের জন্য পাহাড় কাটা, খাল দখল, নদী ভরাট ও দখল ঠেকাতে হবে। সেখানে যেন জেলা প্রশাসক না বলেন, তাঁর ক্ষমতা নেই। শুধু ঢাকার মতো সিটি দুই ভাগ করলেই হবে না। মূলত পলিটিক্যাল ডিসিশন নিতে হবে, প্ল্যান কেমন হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে পিআরআই পরিচালক ড. জি এম খুরশীদ আলম বলেন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ঘাটতি রাখা উচিত না। যত বাধা থাকুক, নাগরিকদের স্বার্থে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বলেন, গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করতে হবে। কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাক টু ব্যাক কাজ করতে হবে।

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
১০ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি রশিদ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার এবং ঢাকা হ্যান্ড অ্যান্ড স্ক্রিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার সুজ ও ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির শ্বশুর তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি রশিদ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার এবং ঢাকা হ্যান্ড অ্যান্ড স্ক্রিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার সুজ ও ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির শ্বশুর তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

যদি কেউ করে, তা জুরিসডিকশন অ্যাপ্রোচ হয় না। সেখানে ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়। বিশেষ মহলের স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা নানাভাবে প্রভাব খাটাতে অপপ্রয়াস পায়। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা উচিত না। কিন্তু ঠিকাদার ও সরকারি ডিসি তো অপারগতা প্রকাশ করে। এতে সুবিধাভোগী প্রকল্পের
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৮ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে