নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায় এমন কঠোর ও জটিল শর্ত রাখা হয়েছে। এসব আইন কার্যকর হলে আইপিও আবেদনের পথ সংকুচিত হবে। ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাধাগ্রস্ত হবে। সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে ‘প্রাইস বাবলের’ ঝুঁকিও বাড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীও তৈরি হবে না।
আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) টাওয়ারে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫’—এর ওপর অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিএসই এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) প্রতিনিধি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই মার্কেটে রেগুলেশন আসুক। কিন্তু নীতিমালার যে প্রধান উদ্দেশ্য, সেটি যেন বাস্তবায়ন হয়। আমরা দেখেছি, দীর্ঘ দুই দশকে শেয়ার মার্কেটে ভালো কোম্পানি খুব কম এসেছে। ফলে মার্কেটে ভালো কোম্পানি কীভাবে আনা যায়, সেটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মনে করে যে আমাদের পাবলিক ইস্যু রুলস জটিল। দেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে তারা এটিকে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর মতো করার মত দিচ্ছেন।’
১৫ বছর আগেও ভিয়েতনামের অবস্থান বাংলাদেশের মতো ছিল উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে, অথচ আমরা এগোতে পারিনি। বরং পিছিয়ে গিয়েছি। ভালো কোম্পানি বাজারে আনার জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএসইসিকে পাবলিক ইস্যু রুলস সহজ করার পরামর্শ দিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিএসইসির কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। যদি কোনো বিষয় থাকে যেগুলো স্টেকহোল্ডাররা বলার পরও আইনে পরিবর্তন আনা যাবে না, তার কারণগুলো যেন জানানো হয়।’
তিনি যোগ করেন, আমরা চাই, শেষ পর্যন্ত এটি যেন এমন আইন হয়, যার মাধ্যমে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আইন যত জটিল হবে, তত বেশি ভুল ও ওয়েভারের সুযোগ তৈরি হবে। একটা কোম্পানিকে ২০ থেকে ৩০টা ওয়েভার দিয়ে যদি বাজারে তোলা হয়, তাহলে আইন থাকার লাভ কী? বিএসইসি, ডিএসই ও অডিটর—এই তিনটি মূল জায়গা ঠিক হলে অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী, যাদের শেয়ারবাজার নিয়ে কোনো ধারণা নেই, তারা আইপিওর মাধ্যমে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে প্রথমে ধারণা নেয়। তারপরে তারা একসময় স্থায়ীভাবে বিনিয়োগকারী হিসেবে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু এই প্রাথমিক এন্ট্রি লেভেলকেই যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরা বিনিয়োগকারী পাব কোথা থেকে? সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিওতে আবেদন করতে হলে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বা শেয়ার থাকতেই হবে, এটা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়।
ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এত বেশি আইন, ডাইরেক্টিভ দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসা হতে হবে ওপেন মার্কেট। এখানে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। ভুল হলে টিচার বা ডাক্তারের যে অ্যাপ্রোচ, সেভাবে এগুতে হবে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, গত দেড় বছরে বিএমবিএর পক্ষ থেকে রুলস সংশোধনের বিষয়ে বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত হয়নি।
মাজেদা খাতুন আরও বলেন, কোনো অনিয়ম ঘটলে পরে আইন প্রয়োগ তথা শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ইস্যু ম্যানেজারের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানোর প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে তাদের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ ও রেগুলেটরের। সেই জায়গায় ইস্যু ম্যানেজারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খসড়া নীতিতে থাকা কিছু ধারা কার্যকর হলে ভালো মানের কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে পাঁচ বছরের হিস্টোরিকাল গ্রোথ রেটকে ভিত্তি ধরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এটি যৌক্তিক না। এটি তিন বছরের জন্য করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আইপিও তহবিল দিয়ে লোন রিপেমেন্ট নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদনে অনেক সময় লাগে। উদ্যোক্তা প্রকল্প চালাতে বাধ্য হয়ে ব্যাংক ঋণ নেন। পরে সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ না দিলে তারা আরও বিপাকে পড়বে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ লোন রিপেমেন্ট অনুমোদন করা যেতে পারে।
মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, খসড়া নীতিমালায় আছে, কোনো কোম্পানি যদি বোনাস শেয়ার বা শেয়ার–স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আনে, তাহলে তারা দুই বছর আইপিওতে আসতে পারবে না। আইপিওর প্রস্তুতির সময় কোম্পানির বোর্ড পরিবর্তন, পেইড–আপ ক্যাপিটাল বাড়ানো কিংবা বোনাস শেয়ার দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই বিধান কার্যকর হলে আগামী দুই–তিন বছর প্রায় কোনো নতুন আইপিও দেখা যাবে না।
ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের এমডি নাফিজ-আল-তারিক বলেন, অনেক এলিজিবল ইনভেস্টরের আর্থিক অবস্থা নাজুক। যদি ছয় মাসের লক-ইন সময়ের নিয়ম বহাল থাকে, তাহলে এক একটি আইপিও থেকে অর্থ ফেরতে আট থেকে সাড়ে আট মাস সময় লেগে যাবে। এতে নতুন আইপিওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে এবং ডিমান্ড–সাইড দুর্বল হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ছয় মাস সেল–রেস্ট্রিকশন থাকার কারণে সাপ্লাই সংকট তৈরি হয়ে স্বল্প সময়ে ‘প্রাইস বাবল’ তৈরি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আইপিওতে ৫০ শতাংশ শেয়ার লক-ইনমুক্ত রাখা যায় এবং তিন মাস পর বাকি ১০০ শতাংশ লক-ইন কার্যকর করা যায়।
নাফিজ আরও বলেন, সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) শুধু সরকারি কোম্পানির জন্য নয়, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় করপোরেটগুলির জন্যও উন্মুক্ত করা উচিত। অনেক বড় কোম্পানির নতুন মূলধনের প্রয়োজন নেই। তাই তাদের বাজারে আনতে হলে ডাইরেক্ট লিস্টিং–ই কার্যকর পথ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও কায়সার হামিদ বলেন, খসড়া রুলসে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা ইস্যুয়িং কোম্পানিকে সবসময় ‘লাভজনক প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ধরে নেয়, কিন্তু বাস্তবে যে কোনো ব্যবসায়ই লাভ–ক্ষতি দুই-ই হতে পারে। আমরা যারা ব্যবসা করি, আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা বছরের পর বছর সঙ্গে থাকেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রুলসে দেখা যাচ্ছে না।
কায়সার আরও বলেন, ‘কোম্পানি কতটুকু ব্যাংক ঋণ নেবে, কতটুকু ইক্যুইটি রাখবে—এসব নির্ধারণ হয় বাজার ও ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে। রুলস দিয়ে বলা যাবে না যে, আপনি ব্যাংক লোন পে করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট নতুন বিধিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক লুৎফুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আগে রুলস ছিল অনেকটাই নির্দিষ্ট কাঠামোর, কী করা যাবে আর কী করা যাবে না। নতুন রুলস বাজার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতিটা মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি, মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা-কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রো টাইপ জলছাপে ৫০০ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোটটিতে ১০ ধরনের নিরাপত্তা সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ৫০০ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নড়াচড়া করলে এর রং সবুজ থেকে নীলে পরিবর্তিত হবে এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ৫০০ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।
নোটটির সম্মুখভাগের বাম পাশে চওড়া লাল রং ও উজ্জ্বল স্বর্ণালি বার এর সমন্বয়ে প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নড়াচড়া করলে লাল অংশ সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। আর ৫০০ টাকার নোট আলোর বিপরীতে ধরলে দৃশ্যমান হবে এবং স্বর্ণালি বার অংশ একটি উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে নিচে পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটের কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহের মধ্যে রয়েছে নোটের সম্মুখভাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি, মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা-কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি এবং নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, এর নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রো টাইপ জলছাপে ৫০০ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নোটটিতে ১০ ধরনের নিরাপত্তা সংযোজন করা হয়েছে। নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ৫০০ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত। নোটটি নড়াচড়া করলে এর রং সবুজ থেকে নীলে পরিবর্তিত হবে এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ৫০০ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।
নোটটির সম্মুখভাগের বাম পাশে চওড়া লাল রং ও উজ্জ্বল স্বর্ণালি বার এর সমন্বয়ে প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটটি নড়াচড়া করলে লাল অংশ সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। আর ৫০০ টাকার নোট আলোর বিপরীতে ধরলে দৃশ্যমান হবে এবং স্বর্ণালি বার অংশ একটি উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের সম্মুখভাগের ডান দিকে নিচে পাঁচটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভূত হয়।
নোটের কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ হাতের স্পর্শে অসমতল অনুভব করা যাবে। কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহের মধ্যে রয়েছে নোটের সম্মুখভাগের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৪ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
আজ দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আইয়ুব মিয়া বলেন, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইনকানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে, গত রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপিত প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
আজ দুপুরে গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
আইয়ুব মিয়া বলেন, ব্যাংকের ভিশন-মিশন, আইনকানুন ও সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করাই ছিল বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং আইনসম্মতভাবে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে গঠিত এই নতুন প্রতিষ্ঠান দেশজুড়ে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু হবে এবং উচ্চ অঙ্কের আমানত ফেরতের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে, গত রোববার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বিশেষ বোর্ড সভায় সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে আনুষ্ঠানিক লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপিত প্রধান কার্যালয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৪ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।
গত ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করা হচ্ছে।
এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি টন গম কেনা হয়েছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলারে। সে হিসাবে এবার প্রতি টনে প্রায় ১০৭ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।
একই ক্রয় কমিটির সভায় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে মোট ৮০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিরও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৮২ দশমিক ৬৭ ডলার।
এ ছাড়া সোনারগাঁ সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং তামিম অ্যাগ্রো ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে মোট ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ দশমিক ৮৫ এবং রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৬১ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তরের এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।
গত ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৪ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই দেশটি থেকে সরাসরি গম আমদানি করা হচ্ছে।
এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি টন গম কেনা হয়েছিল ৩০২ দশমিক ৭৫ ডলারে। সে হিসাবে এবার প্রতি টনে প্রায় ১০৭ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের।
একই ক্রয় কমিটির সভায় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে মোট ৮০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিরও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৬৮২ দশমিক ৬৭ ডলার।
এ ছাড়া সোনারগাঁ সিডস ক্রাশিং লিমিটেড থেকে ৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং তামিম অ্যাগ্রো ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল থেকে মোট ১ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৭৯ দশমিক ৮৫ এবং রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৬১ টাকা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৪ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।
উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।
উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিকে টানা পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি দেখাতে হবে, আইপিওর টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে না, বোনাস শেয়ার ইস্যুর পর দুই বছর আইপিও আবদেন করতে পারবে না এবং তালিকাভুক্তির পর ছয় মাস শেয়ার লক-ইন থাকবে বা বিক্রি করা যাবে না। প্রস্তাবিত নতুন পাবলিক ইস্যু রুলস বা আইপিও নীতিমালায়....
১৪ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই নতুন নকশার নোট। ওই দিন থেকে এই নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ শুরু হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) থেকে ব্যাংকটির কার্যক্রম চালু হয়। পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা চাইলে আগামী রোববার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করবে সরকার। দরপত্র ছাড়া সরকার বনাম সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে এ গম কেনা হবে। এবার প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪০৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা সর্বমোট ৯ কোটি ৯০ হাজার ডলার। টাকার হিসাবে ২০১ কোটি ১৪ লাখের বেশি।
১১ ঘণ্টা আগে