জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
কারসাজি বন্ধ আর বাজারব্যবস্থায় শৃঙ্খলা না এনে শুধু নীতি কড়াকড়ি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগই কাজ করছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন ধরনের ঋণের সুদের হার বাড়ানো, ডলার বেচে টাকা তুলে নেওয়া আর টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করার মতো নীতি দফায় দফায় আরোপ করলেও কোনো কাজ হয়নি। নিয়ন্ত্রণমূলক এত পদক্ষেপের পরও বাজারে পণ্যমূল্য কমছে না। বরং খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। অর্থনীতিবিদ, ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের দাবি, এর নেপথ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ডলার-সংকটে আমদানি হ্রাস, উৎপাদন কম এবং বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট থেকে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরে ১৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিয়েছে সরকার। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুদ্রানীতিতে প্রাধান্য পেয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এটা বেশ দেরিতে করা হয়েছে। আর শুধু নীতি দিয়ে পণ্যমূল্য কমবে না। এ জন্য জোগান ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু ডলার-সংকটে আমদানি পণ্য ও উৎপাদন কমেছে। আবার বাজার কারসাজি করে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করা হয়। এসব কারা করে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো জানে। তারা বিশেষ শক্তি ব্যবহার করে এসব করে। তাদের গায়ে হাত দিলে পুড়ে যেতে পারে এমন বাস্তবতা থেকে তারা দায়সারা কাজ করে। এসব চালু থাকলে সুদ বাড়িয়ে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমবে না। এ জন্য মুদ্রানীতি ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা জরুরি। এসব নিশ্চিত করতে না পারলে খাদ্যপণ্যসহ অনেক পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, সরকার চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে বাজার থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু সেই পরিমাণ নতুন টাকা বাজারের জন্য ইস্যু করেনি। আবার পণ্যমূল্য বেশি হওয়ায় মানুষের খরচও বেড়ে গেছে। অনেকে ব্যাংকের সঞ্চয় ভেঙে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। তার আগে নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আবার গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি পরিসংখ্যান ও বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূলত বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় মূল্যস্ফীতি কমছে না। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা কমাতে কোনো নীতিই কাজ করার কথা নয়। বিশেষ করে বাজার কারসাজি ও পণ্য মজুত এবং বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে না পারলে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে কিছুই হবে না। এ জন্য কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, দেশে ডলার-সংকট কেটে যায়নি। তবু নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত আড়াই বছরে প্রায় ৩০ বিলিয়ন (৩ হাজার কোটি) ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে তা কার্যকর হচ্ছে। একটা সময় পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলার-সংকট কাটছে না। আমদানিতে কড়াকড়ি করায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ডলার বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে শুধু সুদহার বাড়ালে পণ্যমূল্য কমার কথা নয়।
ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সুদ বাড়িয়ে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে মুদ্রানীতি ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা জরুরি। এসব নিশ্চিত করতে না পারলে খাদ্যপণ্যসহ অনেক পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
কারসাজি বন্ধ আর বাজারব্যবস্থায় শৃঙ্খলা না এনে শুধু নীতি কড়াকড়ি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগই কাজ করছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন ধরনের ঋণের সুদের হার বাড়ানো, ডলার বেচে টাকা তুলে নেওয়া আর টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করার মতো নীতি দফায় দফায় আরোপ করলেও কোনো কাজ হয়নি। নিয়ন্ত্রণমূলক এত পদক্ষেপের পরও বাজারে পণ্যমূল্য কমছে না। বরং খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। অর্থনীতিবিদ, ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের দাবি, এর নেপথ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ডলার-সংকটে আমদানি হ্রাস, উৎপাদন কম এবং বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট থেকে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও চলতি অর্থবছরে ১৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিয়েছে সরকার। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুদ্রানীতিতে প্রাধান্য পেয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এটা বেশ দেরিতে করা হয়েছে। আর শুধু নীতি দিয়ে পণ্যমূল্য কমবে না। এ জন্য জোগান ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু ডলার-সংকটে আমদানি পণ্য ও উৎপাদন কমেছে। আবার বাজার কারসাজি করে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করা হয়। এসব কারা করে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো জানে। তারা বিশেষ শক্তি ব্যবহার করে এসব করে। তাদের গায়ে হাত দিলে পুড়ে যেতে পারে এমন বাস্তবতা থেকে তারা দায়সারা কাজ করে। এসব চালু থাকলে সুদ বাড়িয়ে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমবে না। এ জন্য মুদ্রানীতি ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা জরুরি। এসব নিশ্চিত করতে না পারলে খাদ্যপণ্যসহ অনেক পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, সরকার চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে বাজার থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু সেই পরিমাণ নতুন টাকা বাজারের জন্য ইস্যু করেনি। আবার পণ্যমূল্য বেশি হওয়ায় মানুষের খরচও বেড়ে গেছে। অনেকে ব্যাংকের সঞ্চয় ভেঙে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। তার আগে নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আবার গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তার আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি পরিসংখ্যান ও বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূলত বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় মূল্যস্ফীতি কমছে না। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা কমাতে কোনো নীতিই কাজ করার কথা নয়। বিশেষ করে বাজার কারসাজি ও পণ্য মজুত এবং বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে না পারলে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে কিছুই হবে না। এ জন্য কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, দেশে ডলার-সংকট কেটে যায়নি। তবু নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত আড়াই বছরে প্রায় ৩০ বিলিয়ন (৩ হাজার কোটি) ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে তা কার্যকর হচ্ছে। একটা সময় পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলার-সংকট কাটছে না। আমদানিতে কড়াকড়ি করায় কারখানায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ডলার বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে শুধু সুদহার বাড়ালে পণ্যমূল্য কমার কথা নয়।
ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সুদ বাড়িয়ে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে মুদ্রানীতি ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা জরুরি। এসব নিশ্চিত করতে না পারলে খাদ্যপণ্যসহ অনেক পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কিছু অর্থনীতিদের সমালোচনা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদ যারা কিছুই (সরকারের ইতিবাচক কাজ) দেখেন না; দেখতে দৃষ্টি লাগে। অন্তর্দৃষ্টি লাগে। না চাইলে তো দেখতে পারবেন না!’
২ ঘণ্টা আগেট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য ইরাক। সম্প্রতি ইরাকে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াতে শুরু করেছে চীনের স্বশাসিত তুলনামূলক ছোট ও বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলো।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি বাংলাদেশকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল, যা ছিল অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ এক সতর্কসংকেত। শেষ পর্যন্ত যদি এই শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণ না করা হতো, বরং তা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আরও বেশি হতো। তবে এর অভিঘাত হতো বহুমাত্রিক ও ব্যাপক।
১৩ ঘণ্টা আগে