
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া। শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ায় উৎপাদন খাতেও স্থবিরতা চলছে। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পার হয়েছে বর্তমান সরকারের ছয় মাস।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ভঙ্গুর অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা আসেনি। বরং বহুমাত্রিক সংকট, অবকাঠামো ঘাটতি, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নীতিনির্ধারণের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। তবে কার্যকর ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিলে এই সরকারের পক্ষেই সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা ও দেশীয় সংকটের চাপ কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি অর্থনীতি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রবাসী আয় রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনেছে, তবে রাজস্ব ঘাটতি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ প্রত্যাশিত হারে আসছে না, অথচ সুদ পরিশোধের ব্যয় বেড়েছে। এতে নিয়মিত সরকারি কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাংক খাতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে তারল্যসংকট ও বিনিয়োগ অনিশ্চয়তা কাটেনি।
সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ করের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। বাজেট ও উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত মধ্যমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনতে পারলে ক্রেতা-ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে, এতে অর্থনীতিও গতি পাবে।
পতন থেমেছে রিজার্ভে
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অর্থনীতির কিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও রিজার্ভে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। থামানো গেছে পতন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে দেশে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ৩০৫ কোটি ডলার।
এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির কারণে দেশে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমিয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
রাজস্ব ঘাটতির চাপে বাড়ছে দুশ্চিন্তা
সরকারের জন্য খরচ মেটানো এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে; কারণ, অর্থসংকট বেড়েই চলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর একই সময়ে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে, যা ৬ শতাংশের সমান।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি সরকারের জন্য আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে পতন
ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ নেওয়ায় বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বেশির ভাগ সময়েই বেসরকারি খাতে কমেছে ঋণের প্রবৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরেও একই ধারা বহাল রয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই হার গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের একই সময়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। সংকোচনমূলক নীতি বজায় রাখার ধারায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে এই লক্ষ্যমাত্রা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কমেছে বিনিয়োগ, জিডিপিতে প্রভাব নতুন বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। কিন্তু গত ছয় মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়েনি, উল্টো কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৮৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যমানের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৮৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এলসি খোলার হার কমেছে ৩২ শতাংশ। এতে প্রভাব পড়েছে শিল্পোৎপাদন, দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও কর্মসংস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৬.০৪ শতাংশ।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থানে রয়েছেন, ফলে নতুন বিনিয়োগ আশানুরূপভাবে আসছে না। এই কারণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিট এফডিআই এসেছে মাত্র ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সে হিসাবে এফডিআই কমেছে ২৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার বা ৭১ শতাংশ।
বিডার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ৭৪২টি প্রকল্পে ১,১৬৩ কোটি ডলারের বিনিয়োগ নিবন্ধন হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগের প্রবাহে ধস নেমেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ২৫৪টি প্রকল্পে ৬৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল; কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে মাত্র ১৮৬টি প্রকল্পে ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগ কমেছে ৪৮০ কোটি ৯ লাখ ডলার বা প্রায় ৭২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসা উপযোগী পরিবেশের বিরাট ঘাটতি ও আস্থার সংকট দৃশ্যমান। তাই প্রবৃদ্ধির খাত গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সব ধরনের শিল্প, কৃষি, সেবা, পর্যটন খাতসহ সর্বত্র এখন হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে আরও বহুমাত্রিক সংকট যোগ হয়েছে। এতে বেশির ভাগ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে। কমছে মোট দেশজ উৎপাদন। ক্ষয় হচ্ছে অর্থনীতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের অর্থনৈতিক কার্যক্রম মূল্যায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসার অনুকূলে নয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব ব্যবসায়ীই এর প্রভাব অনুভব করছেন। এর সঙ্গে আর্থিক খাতের সংকট বিনিয়োগের পরিবেশ আরও কঠিন করে তুলছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, কিন্তু মজুরি বাড়ছে ধীরগতিতে। ফলে মানুষের সঞ্চয় কমছে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আরেক মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়িক সংগঠন এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান জানান, এখনো ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আসেনি। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কিছু ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত, আবার কিছু ক্ষেত্রে আরও গভীর হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। দামও সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়েছে। উৎপাদন ও পরিবহন খরচ ক্রমেই বাড়ছে। ডলারের ঘাটতি ও বিনিময় হারে অস্থিরতা কাটেনি। নীতিগত সুদহার বৃদ্ধির ফলে ঋণের সুদ বেড়েছে, যা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে। কিন্তু দিন দিন এর ভিত দুর্বল হচ্ছে। দেশে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বিশ্ববাজারে বাড়ছে না পোশাকের দাম। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে চাপা অসন্তোষ, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে শিল্পকারখানার উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এরই মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির চাপ রয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও এলসির সংকট তো আছেই। নীতি সুদহারের চাপেও ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ঋণের চাপে সরকার
বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বিপুল রাজস্ব ঘাটতির কারণে সরকারকে ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ নিতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করেনি, বরং এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছে, যা আগে নেওয়া হয়েছিল।
উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্প পরিকল্পনায় ধীরগতি, অর্থছাড়ে বিলম্ব এবং লোকবল নিয়োগে দেরিসহ নানা কারণে দেশে এই সংকট নিয়মিতই দেখা মেলে। তবে চলতি বছর এর বাড়তি সংযোজন ঘটেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে ২০১২-১৩ অর্থবছরের পর প্রথমবারের মতো এডিপি বাস্তবায়নের হার ২০ শতাংশের নিচে নামল।
বিদেশি সহায়তা কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২২৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৪৭০ কোটি ডলার বা ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া অর্থছাড়ও কমেছে এই ৬ মাসে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৪০৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ অর্থছাড় কমেছে ১৩ শতাংশ। তবে প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমলেও ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। এই সময়ে সরকারকে ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
দেশের অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে, বাস্তবতা তার চেয়েও কঠিন, এমনটাই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তাঁর মতে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের দুর্বল অবস্থা যতটা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে পরিস্থিতি আরও নাজুক। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশও অর্থনীতির জন্য সহায়ক নয়, যা সংকটকে আরও গভীর করছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি, বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া। শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ায় উৎপাদন খাতেও স্থবিরতা চলছে। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পার হয়েছে বর্তমান সরকারের ছয় মাস।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ভঙ্গুর অর্থনীতির দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা আসেনি। বরং বহুমাত্রিক সংকট, অবকাঠামো ঘাটতি, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নীতিনির্ধারণের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। তবে কার্যকর ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিলে এই সরকারের পক্ষেই সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা ও দেশীয় সংকটের চাপ কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি অর্থনীতি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রবাসী আয় রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনেছে, তবে রাজস্ব ঘাটতি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক ঋণ প্রত্যাশিত হারে আসছে না, অথচ সুদ পরিশোধের ব্যয় বেড়েছে। এতে নিয়মিত সরকারি কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাংক খাতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে তারল্যসংকট ও বিনিয়োগ অনিশ্চয়তা কাটেনি।
সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ করের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। বাজেট ও উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত মধ্যমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনতে পারলে ক্রেতা-ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে, এতে অর্থনীতিও গতি পাবে।
পতন থেমেছে রিজার্ভে
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অর্থনীতির কিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও রিজার্ভে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। থামানো গেছে পতন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে দেশে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ৩০৫ কোটি ডলার।
এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির কারণে দেশে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমিয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভও বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
রাজস্ব ঘাটতির চাপে বাড়ছে দুশ্চিন্তা
সরকারের জন্য খরচ মেটানো এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে; কারণ, অর্থসংকট বেড়েই চলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর একই সময়ে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে, যা ৬ শতাংশের সমান।
রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতে, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি সরকারের জন্য আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে পতন
ব্যাংক থেকে সরকার বেশি ঋণ নেওয়ায় বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বেশির ভাগ সময়েই বেসরকারি খাতে কমেছে ঋণের প্রবৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরেও একই ধারা বহাল রয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই হার গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের একই সময়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। সংকোচনমূলক নীতি বজায় রাখার ধারায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে এই লক্ষ্যমাত্রা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কমেছে বিনিয়োগ, জিডিপিতে প্রভাব নতুন বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। কিন্তু গত ছয় মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়েনি, উল্টো কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৮৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যমানের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৮৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এলসি খোলার হার কমেছে ৩২ শতাংশ। এতে প্রভাব পড়েছে শিল্পোৎপাদন, দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও কর্মসংস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৬.০৪ শতাংশ।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ অবস্থানে রয়েছেন, ফলে নতুন বিনিয়োগ আশানুরূপভাবে আসছে না। এই কারণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিট এফডিআই এসেছে মাত্র ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সে হিসাবে এফডিআই কমেছে ২৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার বা ৭১ শতাংশ।
বিডার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ৭৪২টি প্রকল্পে ১,১৬৩ কোটি ডলারের বিনিয়োগ নিবন্ধন হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগের প্রবাহে ধস নেমেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ২৫৪টি প্রকল্পে ৬৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল; কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে মাত্র ১৮৬টি প্রকল্পে ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগ কমেছে ৪৮০ কোটি ৯ লাখ ডলার বা প্রায় ৭২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসা উপযোগী পরিবেশের বিরাট ঘাটতি ও আস্থার সংকট দৃশ্যমান। তাই প্রবৃদ্ধির খাত গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সব ধরনের শিল্প, কৃষি, সেবা, পর্যটন খাতসহ সর্বত্র এখন হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে আরও বহুমাত্রিক সংকট যোগ হয়েছে। এতে বেশির ভাগ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে। কমছে মোট দেশজ উৎপাদন। ক্ষয় হচ্ছে অর্থনীতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের অর্থনৈতিক কার্যক্রম মূল্যায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসার অনুকূলে নয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব ব্যবসায়ীই এর প্রভাব অনুভব করছেন। এর সঙ্গে আর্থিক খাতের সংকট বিনিয়োগের পরিবেশ আরও কঠিন করে তুলছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, কিন্তু মজুরি বাড়ছে ধীরগতিতে। ফলে মানুষের সঞ্চয় কমছে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আরেক মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়িক সংগঠন এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান টি রহমান জানান, এখনো ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আসেনি। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কিছু ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত, আবার কিছু ক্ষেত্রে আরও গভীর হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। দামও সহনশীলতার সীমা ছাড়িয়েছে। উৎপাদন ও পরিবহন খরচ ক্রমেই বাড়ছে। ডলারের ঘাটতি ও বিনিময় হারে অস্থিরতা কাটেনি। নীতিগত সুদহার বৃদ্ধির ফলে ঋণের সুদ বেড়েছে, যা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে। কিন্তু দিন দিন এর ভিত দুর্বল হচ্ছে। দেশে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বিশ্ববাজারে বাড়ছে না পোশাকের দাম। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে চাপা অসন্তোষ, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে শিল্পকারখানার উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এরই মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির চাপ রয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও এলসির সংকট তো আছেই। নীতি সুদহারের চাপেও ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ঋণের চাপে সরকার
বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বিপুল রাজস্ব ঘাটতির কারণে সরকারকে ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ নিতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করেনি, বরং এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছে, যা আগে নেওয়া হয়েছিল।
উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্প পরিকল্পনায় ধীরগতি, অর্থছাড়ে বিলম্ব এবং লোকবল নিয়োগে দেরিসহ নানা কারণে দেশে এই সংকট নিয়মিতই দেখা মেলে। তবে চলতি বছর এর বাড়তি সংযোজন ঘটেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে ২০১২-১৩ অর্থবছরের পর প্রথমবারের মতো এডিপি বাস্তবায়নের হার ২০ শতাংশের নিচে নামল।
বিদেশি সহায়তা কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২২৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৪৭০ কোটি ডলার বা ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া অর্থছাড়ও কমেছে এই ৬ মাসে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৪০৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ অর্থছাড় কমেছে ১৩ শতাংশ। তবে প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমলেও ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। এই সময়ে সরকারকে ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
দেশের অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে, বাস্তবতা তার চেয়েও কঠিন, এমনটাই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তাঁর মতে, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের দুর্বল অবস্থা যতটা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে পরিস্থিতি আরও নাজুক। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশও অর্থনীতির জন্য সহায়ক নয়, যা সংকটকে আরও গভীর করছে।

আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছে। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছে।
২ মিনিট আগে
১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন ব্যবসায়ী আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছেন। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হতে পারে চীনের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ১০০ শতাংশ শুল্ক। তবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলোচনায় সেই শুল্ক আরোপের হুমকি আপাতত কেটে গেছে বলে জানা গেছে।
তবু আমদানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুল্ক কার্যকর হলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই চীনা পণ্য আমদানি শুরু করেছেন। কিন্তু আগাম এসব পণ্য এনে গুদামজাত করায় খরচ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেক আমদানিকারক।
শিশুদের স্ট্রলার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অস্টলেন বেবির প্রধান নির্বাহী লেসলি স্টিবা বলেন, ‘আমরা বসন্ত মৌসুমের পণ্য আগেভাগেই আমদানি করছি।’ তিনি জানান, ২০২৬ সালের বসন্ত মৌসুমের জন্য (মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস) তিনি গতবারের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি অর্ডার দিয়েছেন। ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাঁর কোম্পানির মজুত এখন ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তবে বাড়তি খরচের কারণে নতুন কর্মী নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফ্রন্ট-লোডিং’ বা আগেভাগে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কবিরতির প্রথম ছয় মাসে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করেছিল। ফলে আগের তুলনায় জাহাজভাড়া এবং বন্দরের কার্যক্রম বেড়ে যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক নিয়ে সাময়িক সমঝোতা হওয়ার আগপর্যন্ত ২০২৬ সালের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের পণ্য আগেভাগে আমদানির প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
স্টিবা জানান, বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প যখন ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন তাঁর কোম্পানিকে কিছুদিনের জন্য আমদানি বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়। কারণ, পর্যাপ্ত পণ্য না থাকায় অর্ডার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের এক খেলনা প্রস্তুতকারক জানান, অনেকে এখন শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের ১ তারিখে যা হওয়ার হবে। সবাই এখন ধরে নিচ্ছে, হয়তো শুল্ক বৃদ্ধির সময় আরও তিন মাস পিছিয়ে যাবে।’
এদিকে, গতকাল রোববার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, নভেম্বরের ১০ তারিখে শুল্কবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও তা আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি আশা করছেন।
চীনের রপ্তানিকারক দেং জিনলিং জানান, তাঁর কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে থার্মস ফ্লাস্ক রপ্তানি করে এবং এখনো তাদের চালান স্বাভাবিক আছে। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ পণ্য ইতিমধ্যে পাঠানো হয়ে গেছে। কেবল ২০ শতাংশ পণ্য রপ্তানির অপেক্ষায় আছে।’
তবে সব মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগে আমদানি করছে না। ট্রাম্পোলিন আমদানিকারক মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্প্রিটেইলের চিফ মার্চেন্ডাইজিং অফিসার ওয়েন কার বলেন, ‘শুল্ক সত্যিই কার্যকর হয় কি না, তা দেখার জন্য আমরা এখনো অপেক্ষা করছি।’
প্রতিবছর বসন্তকালীন পণ্য; যেমন হালকা পোশাক ও ইস্টারের উপহার সাধারণত বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ নভেম্বর বা ডিসেম্বরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায়। চীনের চান্দ্র নববর্ষের আগেই এর পরিমাণ সর্বোচ্চ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দর লং বিচের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা নোয়েল হ্যাসেগাবা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত স্পষ্ট সমাধান না আসে, তত দিন আমরা আগেভাগে আমদানির প্রবণতা দেখতে পাব। এতে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ পণ্য বন্দরে জমা পড়েছে।’
জনপ্রিয় খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাসব্রো ও ম্যাটেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুচরা বিক্রেতারা এখন সরাসরি চীন থেকে পণ্য না এনে দেশীয় সরবরাহকারীদের থেকে কিনছেন। এতে তাঁদের শুল্কের ঝুঁকি কমেছে এবং তাঁরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনে রাখতে পারছেন।
ইস্টার সানডে ও বড়দিন উপলক্ষে চীন থেকে বিশেষ ধরনের পণ্য আমদানি করে হেই বাডি হেই প্যাল নামের একটি মার্কিন কোম্পানি। তাদের সহপ্রতিষ্ঠাতা কার্টিস গিল জানান, তাঁদের বসন্তকালীন ৫০ শতাংশ পণ্য ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের একটি গুদামে রাখা হয়েছে।
কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি, ফুল ও সাজসজ্জার সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বালসাম হিলের প্রধান নির্বাহী ম্যাক হারম্যান জানান, তাঁরাও বসন্তের জন্য অপেক্ষমাণ অর্ডারগুলো সম্প্রতি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার আগের তুলনায় সীমিত পরিসরে অর্ডার দিয়েছি। তবে দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’

আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন ব্যবসায়ী আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছেন। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হতে পারে চীনের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ১০০ শতাংশ শুল্ক। তবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলোচনায় সেই শুল্ক আরোপের হুমকি আপাতত কেটে গেছে বলে জানা গেছে।
তবু আমদানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুল্ক কার্যকর হলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই চীনা পণ্য আমদানি শুরু করেছেন। কিন্তু আগাম এসব পণ্য এনে গুদামজাত করায় খরচ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেক আমদানিকারক।
শিশুদের স্ট্রলার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অস্টলেন বেবির প্রধান নির্বাহী লেসলি স্টিবা বলেন, ‘আমরা বসন্ত মৌসুমের পণ্য আগেভাগেই আমদানি করছি।’ তিনি জানান, ২০২৬ সালের বসন্ত মৌসুমের জন্য (মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস) তিনি গতবারের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি অর্ডার দিয়েছেন। ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাঁর কোম্পানির মজুত এখন ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তবে বাড়তি খরচের কারণে নতুন কর্মী নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফ্রন্ট-লোডিং’ বা আগেভাগে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কবিরতির প্রথম ছয় মাসে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করেছিল। ফলে আগের তুলনায় জাহাজভাড়া এবং বন্দরের কার্যক্রম বেড়ে যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে শুল্ক নিয়ে সাময়িক সমঝোতা হওয়ার আগপর্যন্ত ২০২৬ সালের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের পণ্য আগেভাগে আমদানির প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
স্টিবা জানান, বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প যখন ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন তাঁর কোম্পানিকে কিছুদিনের জন্য আমদানি বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়। কারণ, পর্যাপ্ত পণ্য না থাকায় অর্ডার সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের এক খেলনা প্রস্তুতকারক জানান, অনেকে এখন শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের ১ তারিখে যা হওয়ার হবে। সবাই এখন ধরে নিচ্ছে, হয়তো শুল্ক বৃদ্ধির সময় আরও তিন মাস পিছিয়ে যাবে।’
এদিকে, গতকাল রোববার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, নভেম্বরের ১০ তারিখে শুল্কবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও তা আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি আশা করছেন।
চীনের রপ্তানিকারক দেং জিনলিং জানান, তাঁর কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে থার্মস ফ্লাস্ক রপ্তানি করে এবং এখনো তাদের চালান স্বাভাবিক আছে। তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ পণ্য ইতিমধ্যে পাঠানো হয়ে গেছে। কেবল ২০ শতাংশ পণ্য রপ্তানির অপেক্ষায় আছে।’
তবে সব মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগে আমদানি করছে না। ট্রাম্পোলিন আমদানিকারক মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্প্রিটেইলের চিফ মার্চেন্ডাইজিং অফিসার ওয়েন কার বলেন, ‘শুল্ক সত্যিই কার্যকর হয় কি না, তা দেখার জন্য আমরা এখনো অপেক্ষা করছি।’
প্রতিবছর বসন্তকালীন পণ্য; যেমন হালকা পোশাক ও ইস্টারের উপহার সাধারণত বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ নভেম্বর বা ডিসেম্বরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায়। চীনের চান্দ্র নববর্ষের আগেই এর পরিমাণ সর্বোচ্চ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দর লং বিচের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা নোয়েল হ্যাসেগাবা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত স্পষ্ট সমাধান না আসে, তত দিন আমরা আগেভাগে আমদানির প্রবণতা দেখতে পাব। এতে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ পণ্য বন্দরে জমা পড়েছে।’
জনপ্রিয় খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাসব্রো ও ম্যাটেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুচরা বিক্রেতারা এখন সরাসরি চীন থেকে পণ্য না এনে দেশীয় সরবরাহকারীদের থেকে কিনছেন। এতে তাঁদের শুল্কের ঝুঁকি কমেছে এবং তাঁরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনে রাখতে পারছেন।
ইস্টার সানডে ও বড়দিন উপলক্ষে চীন থেকে বিশেষ ধরনের পণ্য আমদানি করে হেই বাডি হেই প্যাল নামের একটি মার্কিন কোম্পানি। তাদের সহপ্রতিষ্ঠাতা কার্টিস গিল জানান, তাঁদের বসন্তকালীন ৫০ শতাংশ পণ্য ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের একটি গুদামে রাখা হয়েছে।
কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি, ফুল ও সাজসজ্জার সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বালসাম হিলের প্রধান নির্বাহী ম্যাক হারম্যান জানান, তাঁরাও বসন্তের জন্য অপেক্ষমাণ অর্ডারগুলো সম্প্রতি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার আগের তুলনায় সীমিত পরিসরে অর্ডার দিয়েছি। তবে দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সচল রাখতে নিজেরাই উদ্যোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় টার্মিনাল-৩-এ একটি অস্থায়ী গুদাম তৈরি করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।
আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠন দুটি।
এতে বলা হয়, যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমদানি করা মূল্যবান কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্যের দ্রুত সুরক্ষার জন্য নবনির্মিত টার্মিনাল-৩-এ (যা বর্তমানে পণ্য সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত নয়) দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অস্থায়ী সমাধান হিসেবে অস্থায়ী গুদাম (রাব হল) স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে বিজিএমইএ এই ‘রাব হল’ স্থাপনের জন্য একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।
জানা যায়, ২০ অক্টোবর বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ দুই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং বাণিজ্য ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একটি বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকেই কার্গো ভিলেজের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও শিল্পের স্বার্থে আমদানি পণ্য সুরক্ষার জন্য উপরোক্ত যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজিএমইএ সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যৌথ উদ্যোগ আমদানি পণ্যের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রেখে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি-বাণিজ্যকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেবে বলে বিজিএমইএ বিশ্বাস করে।

১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সচল রাখতে নিজেরাই উদ্যোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় টার্মিনাল-৩-এ একটি অস্থায়ী গুদাম তৈরি করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।
আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠন দুটি।
এতে বলা হয়, যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমদানি করা মূল্যবান কাঁচামাল ও অন্যান্য পণ্যের দ্রুত সুরক্ষার জন্য নবনির্মিত টার্মিনাল-৩-এ (যা বর্তমানে পণ্য সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত নয়) দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অস্থায়ী সমাধান হিসেবে অস্থায়ী গুদাম (রাব হল) স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে বিজিএমইএ এই ‘রাব হল’ স্থাপনের জন্য একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।
জানা যায়, ২০ অক্টোবর বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ দুই সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং বাণিজ্য ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একটি বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকেই কার্গো ভিলেজের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও শিল্পের স্বার্থে আমদানি পণ্য সুরক্ষার জন্য উপরোক্ত যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজিএমইএ সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যৌথ উদ্যোগ আমদানি পণ্যের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রেখে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি-বাণিজ্যকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেবে বলে বিজিএমইএ বিশ্বাস করে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছে। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছে।
২ মিনিট আগে
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ শীর্ষক এ আয়োজন শুরু হয় তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে এবং শেষ হয় ৩০০ ফিটের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায়। এ রাইডে পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতারাসহ অন্য অংশীদারেরাও অংশগ্রহণ করেন।
যৌথভাবে এ রাইডের আয়োজন করে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। আয়োজনে মেডিকেল সহায়তা প্রদান করে হেলথকেয়ার পার্টনার আরোগ্য। ঢাকাকে প্রতিদিন যাঁরা সচল রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রাইডারদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যর সহায়তায় ১০০ পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি মূল মেডিকেল টেস্ট। নিয়মিত চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য আয়োজনটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
এ উদ্যোগ নিয়ে ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাইকচালকেরা এ শহরের যাতায়াত কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এ উদ্যোগ তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁরা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। এটা শুধু একটি আয়োজনই নয়, এ উদ্যোগ আমাদের ইএলএফ লাইফস্টাইলের অংশ।’
অনুষ্ঠানে রাইডারেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের চেষ্টা ছিল নিজেদের নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটাল এনার্জিস বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর টেরি হায়াশি। তিনি রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছে। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছে।
২ মিনিট আগে
১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান শক্তিশালী হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। ডলারের মান শক্তিশালী হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা কমে আসার ইঙ্গিত মেলার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে। এদিকে সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বের বড় কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বৈঠককে ঘিরে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ড, অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে যেসব সোনা বিক্রি হবে তার দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭৭ দশমিক ১১ ডলারে দাঁড়ায়। ফিউচার গোল্ড, অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে যেসব সোনা সরবরাহ করা হবে কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় এখনই সম্পন্ন হবে—সেগুলোর দামও কিছুটা কমেছে। আগামী ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০ দশমিক ৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডলারের মান জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে, ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা এক বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ চুক্তি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্ভাব্য এই বাণিজ্য চুক্তির খবরটা বেশ আকস্মিকভাবে এসেছে, তবে বাজারের জন্য এটি এক ইতিবাচক চমক। তবে এর উল্টো দিক হলো, এই পরিস্থিতি সোনার বাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও স্বাভাবিক হচ্ছে। ভবিষ্যতে শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে—এই প্রত্যাশাই স্বর্ণকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। যদি সেটি বজায় থাকে, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ফেডারেল রিজার্ভের এই সপ্তাহের বৈঠকে সুদহার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে প্রবল। শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পর এ অনুমান আরও জোরদার হয়েছে। তবে এই হার কমানো বাজারে আগেই মূল্যায়িত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীরা ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎমুখী মন্তব্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সুদবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদের পরিবেশে লাভবান হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ এক্সচেঞ্জ—ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এর মজুত ১ হাজার ৫২ দশমিক ৩৭ টন থেকে কমে ১ হাজার ৪৬ দশমিক ৯৩ টনে নেমেছে, অর্থাৎ দশমিক ৫২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক ৩১ ডলার হয়। প্লাটিনামের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৭৫ ডলারে উঠেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ৬ মাসে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে, থেমেছে রিজার্ভে পতন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন শুল্কের ধাক্কা এড়াতে কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান আগেভাগেই চীন থেকে পণ্য আমদানি করছে। জানা গেছে, এই আমদানিকারকেরা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য শিশুদের স্টলারসহ বসন্ত মৌসুমের (আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে) নানা পণ্য চীন থেকে আগাম দেশে এনে নিজেদের গুদামে জমিয়ে রাখছে।
২ মিনিট আগে
১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমদানি শেডটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পোশাকশিল্পের আমদানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এটি দেশের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কার্যক্রম
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাইকচালক কমিউনিটিকে সহযোগিতায় বিশেষ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। তারা সম্প্রতি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড আয়োজন করে।
৬ ঘণ্টা আগে