প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ধনিক পরিবারের তালিকায় প্রথম স্থান নিয়ে চমকে দিয়েছে আরব আমিরাতের আল-নাহিয়ান পরিবার। এ ক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলেছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন পরিবার ওয়ালটনকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের ‘বিশ্বের শীর্ষ ধনিক পরিবার-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫৯ বিলিয়ন। তালিকায় আরেক নতুন মুখ পঞ্চম স্থানে থাকা কাতারের আল থানি রাজপরিবার।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেট্রল বা তেল পাওয়া ভাগ্যবানেরা যেভাবে বৈশ্বিক ব্যবসার নতুন আকার দিচ্ছেন, আগে কখনো হয়নি। এখন ব্যক্তিগত ও সার্বভৌমের দাম্ভিকতার সঙ্গে তাঁরা এখন আর্থিকভাবেও শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। বিস্ময়করভাবে বহু ডলারধারীর এই আরব অঞ্চল বিশ্বে আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। শীর্ষ ১০ ধনিক পরিবারের মধ্যে তিনটিই উপসাগরীয় পরিবার, যা অনেকের অনুমানেই দিয়েছে বড় ধাক্কা।
গোষ্ঠী হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলো সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন সম্পদ অর্জন করেছে। এখানে মধ্যপ্রাচ্যের উল্লম্ফন একমাত্র উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নয়, সবচেয়ে বড় লাভকারীদের মধ্যে ছিল একটি ভিন্ন ধরনের রাজকীয় বাড়ি; বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ‘হেরমেসের’ পেছনে ষষ্ঠ প্রজন্মের রাজবংশ। তারা এক বছরে ৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় করে বিশ্বের তৃতীয় ধনী পরিবারে পরিণত হয়েছে।
১৯৭১ সালে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত হয়। ২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রধান হিসেবে তাঁর বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। আর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০২২ সালে আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হন। গত চার বছরে তাঁদের কোম্পানিগুলোর স্টক প্রায় ৭ হাজার গুণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম ওয়ালমার্টকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী পরিবার হলো আল নাহিয়ান।
এদিকে চমক হিসেবে তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে কাতারের রাজপরিবার আল থানি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। আট প্রজন্ম ধরে চলছে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। কাতারে তেল আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালের দিকে। তাঁর আগপর্যন্ত দেশটির শাসকেরা উপকূল এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে। গ্যাসই মূলত কাতারের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কাতারের আল থানি পরিবার সদস্যদেশটির অর্ধেক জনসংখ্যার সমান বলে কিছুদিন আগে অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় উঠে আসে।
তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা সৌদি আরবের আল সৌদ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মূল ব্যবসা মূলত তেলের। তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা ব্যবসা করে আসছে। দেশটিতেই রয়েছে বিশ্বের সন্ধান পাওয়া পেট্রোলিয়ামের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের মজুত।
আল সৌদ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজারের অধিক। রাজপরিবারের অনেক সদস্য সরকারি চুক্তি, জমির কেনাবেচা এবং সৌদি আরামকোর মতো রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো চালিয়ে অর্থ উপার্জন করেন। রাজ্যের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পিআরএফের সম্পদ রয়েছে ৭০০ বিলিয়নের বেশি। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে তালিকার শীর্ষ দশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন পরিবারও রয়েছে। তারা হলো ওয়ালটন, চকলেটের রাজা দ্য মার্স ফ্যামিলি এবং তেল বিলিয়নিয়ার দ্য কোচস।
চলতি বছর অতিধনীদের আরও ধনী হওয়া সবার আগ্রহের বিষয় ছিল। এ ছাড়া স্টকের দাম স্বাভাবিক হয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনীতি বছরের শুরুতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো রয়েছে।
এদিকে ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বিশ্বের দুই ধনী ব্যক্তি টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস চলতি বছর ১৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ যোগ করেছেন।
প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ ধনিক পরিবারের তালিকায় প্রথম স্থান নিয়ে চমকে দিয়েছে আরব আমিরাতের আল-নাহিয়ান পরিবার। এ ক্ষেত্রে তারা পেছনে ফেলেছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন পরিবার ওয়ালটনকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের ‘বিশ্বের শীর্ষ ধনিক পরিবার-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ালটন পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫৯ বিলিয়ন। তালিকায় আরেক নতুন মুখ পঞ্চম স্থানে থাকা কাতারের আল থানি রাজপরিবার।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেট্রল বা তেল পাওয়া ভাগ্যবানেরা যেভাবে বৈশ্বিক ব্যবসার নতুন আকার দিচ্ছেন, আগে কখনো হয়নি। এখন ব্যক্তিগত ও সার্বভৌমের দাম্ভিকতার সঙ্গে তাঁরা এখন আর্থিকভাবেও শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। বিস্ময়করভাবে বহু ডলারধারীর এই আরব অঞ্চল বিশ্বে আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। শীর্ষ ১০ ধনিক পরিবারের মধ্যে তিনটিই উপসাগরীয় পরিবার, যা অনেকের অনুমানেই দিয়েছে বড় ধাক্কা।
গোষ্ঠী হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলো সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন সম্পদ অর্জন করেছে। এখানে মধ্যপ্রাচ্যের উল্লম্ফন একমাত্র উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নয়, সবচেয়ে বড় লাভকারীদের মধ্যে ছিল একটি ভিন্ন ধরনের রাজকীয় বাড়ি; বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ‘হেরমেসের’ পেছনে ষষ্ঠ প্রজন্মের রাজবংশ। তারা এক বছরে ৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় করে বিশ্বের তৃতীয় ধনী পরিবারে পরিণত হয়েছে।
১৯৭১ সালে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে প্রেসিডেন্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত হয়। ২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রধান হিসেবে তাঁর বাবার স্থলাভিষিক্ত হন। আর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ২০২২ সালে আরব আমিরাতের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হন। গত চার বছরে তাঁদের কোম্পানিগুলোর স্টক প্রায় ৭ হাজার গুণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম ওয়ালমার্টকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী পরিবার হলো আল নাহিয়ান।
এদিকে চমক হিসেবে তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে কাতারের রাজপরিবার আল থানি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। আট প্রজন্ম ধরে চলছে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। কাতারে তেল আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালের দিকে। তাঁর আগপর্যন্ত দেশটির শাসকেরা উপকূল এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে। গ্যাসই মূলত কাতারের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কাতারের আল থানি পরিবার সদস্যদেশটির অর্ধেক জনসংখ্যার সমান বলে কিছুদিন আগে অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় উঠে আসে।
তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা সৌদি আরবের আল সৌদ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মূল ব্যবসা মূলত তেলের। তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা ব্যবসা করে আসছে। দেশটিতেই রয়েছে বিশ্বের সন্ধান পাওয়া পেট্রোলিয়ামের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের মজুত।
আল সৌদ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজারের অধিক। রাজপরিবারের অনেক সদস্য সরকারি চুক্তি, জমির কেনাবেচা এবং সৌদি আরামকোর মতো রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো চালিয়ে অর্থ উপার্জন করেন। রাজ্যের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পিআরএফের সম্পদ রয়েছে ৭০০ বিলিয়নের বেশি। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এদিকে তালিকার শীর্ষ দশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন পরিবারও রয়েছে। তারা হলো ওয়ালটন, চকলেটের রাজা দ্য মার্স ফ্যামিলি এবং তেল বিলিয়নিয়ার দ্য কোচস।
চলতি বছর অতিধনীদের আরও ধনী হওয়া সবার আগ্রহের বিষয় ছিল। এ ছাড়া স্টকের দাম স্বাভাবিক হয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনীতি বছরের শুরুতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো রয়েছে।
এদিকে ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বিশ্বের দুই ধনী ব্যক্তি টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস চলতি বছর ১৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ যোগ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১২ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৫ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে