নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের করব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা, বৈষম্য ও পারস্পরিক অবিশ্বাস বিদ্যমান। করহার, ভিত্তি ও প্রশাসনে রয়েছে অসংগতি। করদাতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে অবিশ্বাস শুধু রাজস্ব নয়, অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ডিজিটাল করব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ থাকলেও করদাতার আগ্রহ কম, আর কর্মকর্তারা দেখাচ্ছেন উদাসীনতা—ফলে কাঠামোটিতে রয়ে গেছে ফাঁকি ও অনিয়ম।
গতকাল সোমবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশের করপোরেট আয়কর সংস্কার: ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দেশের করব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন সংস্থার জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি করনীতির সংস্কারে ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জানান, কর ফাঁকি ও কর অব্যাহতির ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া কর প্রণোদনা যেমন বৈষম্য বাড়ায়, তেমনি অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাও দুর্বল করে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের মতো সক্ষম খাতে প্রণোদনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, কারণ এসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই পুঁজি জোগাতে সক্ষম। তাই এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যয় দ্রুত বন্ধ করা উচিত।
সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ অর্থবছরে দেশে কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। এর অর্ধেকেরও বেশি এসেছে করপোরেট খাত থেকে। তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, চামড়া, ব্যাংক ও প্লাস্টিক খাতের ১২৩টি কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করে সিপিডি বলেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে অতিমাত্রায় ব্যয়ের ফলে অন্য খাতগুলো চাপে রয়েছে।
সিপিডি বলেছে, বাজেটে সর্বনিম্ন করহার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে। ক্যাপিটাল মার্কেটে আড়াই শতাংশ করছাড় বন্ধ করে কোম্পানির সক্ষমতা অনুযায়ী করসুবিধা দেওয়া উচিত। কর আদায়ে নির্দিষ্ট কাঠামো ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। কর রেজিস্ট্রেশন থাকা সত্ত্বেও যাঁরা কর দেন না, তাঁদের তালিকা প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর রিটার্ন দাখিলের অভ্যাস গড়ে তুলে নাগরিকদের সচেতন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশ যে কর ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি, তা থেকে উত্তরণে একমাত্র পথ হচ্ছে একটি স্বচ্ছ, ডিজিটাল, ন্যায্য ও জবাবদিহিপূর্ণ করব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, সুবিন্যস্ত ও জনগণের ওপর আস্থা রেখে গড়ে তোলা কাঠামোই হতে পারে আগামী অর্থনীতির ভিত্তি।
দেশের করব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা, বৈষম্য ও পারস্পরিক অবিশ্বাস বিদ্যমান। করহার, ভিত্তি ও প্রশাসনে রয়েছে অসংগতি। করদাতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে অবিশ্বাস শুধু রাজস্ব নয়, অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ডিজিটাল করব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ থাকলেও করদাতার আগ্রহ কম, আর কর্মকর্তারা দেখাচ্ছেন উদাসীনতা—ফলে কাঠামোটিতে রয়ে গেছে ফাঁকি ও অনিয়ম।
গতকাল সোমবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশের করপোরেট আয়কর সংস্কার: ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণ’ শীর্ষক এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দেশের করব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন সংস্থার জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি করনীতির সংস্কারে ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জানান, কর ফাঁকি ও কর অব্যাহতির ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া কর প্রণোদনা যেমন বৈষম্য বাড়ায়, তেমনি অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাও দুর্বল করে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের মতো সক্ষম খাতে প্রণোদনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, কারণ এসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই পুঁজি জোগাতে সক্ষম। তাই এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যয় দ্রুত বন্ধ করা উচিত।
সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ অর্থবছরে দেশে কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। এর অর্ধেকেরও বেশি এসেছে করপোরেট খাত থেকে। তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, চামড়া, ব্যাংক ও প্লাস্টিক খাতের ১২৩টি কোম্পানির তথ্য বিশ্লেষণ করে সিপিডি বলেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে অতিমাত্রায় ব্যয়ের ফলে অন্য খাতগুলো চাপে রয়েছে।
সিপিডি বলেছে, বাজেটে সর্বনিম্ন করহার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যেতে পারে। ক্যাপিটাল মার্কেটে আড়াই শতাংশ করছাড় বন্ধ করে কোম্পানির সক্ষমতা অনুযায়ী করসুবিধা দেওয়া উচিত। কর আদায়ে নির্দিষ্ট কাঠামো ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। কর রেজিস্ট্রেশন থাকা সত্ত্বেও যাঁরা কর দেন না, তাঁদের তালিকা প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর রিটার্ন দাখিলের অভ্যাস গড়ে তুলে নাগরিকদের সচেতন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশ যে কর ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি, তা থেকে উত্তরণে একমাত্র পথ হচ্ছে একটি স্বচ্ছ, ডিজিটাল, ন্যায্য ও জবাবদিহিপূর্ণ করব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, সুবিন্যস্ত ও জনগণের ওপর আস্থা রেখে গড়ে তোলা কাঠামোই হতে পারে আগামী অর্থনীতির ভিত্তি।
দেশে বছরের পর বছর বিদ্যুতের সিস্টেম লস বা ব্যবস্থাপনাগত লোকসান যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে সরকার নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে, যার মাধ্যমে ১৪ জেলার ২০ উপজেলার ২৫টি আউটডোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রথাগত লোকসান কমানো হবে।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য ব্যাংকের সেবা সহজ করতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হয়। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই সেবা এখন শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলে নয়, ছাপিয়ে গেছে সারা দেশে। যেখানে গ্রাহকেরা হাতের কাছে পাচ্ছেন ব্যাংকের সেবা, তাঁরা ঋণও নিতে পারছেন।
৬ ঘণ্টা আগেঝুঁকি বিবেচনায় লাল তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসিতে ঘটেছে গুরুতর অনিয়ম ও ব্যাপক লুটপাট। আগ্রাসী ঋণ বিতরণ করে তা আদায়ে খাবি খাচ্ছে ব্যাংকটি। খেলাপি ঋণ হয়ে পড়েছে লাগামছাড়া। এতে ব্যাংকের সম্পদের ঝুঁকি অনেক বেড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক বাজারে একসময় শীর্ষস্থান দখল করে ছিল চীন। তবে চলতি বছর মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও বাড়তি শুল্কের কারণে চীনের রপ্তানি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এ সুযোগে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।
৬ ঘণ্টা আগে