Ajker Patrika

ডলারের সংকটে ধুঁকছে অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, ১৩: ৫৭
ডলারের সংকটে ধুঁকছে অর্থনীতি

আমদানিতে কড়াকড়িসহ নানা উদ্যোগের পরও ডলারের সংকট কাটছে না। ডলারের বিপরীতে টাকার মান দিনে দিনে কমছে। জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এতে রিজার্ভে টান পড়েছে। আবার আমদানি কড়াকড়ির ফলে বিভিন্ন কলকারখানায় কাঁচামালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যবসার আয় কমায় কর্মসংস্থান লোপ পেয়েছে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপণ্য ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষ।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংকে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত আন্তব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ দরের রেকর্ড। এর আগে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা, যা এক বছর আগে ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। আর গতকাল রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে। 

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ডলারের সংকট চলছে। ডলারের চড়া দাম ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একেক ব্যাংক একেক রেটে ডলার বিক্রি করছে। কোনো ব্যাংক প্রতি ডলার বিক্রি করে ১০৭ থেকে ১০৮ টাকায়। আবার কোনো কোনো ব্যাংক ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে। এ অবস্থায় আমদানি চাহিদামতো না হওয়ায় কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পর্যটন মেলা শুরু ৩০ অক্টোবর

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৪৯
পর্যটন মেলা ‘বিটিটিএফ ২০২৫’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব নেতৃবৃন্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পর্যটন মেলা ‘বিটিটিএফ ২০২৫’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব নেতৃবৃন্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে পর্যটন খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০২৫ আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) তাসলিম আমিন শোভন।

তিনি জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১২টি দেশ; যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুর অপারেটররা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থাকছে মেলার টাইটেল স্পনসর হিসেবে, আর বিকাশ থাকছে পেমেন্ট পার্টনার।

তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের আয়োজন আগের চেয়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হবে। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে এই মেলা দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সংযোগের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।

মেলার সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং টুরিস্ট পুলিশ।

বিটিটিএফ-২০২৫-এ থাকবে ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়ন ও ২২০টি স্টল। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে বি-টু-বি সেশন, সেমিনার, কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেশের পর্যটন গন্তব্যভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।

দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় র‍্যাফেল ড্র, যেখানে অংশ নিতে হলে বিটিটিএফ অ্যাপ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। তবে ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফ্রি।

টোয়াব জানায়, ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত বিটিটিএফ এখন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এই আয়োজন কেবল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটরদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ভ্রমণ প্রবণ ও পর্যটনবান্ধব করে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনী নায়ার, রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহিদ হামিদ, টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং টোয়াবের সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতীয় শোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে নতুন করে অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করে দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অর্থ প্রদানের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ভারতীয় শোধনাগারগুলো সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। যত দিন সরকার বা সরবরাহকারীদের থেকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে, তত দিন রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত থাকবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতে ভারতীয় কিছু শোধনাগার জরুরি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট বা অস্থায়ী বাজার থেকে তেল কেনার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) ইতিমধ্যে নতুন করে তেল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করেছে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শোধনাগার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ স্পট মার্কেটে তেল কেনা বৃদ্ধি করেছে।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল কোম্পানি—লুকঅয়েল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় ক্রেতাদের তেল সরবরাহ ও অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু চালান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন না করায় কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

ভারতীয় একটি শোধনাগারের নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তাঁরা এখন পর্যবেক্ষণ করছেন, নিষেধাজ্ঞাবিহীন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তেল কেনা সম্ভব কি না। তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছি না।’

২০২২ সাল থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে এবং বিদ্যমান সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। তবে সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের প্রধান রুশ অংশীদার রসনেফট থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ভারত দৈনিক প্রায় ১৯ লাখ ব্যারেল রুশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়ার মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে ছাড় কমে যাওয়া এবং সরবরাহ-সংকটের কারণে আমদানির প্রবাহ সম্প্রতি ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের রুশ তেল আমদানি আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানিতে ভারতের রেকর্ড, কিন্তু কেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার তেল আমদানি করায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যগত টানাপোড়েন কমাতে কৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি দৈনিক ৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ভারত একদিকে রাশিয়ার বাইরে নতুন তেল সরবরাহের উৎস বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

কেপলারের লিড রিসার্চ অ্যানালিস্ট (রিফাইনিং, সাপ্লাই ও মডেলিং) সুমিত রিতোলিয়ার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের তেল ভারতের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড ব্রেন্ট ও মার্কিন অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দামের ব্যবধান বাড়া, চীনের তেল ক্রয় কমা এবং বাজারে আর্বিট্রেজ বা দামের পার্থক্যজনিত সুযোগ তৈরি হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ধরনের তেল ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য লাভজনক বিকল্পে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবেদনে উদ্ধৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাস শেষে দৈনিক প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল আমদানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বরে তা কমে দৈনিক ৪ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ ব্যারেলের মধ্যে থাকতে পারে। এ বছর গড়ে দৈনিক আমদানি ছিল প্রায় ৩ লাখ ব্যারেল, অর্থাৎ নতুন প্রবণতা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।

সরকারি ও বাণিজ্যিক সূত্রে বলা হয়েছে, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তেলের প্রকার—যেমন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট মিডল্যান্ড ও মার্স—বেশি পরিমাণে কিনছে, যাতে তেল সরবরাহের উৎস বৈচিত্র্য আনা যায় এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক বার্তা দেওয়া যায়।

এই পরিবর্তন এমন সময় ঘটছে, যখন রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ভারতীয় রিফাইনারিগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের তেল আমদানির এই বৃদ্ধি মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এভাবে ভারত তার জ্বালানি নিরাপত্তা বজায় রেখে, রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে এবং রাশিয়া-সম্পর্কিত মার্কিন উদ্বেগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়লেও রাশিয়াই ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী রয়ে গেছে—মোট আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া থেকে আসে। ইরাক দ্বিতীয় এবং সৌদি আরব তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

সুমিত রিতোলিয়া জানান, এই প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই নয়। তাঁর মতে, ‘বর্তমান বৃদ্ধির কারণ মূলত আর্বিট্রেজ সুযোগ, এটি কাঠামোগত পরিবর্তন নয়। দীর্ঘতর সমুদ্রপথ, বেশি ফ্রেইট খরচ এবং ডব্লিউটিআই তেলের হালকা, ন্যাফথা-সমৃদ্ধ গঠন ভারতের ক্রয়ের সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে।’

তবে রিতোলিয়া আরও বলেন, ‘এই উত্থান যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জ্বালানি সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গভীরতার নির্দেশক এবং ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বৈচিত্র্যকরণ কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে সরবরাহ নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক যুক্তি ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য একসঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুটি বৃহৎ তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা ভারত ও চীনের জন্য বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এতে উভয় দেশকেই রাশিয়ান তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বা বন্ধ করতে হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন বা বাতিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। ফলে কোম্পানিগুলোর হাতে প্রায় এক মাস সময় আছে এই রাশিয়ান তেল জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তি নিষ্পত্তির জন্য।

ভারতের সরকারি ও বেসরকারি উভয় রিফাইনারি বর্তমানে ওএফএসি বা অফিস অব ফরেইন এসেটস কন্ট্রোল নির্দেশিকা বিশ্লেষণ করছে, যাতে তারা অর্থ প্রদানের পদ্ধতি ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একই সঙ্গে রাশিয়ান তেল ছাড়াই কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। উল্লেখ্য, রসনেফট ও লুকঅয়েল মিলে বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে থাকে।

চলতি বছরে রাশিয়া ভারতের মোট অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে রসনেফট ও লুকঅয়েলের অংশ প্রায় ৬০ শতাংশ।

অপরদিকে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে। তবে ভারত সরকার এমন কোনো চুক্তি স্বীকার করেনি; বরং জানিয়েছে, তারা জ্বালানির উৎস বৈচিত্র্য আনার পথে এগোচ্ছে এবং নতুন সরবরাহ চ্যানেল সম্প্রসারণে আগ্রহী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রয়টার্সের প্রতিবেদন /ইরান ও রাশিয়ার ‘নিষিদ্ধ’ তেল-বাণিজ্যের নেপথ্যে নিউজিল্যান্ডের বিমা সংস্থা, মালিক ব্রিটিশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৫৮
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল বাণিজ্য করতে ইরান ও রাশিয়াকে সহায়তা করছে পশ্চিমের কোম্পানিই। ছবি: এএফপি
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল বাণিজ্য করতে ইরান ও রাশিয়াকে সহায়তা করছে পশ্চিমের কোম্পানিই। ছবি: এএফপি

পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান ও রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেমে নেই। এমনকি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে আয় বৃদ্ধির খবরও এসেছে। আর এই কাজে সহায়তা করছে যেসব প্রতিষ্ঠান, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম নিউজিল্যান্ডভিত্তিক ছোট বিমা প্রতিষ্ঠান মেরিটাইম মিউচুয়াল। এটির মালিকানা আবার এক ব্রিটিশ পরিবারের। কোম্পানিটি এখন আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা ছায়া বহরের ট্যাংকারগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বিমা পরিষেবা দিয়ে আসছে। এই জাহাজগুলো অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেয়, জাল নথিপত্র এবং নাম ব্যবহার করে গোপনে তেল-বাণিজ্য চালিয়ে যায়।

মেরিটাইম মিউচুয়ালের মূল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মেরিটাইম মিউচুয়াল ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, অকল্যান্ডে একটি কার্যালয় থেকে এটি পরিচালিত হয়। সংস্থাটি গত দুই দশকে ফেরি থেকে শুরু করে পণ্যবাহী জাহাজ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার জাহাজকে বিমা সুবিধা দিয়েছে। তবে রয়টার্সের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত প্রায় এক-ষষ্ঠাংশ ছায়া বহরের ট্যাংকারকে এই সুবিধা দিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ইরান ও রাশিয়ার তেল পরিবহনকারী জাহাজ।

দৃষ্টান্ত হিসেবে রয়টার্স উল্লেখ করেছে, গত বড়দিনের সময়, ইয়ুগ (Yug) নামে একটি ট্যাংকার চীনের কিংদাও বন্দর থেকে ২ কোটি ব্যারেল ইরানি তেল খালাস করে যাত্রা শুরু করে। একই সময়ে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বহনকারী একটি জাহাজ বরফের মধ্য দিয়ে ভারতে যাচ্ছিল। তিনটি ভিন্ন ট্যাংকারের মালিক ভিন্ন হলেও এগুলোর বিমাকারী ছিল নিউজিল্যান্ডের সংস্থাটি।

এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) হিসাব অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে মেরিটাইম মিউচুয়ালের কাভারেজপ্রাপ্ত জাহাজগুলো কমপক্ষে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলারের ইরানি তেল এবং ১ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের রুশ জ্বালানি পণ্য পরিবহন করেছে। সে হিসাবে মোট বাণিজ্য হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি।

মেরিটাইম মিউচুয়ালের মূল পরিষেবা হলো সুরক্ষা ও ক্ষতিপূরণ (পিঅ্যান্ডআই) বিমা। এই বিমা জাহাজের কোনো দুর্ঘটনা, পরিবেশগত ক্ষতি বা তৃতীয় পক্ষের কারণে ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার কাভার করে। সাবেক মার্কিন ট্রেজারি নিষেধাজ্ঞাবিদ ডেভিড ট্যানেনবাউমের মতে, এই বিমা ছাড়া ছায়া বহরের জাহাজগুলো ‘পানিতে নিথর’ হয়ে থাকত। কারণ, রাশিয়া বা ইরানের বন্দরেও বিমাবিহীন জাহাজ প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

এ সংস্থাটি পরিচালনা করে ৭৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক পল র‍্যাঙ্কিন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কোম্পানির ওয়েবসাইটে তাঁর দুই কন্যা (ক্লেয়ার ও সারাহ) এবং এক জামাতা (স্টিভেন জয়েস) সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই, ২০১৬ সাল থেকে মেরিটাইম মিউচুয়াল ইরানি ব্যবসা আকৃষ্ট করার চেষ্টা শুরু করে। তারা ‘নিউজিল্যান্ড পিঅ্যান্ডআই ক্লাব’ নামে একটি সমিতি খোলে। ইরানে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে পড়া গ্রাহকদের নিয়ে এই সমিতি গঠন করা হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে তারা ইরানি শিপিং ফার্ম ‘শিরাজ মেরিন’কে ইরানে এই সমিতির স্বার্থ প্রচার এবং সদস্যদের পরিচিত করার কর্তৃত্ব দেয়।

ইরান ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর এই কোম্পানির রাজস্বে বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে তাদের বিমা বিক্রি গড়ে বছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়লেও, ২০১৯ সাল থেকে (ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর) তা গড়ে বছরে ৪১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে গত বছর ১০ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালে রুশ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার প্রথম বছরে এই প্রবৃদ্ধি ৬০ শতাংশে পৌঁছায়।

নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বিমা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। রুশ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগের অংশ হিসেবে, ১৬ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড পুলিশ মেরিটাইম মিউচুয়ালের অকল্যান্ড ও ক্রাইস্টচার্চের কার্যালয় এবং অকল্যান্ডের একটি বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে নথি ও রেকর্ড জব্দ করে। পুলিশের আর্থিক অপরাধ বিভাগ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যদিও এখনো কোনো ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

এই তদন্তে নিউজিল্যান্ড সরকার অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

এর মধ্যে মেরিটাইম মিউচুয়াল তাদের বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের ঝুঁকি কমানোর জন্য পুনর্বিমা পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু পুনর্বিমা সংস্থাগুলোও নিষেধাজ্ঞার নিয়ম মানতে বাধ্য, তাই মেরিটাইম মিউচুয়াল যদি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে থাকে, তবে তাদের সহযোগী বৈশ্বিক সংস্থাগুলোও ঝুঁকিতে পড়বে।

ম্যারিটাইম মিউচুয়ালের পুনর্বিমা প্রদানকারী প্রধান সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমা বাজার লয়েডস অব লন্ডনের সদস্যরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জার্মানির মিউনিখ রি গ্রুপ (বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্বিমা সংস্থা) ; জার্মানির আরেক প্রতিষ্ঠান হ্যানোভার রি; ব্রিটেনের এমএস অ্যামলিন এবং অ্যাট্রিয়াম।

এ ছাড়া ব্রিটিশ-আমেরিকান বিমা কোম্পানি এওন (Aon) এবং আমেরিকার লকটনও সংস্থাটির ব্রোকার হিসেবে কাজ করেছে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মেরিটাইম মিউচুয়াল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনে ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ রয়েছে।

তবে ২১ অক্টোবর সংস্থাটি ঘোষণা করে, তারা শিপিং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দ্বারা চিহ্নিত কোনো ‘ছায়া বহরের’ জাহাজ বা রুশ তেল বহনকারী জাহাজের জন্য কাভারেজ দেবে না।

মেরিটাইম মিউচুয়াল এর আগে জানিয়েছিল, তারা ২০১২ সাল থেকে ৯২টি জাহাজের কাভারেজ বাতিল করেছে। কারণ, সেগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত