বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তথা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আজ বৃহস্পতিবার ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, তাঁরা চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমানো এবং নির্গমন হ্রাস করে এর কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিকটবর্তী এই টার্মিনালে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে এবং পরিবেশদূষণ হ্রাস পাবে। এ সময় তিনি বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানেই বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম আরও জানান, তাঁরা ২০২২ সালেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন সরকার তাঁদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি অনলাইন ডিজিটাল কাস্টমস পদ্ধতি প্রবর্তনের আগ্রহের কথাও জানান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। এ ছাড়া, তাঁরা বাংলাদেশে ইনলাইন কনটেইনার ডিপোতেও বিনিয়োগ করতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েমকে জানান, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায় এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আরও নতুন পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আমরা এটি অঞ্চলের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা জরুরি। কারণ, এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নেপাল এবং ভুটানের কনটেইনার পরিচালনার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সময়ই এখানে ব্যয়ের প্রধান কারণ, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ডেনিশ কোম্পানি এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মায়ারস্ক উগলা জানান, তাঁরা লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান এবং এটিকে তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি সবুজ (ইকো-ফ্রেন্ডলি) বন্দর হিসেবে রূপান্তর করতে চান। তিনি বলেন, মরক্কো ও ওমানেও একই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ওমানের সালালাহ বন্দর তাদের বিনিয়োগের ফলে বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দর হয়ে উঠেছে বলে উগলা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একাধিক বন্দর নির্মাণ করতে হবে। আমরা বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তথা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আজ বৃহস্পতিবার ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, তাঁরা চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমানো এবং নির্গমন হ্রাস করে এর কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিকটবর্তী এই টার্মিনালে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে এবং পরিবেশদূষণ হ্রাস পাবে। এ সময় তিনি বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানেই বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।
সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম আরও জানান, তাঁরা ২০২২ সালেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন সরকার তাঁদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি অনলাইন ডিজিটাল কাস্টমস পদ্ধতি প্রবর্তনের আগ্রহের কথাও জানান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। এ ছাড়া, তাঁরা বাংলাদেশে ইনলাইন কনটেইনার ডিপোতেও বিনিয়োগ করতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েমকে জানান, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায় এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আরও নতুন পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আমরা এটি অঞ্চলের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা জরুরি। কারণ, এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নেপাল এবং ভুটানের কনটেইনার পরিচালনার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সময়ই এখানে ব্যয়ের প্রধান কারণ, তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ডেনিশ কোম্পানি এপি মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ার রবার্ট মায়ারস্ক উগলা জানান, তাঁরা লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান এবং এটিকে তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি সবুজ (ইকো-ফ্রেন্ডলি) বন্দর হিসেবে রূপান্তর করতে চান। তিনি বলেন, মরক্কো ও ওমানেও একই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ওমানের সালালাহ বন্দর তাদের বিনিয়োগের ফলে বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দর হয়ে উঠেছে বলে উগলা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একাধিক বন্দর নির্মাণ করতে হবে। আমরা বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকার: এম. শামসুল আরেফিন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ১টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
সোনা-রুপা ব্যবসায়ী তাই ওয়ং রয়টার্সকে বলেন, ‘দরপতন শুরুর পর গতকাল পর্যন্তও ক্রেতারা সোনা কিনছিলেন, কিন্তু এখন বাজারে দরপতনের অতি অস্থিরতা সতর্কবার্তা দিচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্প মেয়াদে মুনাফা তুলতে উৎসাহিত হচ্ছেন।’
ডলার সূচক ০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ এক নোটে লিখেছেন, সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনা ও রুপার চাহিদা কিছুটা কমেছে।
সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলমান মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার ফলে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহে সোনার দাম স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভার বা রুপার দাম ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৪৯ ডলারে নেমে গেছে।
তাই ওয়ং বলেন, আজ রুপা ভয়াবহভাবে হোঁচট খেয়েছে এবং পুরো বাজারকেই নিচে নামিয়েছে। স্বল্প মেয়াদে রুপার দাম রেকর্ড ৫৪ ডলারে পৌঁছেছিল, আর এখন ৫০ ডলারের নিচে। তাই সোনার দাম স্থিতিশীল থাকলে রুপার বাজারেও বড় ধরনের অস্থিরতা চলমান থাকবে।
অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৪১ দশমিক ৮৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১৭ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন শুক্রবার প্রকাশিতব্য সেপ্টেম্বরের মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) জন্য। মার্কিন সরকার অচল থাকায় এটি প্রকাশে বিলম্বিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বার্ষিক ৩ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে।
মার্কিন সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন। এতে সোনার দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের পথে রয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় সকাল ১টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়ায়, যা ২০২০ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন।
এর আগের দিন সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে উঠেছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, সুদের হার কমার সম্ভাবনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
সোনা-রুপা ব্যবসায়ী তাই ওয়ং রয়টার্সকে বলেন, ‘দরপতন শুরুর পর গতকাল পর্যন্তও ক্রেতারা সোনা কিনছিলেন, কিন্তু এখন বাজারে দরপতনের অতি অস্থিরতা সতর্কবার্তা দিচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্প মেয়াদে মুনাফা তুলতে উৎসাহিত হচ্ছেন।’
ডলার সূচক ০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য সোনা কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কিটকো মেটালসের সিনিয়র বিশ্লেষক জিম উইকফ এক নোটে লিখেছেন, সপ্তাহের শুরুতে বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনা ও রুপার চাহিদা কিছুটা কমেছে।
সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকেরা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলমান মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার ফলে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহে সোনার দাম স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভার বা রুপার দাম ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৮ দশমিক ৪৯ ডলারে নেমে গেছে।
তাই ওয়ং বলেন, আজ রুপা ভয়াবহভাবে হোঁচট খেয়েছে এবং পুরো বাজারকেই নিচে নামিয়েছে। স্বল্প মেয়াদে রুপার দাম রেকর্ড ৫৪ ডলারে পৌঁছেছিল, আর এখন ৫০ ডলারের নিচে। তাই সোনার দাম স্থিতিশীল থাকলে রুপার বাজারেও বড় ধরনের অস্থিরতা চলমান থাকবে।
অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৪১ দশমিক ৮৫ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১৭ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন শুক্রবার প্রকাশিতব্য সেপ্টেম্বরের মার্কিন ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) জন্য। মার্কিন সরকার অচল থাকায় এটি প্রকাশে বিলম্বিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বার্ষিক ৩ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি দেখানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সপ্তাহের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহন খাতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে...
২৩ জানুয়ারি ২০২৫শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেচালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
৮ ঘণ্টা আগে