জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। শেষ পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে মাত্র আড়াই মাসে ৯৫৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময় রেমিট্যান্সের গতি বাড়ার পরও মোট রিজার্ভ কমে এসেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
যদিও গত আগস্ট মাসেও ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল প্রায় সোয়া ১৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জনা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি কাজে সার, জ্বালানি, খাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ওই পরিমাণ ডলার বিক্রি করে।
এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের এ পর্যন্ত প্রায় ১০৬ মিলিয়ন ডলার, আগস্টে ১৭০ মিলিয়ন ডলার, জুলাইয়ে ৬৭৯ মিলিয়ন ডলার, আর গত অর্থবছরের ডলার বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনেছে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে কারেন্সি সোয়াপের (আন্তবাজারের কেনাবেচা) মাধ্যমে ব্যাংকগুলো নিজেরা ডলার লেনদেন করেছে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে রিজার্ভ থেকে কোনো ধরনের ডলার বিক্রি করা হচ্ছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আন্তব্যাংক হিসাবে ডলার কেনাবেচা করছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের ডলার বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।
১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মোট ডলার ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের ঋণের শর্তে বিপিএম-৬ হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দায় এবং বকেয়া পাওনা বাবদ ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ (এনআইআর) দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত ২০ আগস্ট ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল প্রায় ১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের মানদণ্ড বিপিএম-৬ মডেল অনুযায়ী ছিল ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট রেকর্ড রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২১ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার করে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে।
আরও খবর পড়ুন:
দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। শেষ পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে মাত্র আড়াই মাসে ৯৫৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময় রেমিট্যান্সের গতি বাড়ার পরও মোট রিজার্ভ কমে এসেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
যদিও গত আগস্ট মাসেও ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল প্রায় সোয়া ১৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জনা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি কাজে সার, জ্বালানি, খাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ওই পরিমাণ ডলার বিক্রি করে।
এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের এ পর্যন্ত প্রায় ১০৬ মিলিয়ন ডলার, আগস্টে ১৭০ মিলিয়ন ডলার, জুলাইয়ে ৬৭৯ মিলিয়ন ডলার, আর গত অর্থবছরের ডলার বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনেছে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে কারেন্সি সোয়াপের (আন্তবাজারের কেনাবেচা) মাধ্যমে ব্যাংকগুলো নিজেরা ডলার লেনদেন করেছে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, বর্তমানে রিজার্ভ থেকে কোনো ধরনের ডলার বিক্রি করা হচ্ছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আন্তব্যাংক হিসাবে ডলার কেনাবেচা করছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের ডলার বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।
১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মোট ডলার ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের ঋণের শর্তে বিপিএম-৬ হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে চলতি দায় এবং বকেয়া পাওনা বাবদ ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ (এনআইআর) দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত ২০ আগস্ট ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল প্রায় ১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের মানদণ্ড বিপিএম-৬ মডেল অনুযায়ী ছিল ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট রেকর্ড রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। চলতি মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২১ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার করে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে।
আরও খবর পড়ুন:
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১০ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
২০ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে